![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রয়োজনে সংসদ থেকে পদত্যাগ করবে বিএনপি। দলীয় প্রধানের নির্দেশে বিএনপির সকল এমপি পদত্যাগের জন্য তৈরি। স্পিকারের বরাবর পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে ইতোমধ্যেই দলের সকল এমপি বিরোধী দলের নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে জমা দিয়েও রেখেছেন। খালেদা জিয়া দলের সকল সংসদ সদস্যের পদত্যাগ পত্র নিজের কাছে জমা রেখেছেন। যেন যথাসময়ে তা ব্যবহার করতে পারেন। দলের সংসদ সদস্যরা এ বিষয়ে স্বেচ্ছায় তাকে ওই ক্ষমতা দিয়ে রেখেছেন। বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একটি সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বিএনপি সামনে তিনটি ‘বিকল্প’ পথ নিয়ে ভাবছে। এক. সংসদ সদস্য পদ টেকাতে হলে তাদের সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া। পদ টেকাতে হলে যেতে হবে। দুই. পদ টেকাতে না চাইলে সংসদ থেকে পদত্যাগ করা। পদত্যাগ পত্র স্পিকারের কাছে দাখিল করা হলে তাদের সকল আসন শূন্য হয়ে যাবে। ওই শূন্য আসনে আওয়ামী লীগ আবার নির্বাচন করবে। নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না। তিন. আপাতত সংসদ থেকে পদত্যাগ না করা। তৃতীয় বিকল্প হচ্ছে এই জন্য যে তারা সেখানে গিয়ে আগামী নির্বাচনের জন্য নিদর্লীয় সরকারের দাবি উত্থাপন করবে। বিএনপির পক্ষ থেকে নিদর্লীয় সরকারের কোনো ফর্মুলা দেবে না। বরং তারা চাইছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আগের যে রূপরেখা ও ফর্মুলা ছিল ওই অনুযায়ীই হোক। তবে ওই রূপরেখা বহাল করা হলে ওই সরকারে কী কী ধরনের সমস্যা হয় ওই সব সমস্যা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনে সংবিধানে সংশোধনী আনা।
বিএনপি চেয়ারপারসন মনে করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য অনির্বাচিত সরকার এলেও অবৈধভাবে দুই বছর মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার ঘটনা ঘটেছে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে। রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতার কারণেই দেশে ওয়ান ইলেভেনের পটভূমি তৈরি হয়। রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতার কারণেই তারা সুযোগ নেয়। এজন্য আওয়ামী লীগ তাকে দোষারোপ করলেও তিনি তা মানেন না। তিনি মনে করেন বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির কারণেই দেশে ওয়ান ইলেভেন তৈরি হয়েছিল। এই কারণে তার মতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা চালু করলেই যে অনির্বাচিত সরকার এসে দুই বছর থাকবে, তা নয়। রাজনীতিবিদরা সঠিক কাজ না করলেই সেই সুযোগ তৈরি হবে। আর এই কারণেই তিনি আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইছেন।
তার ঘনিষ্ঠ একজন বলেন, তিনটি বিকল্পের মধ্যে দুটির প্রতি বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এক. সংসদে না গিয়ে পদত্যাগ করা। সরকারের উপর চাপ তৈরি করা। বিএনপি মনে করছেÑ সরকার এই তিনমাসের মধ্যে শূন্য আসনে উপনির্বাচন করিয়ে এমপি নিজের দলের আনতে পারলেও খুব লাভ হবে না। তারা পদত্যাগ করে আন্দোলন আরো চাঙ্গা করতে চান। তিনি বলেন, পদতাগের ব্যাপারে আলোচনার জন্য ম্যাডাম এমপিদের সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত করবেন। তারা এই মুহূর্তে পদত্যাগ করার জন্য মত দিলে বিএনপি পদত্যাগ করবে, যদি তারা মত দেন এত দ্রুত নয় আরো কিছুদিন পর পদত্যাগÑ তাহলে আপাতত বিএনপি পদত্যাগ করবে না। সংসদ সদস্য পদ থাকবে। সংসদে যাবে।
সূত্র জানায়, পদ টিকিয়ে রাখতে হলে আগামী অধিবেশনে বিএনপিকে যোগ দিতেই হবে। এই বাধ্যবাধকতার কারণে তারা সংসদে যাবে। এটা হবে স্বল্প সময়ের জন্য। ইতোমধ্যে তাদের সংসদে অনুপস্থিত থাকার ৮৩ দিন পার হয়েছে। আগামী অধিবেশন বসলে ৭ কার্যদিবসের মধ্যেই যেতে হবে। বিএনপি এটাও মনে করছেÑ এই দফায় তারা সংসদে একবার হাজিরা দিয়ে এলে আগামীতে আর না গেলেও চলবে। এজন্য এবার তারা অল্প সময়ের জন্য গিয়ে তাদের নিদর্লীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবি তা তুলে ধরে আসবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সংসদে নির্দলীয় সরকারের দাবি উত্থাপন করে বলবেন, আগামী নির্বাচন তিনি কোনো দলীয় সরকারের অধীনে মানবেন না। নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা করতেই হবে। তিনি এটাও বলবেন তিনি ক্ষমতায় থাকেন বা অন্য যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, কোনো দলীয় সরকারের পক্ষেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। আর এটি সম্ভব না হওয়ার কারণেই আগামী দিনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা করতে হবে। তার দাবি আগের যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছিল সেই ব্যবস্থাই। যেটি সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ত্রয়োদশ সংশোধনীর রায়ে দুই মেয়াদে রাখার জন্য বলেছিলেন। সেই দুই মেয়াদে রাখলেই চলবে। প্রয়োজন হলে ওই সরকারের গঠন ও রূপরেখা ও ফর্মুলায় যেসব ত্র“টি রয়েছে তা সংশোধন করার জন্য তিনি মত দিবেন। এজন্য সরকারি দলের প্রতি আহ্বান জানাবেন। তিনি জানেন যে, সরকারি দল তার এই দাবি মানবেন না। তারা বিকল্প প্রস্তাব দেবেন। এই কারণে তিনি নতুন করে কোনো সরকারের ফর্মুলা নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য দেবেন না।
