নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ স্টোরি অব সাকসেস ইন ইলেকট্রিসিটি

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

যে কোন দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি হচ্ছে বিদ্যুত। শিল্প উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদন কার্যক্রমকে গতিশীল করতে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন বিদ্যুত। বর্তমান উন্নত বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে আমাদের জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। কিন্তু বিদ্যুত সমস্যার সমাধান করতে না পারলে দেশের উৎপাদনের চাকা গতিশীল হবে না। এই কথা চিন্তা করেই বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে বিদ্যুত খাতে ব্যাপক উন্নয় করে। সরকার ৪ বছর ৯ মাসের সময়ের মধ্যে বিদ্যুত উৎপাদনক্ষমতা ৯ হজার ৭১৩ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে। আগে বিদ্যুত উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুত ক্ষেত্র নির্মাণ এবং কুইক রেন্টালের মাধ্যেমে বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। বিষয়টি অবশ্যই আনন্দের, দেশের উন্নয়নে সহায়ক। জানা গেছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে মোট ৪ হাজার ৪৩২ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৫৭টি বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ করে। শুধু তাই নয়, ৬ হাজার ৪১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আরও ৩৩টি নতুন বিদ্যুতকেন্দ্রে প্রক্রিয়াধীন আছে। প্রধানমন্ত্রী গত ২৯ অক্টোবর বাপেক্স ভবন উদ্বোধন এবং শেরেবাংলা নগরে গ্যাস ট্র্যান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে জানিয়েছেন দেশে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে এবং দেশের ৬২ শতাংশ মানুষ বিদ্যুত সুবিধার আওতায় এসেছে। ২০০৯ সালের আগে বিদ্যুত সেবা পেত ৪৭ শতাংশ মানুষ। নতুন বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন করা হয়েছে ৯ হাজার ৯৯১ কিলোমিটার। প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন কিছুদিনের মধ্যে দেশ ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের মাইলফলক স্পর্শ করবে। বিষয়টি শুধু বর্তমান সরকারের নয়, গোটা দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য একটি সুখবর। এই মাইলফলক স্পর্শ করলে দেশ বিদ্যুত উৎসব পালন করবে। গ্যাস, কয়লা ও তেল দিয়ে বিদ্যুত উৎপাদন হতো। তাই এর ওপর চাপ কমাতে বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুত ব্যবহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে সরকার গ্রামীণ অন্ধকার জীবনে সৌরবিদ্যুত নিয়ে এসেছে আলোকিত সংবাদ। সৌরবিদ্যুত আসে সূর্যের আলো থেকে। দিনের বেলা সূর্যের আলো সৌর প্যানেলের মাধ্যমে এনার্জি ধারণ করে তা প্রয়োজনে ব্যবহার করার পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে সৌর বিদ্যুত। এতদিন বাংলাদেশে সৌর বিদ্যুত ব্যবহার হয়েছে ব্যক্তিগত উদ্যোগে। বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার এবং এর ব্যাপক ব্যবহারের কথা চিন্তা করে সরকার প্রথমবারের মতো গ্রিডভিত্তিক সোলার বিদ্যুত উৎপাদনের কথা চিন্তা করছে। জানা গেছে, তিন মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার প্যানেলটি স্থাপন করা হবে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে।

বর্তমান সরকার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে এবং কৃষিভিত্তিক কাজে বিদ্যুত সরবরাহ কার্যক্রমে সক্রিয় হয়েছে। ফলস্বরূপ কৃষকরা বিদ্যুতচালিত পাম্প মেশিনের সাহায্যে সেচব্যবস্থায় গতিশীলতা আনতে সক্ষম হয়। যার জন্য দেশে কৃষি কার্যক্রমে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতি এনেছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রামে পৌঁছে গেছে বিদ্যুত সরবরাহ। তাই এখন দেশের ৬২ শতাংশ মানুষ আলো পেয়ে জীবনে উন্নয়ন ঘটাচ্ছে, শিক্ষার সুযোগ গ্রহণ করছে। দেশে ভাড়াভিত্তিক যে সব বিদ্যুতকেন্দ্র আছে সেগুলো থেকেও প্রচুর বিদ্যুত সরবরাহ করেছে। এছাড়া কয়লা ও গ্যাসের মাধ্যমে বিদ্যুত উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুত ক্ষেত্রগুলোর যে সব কেন্দ্রের মেয়াদ শেষ এখন তা পুনরায় নবায়ন করার প্রক্রিয়া চলছে। তেল দিয়ে বিদ্যুত উৎপাদন করতে গিয়ে বিদ্যুতের দাম বাড়লেও মানুষ উন্নয়ন কাজে বিদ্যুত চাহিদা নিশ্চিত করতে সক্ষম হচ্ছে। অতীত সরকারের আমলে বিদ্যুত নিয়ে কানসাটে মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। মনে রাখতে হবে সরকার যদি সব কাজ স্বাচ্ছন্দ্যে করার সুযোগ পায় তাহলে উন্নয়ন কাজে সাফল্য আসবে। সর্ব ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার কাজে সফল হয়েছে। সময়মতো স্কুলে বিনামূল্যে বই পৌঁছানোর ফলে দেশে শিক্ষা কার্যক্রম অনেক এগিয়েছে। গবেষণা কাজে সহায়তা দিয়ে দেশী পাটের জন্মরহস্য আবিষ্কারের ফলে দেশে উন্নত পাট উৎপাদনের বিরাট সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দেশের প্রতিটি গ্রাম আলোকিত হবে এটাই আমাদের কামনা।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১

