নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধারাবাহিকতা রক্ষার স্লোগানে আওয়ামী লীগ উন্নয়নের সুযোগ চান জয়

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৮

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ববর্তী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ভিশন-২০২১ নামক দিন বদলের অঙ্গীকার করে ব্যাপক জনসমর্থন লাভ করে। পরবর্তীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার সারা দেশে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকা- পরিচালনা করে। সরকারের বর্তমান মেয়াদে উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি সারা দেশে অনেক অসমাপ্ত কাজও চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জনগণের নিকট আবারও ভোট চাইছে আওয়ামী লীগ। আবার অনেকে মনে করেন বিগত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশাল বিজয়ের নেপথ্য রূপকার তথ্য প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয় এবার সামনে থেকে দলকে নির্বাচনি প্রচারাভিযানে সহযোগিতা করছেন। এতে করে ক্ষমতাসীন দলের ঝিমিয়ে পড়া সাংগঠনিক অবস্থা পুনরায় চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র এবং তাঁর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি কৌশল, দলীয় প্রচার ও সাংগঠনিক তৎপরতা নিয়ে একটি রূপরেখা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সফর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ লক্ষ্যে গত ১৭ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সঙ্গে দলীয় সম্পাদকম-লীর যৌথ সভা হয়। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সঙ্গে সংগঠনকে সম্পৃক্ত করার জন্য সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী এ সভা অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা যায়। আগের নির্বাচনগুলোতে নির্বাচন বিষয়ক কাজকর্ম নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এককভাবে করতো। এখন থেকে অর্থাৎ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জয়ের ইচ্ছা ও পরিকল্পনানুযায়ী সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় করে তা করা হবে।

এই সভার শুরুতে সজীব ওয়াজেদ জয় আগামী নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, নির্বাচনে দলের সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচনি কৌশল, প্রচার ও সাংগঠনিক তৎপরতাকেও সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। এরপর সভার মাঝামাঝি সময়ে সজীব ওয়াজেদ জয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বলেন, ‘সারা দেশে আওয়ামী লীগের বিশাল ভোট ব্যাংক আছে। আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা সুসংগঠিতভাবে কাজ করলে এবং ভোটাররা যদি এগিয়ে আসে, তাহলে আওয়ামী লীগকে হারানো অসম্ভব।’ তিনি নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সাড়ে চার বছর ধরে আপনারা দেশের উন্নয়নে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তবে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের পথ এখনো অর্ধেক বাকি। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হতে সবাইকে সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে পরিকল্পিতভাবে মাঠে নামতে হবে।’

এ ধরণের সভা আয়োজন প্রসঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে আমাদের কী করণীয়, তা ঠিক করতে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী নির্বাচন আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরো বলেন, ‘অসমাপ্ত উন্নয়ন কর্মকা- সম্পন্ন করার জন্য আগামী নির্বাচনে আমাদের বিজয়ী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য পরিকল্পিতভাবে এগোতে হবে আমাদের।’ এক প্রশ্নের জবাবে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, সারা দেশে সাংগঠনিক সফর করার পরিকল্পনা আমার আছে। আমি চেষ্টা করব, দেশের যতটুকু সম্ভব সাংগঠনিক সফর করার।’

এই সভার আগে মাঠপর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের চাঙা করতে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে উন্নয়নের সুযোগ চাওয়ার জন্য ১৬ সেপ্টেম্বর গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল সফর শেষ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। দুই দিনের এ সফরে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের গত সাড়ে চার বছরের সাফল্যগাঁথা তুলে ধরেছেন জনগণের সামনে। পাশাপাশি তিনি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য জনগণের কাছে আবারো আওয়ামী লীগকে জয়ী করার উদাত্ত আহ্বান জানান।

গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল সফরে ছয়টি পথসভা ও দুটি কর্মী সমাবেশে সজীব ওয়াজেদ জয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে চার বছরের উন্নয়ন-বিবরণী তুলে ধরেন। সে সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সারা দেশে ১৪ হাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এগুলো বন্ধ করে দেবে। এ ছাড়া তিনি বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য প্রভৃতি খাতে সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের পথসভায় তিনি গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

সাংগঠনিক সফর ও নির্বাচনি প্রচারণার দ্বিতীয় দিনে সজীব ওয়াজেদ জয় ময়মনসিংহ থেকে টাঙ্গাইলের মধুপুরে যান। সেখানে রানি ভবানী স্কুল মাঠে এক সংবর্ধনা সভায় তিনি বক্তব্য দেন। এরপর তিনি টাঙ্গাইলের ভাসানী হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের কর্মী সমাবেশে বক্তব্য দেন। ঢাকায় ফেরার পথে জয় মির্জাপুরের জামুরকি আব্দুল গনি স্কুল মাঠে ও কালিয়াকৈরের চন্দ্রায় বঙ্গবন্ধু কলেজ মাঠে আরও দুটি পথসভায় বক্তব্য দেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো এসব পথসভা ও কর্মী সমাবেশের আয়োজন করে। এসব পথসভায় বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রকে একঝলক দেখার জন্য মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়। ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও কালিয়াকৈরের পথসভাগুলো ছিল মানুষে পরিপূর্ণ। এসব পথসভায় অংশগ্রহণকারী অনেকের মুখেই জয়ের প্রশংসা শোনা গেছে। কেউ কেউ বলেছেন, অন্য রাজনীতিকদের তুলনায় সজীব ওয়াজেদ জয় রাজনীতিতে নতুন বলে তার ব্যক্তি ইমেজও ভালো। হাওয়া ভবন টাইপের নেতিবাচক ইমেজও তার ক্যারিয়ারে যুক্ত হয়নি। ফলে তার রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতাও তুলনামূলক ভালো। রাজনৈতিক জনসভায় তাঁর মধ্যে ধমকের সুরে কথা বলার প্রবণতা দেখা যায়নি; যা দেখা যেতো তার সমসাময়িক অন্য দলের তরুণ নেতার মধ্যে। অনেকেই মনে করছেন, জয়ের এই সফরে মাঠপর্যায়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গতিশীলতা বাড়বে, তাঁরা আরও সুসংগঠিত হবে। অনেকে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় যদি এভাবে সজীব ওয়াজেদ জয় নির্বাচনি প্রচারণায় যেতে পারেন তাহলে বিরোধীদলের অপপ্রচারে ‘নৌকা মার্কা’ প্রতীকের আবারও জয়লাভের ক্ষেত্রে কম-বেশি যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে তা নিশ্চিতভাবে কেটে যাবে।

সজীব ওয়াজেদের মুখে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্যের প্রচার শুনে অনেকেই বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখ থেকে সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্যের প্রচার যতোটা শোনা যায়, তার চেয়ে বেশি শোনা যায় বিরোধীদলের প্রতি আক্রমণাত্মক কথাবার্তা। সেক্ষেত্রে সজীব ওয়াজেদ জয় ব্যতিক্রম। তিনি বিরোধী দলের প্রতি আক্রমনে না গিয়ে গত সাড়ে চার বছরে সরকার কি কি উন্নয়ন করেছে এবং জনগণ আবার আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করলে আগামীতে কি কি করবেন তা সুন্দর ও মার্জিতভাবে উপস্থাপন করছেন। এটা সাধারণ জনগণ খুব ভালোভাবে নিয়েছে; যা আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনি বৈতরণী পার হতে প্রবলভাবে সাহায্য করবে।

গাজীপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল সফরকালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রসঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আমরা অঙ্গীকার করেছিলাম একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করব। তাদের সাজা হয়েছে, এখন শুধু তা বাস্তবায়নের বাকি। বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, তারা ক্ষমতায় গেলে সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করে দেবেন। আমরা এটা হতে দেব না। একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় জিতলে একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, রাজাকাররা শেষ হয়ে যাবে।’

