নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজতের তাণ্ডবে ক্ষতি ও নারীর অগ্রগতি

১৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

১।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, গত ৫ মে হেফাজতে ইসলামের কারণে শুধু ২২টি ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে ২৪ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার ৫৫০ টাকা। চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসাবে ব্যাংকিং সেক্টরে খেলাপী ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ৫১ হাজার ১৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এছাড়া দেশের জনসংখ্যার হিসাবে জনপ্রতি বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ হচ্ছে সাড়ে ১১ হাজার টাকা। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ চার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করেছে। একই সময়ে সরকার ঋণ পরিশোধ করেছে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হলে টেবিলে উপস্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী। বিএনপির মোসাম্মৎ শাম্মী আক্তারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলী ব্যাংক থেকে এ পর্যন্ত ট্রেজারি বিল এবং বন্ডের মাধ্যমে দুই লাখ তিন হাজার ৯২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে। একই সঙ্গে পরিশোধ করা হয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ৩৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা।

পদ্মা সেতু সংক্রান্ত সরকারি দলের মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অনুদান গ্রহণের লক্ষ্যে ৪৭টি ব্যাংকের সবগুলো শাখায় হিসাব খোলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোর সেই হিসাবে জমাকৃত অর্থের বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা থাকে। চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (নিবাসী)’ হিসাবে এক লাখ ১৭ হাজার ৫২ টাকা ২২ পয়সা জমা হয়েছে। এছাড়া ‘পদ্মা সেতু নির্মানে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (অনিবাসী)’ হিসাবে সংগৃহীত বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ হচ্ছে এক হাজার মার্কিন ডলার।

নাজিম উদ্দিন আহমদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বর্তমানে দেশের জনসংখ্যার জনপ্রতি বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ প্রায় ১১৪ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় সাড়ে ১১ হাজার টাকা। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ বৈদেশিক সাহায্য গ্রহণ করেছে ৫৮ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৩৪ দশমিক আট বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ এবং ২৪ দশমিক ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, বৈদেশিক সাহায্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় অবকাঠামো ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্যবিমোচন কর্মসূচীতে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ব্যয় জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের আসল সাত হাজার ৯০৫ কোটি টাকা এবং সুদ হিসাবে এক হাজার ৭২৫ কোটি টাকা বাজেটে বরাদ্দ রাখ হয়েছে।

বেগম রেহানা আক্তার রানুর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে কিছু ঘাটতি থাকতে পারে। গত এপ্রিল পর্যন্ত আদায় হয়েছে ৮৩ হাজার ৩১ কোটি তিন লাখ টাকা। এ সময়ের মধ্যে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৭ হাজার ২৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ ছয় হাজার ৯৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা কম আদায় হয়েছে। বেগম নাসরিন জাহান রতনার প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ৩১ মে পর্যন্ত দেশের সবগুলো স্থলবন্দর থেকে ১৬ হাজার ৬৪৯ কোটি ২০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।

নুরুন্নবী চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের প্রাক্কালে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার ৩৪৯ দশমিক ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৭ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২।

নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক বিশ্বে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সংসদ নেতা ও সরকারপ্রধান একজন নারী। সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় নেতা এবং স্পীকারও নারী। বাংলাদেশের এ অর্জন অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছে।

নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন এবং বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক তৈরির লক্ষ্যে সোমবার ঢাকায় কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দশম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সকল ক্ষেত্রে নারীর সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। নারীর সার্বিক ক্ষমতায়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ পর্যায়ে নারীর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। দরিদ্র এবং সুযোগ বঞ্চিত নারীদের ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল কমলেশ শর্মা এবং সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ৩০ দেশের প্রতিনিধিরা।

তিন দিনব্যাপী সম্মেলনটিতে অংশ নিয়েছেন কমনওয়েলথ সদস্যভুক্ত বিভিন্ন দেশের ১৫ জন মন্ত্রীসহ ৩০টি দেশের সংশ্লিষ্ট উধর্তন কর্মকর্তারা। যৌথভাবে সম্মেলনটির আয়োজন করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য অধিদফতর এবং কমনওয়েলথ সচিবালয়। এই বৈঠকে কমনওয়েলথ দেশগুলোতে নারীর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং সমতা নিশ্চিতকরণে অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় ঠিক করা হবে। ত্রিবার্ষিক এ বৈঠকের এবারের প্রতিপাদ্য ‘উদ্যোক্তা উন্নয়নে নারীর নেতৃত্ব।’

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হলে নারীর ক্ষমতায়ন দ্রুততর হবে। যদিও পুরুষ শাসিত বিশ্বসমাজে কাজটি করা এতো সহজ নয়। এই চ্যালেঞ্জকে বিবেচনায় নিয়ে কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। বর্তমান সরকার সকল ক্ষেত্রে নারীর সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। নারীর সার্বিক ক্ষমতায়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ পর্যায়ে নারীর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। দরিদ্র এবং সুযোগ বঞ্চিত নারীদের ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু নারীর এ অগ্রযাত্রাকে স্থায়ী রূপ দিতে ১৯৭২ সালের সংবিধানে সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা অন্তর্ভুক্ত করেন। নারী পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। সংসদে নারীর জন্য ১৫টি আসন সংরক্ষণ করেন।

