![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবাধিকারের নামে গত তিন বছরে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা বিদেশ থেকে এনেছে ‘অধিকার’। প্রকল্পের নামে আসা এ টাকায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থাটির বিরুদ্ধে। এ অভিযোগকে আমলে নিয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের ফান্ডে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ফিনল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে যে টাকা জমা হয় তার সবই আসে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মাধ্যমে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এরই মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং এনজিও ব্যুরো থেকে এ সংক্রান্ত সব ধরণের রেকর্ড পত্র সরবরাহ করেছে। এখন এসব পর্যালোচনা চলছে। রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি বিরোধী প্রতিষ্ঠানটি জানায়, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার নামে আনা এ টাকা কীভাবে ব্যয় করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি দুদকের জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে এ বিষয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এ টিম ইতোমধ্যে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে অনুসন্ধানে অগ্রগতিমূলক কিছু তথ্যও পেয়েছে।
দুদকের এ অনুসন্ধান কর্মকর্তা বলেন, ‘বিভিন্ন প্রকল্পের নামে বিদেশ থেকে প্রতিষ্ঠানটি যেসব তহবিল এনেছে তা কোন কোন খাতে কীভাবে খরচ হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিদেশি তহবিলের টাকায় কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়েছে কি না তাই আমরা অনুসন্ধান করছি।’ শিগগিরই তারা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া শুরু করবে। অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খানের বক্তব্যও নেবে অনুসন্ধান দল। এ মুহূর্তে আদিলুর রহমান কারাগারে রয়েছেন। দুদক জানায়, বিদেশি তহবিল থেকে কোন উদ্দেশ্যে কি পরিমাণ টাকা এনেছে তার তথ্য এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে সম্প্রতি সংগ্রহ করা হয়েছে।
দুদকে আসা অভিযোগে দেখা যায়, গত তিন বছরে তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে অধিকার চার কোটি ২১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা বিদেশ থেকে এনেছে। বিদেশের বিভিন্ন তহবিল থেকে এ টাকা এসেছে। এর মধ্যে দুই কোটি ৮০ লাখ ৭৩ হাজার ৩২১ টাকা ছাড় করেছে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো। তিনটি প্রকল্পের মধ্যে ‘এডুকেশন অন দ্য কনভেনশন এগেইনস্ট টর্চার অ্যান্ড অপক্যাট অ্যাওয়ারনেস’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে অধিকার বিদেশি তহবিল এনেছে দুই কোটি ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭১৪ টাকা। এ প্রকল্পের মেয়াদ এপ্রিল ২০১২ থেকে মার্চ ২০১৪ পর্যন্ত। ‘হিউম্যান রাইটস রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে এক কোটি ২৭ লাখ ৬১ হাজার ১৫৫ টাকা বিদেশি তহবিল থেকে নিয়েছে সংস্থাটি। এ প্রকল্পের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে অক্টোবর ২০১০ থেকে জুন ২০১৪ পর্যন্ত। ‘এমপাওয়ারিং উইমেন অ্যাজ কমিউনিটি হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার’ নামক প্রকল্পের মাধ্যমে ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৮৩০ টাকা বিদেশি তহবিল থেকে সংগ্রহ করে অধিকার। এ প্রকল্পের মেয়াদকাল জানুয়ারি ২০১৩ থেকে ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত।
গত ৫ ও ৬ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর তৎপরতায় ৬১ জন মারা গেছে বলে দাবি করে অধিকার। সরকার সে তালিকা চাইলে অধিকার তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে আদিলুর রহমানকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গত ১০ আগস্ট তার বাড়ির সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাকে কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আদিলুর রহমানকে গ্রেপ্তারের এক দিন পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আদিলুর রহমান তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা ভঙ্গ করেছেন। তার গ্রেফতার আইনসংগত।
টাকা আসে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মাধ্যমে
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের ফান্ডে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ফিনল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে যে টাকা জমা হয় তার সবই আসে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মাধ্যমে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এরই মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং এনজিও ব্যুরো থেকে এ সংক্রান্ত সব ধরণের রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছে। এখন এসব পর্যালোচনা চলছে। দুদকের নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক হারুনুর রশিদ জানান, মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে ওই মানবাধিকার সংগঠনের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান শুভ্র ডিবি পুলিশের কাছে গ্রেফতার হওয়ার ৮-১০ দিন আগে থেকে। বর্তমান সরকারের আমলে অধিকার দেশের বাইর থেকে কি পরিমাণ টাকা এনেছে দুদক প্রাথমিকভাবে কেবল সে বিষয়টিই অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। অপরদিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, কেবল ইইউ এবং ফিনল্যান্ড থেকেই অধিকারের তহবিলে বছরে প্রায় এক কোটি টাকা আসে।
দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদেশ থেকে টাকা এনে সংগঠনটি দেশের ভাল করছে নাকি ক্ষতি করছে তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। টাকা দেশে রেখেছে নাকি দেশের বাইরে পাচার করেছে তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অধিকারের কাছে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাবও চাওয়া হবে। দুদক কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ জানান, এনজিও ব্যুরো এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক থেকে যেসব তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে সেসব যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এ কাজ শেষ করে দ্রুত কমিশনে প্রতিবেদন পেশ করা হবে। এরপর কমিশন যে নির্দেশনা দেবে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
দুদকের আরেকটি সূত্র জানায়, গত তিন বছরে তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে অধিকার চার কোটি ২১ লাখ ৮৮ হাজার ২১৯ কোটি টাকা বিদেশি তহবিল থেকে গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দুই কোটি ৮০ লাখ ৭৩ হাজার ৩২১ টাকা ছাড় করেছে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো। তিনটি প্রকল্পের মধ্যে এডুকেশন অন দ্যা কনভেনশন এগেইনস্ট টর্চার এ্যান্ড অপিসিএটি এওয়ারনেস শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে অধিকার বিদেশি তহবিল এনেছে দুই কোটি ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭১৪ টাকা। এই প্রকল্পের মেয়াদ এপ্রিল ২০১২ থেকে মার্চ ২০১৪ পর্যন্ত। হিউমেন রাইট রিচার্চ এ্যান্ড এডভোকেসি শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে এক কোটি ২৭ লাখ ৬১ হাজার ১৫৫ টাকা বিদেশি তহবিল থেকে গ্রহণ করেছে সংস্থাটি। এই প্রকল্পের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে অক্টোবর ২০১০ থেকে জুন ২০১৪ পর্যন্ত। এমপাওয়ারিং ওমেন এজ কমিউনিটি হিউমেন রাইট ডিপেন্ডার নামক প্রকল্পের মাধ্যমে ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা বিদেশি তহবিল থেকে সংগ্রহ করে অধিকার।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেছেন: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)ঈ যেখানে দুর্নীতিবাজ দের দখলে ঠিক তখন যদি আদিল খানের দুর্নীতি খোজা হয় তা হলে তো অনেক দুর্নীতি বেরিয়ে আসবেই