![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কথা ছিল ঢাকা অবরোধের, সরকার বাধা দেয়নি। আবদার জানানো হলো সমাবেশের। তারও অনুমোদন দেওয়া হলো। কিন্তু কথা রাখলো না হেফাজতে ইসলাম। রেখে গেল নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞ। রাজধানীতে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলল তাদের সহিংস তাণ্ডব। অবশ্য, গভীর রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে পালাতে বাধ্য হয় তারা। তবে যাওয়ার পথেও চালায় ব্যাপক ভাঙচুর। হামলা থেকে রেহাই পাননি সাংবাদিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, রিকশাচালক, সাধারণ মানুষ। হত্যার শিকার হয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকজন সদস্য। আহত হয়েছেন বহু। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় হেফাজতের সহিংস তা-ব ও আগুনে পুড়েছে পবিত্র কোরআন শরীফ। অভিযোগ উঠেছে সেখানে বইয়ের দোকানে আগুন দেয় হেফাজত নেতা-কর্মীরা। ছয় শতাধিক কোরআন শরীফ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকেই বলছেন, হেফাজতের সঙ্গে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা মিলে হামলা চালিয়েছেন। ইসলাম রক্ষার নামে হেফাজতের এই ধ্বংসযজ্ঞে বিস্মিত দেশবাসী। বিশ্লেষকদের মতে, প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট এই নতুন সাম্প্রদায়িক সংগঠনটিকে সমর্থন ও মদদ দেওয়ায় তারা সহিংসতা চালানোর সাহস পেয়েছে।
গত ৫ মে ঢাকা অবরোধ করতে এসে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা মতিঝিল-পল্টনের দুই বর্গকিলোমিটার জুড়ে এবং গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়া এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেন। হেফাজতের কর্মীরা জিপিওর প্রধান কার্যালয়, বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট, পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কার্যালয়, হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের ভবন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিবহন পুল, মুক্তি ভবন, র্যাংগস ভবনসহ আরও কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালান। তারা ফুটপাতের দোকানেও আগুন ধরিয়ে দেন। রক্ষা পায়নি ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি। সরকারি ও বেসরকারি অসংখ্য যানবাহন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দফায় দফায় হামলার চেষ্টা করা হয়। রাজধানীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। কী হচ্ছে, কী হবে এই প্রশ্ন সবার।
হেফাজতের অবরোধ কর্মসূচি ছিল রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে। শাপলা চত্বরে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার পর তারা স্রোতের মতো রাজধানীতে প্রবেশ করে। বিনা উস্কানিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে, যা একপর্যায়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটক, দক্ষিণ ফটক, মতিঝিল, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, দৈনিক বাংলা মোড়, জিরো পয়েন্ট ও বিজয়নগরে ছড়িয়ে পড়ে। হেফাজতের কর্মীরা বেপরোয়াভাবে গাড়ি ভাঙচুর করেন, আগুন দেন। নিক্ষেপ করেন বোমা-ককটেল। কয়েকশ রাউন্ড ফাকা গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু হেফাজতের কর্মীরা এতটাই হিংস্র ছিল যে, তারা পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনেও হামলা চালায়। ওই ভবনে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (সিপিবি) কার্যালয়। বিকালে পল্টন মোড়ের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। তারা বিজয়নগরে ট্রাফিক পুলিশের (পূর্ব) উপ-কমিশনারের কার্যালয়ে আগুন দেন। কনস্টেবল পেয়ারুল ইসলাম এতে দগ্ধ হয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। উপ-কমিশনার ইকবাল হোসেন জানান, কার্যালয়ের নিচতলা ও দোতলায় অন্তত সাতটি কক্ষ আগুনে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অপারেশন সিকিউর শাপলা