তিন জেলা সফরকালে সজীব ওয়াজেদ জয় অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি দলীয় ঐক্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে নেতা-কর্মীদের ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করার প্রতি সবচেয়ে বেশি জোর দেন। দলীয় ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্যেষ্ঠ পুত্র দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিন জেলার বিভিন্ন সমাবেশেই বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কে প্রার্থী হয়েছেন, তা যেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ না হয়ে ওঠে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নির্বাচনে জিততে হবে, আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় যেতে হবে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে কেউ বাংলাদেশের গণ-মানুষের এ দলকে হারাতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের তরুণ এ নেতা।

বিরোধী দলের বিভিন্ন অপপ্রচারের মোকাবেলা করার পরামর্শ দিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় তিন জেলার নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফায় সমর্থন দিয়েছে। তারা ক্ষমতায় গেলে মেয়েরা পঞ্চম শ্রেণির বেশি লেখাপড়া করতে পারবে না, চাকরি-বাকরি করতে পারবে না। তাদেরকে ঘরে বদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। হেফাজতের ১৩ দফা যে আমাদের সমাজের জন্য কতটা আত্মঘাতি তা জনগণের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের তুলে ধরতে হবে। সেই সঙ্গে বিএনপি হেফাজতের ১৩ দফায় সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশকে যে একটি মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের এই সত্যটি মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। জয় আরো বলেন, নারী ও ধর্ম নিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ জন্য নেতা-কর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে বুঝিয়ে এই অপপ্রচার মোকাবেলা করতে হবে। দেশের মসজিদে মসজিদে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হয়। এ জন্য সজীব ওয়াজেদ জয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মসজিদে গিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদ ও সঠিক তথ্য তুলে ধরার পরামর্শ দেন।



তরুণ জয়ের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তরুণ নেতৃত্ব

বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে ঘিরে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের তরুণ নেতারা। যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক অনেক নেতা এতদিন নানা কারণে দলীয় কর্মকা- থেকে কিছুটা দূরে সরে থাকলেও রাজনীতিতে জয়ের সক্রিয় অংশগ্রহণে এবং জয়ের সান্নিধ্যে তারা আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। জয়ের তিন জেলা সফর কর্মসূচিতে অংশ নেয়া এসব নেতাদের অনেকেই আবার আগামী নির্বাচনে বিভিন্ন আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আশা করছেন।

১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার গাজীপুর থেকে শুরু হওয়া জয়ের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনি প্রচারে আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের বিশেষ করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একঝাঁক তরুণ নেতা অংশ নেন। এসব নেতাদের বেশিরভাগই বয়সের দিক দিয়ে জয়ের কাছাকাছি। তাদের অনেকেই এক সময় ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। এদের কেউ কেউ এখন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক। অনেকে আবার আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ এবং ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ‘গুড বুকে’ থাকার জন্য এখন থেকে আওয়ামী লীগের অনেক তরুণ নেতা জয়ের কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদকদের অনেকেই জানান, সজীব ওয়াজেদ জয়কে রাজনীতির মাঠে পেয়ে তারা উজ্জীবিত, অনুপ্রাণিত। গাজীপুর থেকে ময়মনসিংহ হয়ে টাঙ্গাইল সফরে জয়ের সঙ্গে ছিলেন এমন কয়েকজন সহ-সম্পাদক জানান, সফরের সময়ে রাস্তার দু’পাশে হাজারো মানুষকে তারা লক্ষ্য করেছেন। এসব মানুষদের অনেকেই এসেছেন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র জয়কে একনজর দেখার জন্য। জয়কে রাজনীতির মাঠে পেয়ে সাধারণ মানুষ ও তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগের তরুণ নেতা কর্মীরা দারুণভাবে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। সাধারণ মানুষ ও তরুণদের (নতুন ভোটার) এই স্বতঃস্ফূর্ততা আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য বড় ধরণের প্লাস পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে বলে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক সহ-সম্পাদক জানান।