কুমার মিজান বলেছেন: ভাই মন্ত্রক এইখানে ক্লিকান সস্তা প্রচার কিছু মনে নিয়েননা।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

নাহিনরানা বলেছেন: ভাই মন্ত্রক, আপনার লেখা পড়ে যারপরনাই কৃতার্থ হলাম।
আপনি পুরোপুরি শেখ হাসিনার মতই বলেছেন এখানে, সন্দেহ নাই্
বাস্তবতা কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন।

একটা বিষয়ে ধরিয়ে দেব আপনাকে, এখন সময় কম, তাছাড়া......

সরকার যদি কুইক রেন্টালের মাধ্যমে প্রায় ৯ হাজার মেগা বিদ্যুত উৎপাদন করে থাকে তবে এখনতো লোডশেডিং হওয়ার কথা নয়, কারন চাহিদা মোটামুটি ৭ হাজারের মত। তার মানে দুই হাজার মেগা বেশী উৎপাদিত হচ্ছে।

তার পরেও কেন এত লোডশেডিং এদেশে? হিসেব মতে দুই হাজার মেগা সারপ্লাস থাকার কথা।

ঢাকায় যতটুকু বিদ্যুৎ আছে, ঢাকার বাইরে কিন্তু বেহাল অবস্থা। পত্রপত্রিকা পড়লেই বোঝা যায়্।

কুইক রেন্টালের আসল গোমড় কোথায় জানেন? কিভাবে এই কুইক রেন্টালের মালিকরা রাতারাতি শতকোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন, জানেন? একটু খোজ খবর নেন, মস্তিষ্ক যদি পরিষ্কার থাকে তবে অবশ্যই বুঝতে পারবেন সহজে.....

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

নাহিনরানা বলেছেন: পাঁচ বছরে কি দুটি বা একটি স্থায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা যায় না এদেশে? বার বার একই উত্তর আসবে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। রাতারাতি বিদ্যুৎ সেক্টরের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুত কেন্দ্র (স্থায়ী ও সস্তা) রাতারাতি নির্মাণ সম্ভব নয়, তবে পাচ বছরে অবশ্যই সম্ভব যদি পরিকল্পনা নেয়া হয়।
কিন্তু একটির কোন খবর নেই। বরং সরকার কেবল কুইক রেন্টালের মত ডিজেল জেনারেটরের মত বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বেশী উৎসাহী হয়ে এসেছে্।

কুইক রেন্টালের উচ্চ খরচ মেটানোর জন্য ইতিমধ্যে পাঁচবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। তারপরও বিদ্যুতের লোডশেডিং কমেনি।

বিদ্যুৎ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা না নিয়ে, কেবল সরকারী মুখপত্রের মত কিছু আবোল তাবোল লিখলেই তো হবে না।

এটা যদি আপনার দায়িত্বের অংশ হয়ে থাকে তাহলে ভিন্ন কথা, ধন্যবাদ। চালিয়ে যান।

আরেকটি কথা, সরকার কিন্তু দেশে পারমানবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাচ্ছে। আপনার কাছে খুবই আশার কথা মনে হতে পারে। একটা কথা আপনাকে পরিষ্কার বলে দিতে পারি হলফ করে। তা হচ্ছে, এটা কখনোই বাস্তবায়িত হবে না। এটা এই সরকারও জানে।

তাহলে এত নাটক কেন? এখানে লক্ষ কোটি টাকার খেলা আছে। টাকার খেলা..... পাবলিকের টাকা বলে কথা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.