ঢাকা অবরোধের পর সমাবেশের কথা বলে ব্যস্ততম বাণিজ্যিক কেন্দ্র মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থান নেন হেফাজত কর্মীরা। পরবর্তীতে সন্ধ্যার পর ওয়াদামতো হেফাজতকে শাপলা চত্বর থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে সরকার। কিন্তু অনড় থাকেন হেফাজতের নেতারা। ভঙ্গ করেন ওয়াদা। কারণ ১৮ দলীয় জোটভুক্ত ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের হাতেই তখন হেফাজতের নিয়ন্ত্রণ। তাদের নির্দেশেই হচ্ছিল সবকিছু। দূরদূরান্ত থেকে আসা ক্লান্ত শিশু-কিশোরদের জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়ে অবস্থান করতে বলা হয়। ওদিকে, আতঙ্ক বাড়তে থাকে। গোয়েন্দারা সরকারের নীতিনির্ধারকদের জানান যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সচিবালয়ে হামলা হতে পারে। জানমাল রক্ষায় নিরূপায় হয়ে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হয়। ভোররাতে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হটিয়ে ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি’র যৌথ বাহিনী কয়েক হাজার সদস্য মিলে শাপলা চত্বরের দিকে এগোতে শুরু করেন রাত ২টার দিকে। প্রথমে পুরো চত্বরটি ঘিরে ফেলা হয়। মাইকে হেফাজত কর্মীদের সরে যেতে বলেন দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। প্রথমে কেউ সরে যায়নি। এরপর পুলিশ শত শত রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ার গ্যাস শেল ছোড়ে। নিক্ষেপ করা হয় সাউন্ড গ্রেনেডও। ছত্রভঙ্গ হয়ে পালাতে শুরু করেন আগতরা। অনেকে মতিঝিলের বিভিন্ন ভবনে আশ্রয় নেন। ভোরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের নামিয়ে আনেন। তারা সুশৃঙ্খলভাবে মতিঝিল এলাকা ছেড়ে যেতে তাদের সহায়তা করেন। অনেকে দুই হাত তুলে লাইন ধরে পুলিশ কর্ডনের মধ্যে ওই স্থান ত্যাগ করেন। কেউ কেউ কান ধরে চলে যান। কিছু ছিলেন আহত। শাপলা চত্বরে হেফাজতের ভ্রাম্যমাণ মঞ্চটি তখন পুলিশের দখলে। মঞ্চের কাছেই একটি ভ্যানের ওপর কাফনের কাপড় ও পলিথিন মোড়ানো চারটি মরদেহ পাওয়া যায়, যা আগেই সেখানে রেখেছিল হেফাজত। পুলিশ ও সাংবাদিকের গাড়ি ছাড়া আর কোনো যান বা লোকজনের চলাচল ছিল না। অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কারণ সমাবেশে শেষ পর্যন্ত যারা ছিল, অধিকাংশই কিশোর। সেখানে কোনো নেতাকে পাওয়া যায়নি। তারা আগেই পালান। কেন কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি জানতে চাইলে অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেন, ‘তাদের গ্রেপ্তার করা যেতো, কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম তারা বাড়ি চলে যাক। সে কারণেই আমরা শক্ত অবস্থান নেইনি।’ মতিঝিলে এই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিকিউর শাপলা’। একাধিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, মতিঝিলের অভিযান যে এত সহজে হয়ে যাবে তা তারা ভাবতে পারেননি। একেবারে প্রাণহানি ছাড়াই প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এটা একটা দৃষ্টান্ত। এত অল্পতে যে শাপলা চত্বর মুক্ত হয়ে যাবে, তা অভিযানকারীরাও ভাবতে পারেননি। হতাহত যাতে বেশি না হয়, সে জন্য তিনস্তরে র্যাব পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা অবস্থান করেন। প্রথম স্তরে পুলিশ, পরে র্যাব এবং এরপর বিজিবি সদস্যরা। অবস্থানরতরা খুব দ্রতই ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। ফলে বিজিবি সদস্যদের কোনোরকম অ্যাকশনে যেতে হয়নি। হেফজাত কর্মী-সমর্থকরা ঢাকা ত্যাগের পর উচ্ছাস প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। অভিনন্দন জানানো হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র দখলমুক্ত হওয়ার পর ব্যবসায়ীদের মধ্যেও নেমে আসে স্বস্তি।
নেতাদের পলায়ন