তিন জেলা সফরে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সফরসঙ্গীদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম, আবদুস সোবহান গোলাপ, এসএম কামাল, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ-সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, মেসবাউল হোসেন সাচ্চু, মারুফা আক্তার পপি, লিয়াকত শিকদার, রিয়াজুল আহসান খান রিয়াজ, হাবিবুর আহমদ মুরাদ, আনোয়ারুল আজিম সাদেক, জাকির হোসেন মারুফ, মো. আলম, রফিকুল ইসলাম বাপ্পী, মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, গোলাম রব্বানী চিনু, জোবায়দুল হক রাসেল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, ত্রাণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল সায়েম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক নাফাউল করিম নাফা, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম প্রমুখ।

জয়ের সফরসঙ্গীদের মধ্যে কয়েকজন জানান, একেএম এনামুল হক শামীম শরীয়তপুর-১, আবদুস সোবহান গোলাপ মাদারীপুর-৩, পঙ্কজ দেবনাথ বরিশাল-৪, মারুফা আক্তার পপি জামালপুর সদর, লিয়াকত শিকদার ফরিদপুর-১, মনিরুজ্জামান মনির ঝালকাঠি-১, মাহমুদ হাছান রিপন গাইবান্ধা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। ইতোমধ্যে তাদের সকলেই নিজ নিজ আসনে প্রার্থী হওয়ার প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন।

জয়ের সফরসঙ্গীদের অনেকেই জানান, দল ক্ষমতায় থাকলেও এতদিন যারা দলে অবহেলিত ছিলেন তারাই তরুণ জয়ের সফরসঙ্গী হয়ে আগামী নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগের এসব তরুণ নেতৃত্ব মনে করছেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনে সজীব ওয়াজেদ জয় বড় ধরণের ভূমিকা রাখবেন। তাদের অনেকেই মনে করছেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নতুন ও তরুণ ভোটাররা জয়-পরাজয়ে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। তাই সজীব ওয়াজেদ জয়ের জেলা সফর শুধু উন্নয়নের প্রচারের জন্যই নয়; এর সঙ্গে তিনি কোন জেলার কোন আসন থেকে কাকে মনোনয়ন দিলে দল প্রত্যাশিত জয় পাবে সে বিষয়টিও মূল্যায়ন করবেন। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের অনেক তরুণ নেতৃত্বই মনে করছেন, জয় এবার প্রবীণ নেতাদের থেকে মনোনয়ন বিষয়ে তরুণ নেতৃত্বকেই প্রাধান্য দেবেন। কারণ জয় তরুণ ও উদ্যোমী হওয়ায় তিনি চাইবেন তরুণরাই ক্ষমতায় আসুক। এতে আওয়ামী লীগ দল হিসেবে আরো আধুনিক হবে।



কাছে আসবে তরুণ ভোটাররা

তিন জেলায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের সফরসঙ্গীরা যেমন ছিলেন তরুণ তেমনি বিভিন্ন পথসভা ও কর্মী সমাবেশে প্রাধান্য দেখা গেছে তরুণদের। এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ভিশন ২০২১’ ও ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপরেখার জন্য নতুন ভোটাররা ব্যাপকহারে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয় এবং আওয়ামী লীগও নির্বাচনে ধারণাতীত জয় পেতে সক্ষম হয়। এই নতুন ভোটারদের অনেকের কাছেই তখন আইডল হিসেবে আবির্ভূত হন সজীব ওয়াজেদ জয়। নতুন ভোটারদের প্রায় সবাই বিশ্বাস করেছে, সজীব ওয়াজেদ জয় যেহেতু পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত একজন আইটি বিশেষজ্ঞ; সেহেতু তাঁর পক্ষেই সম্ভব ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করা। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ভিশন ২০২১’ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপরেখা আওয়ামী লীগের যেসব নেতা সামনে নিয়ে এসেছেন তরুণরা কিন্তু সেসব নেতাদের প্রাধান্য দেননি। তারা সে সময় মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছে এই দুই রূপরেখা মূলত সজীব ওয়াজেদ জয়েরই মস্তিস্কপ্রসূত কনসেপ্ট। যেহেতু জয় একজন আইটি স্পেশালিস্ট এবং তথ্য প্রযুক্তিতে তাঁর রয়েছে বিশ্বমানের ধ্যান-ধারণা সেহেতু তরুণ ভোটাররা মন-প্রাণ দিয়ে বিশ্বাস করেছে তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নত বিশ্বের সমকক্ষতায় একমাত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ই বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন।

