![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত বছর থেকে আমাদের রাজনৈতিক পরিম-লে কালো-মেঘের প্রাদুর্ভাব দেখে যে কোনো দেশপ্রেমিক বাঙালি এদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিচলিত হতে বাধ্য। রাজনৈতিক সহিংসতা আর কুখ্যাত সব যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে স্লোগান দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর ওপর হামলা কিংবা নিরীহ ব্যক্তির প্রাণনাশ- এসব ঘটনা-প্রবাহ অব্যাহত থাকলে দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হতে পারে বলে বারবার রাষ্ট্রের নীতি-নির্ধারক ব্যক্তিবর্গ গুরুত্বপূর্ণ মতামতও ব্যক্ত করেছেন। তাহলে দেশ কীভাবে এগিয়ে যাবে- এ ভাবনা এখন সকলের। রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুস্থ ও স্বাভাবিক ধারা দেশের অগ্রগতির জন্য যে জরুরি একথা এখন সাধারণ ও নিরক্ষর মানুষও বুঝতে পারেন কিংবা উপলব্ধি করেন। তাছাড়া সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা রক্ষার জন্য সরকারের ভাল কাজের প্রচেষ্টাকে অভিনন্দন জানানো এবং খারাপ কাজের সমালোচনা করা বিরোধী দলের দায়িত্ব রূপে গণ্য করা হয়। সেদিক থেকে সরকার ও বিরোধী দলের দেশপ্রেমিক নাগরিকদের মতো ভূমিকা জনতার কাছে প্রত্যাশিত হবে এটাই স্বাভাবিক। তবু বলতে হয় নানা বাধা-বিপত্তি ঠেলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তার অগ্রগতি শিখরস্পর্শী।
স্বাধীনতা অর্জনের ৪২ বছরে পদার্পণ অর্থাৎ বয়সের মাপে আমাদের দেশ ধনী কিংবা গরিব হওয়ার বিষয়ে অথবা কতদূর এগিয়ে গেল সে সম্পর্কে মূল্যায়নে খুব বেশি কঠোর হওয়ার দরকার নেই। কারণ ভারত অথবা মিশরের দু’হাজার বছরের রাষ্ট্রীয় ইতিহাস এবং স্বাধীনতার অনেকদিন অতিবাহিত হলেও তারাও খুব বেশি এগিয়েছে বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। অন্যদিকে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড মাত্র দেড়’শ বছরে উন্নয়নের যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তা তাদের ধনী রাষ্ট্রের তকমা এনে দিয়েছে। আবার অনেক সময় রাষ্ট্রের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই সেই দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের অঢেল প্রাপ্তিকে নির্দেশ করে থাকেন; অথচ যা একেবারে ভ্রান্ত ধারণা হিসেবে পরিগণিত। কারণ ক্ষুদ্র সীমানা আর আশি শতাংশ পার্বত্য ও ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা নিয়ে জাপান বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তি কীভাবে হয়েছে? সেখানে আবাদি জমি নেই বললেই চলে, পশুপালনের জন্য চারণভূমি কম, তবু শিল্প-কারখানায় কাঁচামাল আমদানি করে বিশ্বব্যাপী তাদের পণ্যসামগ্রী ছড়িয়ে দিয়েছে। কেবল নিজেদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা কী যথেষ্ট ছিল না? সুইজারল্যান্ডে নারকেল গাছের প্রাচুর্য নেই অথচ তারাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চকলেট উৎপাদনকারী রাষ্ট্র। ক্ষুদ্র দেশটিতে বছরের মাত্র চারমাস শস্য উৎপাদনের জন্য উপযোগী আবহাওয়া থাকে। অথচ তারাই দুগ্ধ উৎপাদনে বিশ্বের নন্দিত ও আদর্শ হিসেবে স্বীকৃত দেশ। দেশটি শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বসবাসের সর্বোত্তম জায়গা হিসেবে শীর্ষ স্থান দখল করে আছে এখনো। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য ধনী ও উন্নত দেশের তকমা লাগানো রাষ্ট্রের বুদ্ধিজীবী-জ্ঞানী ব্যক্তিদের চেয়ে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশের জ্ঞানী ব্যক্তিরা একেবারে পিছিয়ে নেই। বরং পেশাজীবীদের মধ্যে জ্ঞান গরিমায় পার্থক্য কম। বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরস্পর পরস্পরের আন্তঃসম্পর্কের মধ্য দিয়ে সেই দিকটিও আজ স্পষ্ট। উপরন্তু দেশের অগ্রগতিতে ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সমস্যাও মুখ্য নয়। বরং ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশ অপর দেশ থেকে যাওয়া অভিবাসীদের বলপ্রয়োগে শ্রম আদায় করে যেভাবে ধনী রাষ্ট্রের শীর্ষে পৌঁছেছে- সেই ধরনের ঘটনারও সম্মুখীন হতে হয়নি আমাদের গত ৪১ বছরে। তাহলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে আমাদের মূল সমস্যা কী? আসলে বর্তমান বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের মৌল পার্থক্য চেতনা ও আচরণের। আমাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতি সেই ভাবে গড়ে তোলা হয়নি। ফলে নিজের দেশের সম্পদ বিনষ্টিতে আমরা আনন্দ লাভ করি। মনে করি দেশের সম্পদ আওয়ামী লীগ অথবা বিএনপি নামক দলের। আসলে এই মানসিকতার পরিবর্তন না হলে দেশ এগিয়ে যেতে পারবে না। আজ বড় বেশি দরকার শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর আত্মসচেতনতা আর যুব সমাজের ইতিহাসচেতনা। দেশকে এগিয়ে নিতে যুব সমাজকে যথার্থ পথ-নির্দেশনা দিতে হবে।