সারাদিন ধরেই হেফাজতের ভূইফোঁড় নেতারা মাঠ গরম রাখেন। তরুণ মাদ্রাসা ছাত্রদের মধ্যে হিংসার সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য দেন শাপলা চত্বর মঞ্চে উপস্থিত নেতারা। শহীদ না হয়ে বাড়ি ফিরবেন না, প্রয়োজনে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেবেনÑএ ধরনের উক্তি করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই নেতারাই অভিযানের আলামত টের পেয়ে আগেভাগেই পলায়ন করেন। সুযোগমতো সটকে পড়েন একে একে। একা অসহায় হয়ে পড়ে মাদ্রাসা ছাত্ররা। রাতে শাপলা চত্বর এলাকায় অবস্থানরতদের প্রায় সবাই অল্পবয়সী ছাত্র ছিল। অনেকে এই প্রথম রাজধানীতে এসেছে। মুহুর্মুহু টিয়ারশেল আর সাউন্ড গ্রেনেডে সবাই ভড়কে যায়। পালাতে শুরু করে যে যেভাবে পারে। যৌথবাহিনীর অভিযানে নয়, বরং বেশিরভাগই আহত হয়েছে হুড়োহুড়িতে পড়ে গিয়ে। তবে এরমধ্যেই হেফাজতের একটি অংশ টিকাটুলি হয়ে মতিঝিল-দিলকুশা এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সড়কের দু’পাশে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। তাদের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররাও ছিল। মতিঝিল থেকে বেরিয়ে যাওয়া কর্মী-সমর্থকদের রাতে ডেমরা-কাঁচপুর এলাকার বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসায় আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। অনেকে গাড়ি পেয়ে ঢাকা ছাড়েন। মসজিদ-মাদ্রাসায় আশ্রয় নেওয়া কর্মীরা পরদিন কাঁচপুর এলাকায় তা-ব চালান। তাদের অনুসারীরা চট্টগ্রাম ও বাগেরহাটেও সহিংসতা চালায়।
মৃতের সংখ্যা নিয়ে গুজব
হেফাজতের অবস্থান কর্মসূচি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে বহু হতাহতের প্রত্যাশা করেছিল বিএনপি। সে কারণেই খালেদা জিয়া নেতাকর্মীদের হেফাজতের পাশে দাড়ানোর নির্দেশ দেন। সূত্র জানায়, তার আদেশ পাওয়ার পর নেতাকর্মীদের হেফাজতের কর্মসূচিতে নিয়ে যেতে নেমে পড়েন বিএনপির ঢাকা মহানগরীর এক প্রভাবশালী নেতা। কিন্তু রাতের বেলা নেতাকর্মী তেমন জোগাড় করতে তিনি ব্যর্থ হন। অনেকে প্রতিশ্রুতি দেন সকালে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার। আগের দিন খালেদা জিয়া সরকারকে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন। হেফাজতকে সামনে রেখে দেশকে চূড়ান্ত অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সরকারের কাছেও নানা খবর আসতে থাকে। বিএনপির নেতাকর্মীরা পরদিন ৬ মে সকালে দলে দলে শাপলা চত্বরে যোগ দেবেন, এ খবরও গোয়েন্দারা পেয়ে যান। সরকার হার্ডলাইনে যায়। সিদ্ধান্ত হয় অভিযান চালানোর। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সফল অভিযানের কারণে তাদের পূর্বপরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় হাজার হাজার লাশ গুমের হাস্যকর প্রচারণা চালাতে শুরু করে বিএনপি-জামায়াত। অথচ তেমন কোনো রক্তপাতই হয়নি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ারসহ কয়েকজন নেতা তিন হাজার মানুষকে গুমের অভিযোগ করেছেন। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু প্রেসনোট দাবি করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রেসনোটে জানিয়েছে, অভিযান অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল। সম্ভাব্য অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও নৈরাজ্য থেকে দেশকে রক্ষায় একটি রাস্তা খোলা রেখে দু’দিক থেকে অভিযান চালানো হয়। তাতে হেফাজতের কর্মীরা ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই মতিঝিল ছেড়ে চলে যায়। ঘটনার দিন হেফাজতের নেতা আহমদ শফী লালবাগ মাদ্রাসা থেকে সমাবেশস্থলে রওয়ানা হলেও বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের ফোনের কারণে মাঝপথ থেকেই ফিরে যান তিনি। অভিযানের পর সমাবেশস্থলে চার জনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া ওই দিন সংঘাতে তিন পথচারী, এক পুলিশসহ ১১ জন নিহত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ার খবর স্রেফ গুজব। পরের দিন ৬ মের সহিংসতায় নিহত হন ১৩ জন।
লাশ গুম হলে স্বজনরা কোথায়?
