![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকা-৩ আসনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমান উল্লাহ আমানের মধ্যে অন্তঃকলহে বিব্রতবোধ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এছাড়া ঢাকা-৫ আসনে সালাউদ্দিনের সাথে নবী উল্লাহ নবীর দ্বন্দ্ব, ঢাকা-৯ আসনে মির্জা আব্বাস ও শিরিন সুলতানার মধ্যে ঠা-া লড়াই, ঢাকা-১৬ আসনে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার সাথে যুবদল উত্তরের সভাপতি ও সাবেক কমিশনার আহসান উল্লাহ হাসানের অন্তঃকলহ এবং ঢাকা ১৮ আসনে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলালের সাথে যুবদল উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীরের দ্বন্দ্ব ও অন্তঃকলহে খালেদা জিয়া ত্যক্ত-বিরক্ত। যদিও এ দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে এখনও বড় ধরনের কোনো সংঘাত বা সহিংসতা ঘটেনি, তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রভাব বিস্তারের মহড়ায় তাদের মধ্যে যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে। খোদ রাজধানীতে এ ধরনের দ্বন্দ্ব নিয়ে খালেদা জিয়া চিন্তিত। তিনি দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন বলেও জানা যায়। খালেদা জিয়া এমন মন্তব্যও করেছেন রাজধানীতে এ ধরনের দ্বন্দ্বের কারণে আন্দোলন জমানো যাচ্ছে না। তিনি এ বিষয়ে যাদের সঙ্গে যাদের দ্বন্দ্ব চলছে তাদের সতর্কও করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়।
আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া নিয়েই মূলত রাজধানীতে বিএনপির এক নেতার সঙ্গে আরেক নেতার দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছে। এছাড়া খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব ও তারেক রহমানের নেতৃত্বের বিষয়েও এসব নেতাদের মধ্যে বিভ্রান্তি কাজ করছে। তাদের মন্তব্য হল ‘খালেদা জিয়া আমাকেই এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া স্থির করেছেন।’ আবার অপর পক্ষের মন্তব্য হল ‘তারেক রহমান আমাকেই এই আসনে মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলেছেন।’ মূলত ৩০০ আসনে না হলেও ১৮০ থেকে ২০০ আসনে খালেদা-তারেক ইজম কাজ করছে। এসব আসনে বিএনপির রয়েছে একাধিক প্রার্থী। এসব প্রার্থীদের কেউ বলছেন, খালেদা জিয়া আমাকেই মনোনয়ন দেবেন। আবার কেউ বলছেন, তারেক রহমান আমাকে মনোনয়ন দিয়ে রেখেছেন। স্বঘোষিত এসব প্রার্থীরা জিয়া-খালেদা-তারেক রহমানকে নিজের মাথার ওপর সেঠে ধানের শীষ মার্কা লাগিয়ে পোস্টারে ছেয়ে ফেলেছেন নিজের নির্বাচনি এলাকা। আর এসব দেখে বিব্রতবোধ করছেন খালেদা জিয়া। বেগম জিয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যকার অন্তঃকলহে বেশ কয়েকবারই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। যদিও বিএনপির সাবেক মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর দলে সংস্কারবাদী ইস্যুতে অন্তর্দ্বন্দ্ব অনেকটা কমে এসেছে এবং খালেদা জিয়া সংস্কারবাদী ইস্যুতে সম্প্রতি কিছুটা নমনীয় মনোভাব প্রকাশ করায় দলের বড় একটা সংস্কারবাদী অংশ পুনরায় নিজেদের সক্রিয় রাখার চেষ্টায় রত। তারপরও খালেদা বিব্রত দলের কট্টরপন্থীদের বিরোধিতায়।
বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিএনপির কাউন্সিল যে হচ্ছে না তা অনেকটাই নিশ্চিত। মূলত নতুন করে যাতে অন্তঃকলহ সৃষ্টি না হয় এ জন্যই কাউন্সিল না করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিষয়ে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আসম হান্নান শাহ, তরিকুল ইসলামসহ অনেকের আপত্তি থাকলেও এবং এরা সকলেই মহাসচিব পদের দাবীদার হলেও যেহেতু কাউন্সিল হচ্ছে না এবং তারা নিজেরা মিলে কারও বিষয়ে একক সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না, তাই কার্যত মনে হচ্ছে মির্জা ফখরুলের বিষয়ে ওইসব নেতাদের পূর্বেকার মনোভাবের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। তবে বিএনপির গুলশান অফিসভিত্তিক কিছু আমলা রাজনীতিবিদদের সাথে পেশাদার রাজনীতিবিদদের একটা ঠা-া লড়াই দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান, যা বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি ও বক্তব্যে ধরা পড়ে। গুলশান অফিসভিত্তিক এ আমলা-রাজনীতিবিদদের নেতৃত্বে আছেন শমসের মবিন চৌধুরী, রিয়াজ রহমান, সাবি উদ্দিন আহমেদ, মেজর জেনারেল আকবর (অব.), মারুফ কামাল প্রমুখ।
ঢাকা মহানগর বিএনপিতে ২০১১ সালের মে মাসে সাদেক হোসেন খোকাকে আহ্বায়ক ও আব্দুস সালামকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল ৬ মাসের মধ্যে তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে। কিন্তু সে কমিটি আজো হয়নি। এছাড়া ৪০টিরও বেশি থানা কমিটি গঠন করে খালেদা জিয়ার অনুমোদনের জন্য দেওয়া হলেও নতুন করে দ্বন্দ্ব সংঘাতের ভয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন তা অনুমোদন করছেন না। যেসব থানা ওয়ার্ড কমিটি ঘোষিত হয়েছে, সেখানেও মতৈক্যের ভিত্তিতে না হয়ে একতরফাভাবে কমিটি ঘোষিত হওয়ায় তারাও দায়িত্ব নিতে পারছে না। মূলত প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে বিএনপির নেতারা মির্জা আব্বাস ও সাদেক হোসেন খোকা এই দুই শিবিরে বিভক্ত। দলীয় কর্মসূচিতে এই দুই গ্র“পের নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি এখন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে যুবদলের
অন্তঃকলহ সবচেয়ে বেশি; কমিটি গঠনের শুরু থেকে সংগঠনের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সাথে সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরবের দ্বন্দ্ব চলছে। তারা গত বছরের জুনে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে অস্ত্র তাক পর্যন্ত করেছিল। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এ অন্তঃকলহ যুবদলের তৃণমূলেও ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় প্রতিটি কর্মসূচিতে দুই গ্র“পের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তরের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর অবস্থান নিয়েছে নীরবের পক্ষে, আর যুবদল দক্ষিণের সভাপতি মজনু পক্ষ নিয়েছে আলালের। এখন শোনা যাচ্ছে যুবদলের নতুন কমিটি হবে। তাতে নেতৃত্বে আসতে পারেন মো. শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, আবুল খায়ের প্রমুখ। কিন্তু বিএনপির কাউন্সিল না হওয়ায় তারা নেতৃত্বে আসতে পারছেন না।
গত ১৫ এপ্রিল ২৯১ সদস্যের ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত হয়। নতুন এ কমিটিতে আগের কমিটির ২৭ জন কোনো পদ পায়নি। আবার কয়েকজন পদ পেলেও জুনিয়ররা তাদের চেয়ে ভাল পদ পাওয়ায় তারা প্রাপ্ত পদ নিয়ে খুশি নন। এ কারণে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের পর থেকে পদবঞ্চিত আগের কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক সাইদুর ও যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম রয়েলের নেতৃত্বে পদবঞ্চিতরা এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি শো-ডাউন করেছে। করেছে হাতাহাতি-মারামারি। অভ্যন্তরীণ দলীয় বিরোধের জের ধরে ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও করেছে অসংখ্যবার।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
মহসিন৭১ বলেছেন: সুত্র কি ?