নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেনাবাহিনীকে নিয়ে খালেদা জিয়ার উস্কানিমূলক বক্তব্য ॥ দেশ অচল করে দেয়ার হুমকি : গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নতুন আলামত

০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০২

বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে উস্কানি দিয়ে বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীরও দেশের প্রতি কর্তব্য আছে। তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না। সরকার মানুষ খুন করবে আর তারা চেয়ে চেয়ে দেখবে? কাজেই সেনাবাহিনী সময়মতোই তাদের দায়িত্ব পালন করবে।’ বিরোধীদলীয় নেত্রী শুধু এ কথা বলেই ক্ষান্ত হননি, তিনি প্রয়োজনে দেশ অচল করে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন। গত ২৪ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া সদরের মাটিডালি মোড়ে এক শোক সমাবেশে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। বিরোধীদলীয় নেতার বক্তব্যে সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মন্ত্রিসভার সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে খালেদা জিয়া প্রকাশ্য জনসভায় এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন না। এটা সরাসরি রাষ্ট্রদ্রোহ। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগেও খালেদা জিয়া মানিকগঞ্জের জনসভায় ‘আরো জানমালের ক্ষতি হতে পারে। দেশের মঙ্গলের জন্য এ ক্ষতি মেনে নিতে হবে।’ এমন নিষ্ঠুর আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এতোদিন আমরা বলেছি, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। এখন আর তা বলছি না। আমরা এই সরকারের পতন চাই। এখন থেকে সরকার পতনের আন্দোলন চলবে।’ খালেদার সাম্প্রতিক বক্তব্যে বিশিষ্টজনরা বলছেন-এসব দেশের জন্য শুভ আলামত নয়। উস্কানি দেওয়া ঠিক না। অন্যদিকে দেশের প্রায় প্রতিটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানই দলীয়করণের কবলে। নিরপেক্ষ কোনো প্রতিষ্ঠান নেই বললেই চলে। এতোকিছুর পরও একমাত্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখনো নিদর্লীয় ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বহাল রয়েছে। এখনো দেশ ও জাতির সর্বশেষ আশা ও ভরসার স্থল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এখনো উজ্জ্বল ভাবমূর্তি নিয়ে নিজেদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী। তাদের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে নেতিবাচক সমালোচনা নেই বললেই চলে। এখনও তাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এ কারণেই দেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করে থাকে। তাই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার অন্যতম নায়ক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে কোনো ধরনের রাজনীতি দেশের সাধারণ জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না। তাই বিরোধীদলীয় নেতা সেনাবাহিনীকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা দেশের মানুষ ও বিশিষ্টজনরা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের এক নতুন আলামত বলে মনে করছেন।



আসলে খালেদা জিয়া কী বলেছিলেন

বগুড়ার মাটিডালিতে দেওয়া খালেদা জিয়ার বক্তব্যের ভিডিও রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, খালেদা জিয়া সেনাবাহিনী নিয়ে আরও কিছু কথা বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীরও দেশের প্রতি কর্তব্য আছে। তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না। মানুষ খুন করবে আর তারা চেয়ে চেয়ে দেখবে? কাজেই সেনাবাহিনী সময়মতোই তাদের দায়িত্ব পালন করবে। সেনাবাহিনী সেদিন এ পর্যন্ত এসেছিল। কিন্তু সেনাবাহিনীকে আমি ধন্যবাদ দেব। তারা জনগণের ওপর কোনো কিছু করে নাই। সেনাবাহিনী ইউএন (জাতিসংঘ) মিশনে যায়, কাজ করে। শান্তিরক্ষার জন্য তারা বিদেশে যায়। যে দেশের সেনাবাহিনী বিদেশে শান্তিরক্ষার জন্য কাজ করছে, সে দেশে যদি শান্তি না থাকে, তাহলে বিদেশিরা বলবে, তারা কীভাবে শান্তিরক্ষায় কাজ করবে? কাজেই চিন্তার বিষয় আছে। আপনাদের সবাইকে এটা চিন্তা করতে হবে।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সেনাবাহিনীর দায়িত্ব সবকিছুতেই আছে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রশাসন বা সরকার যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চায়, তাহলে তারা আসে, অতীতেও এসেছে। যেসব নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, সেসব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যখন ডাকা হয়, তখনো তারা ভূমিকা রেখেছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, বিএনপি সেনা হস্তক্ষেপ শুধু অপছন্দ করে তা নয়, এর বিরোধিতাও করে। বিএনপি জনগণের শাসন, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। দেশ অচল করে দেয়া হবে বলে খালেদা জিয়া যে উক্তি করেছেন এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা খুব সহজ। এতে কঠিন কিছু নেই। সরকার স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনা করছে। গণতন্ত্রের সব রীতিনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এটা বন্ধ না করলে অবশ্যই এমন একটা পরিস্থিতি জনগণ সৃষ্টি করবে, যাতে সরকার বাধ্য হবে দাবি মেনে নিতে।



মানিকগঞ্জে কি বলেছিলেন খালেদা

গত ১৬ মার্চ মানিকগঞ্জে সংলাপ নাকচ করে দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সংলাপ নয়Ñ হয় সরকারকে বিদায় নিতে হবে নতুবা লাগাতার হরতাল অবরোধ ঘেরাও কর্মসূচিÑ সব কিছু অচল করে দেওয়া হবে। দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের বিদায় ঘটাতে হবে। গণহত্যার জন্য ট্রাইব্যুনাল করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে সেই ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে। সংলাপের জন্য সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ প্রত্যাশা করে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রেস ব্রিফিংয়ের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে জনসভায় খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন। এরপর সিঙ্গাইরে জনসভায় খালেদা জিয়া সরকারকে ‘খুনি’ আখ্যা দিয়ে বলেন, তাদের সঙ্গে আর কোনো কথা বলে লাভ নেই। এ সরকারের পতন ছাড়া কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। এ জন্য আন্দোলন করতে হবে। হয়তো এ জন্য আরও কিছু প্রাণহানি হবে, জানমালের ক্ষতি হবে। কিন্তু দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে এইটুকু ক্ষতি মেনে নিতে হবে। হয় তাদের বিদায় নিতে হবে, নইলে আরও হরতাল-অবরোধ-ঘেরাও কর্মসূচিÑ সব কিছু দেওয়া হবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

তারিন রহমান বলেছেন: ওনি আগে এতটা হিংস্র ছিলেন না। জামাত নেতাদের ফাসির রায় দেয়ার ঘটনা শুরু হতেই এতটা হিংস্র হয়ে গেছেন। জামাত প্রীতিই তাকে ইতিহাসের পাতায় কলংকিত করে রাখবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.