লাশ গুমের অভিযোগের জবাব দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার বেনজীর আহমেদও। ৮ মে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দুই-তিন হাজার লোক মারা গেলে তাদের মা-বাবা ও আত্মীয়রা কোথায়? এত লোক মারা গেলে লাখ লাখ স্বজন জমায়েত হওয়ার কথা। সাভারে ভবন ধসের পর হাজার হাজার লোক সেখানে স্বজনদের খুঁজতে এসেছেন। তাহলে এ ঘটনায় এমন দাবি কেউ করল না কেন? দুই-তিন হাজার লোক মারা গেছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এর কোনো ভিত্তি নেই।’ ডিএমপির সংবাদ সম্মেলনে সেদিনে হেফাজতের ধ্বংসযজ্ঞ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের ভিডিওচিত্রও দেখানো হয়। কমিশনার বলেন, ‘হেফাজতের পরিকল্পনা ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক লুট ও সচিবালয়ে আক্রমণ করা। রাতে যদি তাদের শাপলা চত্বর থেকে সরানো না হতো, তাহলে তারা তা-ই করত। সংঘর্ষ ও অভিযানের ঘটনায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এসআইসহ আটজন মারা গেছেন। অভিযানের পরে শাপলা চত্বরে হেফাজতের মঞ্চের পাশ থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত আরও তিনজন পরে মারা যান। হেফাজত একজন এসআইকে কুপিয়ে হত্যা করে তার অস্ত্রটি কেড়ে নিয়ে যায়। তারা কর্তব্যরত পুলিশের সার্জেন্টকে ও বলাকা চত্বর এলাকায় দুজন কনস্টেবলকে পিটিয়ে মারাত্মভাবে আহত করে।’ বেনজীর আহমেদ জানান, হেফাজতে ইসলাম অররোধ কর্মসূচির পর শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার অনুমতি চায়। তারা একের পর এক অনুরোধ করে বলে, অবরোধ কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করা হবে। সেখানে আল্লামা শাহ আহমদ শফী মোনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশ শেষ করবেন। পুলিশের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল, তারা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের অঙ্গীকার করায় অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু অনুমতি পাওয়ার পর তারা শহরে ঢুকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে শুরু করে। পাথর, ইটের টুকরা, লাঠির সঙ্গে পেরেক যুক্ত করে, বোমা ও বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। রাস্তার গাছ কেটে ডিভাইডার ভেঙে ফেলে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করা হয়। বাস, ব্যাংক, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, সরকারি পরিবহন পুল ও হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের গাড়ি, বায়তুল মোকাররম মসজিদের একাংশ এবং স্বর্ণের মার্কেটে আগুন ধরিয়ে দেয়। লুট করার চেষ্টা করে। ফুটপাতের অসহায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকান জ্বালিয়ে উৎসব করে। রাস্তা, বৈদ্যুতিক লাইন ধ্বংস করে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেরও মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। এমনকি মতিঝিল, পল্টন থানায় হামলা ও একাধিক পুলিশ বক্স পুড়িয়ে দেন তারা। পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আমাদের সংস্কৃতি হলো, ধর্মীয় নেতার কথাকে আমরা গুরুত্ব দেই। বিশ্বাস করি। আমরা ধরে নিয়েছিলাম, তারা ধ্বংসাত্মক কাজ করবেন না।’ পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ পুরো জাতি প্রত্যক্ষ করলো তারা তাদের ওয়াদা রাখেনি; উল্টো ঢাকাসহ সারাদেশে বর্বরোচিত নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
দশ মিনিটে এত লাশ গুম করা যায় কি?
সব মৃত্যুই অনাকাঙ্খিত। দুঃখজনক। কিন্তু সেই মৃত্যু নিয়েই নোংরা রাজনীতির খেলা চলছে। বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে আড়াই-তিন হাজার লাশ গুমের হাস্যকর অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে উপস্থিত সাংবাদিকরা বলছেন, মাত্র দশ মিনিটেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় হেফাজত কর্মী-সমর্থকরা। তাহলে লাশ গুম হলো কীভাবে? দেখা যাক এক ব্লগারের বিশ্লেষণ। ১. তিন হাজার মৃতদেহের ওজন হবে ২০০ টন, ফুল লোডে এই মৃতদেহ সরাতে ৪০ টা পাঁচ টনি ট্রাক লাগবে। ২. তিন হাজার মৃতদেহ থেকে ১৫ হাজার লিটার রক্ত ক্ষরিত হবে। সব ধুয়ে ফেললেও মতিঝিল সংলগ্ন এলাকায় এখন রক্তের দুর্গন্ধে কেউ টিকতে পারতো না। ৩. তিন হাজার মৃতদেহ সরানো এবং রাতের মধ্যে ডিসপোজ করতে কমপক্ষে ১৫ হাজার প্রশিক্ষিত কর্মী প্রয়োজন। ৪. এতোগুলো মৃতদেহ কবর দিতে গেলেও তিন থেকে চার লাখ ঘন ফুট মাটি সরাতে হবে। কতক্ষণ লাগবে সেটা করতে? সর্বোচ্চ দ্রুততায় করলে কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা সময় লাগবে। ৫. যে সংখ্যায় মৃত্যুর দাবি করা হয়েছে, সেই সংখ্যায় মৃতদেহ শুধু গুম করলেই চলবে না, কবরও লুকাতে হবে। ঘন বসতিপূর্ণ দেশে তেমন জনমানুষহীন স্থান আছে কি? ৬. মৃতদেহ গুমের কাজে সংশ্লিষ্ট সাম্ভাব্য ১৫ হাজারের মধ্যে একজনকেও কী সাক্ষ্য দেয়ার জন্য খুঁজে পাওয়া যাবে না? ৭. মতিঝিল সাংবাদিকদের জন্য উš§ুক্ত ছিল। অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করেছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে। তারা সবাই কি সরকারের সমর্থক? ৮. তিন হাজার নিহতের পরিবার কী এতক্ষণ বসে থাকতো? ৯. স্বাধীন দেশে ওপেন প্লেসে দুই ঘণ্টার মধ্যে তিন হাজার মানুষকে গুলি করে মেরে ফেলতে এই র্যাব, পুলিশ, বিজিবি বা অন্য কোনো বাহিনী রাজি হতো?
