নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজত আবারো আন্দোলন করতে চায়!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৭

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের পৃষ্ঠপোষকতায় গত ৫ মে শাপলা চত্বরে ব্যাপক গণজমায়াতের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম। তারা ইসলাম রক্ষার আন্দোলনকে সামনে রেখে ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের ঘোষণার নামে সরকার পতন-আন্দোলনের পাঁয়তারা করে। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সময়োপযোগী সঠিক পদক্ষেপের কারণে হেফাজতের রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা ঢাকার রাজপথ থেকে বিতাড়িত হয়। পরবর্তীতে সরকারের অনঢ় অবস্থান ও হামলা-মামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। তাই সরকারবিরোধী আন্দোলনের পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ না করে সংগঠনকে গোছানোর কাজে ব্যস্ত থাকে দলের নেতা-কর্মীরা। এমতাবস্থায় শিগগিরই বড় ধরনের কোনো আন্দোলনে যাচ্ছে না হেফাজতে ইসলাম। এই সংগঠনটি এখন সারাদেশে হেফাজতের কমিটি গঠন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। এছাড়া ওলামা মাশায়েখদের সম্মেলনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেমিনার ও মতবিনিময় সভার মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমিত রয়েছে। তবে সব মিলিয়ে ২০ অক্টোবরের পরে মাঠে নামবে হেফাজতে ইসলাম। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে ১৮ দলীয় জোটের বিএনপি ও জামায়াত। ১৮ দলীয় জোট যে কোনোভাবে হেফাজতকে ১৩ দফা দাবি আদায়ে এই মুহূর্তেই মাঠে নামাতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কারণ হেফাজতের নেতাকর্মীরা মাঠে নামলে সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা হবে। এতে হেফাজতের ব্যানারে মাঠে নামবে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। হেফাজতকে মাঠে নামাতে প্রয়োজনে ১৮ দলীয় জোট জাতীয় নির্বাচনে বেশ কয়েকটি আসনও ছেড়ে দিতে রাজি রয়েছে বলে জানা গেছে।

হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনেই পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তবে হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবিসহ ‘কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ’ আইনের নামে ইসলামী শিক্ষার স্বকীয়তা ধ্বংস, সমাজকে ধর্মহীন ও নৈতিকতাশূন্য করা এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের স্বতঃস্ফূর্ত আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত কওমি মাদ্রাসাকে সরকারি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ষড়যন্ত্র যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে। এছাড়া হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ও ইমানি আন্দোলন। ক্ষমতার কোনো মোহ আমাদের নেই। তবে আমরা রাসূলের প্রেমিক, তাই রাসূলের ইজ্জতের ওপর আঘাত এলে ঘরে বসে থাকা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

হেফাজত সূত্রে জানা যায়, হেফাজতে ইসলাম এখন আন্দোলন-কর্মসূচি বাদ দিয়ে সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করতে ব্যস্ত রয়েছে। কারণ আন্দোলন ইস্যুতে হেফাজত নিয়ন্ত্রিত মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা বিঘিœত হয়েছে। এছাড়া হেফাজতের মাদ্রাসাগুলোতে সরকারের গোয়েন্দা নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। কোরবানি ঈদের আগেই সারাদেশে জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ড পর্যায়েও কমিটি গঠন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে বেশ কয়েকটি টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। এছাড়া ইতোমধ্যে হেফাজতের আমির আল্লামা আহমদ শফী হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা সম্পর্কে গণসচেতনতার লক্ষ্যে আলোচনা সভা, ওয়াজ মাহফিল ও তৃণমূল পর্যায়ে হেফাজতের কমিটি গঠনে নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশও দিয়েছেন।

হেফাজতের বর্তমান কর্মকা- ও সাংগঠনিক কর্মসূচি নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে ১৮ দলীয় জোটের শরিক দল জামায়াত-শিবির। আন্দোলনের কর্মসূচি থেকে দূরে থাকায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারাও হতাশ হয়ে পড়েছে। বিএনপি-জামায়াত চাচ্ছে, হেফাজতে ইসলাম ১৩ দফা দাবির নামে আবারও মাঠে আসুক। এতে সরকারবিরোধী আন্দোলন আরও চাঙ্গা হবে। বিএনপি ও জামায়াতের হতাশ নেতাকর্মীরা মনে করেন, মাঠে নেমে হেফাজতকে সহায়তার নামে নৈরাজ্যের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব হবে। হেফাজতে ইসলামের এক জ্যেষ্ঠ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হেফাজতে ইসলামকে আবারও সক্রিয় করার চেষ্টা চালাচ্ছে জামায়াত-বিএনপি ও তাদের সমর্থিত সংগঠনগুলো। হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর সহায়তায় এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এতে হেফাজতের আমির ও মহাসচিবের সাড়া মিলছে না। ফলে বেকায়দায় পড়েছে ১৮ দলীয় জোটের নেতারা। এদিকে হেফাজতের আমির ও হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফীকে দেখতে গত ২৪ আগস্ট সকালে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় যান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। তিনি এ সময় হেফাজতে ইসলামের অসুস্থ আমিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন ও তার সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন। মীর নাছিরের এই কুশলাদি বিনিময়কালে দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী দিনে হেফাজত ও ১৮ দলীয় জোটের আন্দোলনের বিভিন্ন পরিকল্পনা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে হেফাজতের একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে কোরবানি ঈদের আগে হেফাজত ও বিএনপির আন্দোলনের তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই বলে নিশ্চিত করেছে ওই সূত্র।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হেফাজতে ইসলাম নামক অরাজনৈতিক সংগঠনটি বিএনপি-জামায়াতের প্ররোচণায় পড়ে রাজনৈতিক কায়দায় রাজপথে সরকারবিরোধী কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়ে। এখন তারা খুব সচেতনভাবেই ধীরগতিতে সামনে এগুচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষেই কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে তারা। কারণ হেফাজত নেতারা মনে করছেন, ওই সময়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথে সরব থাকবে, সরকারি প্রশাসনযন্ত্রও অনেকটা নিষ্ক্রিয় ও নিরপেক্ষ থাকবে। ফলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পূর্বের ন্যায় মারমুখী থাকবে না। এতে করে তাদের আন্দোলন কর্মসূচি সফল হবে বলে হেফাজতে ইসলাম নেতারা মনে করেন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪২

জহির উদদীন বলেছেন: হেফাজত আবারো আন্দোলন করতে চায়--
দলকানা আওয়ামীলীগারদের কি হাগা ছুটে গেছে.....

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২

জহীরুল ইসলাম বলেছেন: গনতান্ত্রিক দেশে সব ধরনের আন্দোলনই চলবে......।

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৪

রসায়ন বলেছেন: অরাজনৈক সংগঠন !!

হেপাচুদি ভণ্ডের দল !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.