![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্ব হারানোর মুখে এবার মরনকামড়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলামী। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা এবং দেশব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলোর সর্বাত্মক দাবি ও উচ্চ আদালতের রায়ের কারণে নিষিদ্ধ হওয়ার মুখে যুদ্ধাপরাধী এ দলটি এখন নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আর এজন্য বরাবরের মতোই নিজেদের সর্বশেষ কৌশলটিই আবারো তারা ব্যবহারের কথা ভাবছে। সেটা হচ্ছে- সর্বোচ্চ সহিংসতা আর হিংস্রতা। এর পেছনে তাদের উদ্দেশ্যও স্পষ্ট- হয় সরকার পতন না হয় সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়া। আর তারা সেটা করতে চায় আগামী ২৭ অক্টোবর বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই। অবশ্য এ সময়ের মধ্যে না পরলেও অন্তর্বর্তীকালীন সময় আওয়ামী লীগের হাতে যখন পর্যাপ্ত ক্ষমতা থাকবে না তখন তারা এ মরণকামড় দিতে পারে বলেও পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গত ২৮ ফেব্র“য়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর থেকে জামায়ত যে সহিংসতা শুরু করেছে- তাতে তাদের তিনটি লক্ষ্য অত্যন্ত স্পষ্ট। জনজীবন ব্যাহত করা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেয়া এবং সারাদেশে চরম অরাজকতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, জামায়াতের সা¤প্রতিক সহিংসতাকে সামাজিক ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বা স্বতঃস্ফূর্ত কিছু বলা যাবে না। বরং এর পেছনে দেখা গেছে সতর্ক পরিকল্পনার ছাপ। হামলার লক্ষ্যবস্তুও বাছাই করা হয়েছে খুবই সতর্ক ও পরিকল্পিতভাবে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, সহিংসতা চালিয়ে সারাদেশে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনকে বিপর্যস্ত করে জেলাগুলোর ওপর ঢাকার নিয়ন্ত্রণ ও চেইন অব কমান্ড ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করে জামায়াত। হরতালে রেল যোগাযোগ তেমন একটা ব্যাহত হয় না বলে রেলপথকে বেছে নেয়া হয় হামলার অন্যতম লক্ষ্য হিসাবে। পাশাপাশি সড়কপথেও চলে নাশকতা। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো- নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা; যোগাযোগ কাঠামো ভেঙে দিয়ে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলা।
পর্যবেক্ষকরা জানান, জামায়াতের মহাপরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার হাতিয়ার পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর ওপর পরিকল্পিতভাবে সহিংস আক্রমণ চালায় জামায়াত। পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এসব ঘটনা পুলিশের প্রতিরোধের সম্ভাবনাকেই উস্কে দিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। অবশ্য জামায়াত বিষয়টিকে আমলে নেয়নি বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা। আর সে কারণেই গত ঈদের পর ১৩-১৪ আগস্ট টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালে রণপ্রস্তুতি নিয়েও কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ১৯৭০-১৯৭১ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নকশাল বাহিনী রাজপথে হামলার লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছিল পুলিশকে। আর তার সমাপ্তি ঘটেছিল পুলিশের পক্ষ থেকে আরো সহিংস জবাবের মধ্যদিয়ে। সা¤প্রতিক ঘটনাবলী বিশ্লেষনে দেখা গেছে বাংলাদেশেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হয় তখন রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশও তারা আর মানে না। তখন তারা প্রতিশোধ নিতেই মরিয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতিক হরতাল-সহিংসতায় পুলিশের গুলিতে জামায়াত-শিবিরের বেশ কয়েকজন কর্মী নিহতের ঘটনায় তেমন একটি ব্যাখ্যার অনুসন্ধান করলেও করা যায় বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন।
জামায়াতের আরেকটি টার্গেট হচ্ছে- সংখ্যা হিন্দু-বৌদ্ধদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা চালিয়ে আবারো দেশে ধর্মীয় উন্মাদনা ফিরিয়ে আনা। শাহবাগের আন্দোলনকর্মী ব¬গার আহমেদ রাজীব হায়দার খুন হওয়ার পর তাকে মুরতাদ ও নাস্তিক আখ্যা দিয়ে সেই ‘একই কার্ড’ খেললেও ব্যর্থ হয় জামায়াত। এর পরও কয়েকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে তারা। এ ধরনের হামলা যদি প্রতিরোধ করা না যায় তাহলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। হিন্দুরা দেশত্যাগের কথা ভাবতে শুরু করে এবং প্রতিবেশী দেশ ভারত উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। জামায়াত আশা করেছিল, এভাবে হিন্দুদের ওপর হামলা চালিয়ে সবার নজর ঘুরিয়ে দিয়ে তারা হয়তো তাদের নেতাদের যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে উত্তাপ এড়াতে পারবে। আর এভাবেই তারা জাতীয় পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে বলেও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জনজীবন ব্যাহত করা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেয়া এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি- এ তিন লক্ষ্য পূরণের মধ্যদিয়ে আরেকটি উদ্দেশ্য হাসিল করতে চেয়েছিল জামায়াত। যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি ও জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ থেকে সারাদেশে তারুণ্যের যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে তাকে কক্ষচ্যুৎ করা। এছাড়াও ব্যাপক মাত্রায় সহিংসতা চালিয়ে জামায়াত শুধু একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের ভয়াবহ কর্মকাণ্ডের স্মৃতিই ফিরিয়ে আনেনি, সরকারকেও চাপে ফেলতে চেয়েছে। এসব কারণেই নানা হিসাব কষে জামায়াত হয়তো আশা করেছে, জনজীবনে বিপর্যয় ঘটিয়ে বেসামরিক প্রশাসনকে টলিয়ে দিতে পারলে হয় সরকার ভয়ে পালাবে না হয় সেনাবাহিনীর ক্ষমতাগ্রহণের একটি পথ তৈরি হবে।
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০১
সরদার হারুন বলেছেন: সকলই গড়ল ভেল ?
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১
সাদা পাখি বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: আমাদের দেশে আরেকটি পাকিস্তান তৈরী হচ্ছে না তো?