তারপরও বিএনপির কাছে তাদের ভাষায় গুম হওয়া মানুষের তালিকা চেয়েছে সরকার। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বিএনপি চেয়ারপারসনের উদ্দেশে বলেছেন, হয় তালিকা দিন, নয়তো জাতির কাছে ক্ষমা চান। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অভিযোগের সত্যতা নেই। বিএনপি এ নিয়ে প্রয়োজনে জাতিসংঘে যাবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে। এর কোনো ভিত্তি নেই। তারা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছেও হাজার লাশ গুমের দাবি করেছে। অথচ তাদের কাছে সুনির্দিষ্টভাবে একটি লাশ গুমেরও তথ্য নেই।
নেতাদের টোপ দেওয়া হয়েছিল
হেফাজতে ইসলামের নেতাদের টোপ দেওয়া হয়েছিল। সরকারের অভিযানের পর সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় সব নেতাই গা ঢাকা দিয়েছেন। কারো সঙ্গে কোনো কথা বলছেন না আমির ও হাটহাজারী দারুল উলুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা আহমেদ শফী। বয়সের কথা বিবেচনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রিমান্ডে গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছেন, তাদের অনেক নেতা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। টোপ দেওয়ার কারণে বেশির ভাগ নেতাও তখন চাইছিলেন সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত শাপলা চত্বরে অবস্থান নিতে। যদিও হেফাজতে ইসলামের আমির বার বার দাবি করেছেন এটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। তাদের ১৩ দফার মধ্যেও সরকার পতনের কোনো বিষয় নেই। কিন্তু ১৮ দলীয় জোটে থাকা হেফাজতের নেতাদের কয়েকজন সব সময় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। ক্ষমতায় গেলে তাকেসহ হেফাজত নেতাদের মন্ত্রী বানানো হবে বলে প্রস্তাব আসে। গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদকালে বাবুনগরী শুধু কাঁদছেন। তিনি বলেন, ‘জামায়তই সব অপকর্মের মূল। তাদের কারণেই সবকিছু ভেস্তে গেছে। শাপলা চত্বরে অবস্থানের কোনো কর্মসূচি আমাদের ছিল না।’ বিরোধী দলের তৎপরতার সঙ্গে সরকারও বসে ছিল না। ব্যবসা-বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র মতিঝিলের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে সমাবেশকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে ঢাকা ত্যাগের চেষ্টা করা হয়। লালবাগ মাদ্রাসায় অবস্থান করা আল্লামা শফীর সঙ্গে সারা দিন যোগাযোগের চেষ্টা করেন কর্মকর্তারা। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতি টোপে তিনি দিশাহারা হয়ে পড়েন। ডিএমপি কমিশনার এ প্রসঙ্গে জানান, হেফাজতের অন্য নেতাদের মাধ্যমে শফীকে এনে সমাবেশ শেষ করার অনুরোধ করা হয়। তিনি যাব-যাচ্ছি বলে সময়ক্ষেপণ করেন। সন্ধ্যার দিকে লালবাগের উপ-কমিশনারের গাড়িতে করে তাকে সমাবেশস্থলে নেওয়া হচ্ছিল। পলাশি পর্যন্ত এসে তিনি ফিরে যান। এরপরই শাপলা চত্বর থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, হেফাজতের লোকজন রাতে অবস্থান করবেন।
অর্থের যোগানদাতা কারা?
