![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরকারি চাকরি হারাতে যাচ্ছেন জিয়া পরিবারের সদস্য ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা খান (আইডি-৪১১৪৪)। ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশে ফিরে নিজ কর্মস্থলে যোগদান না করলে বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস অনুযায়ী তার চাকরির অবসান হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে বসবাস করছেন।
লন্ডনে যাওয়ার আগেই তিনি ২০০৮ সালে ৯ এপ্রিল থেকে শিক্ষা ছুটিতে ছিলেন ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। স্বামীর সঙ্গে লন্ডনে যাওয়ার সময় তিনি কর্মস্থল থেকে তিনমাসের ছুটি নিয়ে যান। এরপর কয়েক দফায় ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর পর্যন্তই তার ছুটি বহাল রাখে সরকার। এরপর আরো দুই দফায় এক বছর করে মোট দুই বছর ছুটি বাড়ানোর আবেদন করলেও সরকার তা নাকচ করে। ফলে সরকারের অনুমোদন ছাড়া একনাগাড়ে ৫ বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে তার চাকরির অবসান হতে যাচ্ছে। আর সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সে দিকেই যাচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএম নিয়াজউদ্দিন গত ৪ সেপ্টেম্বর নিজ দপ্তরে এ বিষয়ে বলেন, এ মন্ত্রণালয়ে আমি সম্প্রতি যোগ দিয়েছি। ফলে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইনানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
জানা গেছে, বহুল আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের সময় গ্রেফতার করা হয় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমানকে। অসুস্থ স্বামীকে সুস্থ করার উদ্দেশ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্ত্রী ডা. জোবাইদা খান ছুটি নিয়ে বিদেশ চলে যান ২০০৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেন জোবাইদা রহমান নামে পরিচিত ডা. জোবাইদা খান। জাতীয় হƒদরোগ ইনিস্টিটিউটের কার্ডিওলজি পার্ট-৩ শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে ২০০৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যে চলে যান। এর আগে একই বছরের ৯ এপ্রিল শিক্ষা ছুটির আবেদন করলে সরকার তাকে ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি মঞ্জুর করে।
প্রথম দফায় ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর থেকে ২০১২ সালের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ২০১২ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটির আবেদন করেন ডা. জোবাইদা রহমান। সরকারি চাকরিতে এ ধরনের ছুটির আবেদনকে ‘অসাধারণ ছুটি’ বলা হয়। আর এ ধরনের ছুটি মঞ্জুর করে থাকেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব। তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ন কবীর দুইবারই ডা. জোবাইদার ছুটির আবেদন নাকচ করেন। ছুটির আবেদন নাকচ হলেও রহস্যজনক কারণে দেরিতে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রথম দফায় স্বাস্থ্য সচিব ছুটির আবেদন নাকচ করেন ২০১১ সালের ৭ ফেব্র“য়ারি কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা অফিস আদেশ জারি করে এর একমাস পর ৯ মার্চে। দ্বিতীয় দফায় ছুটির আবেদন নাকচ হয় একই বছরের ১২ জুলাই অথচ অফিস আদেশ জারি হয় ২০১২ সালের ১৬ ফেব্র“য়ারি। আবার এসব অফিস আদেশ জারি করা হলেও অদৃশ্য কারণে তা যুক্তরাজ্যে ডা. জোবাইদা খানের কাছে বা বাংলাদেশে তার স্থায়ী ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে বা তিনি রিসিভ করেছেন এমন কোনো রেকর্ড সংশ্লিষ্ট শাখায় নেই বলে জানা গেছে।
এ ছাড়াও ছুটির আবেদনে নিয়ম অনুযায়ী এ জাতীয় ছুটির কারণ ও ছুটির আবেদনকারী কর্মকর্তার বিদেশে অবস্থানের ঠিকানা থাকতে হয় কিন্তু ডা. জোবাইদার আবেদনে এ দুটোর কোনোটিই উল্লেখ ছিল না বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট শাখার সিনিয়র সহকারি সচিব নুসরাত আইরিন নিজ দপ্তরে বলেন, ওই সময় আমি এ ডেস্কের দায়িত্বে ছিলাম না। আর যা কিছু ঘটেছে তা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধŸতন কর্মকর্তাদের নির্দেশেই করা হয়েছে।
ছুটি বিধিমালা অনুযায়ী অসাধারণ ছুটির মেয়াদ পাঁচ বছরের বেশি হতে পারবে না। ছুটি বিধিমালা ৯ (৩) অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে যেকোনো ছুটি অনুমোদন করতে পারে। অন্য দিকে ছুটি বিধিমালার অধ্যয়ন ছুটি সংক্রান্ত এফ আর-৮৪এর নিরীক্ষা নির্দেশনার (গ)তে বলা হয়েছে : ‘এই প্রকার ছুটির মেয়াদ সাধারণভাবে ১২ মাস। তবে বিশেষ কারণে সর্বোচ্চ ২৪ মাস পর্যন্ত এই প্রকার ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে। কোর্সের প্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হইলে আরো ৪ মাস অর্জিত ছুটি এবং ৩২ মাস অসাধারণ ছুটি প্রদান করা যাইবে। অর্থাৎ অধ্যয়নের প্রয়োজনে ৫ বছর ছুটি প্রদান করা যাইতে পারে। ইহার অতিরিক্ত অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে বিএসআর পার্ট-১ এর ৩৪ নং বিধির আওতায় চাকরির অবসান হইবে।’
বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস বিধি ৩৪ ধারায় বলা হয়েছে ‘বিশেষ অবস্থার প্রেক্ষিতে সরকার ভিন্নরূপ কোনো সিদ্ধান্ত না নিলে, বাংলাদেশে ফরেন সার্ভিসে কর্মরত থাকার ক্ষেত্র ছাড়া, অন্যত্র ছুটিসহ অথবা ছুটি ছাড়া একাধিকক্রমে ৫ বছর দায়িত্ব থেকে অনুপস্থিত থাকার পর একজন সরকারি কর্মচারীর চাকুরির অবসান ঘটবে।’
এ অবস্থায় সর্বশেষ চলতি বছরের ৬ মে আবারো ছুটির আবেদন করেন ডা. জোবাইদা খান। তবে সংশ্লিষ্ট শাখা সূত্রে জানা গেছে, এবারের ছুটির আবেদনও ফাইলে ‘পুটআপ’ দেয়নি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উর্ধŸতন মহলের নির্দেশই ডা. জোবাইদা খানের আবেদন ফাইলে পুটআপ করা হয়নি বলে জানা গেছে।
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
bangal manus বলেছেন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে আরো অনেক চাকরি হবে....
হা হা হা
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৮
আহমেদ রশীদ বলেছেন: চাকরি কি আর ফিরে পাবে না?