![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. বৃহত্তম কওমী মাদ্রাসা হেফাজত পরিষদ তথা কওমী মাদ্রাসা শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত সকল শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। কওমী ম্রাদাসা শিক্ষার উন্নয়ন এবং এ শিক্ষার বাস্তবভিত্তিক হেফাজতের লক্ষ্যে উক্ত সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে ্বৃহত্তর চট্টগ্রামে প্রায় ৩৫০০-৪০০০ কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধি এ সংগঠনর সাথে জড়িত রয়েছেন বলে জানা যায়।
২. হেফাজতে ইসলাম নামক কওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মাদ্রাসা শিক্ষায় অভ্যন্তরীণ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকলেও প্রকাশ্যে কোন সভা-সমাবেশ করেনি। ইসলামী রাজনীতি বন্ধের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা সমালোচনা হলে কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধিগণ এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তারা বিভিন্ন সময়ে সভা/সেমিনিার শিক্ষানীতি এবং ইসলামী রাজনীতি বন্ধের প্রতিবাদে বক্তব্য/বিবৃতি প্রদান করে আসছিলেন। তারা প্রথমে ২৪ ফেব্র“য়ারি ২০১০ তারিখ বৃহত্তর কওমী মাদ্রাসার পক্ষে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে এক সমাবেশের আয়োজন করে। কিন্তু উক্ত তারিখে পুলিশ লালদীঘিতে সমাবেশের অনুমতি প্রদান না করলেও তারা সমাবেশ সফল করার জন্য হাটহাজারী থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে বালুচরা নামক জায়গায় আসলে পুলিশের সাথে হেফাজত কর্মীদের সংঘর্ষ বাাঁধে। মূলত: এখান থেকেই তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি পায়।
৩. গত ২৪ ফেব্র“য়ারি ২০১০ তারিখ লালদিঘী ময়দানে সমাবেশের অনুমতি প্রদান না করা এবং পুলিশের সাথে সংঘর্ষের প্রতিবাদে ইতিমধ্যে আহমদ শফির নেতৃত্বে হাটহাজারী গ্র“প ২৬ ফেব্র“য়ারি ২০১০ তারিখে মসজিদে মসজিদে দোয়া মহাফিল, ২৮ মার্চ ২০১০ তারিখে হাটহাজারীতের ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো: আব্দুল্লাহ অংশ গ্রহণ করেন।
৪. ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে হেফাজতে ইসলাম চট্টগ্রামাস্থ ওয়াসার মোড়ে জমিয়াতুল ফালহ জামে মসজিদের সামনে ০২ দিন ব্যাপী একটি ইসলামী মহাসম্মেলন করে। উক্ত মহাসম্মেলনে ভারত, পাকিস্থান ও সৌদআরব সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ১৮ থেকে ২০ হাজার লোকের সমাগম হয়।
৫. ২০১০ সালে সংগঠনটি ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করে। এ ছড়া চট্টগ্রাম মহানগরের জন্য ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আলাদা কমিটি গঠন করে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঢাকা, বরিশাল, খূলনা, সিলেট ও কুমিল্লাসহ দেশের অন্যান্য এলাকার কওমী মাদ্রাসার প্রতিনিধিগণ অন্তর্ভুক্ত হন।
৬. ২২ও ২৩ ডিসেম্বও ২০১০ তারিখ, ৬ ও ৭ ডিসেম্বও ২০১১ তারিখ ৭ ও ৮ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখ চট্টগ্রাম ওয়াসার মোড়ে ০২ দিন ব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংগঠনের সাংগঠনিক তৎপরতার গতি বৃদ্ধি পায়।
৭. ০৪ অক্টোবর ২০১২ তারিখ হেফাজতে ইসলাম বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে লালদিঘী ময়দানে সমাবেশ করে। ইস্যুগুলো হলো মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা) নিয়ে আমেরিকার জনৈক ইহুদী নাগরিক কর্তৃক চলচ্চিত্র নির্মাণ ও ফ্রান্সের একটি কার্টুনে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদ।
৮. ১৬ ফেব্র“য়ারি ২০১৩ তারিখে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ব্যানারে হাটহাজারী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত ওলামা মাশায়েখদের সভায় সভাপতিত্ব করেন হাটহাজারী মাদ্রাসার মোহতামীম আল্লামা শফী। সভায় বাংলাদেশে অন লাইন এক্টিভিষ্ট নেটওয়ার্ক এর উদ্যোগে শাহবাগ চত্বরে চলমান যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে আন্দোলনের নামে কোরআন সুন্নাহ এবং ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড/প্রচারণা এবং ওলামা মাশায়েখদের করণীয় নিয়ে সমালোচনা করা হয়। মূলত: এখান থেকেই তারা কঠোর অবস্থানে চলে যায় এবং মতিঝিল শাপলা চত্বরে বৃহৎ সমাবেশের আয়োজন করে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১২
জহির উদদীন বলেছেন: ভাই আপনার আওয়ামী পন্থীরা পারেনও.....