হেফাজতে ইসলাম কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক একটি সংগঠন। মাদ্রাসার শিক্ষকরা এর বিভিন্ন পদে আছেন। যাদের অনেকেই বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের কয়েকটি দলেরও নেতা। হেফাজতের আমির আল্লামা শফী হেলিকপ্টারে চড়ে সাম্প্রতিক কয়েকটি সমাবেশে যান। অবরোধ সমাবেশ কর্মসূচিতে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়। এই অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিতে পাকিস্তানের বিতর্কিত গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই অর্থায়ন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘হেফাজতের কর্মসূচি ঘিরে নৈরাজ্য, সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগে মদদ দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। এদের বিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’ এলজিআরডি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ভবিষ্যতে হেফাজতের কর্মীদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হবে না।’ এ ধরনের সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখতে সরকারের কঠোর হওয়ার বিকল্প নেই। হেফাজতের অর্থায়নের পেছনে বিদেশী কোনো চক্র আছে কিনা তাও
খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন যাকাত-ফেতরা ও দানের অর্থে পরিচালিত কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্র-শিক্ষকদের সংগঠন হিসেবে পরিচিত হেফাজতে ইসলামকে রাজনৈতিক কারণে অর্থের জোগান দাতাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
শাপলা চত্বরে অভিযানের যৌক্তিকতা
ইসলাম রক্ষার নামে হেফাজতে ইসলামের উত্থান ও সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতি কর্মকা- ও তাদের দাবি পর্যালোচনা করে সমাজ বিজ্ঞানী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটিকে কোনোভাবেই অরাজনৈতিক সংগঠন বলা যায় না। অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে হেফাজতে ইসলাম গত ৬ এপ্রিল লংমার্চ কর্মসূচি ও শাপলা চত্বরে সমাবেশ করে সরকারের নিকট তাদের ১৩ দফা দাবিনামা পেশ করে। পরবর্তীতে সারাদেশে সমাবেশ কর্মসূচি শেষে ৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। ৫ মে যথারীতি অবরোধ কর্মসূচি পালন শেষে বিকেলে শাপলা চত্বরে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। পরে নানা তালবাহানা করে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে বিকেল-সন্ধ্যার পরও অবৈধভাবে অবস্থান করে অনির্দিষ্টকালের জন্য লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় হেফাজত নেতারা। শুধু তাই নয়, সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর অনুরোধ-নির্দেশ উপেক্ষা করে বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্রে লাগাতার অবস্থান করে জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুরসহ ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ে লিপ্ত হয় সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। ফলে ঢাকাসহ দেশবাসী উদ্বিগ্ন-আতঙ্কিত হয়ে পড়ে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতার চিত্র দেখে। পাশাপাশি রাজনৈতিক কারণে সুবিধাভোগীরা হেফাজতকে ইন্ধন ও সমর্থন-সহযোগিতা প্রদান করার ঘোষণা দেয়। এধরনের চরম ভীতিকর পরিস্থিতি ও অনিশ্চয়তা দূর করতে এবং হেফাজতের বেআইনি অবস্থান ও কর্মকা-কে প্রতিহত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের শাপলা চত্বর থেকে বিতাড়িত করে। এক্ষেত্রে সরকার তথা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর বিরুদ্ধে সমালোচনা-অপপ্রচার সত্ত্বেও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাষ্ট্রের জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য আওয়ামী লীগ-বিএনপি যেকোনো দলই ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এ ধরনের পরিস্থিতিতে উপরিউক্ত অভিযান পরিচালনার কোনো বিকল্প ছিল না। ফলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা তথা সরকার এক্ষেত্রে সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেÑএকথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
২| ১৩ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:২১
আতিকুল০৭৮৪ বলেছেন: হেফাজতের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাইছে অন্যেরা।
৩| ১৩ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮
তালপাতারসেপাই বলেছেন: খাইছে
৪| ১৩ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:১০
গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: badha dei nai er age 6april er somabese rate hartal daklo ebr 2 ulama league hartal dieslo.
৫| ১৩ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:২২
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: হেফাজত ইকুয়ালটু জামাত
৬| ১৩ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
আলাউদ্দীন বলেছেন: বিশাল রচনা।
৭| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:২২
ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল জয় বলেছেন: আতিকুল০৭৮৪ বলেছেন: হেফাজতের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাইছে অন্যেরা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৪০
ইকবাল পারভেজ বলেছেন: আম্লীগ ইকুয়েল টু শাহবাগী নাস্তিক, কথা কি ঠিক??