দশম জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালেও নতুন ভোটারদের মধ্যে জয়ের বিষয়ে এই ধারণার একটুও ভাটা পড়েনি। ফলে জয়ের তিন জেলা সফরে তরুণদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এখন সজীব ওয়াজেদ জয়কেই এইসব তরুণ ভোটারদের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলনে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। তরুণ ও নতুন ভোটারদের মধ্যে উন্নত জীবনব্যবস্থার বীজ তরুণ জয় যদি রোপন করে দিতে পারেন তাহলে আশা করা যায় এই তরুণ ও নতুন ভোটাররাই আগামী নির্বাচনের ফলাফলকে আওয়ামী লীগের অনুকূলে টেনে নিয়ে আসতে সক্ষম হবে।



উন্নয়নের সুযোগ চান

সজীব ওয়াজেদ জয়

আওয়ামী লীগের সাড়ে চার বছরে দলটি যত উন্নয়ন করেছে তার চেয়ে বেশি শিকার হয়েছে অপপ্রচারের। এই অপপ্রচার কাটিয়ে যদি হিসাব করা হয় তাহলে গত সাড়ে চার বছরে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কম নয়। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের সবক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগ প্রভূত উন্নতি করেছে। কিছু উন্নয়নমূলক কর্মকা- রয়ে গেছে অসমাপ্ত। যে কোনো বড় ধরণের উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের জন্য একটি সরকারের অন্তত দুই টার্ম ক্ষমতায় থাকার প্রয়োজন। না হলে বাংলাদেশের কালচার অনুযায়ী আরেক দল ক্ষমতায় এসে পূর্ববর্তী দলের উন্নয়ন কর্মকা- বন্ধ করে দিয়ে নিজেরা নতুন উন্নয়ন কর্মকা-ে হাত দেয়। ফলে অনেক উন্নয়ন কর্মকা- মুখ থুবড়ে পড়ে যায়। এ অবস্থা যাতে না হয় সেজন্য আমেরিকানরা পর পর দুই টার্মের জন্য একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। তাদের এই কনসেপ্টের জন্যই দেশটি আজ উন্নতির চরম শিখরে অবস্থান করছে।

সজীব ওয়াজেদ জয় আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার পাশাপাশি আইটি বিষয়ে সেখানে কাজ করার কারণে এবং দীর্ঘদিন সেদেশে অবস্থান করায় আমেরিকার রাজনীতিকে খুব কাছ থেকে অবলোকন করে তাঁর ধারণা জন্মেছে একটি দেশকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি দলের পরপর দুই বার ক্ষমতায় থাকার কোনো বিকল্প নেই। এজন্য দেশকে তথ্য-প্রযুক্তি, আইটি তথা জ্ঞান-বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগকে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত করতে এবার জনগণের নিকট উন্নয়নের সুযোগ চাইছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫০

সাহসী আমি বলেছেন: এ সরকারের আমলে দেশের কাজ তুলনামূলক ভাল এটা ্অস্বীকার কারার উপায় নেই।

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬

শফিক আলম বলেছেন: উন্নয়ন হয়েছে অনেক, জঙ্গী দমনও হয়েছে সন্দেহ নেই। আমাদের ছোট্ট এই দেশে ১৬ কোটি মানুষের বসবাস, এই ব্যাপারটা কেউ মাথায় রাখে বলে মনে হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.