নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগের বিকল্প কে?

১০ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫

দেশ পরিচালনায় আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই – উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ



দেশের চলমান ঘটনাবলীর গতিপ্রকৃতি নিয়ে আমাদের চুলচেরা বিশ্লেষণের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মন্তব্য-মূল্যায়নেরও অনেক গুরুত্ব রয়েছে। তাঁরা কীভাবে এবং কোন দৃষ্টিকোণ থেকে এসব ঘটনার বিচার-বিশ্লেষণ করছেন, চলমান সংকট উত্তরণে তাঁদের ভাবনার ওপর আলোকপাত করে তৈরি করা হয় আমাদের বিশেষ আয়োজন সমকালীন ভাবনা নামক ব্যতিক্রমী এ আয়োজন। পাঠক চাহিদা মোতাবেক চালু রয়েছে আমাদের নিয়মিত এ বিভাগটি। এতে দেশের চলমান সংকট, সমালোচনার পাশাপাশি সমস্যা উত্তরণে রয়েছে দিক-নির্দেশনামূলক পরামর্শ ও মন্তব্য। এতে করে স্বদেশ খবর পাঠকসমাজও পাবেন সুনির্দিষ্ট পথের দিশা। প্রিয় পাঠক, সমকালীন ভাবনার এবারের আয়োজনে থাকছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ। আসুন আমরা তাঁর সাথে সরাসরি কথা বলি।



দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের কি করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি খারাপ কিছুই নয়। বিরোধী দল যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থকদের সঙ্গে মিলে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। ২০০৯ সালে বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাদের ষড়যন্ত্র শুরু হয়। ২০১০ সালে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে দেশ-বিদেশে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে অবশেষে ব্যর্থ হয়ে এখন নাশকতার পথ অবলম্বন করেছে তারা। হরতাল-অবরোধ, ধ্বংসাত্মক কর্মকা- তাদের নিত্য দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি। কিন্তু দেশের জনগণ বুঝে গেছে দেশ পরিচালনায় আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই। দেশের যা কিছু উন্নয়ন সবই আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান। এই বিষয়টি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে হবে যেন সরকারের দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে বিরোধীরা ছিনিমিনি খেলতে না পারে। উস্কানিমূলক কথা বলে, ধর্মকে ব্যবহার করে দেশের ভেতর সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। এজন্য প্রত্যেক নেতাকর্মীকে সজাগ থাকতে হবে। প্রতিবাদ-প্রতিরোধে সচেষ্ট হতে হবে সকল নাশকতার। মহাজোট সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের প্রচার থাকা দরকার। এজন্য দলীয়ভাবে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। দলের প্রচারে নিয়োজিত নেতাকর্মীকে আরো বেশি সক্রিয় হতে হবে। কারণ জামায়াত-বিএনপি অজস্র টাকা খরচ করে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তুলনামূলক আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রচারণা চোখে পড়ে না। দলের অর্জনগুলো সামনে আনতে হলে একদিকে নিঃস্বার্থ কর্মী অন্যদিকে অর্থের পর্যাপ্ত বরাদ্দের প্রয়োজন রয়েছে।



সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজয় আওয়ামী লীগের জন্য কি বার্তা দিচ্ছে?

আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। সেখানে দলের মধ্যে কিছু দ্বন্দ্ব-সংঘাত থাকতে পারে। তাই বলে এ ধরনের পরাজয় হবে এটা আমরা ভাবিনি। এর পেছনে অন্য কারণ আছে। বাংলাদেশের জনগণের এক বিশাল অংশ এখনো অসচেতন। তারা অনেকেই হয়তো জানে না বিএনপি-জামায়াতের শাসনকালের গ্রেনেড ও সিরিজ বোমা হামলার কথা। জঙ্গিবাদ দেশের জন্য কতটুকু ক্ষতিকর তাও উপলব্ধি করে না। এজন্য ধর্মের দোহাই দিয়ে তাদের ভোট আদায় করেছে বিএনপি-জামায়াত। মানুষের সারল্য নিয়ে বেসাতি তাদের পুরানো কৌশল। দেশের ব্যাপক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস কর্মযজ্ঞ তাদের কাছে অজ্ঞাত। সরকারের সাফল্য ও অর্জন জানলে জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে ভোট দেবে না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ধর্মের দোহাই দিয়েছে, টাকা ছড়িয়েছে ভোট কেনার জন্য। আমি মনে করি এসব পরিস্থিতি আগামী জাতীয় নির্বাচনে থাকবে না। তবে আওয়ামী লীগকে ঠিক ঠিক প্রার্থী মনোনয়ন দিতে হবে। যারা প্রকৃতপক্ষে দলকে ভালোবাসেন, দেশপ্রেম আছে তারাই দলের মনোনয়ন পেলে জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে আমার

বিশ্বাস।



৫ জুলাই একটি পত্রিকায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ‘অনিয়মের পাহাড় যে বিশ্ববিদ্যালয়ে’ সংবাদটি নিশ্চয় আপনার চোখে পড়েছে। এ সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া কি?