আওয়ামী লীগ সরকার নারী আসন সংখ্যা ৫০এ উন্নীত করেছে। বর্তমানে জাতীয় সংসদে ৭০ জন নারী সংসদ সদস্য রয়েছেন, যা মোট সদস্যের শতকরা ২০ ভাগ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক বিশ্বে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সংসদ নেতা ও সরকার প্রধান একজন নারী। সংসদ উপনেতা ও বিরোধীদলীয় নেতা নারী। সংসদের স্পীকারও এক জন নারী। মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীসহ ৬ জন নারী বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। স্থানীয় সরকারেও প্রায় ১৪ হাজার ২শ’ নারী নির্বাচিত হয়ে জনসেবা করছেন। এই অর্জন অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছে।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশের সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, ব্যাংক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নারীরা দায়িত্ব পালন করছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও নারী পুলিশরা শান্তিরক্ষী হিসেবে অবদান রাখছেন। সরকারী চাকরিতে নারীর জন্য কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে শতকরা ৬০ ভাগ নারী কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করেছি। এর আওতায় বিভিন্ন সংস্থা নারী উন্নয়ন কেন্দ্রিক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। বাজেট বরাদ্দের শতকরা প্রায় ২৮ ভাগ নারী উন্নয়নে ব্যয় হচ্ছে। মাতৃকালীন ছুটি বাড়িয়ে ৬ মাস করা হয়েছে।’

তিনি জানান, এ সরকারের সময়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় প্রায় ৩৩ লাখ দরিদ্র, দুস্থ, বিধবা ও বয়স্ক নারীকে মাসিক ভাতা দেয়া হচ্ছে। তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ২ লাখেরও বেশি দরিদ্র গর্ভবতী মা ও কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাকে মাসিক ভাতা দেয়া হচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের সমাজের অংশ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। দুস্থ মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। দেশের ৯ লাখ ২০ হাজার নারীকে এই কর্মসূচীর আওতায় আনা হয়েছে। নারী দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নারী শিক্ষায় যুগান্তকারী পরিবর্তন ও উন্নয়ন হয়েছে। নারী শিক্ষিত হচ্ছে। এর ফলে নারী উন্নয়নে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা দূর হয়েছে। তাদের জীবন মানের উন্নয়ন হয়েছে। তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। নারীরা এখন অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নারীরা এখন অর্থনীতিসহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পারছে। কৃষি উন্নয়নে অবদান রাখতে পারছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এর গতি অত্যন্ত মন্থর। উন্নত বিশ্বেও চাকরি, বেতন-ভাতা, অন্যান্য সুবিধাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে নারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। ধর্মীয় ও সামাজিক গোঁড়ামির শিকার হচ্ছে।

তিনি বলেন, নারীর সমঅধিকার নিশ্চিতে দেশের ভেতরে-বাইরে সর্বত্র সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। সম্মিলিতভাবে কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। বিশ্ব অঙ্গনে নারীর ভূমিকা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ এ ধরনের আন্তর্জাতিক উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এ জন্য নারীর আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করি, এই বৈঠকের মাধ্যমে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ পাব। যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের সমস্যা কমবে।’

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য হচ্ছে- কীভাবে কমনওয়েলথ এবং সদস্যভুক্ত দেশগুলোর নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে তার একটি রোডম্যাপ তৈরি করা। ১৯৮৫ সাল থেকে প্রতি তিন বছর পর পর কমনওয়েলথ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়গুলোর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক বৈঠকের প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর কিছু অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হয় এবং পরবর্তী তিন বছরে তা বাস্তবায়ন করা হয়।

এদিকে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক গ্রুপ আলোচনা হবে। সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে প্লেনারি সেশন। এতে সভাপতিত্ব করবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল কমলেশ শর্মা। এতে ‘কমনওয়েলথে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রে নারী নেতৃত্ব’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ব্যবসা ও পেশাজীবী নারীদের আন্তর্জাতিক ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ফ্রিদা মিরিখলিস। এরপর সম্মেলনের উপজীব্য এবং নারী উদ্যোক্তা, টেকসই উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধিতে জেন্ডার সমতা বিষয়ে তিনটি পৃথক আলোচনা হবে। এ ছাড়া বেসরকারী খাতে নারীর কর্পোরেট নেতৃত্ব বিষয়ে আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হবে সন্ধ্যা ৬টায় হোটেল রূপসী বাংলায়। এটা আয়োজন করবে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

আবু সালেহ বলেছেন:
এটাতো ভাই কিছুই না.........
মাল শালার মুখে তো এ ধরনের বক্তব্য মানায় না......যার কাছে ১৪০০ হাজার কোটি টাকা কিছুই না....

২| ১৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০১

চোরাবালি- বলেছেন: নির্লজ্জেরও একটা সীমা থাকে। এদের তাও নাই। হেফাজত ইসলাম একদিন সমাবেশ করল কিন্তু ৫বছর ব্যাপী ছাত্রলীগ বিভিন্ন ইসলামী প্রতিষ্ঠানের যে ক্ষতি করল সে হিসবে কোথায়??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.