ইতিহাস আমাদের বর্তমানকে নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ করে। আজকের সমাজ ও বিগতকালের সমাজের মধ্যে সংলাপ চলে ইতিহাসে। অতীতকে বর্তমান আলোতে বোধগম্য করতে হয়। অর্থাৎ বর্তমানকে বুঝতে হলে অতীতের আলো প্রয়োজন হয়। এই হিসেবে বর্তমান যুব সমাজের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার চেতনা বারবার সামনে আনা দরকার। তারা যা করছে কিংবা ভালমন্দ বিবেচনা না করে যেসব আচরণে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে তাকে মিডিয়ার মাধ্যমে অন্যদের মধ্যে সংক্রমিত না করে একটি পরিশীলিত সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার গড়ে তোলার সময় এসেছে স্বাধীনতার এই ৪২ বছরে। কারণ বর্তমান শিক্ষিত যুব সমাজকে টার্গেট করেছে মৌলবাদী ও জঙ্গিগোষ্ঠী। ধর্মের দোহাই দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে তাদের দলে ভিড়াতে চাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেককেই ভিড়িয়েছে। হিজবুত তাহেরীর ও অন্যান্য জঙ্গিবাদে তাদের অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে। কিংবা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে যে জামায়াত-শিবির নামক রাজনৈতিক সংগঠন রয়েছে সেখানে সম্পৃক্ত আছে বিপুল সংখ্যক তরুণ। এ বছরের শুরু থেকে সেই ধর্মান্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীর হরতাল ও অবরোধে আমরা দেখেছি যুব সমাজকে নাশকতায় অংশগ্রহণ করতে। এই বিপথগামীকে উদ্ধার করার জন্য আমাদের গৌরবান্বিত ইতিহাসের যে অর্থে প্রচার দরকার ছিল, তা হয়নি। রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক নেতৃত্ব ঠিক ঠিক গতিপথে যুব সমাজকে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এজন্যই গতবছর ৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের মধ্যে মৌলবাদী মতাদর্শের শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করে বিশ্বজিতের মতো নিরীহ যুবকের প্রাণ বিনষ্টিতে মেতে উঠেছিল(?) কিন্তু কক্সবাজারের রামু, উখিয়া, টেকনাফ কিংবা চট্টগ্রামের পটিয়ার বৌদ্ধ ও হিন্দু বসতি এবং উপাসনালয়ে হামলা হলে কেবল সেই সব সম্প্রদায়ই প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিল- এ অভিযোগ দেশের বিশিষ্টজনরাই সামনে এনেছেন। ব্যাপক অর্থে নির্বিশেষ ধর্ম সম্প্রদায় হিন্দু-মুসলমান একত্রে প্রতিবাদে নামেনি কেন? হিন্দু-বৌদ্ধ কিংবা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হলে আগে সব সম্প্রদায়ের যুব সমাজ সোচ্চার হয়েছে; রাজপথে নেমেছে; কিন্তু সেই চিত্র পরিবর্তন হয়েছে বর্তমানে। অথচ আমাদের রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাস সেই কথা বলে না।
১৯৪৭-এর দেশভাগের একবছর পরে এক সার্বিক সংগ্রামে মেতে উঠেছিলেন সেই সময়ের পূর্ব বাংলার যুবকরা। তারা তাদের যৌবনকে ব্যয় করেছিলেন মুক্তিসংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায়। নিজের পরিচয়কে, নিজের স্বাধিকার চেতনাকে উজ্জীবিত করার সে-প্রচেষ্টা ছিল সেই সময়ের যুব সমাজের কাছে স্বপ্ন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন আর একুশে ফেব্রুয়ারি, আজ যা আমাদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস তা থেকেই বাঙালি নিজেকে চিনেছিল। পরাধীনতার যন্ত্রণা একদিন কুঁড়ে কুঁড়ে খেয়েছে যাদের তারা রাজপথে নেমেছে, আর সেই পথই তাদের নিয়ে গেছে আলোর দিকে। সেই সময় থেকে চেতনার নানা মাত্রা স্ফূরিত হয়েছে। বাঙালির স্বাধিকার চেতনার জয়গান ছিল মধ্যবিত্তের ঘরে। সেই সময় নিম্নবর্গের মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব ছিল না এর তাৎপর্য। কা-ারি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুসহ অনেক জাতীয় নেতা; তারাও ছিলেন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। দীর্ঘ ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে তাঁদের গড়ে তুলতে হয়েছিল আমাদের একাত্তরের বিজয় মুহূর্তের প্রস্তুতি। এক বৃহৎ পটভূমি ও সময়পর্বে দাঁড়িয়ে সেই সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেছিলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিজীবী ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মুক্তিকামী জনশক্তি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পেরেছি, ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়-গোষ্ঠীসহ সকল বাঙালি ও বিদেশি বন্ধু জনগোষ্ঠীর আত্মত্যাগ এবং অবদানের মহিমার কথা। তবে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর নেতৃত্ব ছিল তখনকার বাস্তবতা। সেই সত্যকে মেনে নিয়ে বর্তমান প্রজন্মের উচিত এখনকার নিম্নবর্গকে গড়ে তোলা। নিম্নবর্গের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তবুদ্ধির চেতনাকে অনুপ্রবিষ্ট করাতে হবে শিক্ষিত যুব সমাজকেই। আদর্শ নাগরিক হতে হলে ইতিহাস সচেতন হতে হবে। কেবল প্রযুক্তির ব্যবহারে স্মার্ট হলেই চলবে না।
আজকে আমরা বিশ্বের ধনী কিংবা উন্নত রাষ্ট্রের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখতে পাই, সেখানে তারা জীবনের মূলে কতগুলো রীতিনীতিকে অনুসরণ করে এগিয়ে চলেছে। তাদের জীবনে নৈতিকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। স্বচ্ছতা, সততা, দায়িত্বশীলতা, আইন ও নিজ নিজ সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা, উত্তম নাগরিক হিসেবে অন্যের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা, কাজের প্রতি আগ্রহ ও ভালোবাসা, উৎপাদন ও প্রবৃদ্ধির জন্য শ্রমদান এবং নিয়মানুবর্তিতা তাদের উন্নতির অন্যতম নিয়ামক। আমাদের মতো উন্নয়নশীল কিংবা গরিব দেশের নাগরিক এর কোনো কোনোটি অনুসরণ করলেও প্রাত্যহিক জীবনে ভোগবাসনাকে গুরুত্ব দান করে সময় কাটায়। সঞ্চয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি করে। দেশপ্রেম অনুপস্থিত, একাধিক সন্তান ছাড়া অর্থনৈতিক উৎপাদন শূন্য আমাদের জীবনে। আমাদের দেশ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ কিন্তু এর ঠিক ঠিক ব্যবহার আমরা জানি না। বুঝি না প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত; এর অপচয় রোধ করি না। আমরা গরিব কারণ আমাদের শুভ আচরণের ঘাটতি রয়েছে। ইতিহাস থেকে আমরা শিক্ষা নিতে চাই না। ধনী রাষ্ট্রগুলো কীভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা দেখেও দেখি না। অথবা সরকারের ইতিবাচক উদ্যোগকে ব্যর্থ করার চেষ্টায় মেতে উঠি। আমাদের চিন্তায় থাকা দরকার, আমরা এই ভূখ-ের অধিবাসী কারণ আমরা এখানে বসবাস করি। সবকিছুই আমাদের জীবনকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। এই রাষ্ট্রে গত ৪১ বছরে অনেক ভুল কাজ সংঘটিত হয়েছে। নির্মমভাবে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। আর স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো দেশের মধ্যে সক্রিয় নানা অপতৎপরতায়। এসব অশুভ কর্মযজ্ঞ থেকে দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব সকলের। আমাদের দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সেই স্পৃহা ও অনুপ্রেরণা থাকতে হবে; যা একজন উন্নত বিশ্বের নাগরিকের থাকা বাধ্যতামূলক। দেশকে ভালোবাসুন আর কর্মোদ্যমী হয়ে উন্নয়নে অংশগ্রহণ করুন। চিন্তা করুন দেশের সকল ইতিবাচক অগ্রগতিকে নিয়ে। বর্তমান সরকারের আমলে অর্জিত অগ্রগতির সূচকগুলো জনগণকে জানান।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২২
খাটাস বলেছেন: পুরো পোষ্ট পড়লাম। আপনি সত্যি ই আমাদের অনেক ভুল গুলো সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ইতিবাচক দিক কে অবশ্যই সমর্থন করতে হবে। কিন্তু আপনার পোষ্টে সামান্য সরকার দলীয় পক্ষ পাত দেখলাম বলে মনে হয়েছে। ভাই হাজার মত থাকবে, মতে ভুল থাকবে। কিন্তু সব চেয়ে বড় জিনিস টা আমাদের মাঝে থাকা উচিত, আমার কাছে মনে হয় তা একে ওপরের মতের প্রতি শ্রদ্ধা বোধ। তবেই আমরা আলোচনা করে একটা সুন্দর মতে আসতে পারব। বারবার অন্যকে ভুল প্রমানের চেষ্টা আমাদের শ্রদ্ধা বোধ কমিয়ে দেয়। মাফ করবেন। আমরা একান্ত নিজস্ব মতামত। যাই হোক, অনেক কষ্ট করে গুছিয়ে সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।