সূত্র জানায়, সরকার তার প্রস্তাবে রাজি না হলে এর বিরোধিতা করলে তিনি তার সংসদ সদস্যদের নিয়ে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করবেন। পরিস্থিতি খারাপ হলে পদত্যাগও করতে পারেন। তবে দলের কয়েকজন নেতা বলেছেন, সংসদে উপস্থিত হয়ে দাবি জানিয়ে এলে সরকার যেহেতু সংসদে আলোচনার কথা বলেছেন সেজন্যই তিনি সেই ভাবে প্রস্তাব দিবেন। নিজেদের চাওয়ার বিষয়টিই বলে আসবেন। জনগণও বিষয়টি জানতে পারবে।
সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে এমপিদের পদত্যাগ পত্র জমা নেয়া প্রসঙ্গে তার এক ঘনিষ্ঠ জন বলেন, এমপিদের আগাম পদত্যাগ পত্র নেয়ার রীতি চালু করেছিল আওয়ামী লীগ। ওই ধারাবাহিকতাতে বিএনপিও এবার সকল সংসদ সদস্যের কাছ থেকে আগাম পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছেন। যখন লাগবে তখন তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন। পদত্যাগ পত্র আগে নেয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, কোনো কারণে বিএনপি চেয়ারপারসনসহ সবাই পদত্যাগ করার প্রয়োজন হলে যেন একসঙ্গে তা করতে পারেন, স্পিকারের কাছে জমা দিতে পারেন সেজন্য এই ব্যবস্থা। কারণ এটা আগাম সংগ্রহ করে না রাখলে যখন প্রয়োজন, তখন সকল এমপিকে একসঙ্গে পাওয়া না-ও যেতে পারে। কেউ কেউ ঢাকার বাইরে আবার কেউ বিদেশে থাকেন। এসব কারণে তারা সঙ্গে সঙ্গে পদতাগ পত্র দিতে পারবেন না। এক সঙ্গে পদত্যাগ না করলে তখন সমালোচনা হবে বিএনপির সব এমপি পদত্যাগ করেননি। এতে দলের ভেতরে একটা সংকট তৈরি হতে পারে। আর এই সংকট ও সমালোচনা যেন না হয় সেজন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিএনপির একজন নেতা বলেন, আপাতত পদত্যাগ না করে নিজেদের দাবির কথা সংসদে বলে আসা প্রয়োজন। এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে পদত্যাগ করবে কি করবে না। তারপরও এটা আলোচনা করেই চূড়ান্ত করবেন ম্যাডাম।
শর্ত সাপেক্ষে আগামী অধিবেশনে যাবে বিএনপিÑ গত শুক্রবার এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন দলের সিনিয়র নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। মওদুদের এ বক্তব্যের ব্যাপারে একটি সূত্র জানায়, এটা দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নয়। এটা তার ব্যক্তিগত মত। অনেক কথাই তিনি আগে আগেই তার মতো করে বলে ফেলেন। এতে দলের শৃঙ্খলা ঠিকমতো বজায় থাকে না। দলের সিদ্ধান্ত না হওয়ার আগে ওই ভাবে সুনির্দিষ্ট করে বলা ঠিক নয়। তিনি বলেন, সংসদ অধিবেশনের বিষয়ে কী করবে এজন্য আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এদিকে সরকারের সঙ্গে বিএনপির সংলাপের বিষয়টিতে ভাটা পড়েছে। সংলাপের জন্য সরকারি দল এখন আর চিঠি দিচ্ছে না। সংসদে এসে আলোচনা করতে বলছে তারা। বিএনপি মনে করছে, সরকার ইচ্ছে করেই এটা করেছে। তারা চাইছে বিএনপিকে সংসদে নিতে। যেহেতু বিএনপির ৯০ দিনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর এজন্য বিএনপি ১ মিনিটের জন্য হলেও সংসদে যাবে। তাই সরকার এই মুহূর্তে আর সংলাপের জন্য চিঠি দেবে না। বিএনপি পরবর্তী কী সিদ্ধান্ত নেয় তা দেখে সরকার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কথা বললেই সরকার তা করবে এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। কারণ আগের ফর্মুলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে এ নিয়ে তাদের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব থাকলে তা সংসদে বিএনপি দিতে পারে। এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আলোচনা করেই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারে দুই দল ও দুই জোট।
বিএনপির একজন নেতা বলেন, সরকার সংলাপ করে সমস্যার সমাধানের জন্য একমত হলে ওই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে সমাধান হবে। আর এর ফলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে। সম্পাদনা : তারেক সালমান
২| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
শুটকাভাই বলেছেন: কোন অষুধেই কাজ হবে না, কত রংবেরং এর ইস্যু গেল, কাজে লাগাতে পারলো না ম্যাডাম জিয়া...........আফসোস!
৩| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: বিএনপির দিন শেষ।
বিএনপি এখন লুকানোর জায়গা খুঁজে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮
কৃষিবিদ আহমদ মুকুল বলেছেন: রাজতান্ত্রিক গনতন্ত্র ...