মনে রাখতে হবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এর আগে বিএনপি-জামায়াত জোটের অপকীর্তির অনেক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গত জোট সরকারের আমলে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতি এ দেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। সামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসি তদন্ত টিম তদন্ত শেষে ২০১০ সাল পর্যন্ত উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসির অনুমতি ব্যতিরেকে সকল প্রকার নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে অভিযোগ হচ্ছে, গত ২০০৪ সাল পর্যন্ত এখানে ৭০০ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছে দলীয় বিবেচনায়। যাদের সকলেই জামায়াত-শিবিরের সমর্থক। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাক্ট পরিপন্থী এই নিয়োগ অনেক দিন থেকে সমালোচিত হলেও এর জন্য দোষী ব্যক্তিবর্গকে শাস্তি দেয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। ২৫৫ পদের বিপক্ষে ৫৪৪ কর্মচারী নিয়োগ সম্পন্ন করার মধ্যে প্রশাসনকে জামায়াতিকরণের দৃষ্টান্ত অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে নেই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জোট সরকারের আমলের প্রথম চার বছরের উপাচার্য এজেএম নূরুদ্দীন চৌধুরীর সময় দলীয় নিয়োগ, অবৈধ পদোন্নতি ও জামায়াতিকরণের দৃষ্টান্ত রয়েছে। চট্টগ্রাম ভার্সিটি পাঁচ বছরে বিএনপি-জামায়াত দুর্গে পরিণত, দলীয় নিয়োগ পাঁচশ। এ সময় ১৮৮ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় শ্রেণী অবশ্যই বেমানান। তবে ৪টি ডিগ্রির মধ্যে একটি দ্বিতীয় শ্রেণী থাকলে সেক্ষেত্রে যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে অনেকেই। প্রভাষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা অনার্স কিংবা মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণী প্রাপ্ত প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। সিজিপিএ কিংবা জিপিএ কম করে নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারটি একেবারে মিথ্যাচার। যোগ্যতার কোনো শর্তই শিথিল করা হয়নি। কোনো ধরনের রাজনৈতিক বিবেচনায় কেউ নিয়োগ পায়নি। অযোগ্যতার তো প্রশ্নই আসে না।

উচ্চশিক্ষাকে বিশ্বমানে উত্তীর্ণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করা বর্তমান সরকারের অবশ্যই কর্তব্য হিসেবে গণ্য হয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক শিক্ষক নিয়োগ বিধি অনুসারে ও স্বচ্ছ নীতিতে সম্পন্ন হচ্ছে।



২০০ জন শিক্ষক নিয়োগ এবং বিজ্ঞাপিত পদের বাইরে নিয়োগ সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কী?

খালি পদে নিয়োগ হবে এটাই স্বাভাবিক। প্রতি বছর কিছু সংখ্যক শিক্ষক অবসর গ্রহণ করেন। কিছু চলে যান শিক্ষা ছুটিতে। আর কিছু অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফলে প্রতিবছর পদ শূন্য হচ্ছে। তাছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়টি অনেক পুরানো। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত। এটির ঐতিহ্যবাহী বিভাগগুলোতে আগে থেকেই প্রয়োজনীয় পদ রয়েছে। সেক্ষেত্রে ৭জন নেবার জন্য বিজ্ঞাপিত পদে ১০ জন নেয়া হলে তা ভেবেচিন্তে নেয়া হয়। পদ থাকার সাপেক্ষেই বিজ্ঞাপিত পদের বাইরে অস্থায়ী নিয়োগ প্রদান করা হয়। পদ নেই অথচ নিয়োগ দেয়া হয়েছে এ রেকর্ড নেই আমার আমলে। বরং শিক্ষক নিয়োগে নৈরাজ্য ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে।



পছন্দের প্রার্থী নিয়োগের বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাই?

শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আমি মানের সঙ্গে কখনো আপস করিনি। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয় বিভিন্ন পর্ষদ দ্বারা, নিয়োগ হয় কমিটির মাধ্যমে। এখানে একজনের পক্ষে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই।



আওয়ামী লীগ সমর্থিত দলের বিভক্তি অপপ্রচারে প্রভাব ফেলছে কি? আপনার ছেলের নিয়োগ নিয়েও বলা হচ্ছে নানা কথা।

এখানে শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন রয়েছে। তাই অনেকটা উদ্দেশ্যমূলক ও বিদ্বেষপ্রসূতভাবে অভিযোগ করা হয়। হয়তো অনেকে উপাচার্য হতে চেয়েছেন, পারেননি, তাঁদের একধরনের অভিযোগ আছে। আবার ২০ জন প্রার্থীর মধ্যে হয়তো যোগ্য দুজনকে নেয়া হলো, বাকিরা নানা ধরনের অভিযোগ করে। এর বাইরে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক শিক্ষকেরা সরকারবিরোধী অবস্থান থেকে কথা বলেন। ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং অনেক আগে থেকেই গড়ে তোলার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়। আমার আমলে আমার ছেলেকে নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠেনি। শিক্ষা ও গবেষণার প্রয়োজনেই এটি গড়ে উঠেছে। আর আমার ছেলে বাংলাদেশের নাগরিক এবং যোগ্যতাসম্পন্ন তাহলে তার নিয়োগ কেন বৈধ নয়?



বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার জন্য আপনার প্রচেষ্টা আছে কি? থাকলে সে সম্পর্কে কিছু বলুন।

বিশ্ববিদ্যালয় গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। কারণ প্রতিটি পর্ষদ সক্রিয়। প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিয়মমাফিক নেয়া হয়। ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ সবসময় অনুসরণ করা সম্ভব কিনা তা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। সেখানে নির্বাচিত উপাচার্যকে হেনস্থা করছে শিক্ষকরাই; যা প্রতিষ্ঠানের গণতন্ত্রকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র। এছাড়া দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে প্রতিষ্ঠানের পর্ষদগুলোর নির্বাচন নির্বিঘেœ করা সম্ভব। এজন্য ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দ্রুত সব কাজ সম্পন্ন করা হয় না। আর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে আর্থিক কোনো অনিয়ম নেই। কোনো কর্মকা-ে টাকা লেনদেনের কোনো অভিযোগ কেউ তুলতে পারবেন না। দুর্নীতি একেবারে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। দুটি হল নির্মিত হচ্ছে। নতুন কলাভবনের কাজ চলছে। প্রতিষ্ঠানের অনেক অর্জন আছে। বর্তমান সরকারের ভালো কাজের যেমন প্রচার নেই তেমনি সংবাদপত্রগুলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জনগুলো প্রচার না করে অপপ্রচারে লিপ্ত আছে। কিন্তু প্রকৃত তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মানুষের ভ্রান্ত ধারণা দূর হবে। সেই চেষ্টা করা জরুরি।



শিক্ষা খাতে বাজেট সম্পর্কে কিছু বলুন।

বঙ্গবন্ধুর আমলে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় (১৯৭৩-৭৮) শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়নে ৩১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছিল। যা ছিল বাজেটের ৭.১ ভাগ। দূরদর্শী সেই পরিকল্পনা নস্যাৎ করেছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীরা। দিন বদলের ইশতেহার, রূপকল্প-২০২১ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের শেষ বাজেটে শিক্ষা খাতের বরাদ্দও দূরদর্শী ও বিচক্ষণতার পরিচয় ব্যক্ত করছে। তবে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অশান্ত করতে তৎপর রয়েছে কিছু সংখ্যক ছাত্রশিক্ষক ও বিরোধী দলের নেতাকর্মী এবং হাটহাজারি ভিত্তিক হেফাজতে ইসলাম। নেপথ্যে মদদ দিচ্ছে জামায়াত-শিবির ও নিষিদ্ধ হিযবুত, অর্থ যোগাচ্ছে বাইরের শক্তি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংকটে ফেলে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার চেষ্টা রুখে দিতে হবে এখনই। মনে রাখতে হবে পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ভাল ফল করা, শিক্ষার মান বৃদ্ধি, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাবৃদ্ধিসহ শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অংশ হিসেবে শিক্ষাক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির ইন্ধনদাতা জামায়াত-বিএনপি চক্রের অভাব নেই। এসব চক্রান্তকারীদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে সাংবাদিকরা উস্কানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করেন; যা একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর। এজন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুণœ হয় এমন কাজ থেকে সকলকে বিরত থাকারও অনুরোধ জানাচ্ছি।



আপনাকে ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ।



সাক্ষাৎকার গ্রহণ : ড. মিল্টন বিশ্বাস।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪

ধৈঞ্চা বলেছেন: উন্নত দেশগুলোতে এলকোহল পান করার পর ড্রাইভিং করা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। এ জন্য মোটা অংকের জরিমানা গুনতে হয়। বাংলাদেশে কি করা হয় আমি পরিস্কার জানিনা, ট্রাফিক পুলিশকে টাকা দিলেই হয়ত পার পাওয়া যায়।
প্রশ্ন আসে এলকোহল খেলে কেন ড্রাইভ করা যাবে না? কারণ তখন ব্রেইন ঠিক মত কাজ করতে পারে না সো দুর্ঘটনার আশংকা থাকে।
ভিসি মহোদয় আওয়ামী এলকোহলের নেশায় বুদ হয়ে আছেন, উনাকে এরকম নেশাগ্রস্ত অবস্তায় সাক্ষাৎকার নিলে যা রেসপন্স আসার কথা তাই এসেছে। সাক্ষাৎকার নেওয়ার আগে ট্রিটম্যান্ট জরুরী ছিল। তবে এই ধরনের পেশেন্টকে ট্রিটম্যান্ট দিয়ে সারিয়ে তোলা বেশ কঠিন।

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

কসমিক রোহান বলেছেন: =p~ =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.