নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপিকে বুঝতে হবে-দেশ অচল করা কোনো সমাধান নয়

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১০

আমাদের সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সব কিছু করবেন প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী। আবার সংবিধানেই রাষ্ট্রপতিকে রাষ্ট্রের এক নম্বর ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আমাদের অভিভাবক। আর সেজন্য বর্তমান সঙ্কট নিরসনে রাষ্ট্রপতিকে শেষ ভরসা বলে মনে করছে দেশের সুশীল সমাজ থেকে সাধারণ মানুষ। গতকাল সকালের খবর-এ ‘রাষ্ট্রপতির দিকে তাকিয়ে আছে দেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগ কাজে আসতে পারে। তবে সে উদ্যোগ কেমন হবে সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে কোথাও এর উল্লেখ নেই। রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বিএনপি বয়কট করেছিল। যেদিন সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ হল সেদিনই তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন এবং এর পরদিনই রাষ্ট্রপতি তাদের সময় দেন। রাষ্ট্রপতি নিজেকে ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’ নামে আখ্যায়িত করে বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী তার যতটুকু ক্ষমতা আছে ততটুকু তিনি প্রয়োগ করতে পারবেন। নিশ্চয় বিরোধী নেতা জানেন রাষ্ট্রপতির কতটা ক্ষমতা আছে। সংবিধান অনুযায়ী সত্যিকারভাবেই রাষ্ট্রপতির করার কিছুই নেই। ইতোমধ্যে বিরোধী দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির বৈঠকের সারসংক্ষেপ বঙ্গভবন থেকে গণভবনে পৌঁছে গেছে। প্রধানমন্ত্রীও সংসদে বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার চালিয়ে যাওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি তাকে অনুমতি দিয়েছেন। এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে-বাজার করা শেষ, রান্না করাও শেষ, টেবিলেও সাজানো হয়েছে, এখন শুধু খাবার গ্রহণটি বাকি। এখন রান্না কীভাবে হবে তা বলে লাভ নেই। আজ কালের মধ্যে তফসিল ঘোষণা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে প্রায় সর্বত্র একটি নির্বাচনী আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। রাজনীতিবিদদের পক্ষ থেকে যে অবস্থানই নেওয়া হোক না কেন, আমরা জানি এ দেশের মানুষ নির্বাচনমুখী। আর গণতন্ত্রে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

প্রধানমন্ত্রী যেমন নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের ব্যাপারে অনড়, তেমনি বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যু নিয়ে হুমকিই দিয়ে যাচ্ছে। গত শুক্রবার এক জনসভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেছেন, তফসিল ঘোষণা দিলেই দেশ অচল করে দেওয়া হবে। দেশ অচল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি আদায় করার সময় এখনও কি আছে? কার বিরুদ্ধে এই হুশিয়ারি? দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থী, দিনমজুর, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে, না সরকারের বিরুদ্ধে। এক-একটি হরতাল মানে ২০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি। আরও তো রয়েছে প্রাণহানি, পঙ্গুত্ব, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি বিনষ্ট। এর আগে তিনি তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় ছাত্রদলকে বলেছিলেন, দুয়েকটি বাস পোড়ালেই আন্দোলন হবে না। আঠার দলের আরেক শরিক জামায়াতে ইসলামী তো তাণ্ডব চালিয়েই যাচ্ছে। সম্প্রতি সীতাকুণ্ডে তারা যা করছে তাতে একাত্তরে তাদের ভূমিকার কথাই আবার মনে করিয়ে দেয়। গত শুক্রবার জামায়াতের এক নেতা পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইল জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এই নেতা আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের বিরোধিতা করেই এ স্পর্ধা প্রকাশ করেন।

দেশ অচল করে বা পঞ্চাশ হাজার বর্গমাইল জ্বালিয়ে কোনো সমাধান হবে না। নির্বাচনের মাধ্যমেই সমাধান হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের শুনানিতে বা কানাডিয়ান সংসদ সদস্যদের প্রতিবেদনে অথবা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন পার্লামেন্টের প্রস্তাবে যা-ই আসুক, এ দেশ কীভাবে চলবে তা ঠিক করবে এদেশেরই জনগণ। এখনও সময় আছে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে। এ সুযোগ কাজে লাগান। জনগণের রায়ে নির্ধারিত হবে আগামীদিনের পথচলা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

হাসিব০৭ বলেছেন: =p~ =p~ =p~ =p~ থ্রেডেই ভই পাইলেন?

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

এম আর ইকবাল বলেছেন:
[sb পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইল জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি ।

সেই রাজাকারদের হুম্কার ।

দেশ আমাদের,আমরা দেশকে বাচাবো ।

যারা দেশকে নিজেদের মনে করে না ,
তারাই দেশ জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকী দেয় ।
আর যারা এ হুমকীকে বাহবা দেয়,
আমরা কি তাদের সাথে থাকবো ?

জনগণ কিন্তু সব কিছু মেনে নেয় না ।

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: পাতলুন কি ভিজে উঠছে ?

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

আখিলিস বলেছেন: বিএনপি আবার কোন দল? আপনি কি 'বাংলাদেশ জামাতিয়তাবাদী দল' টি কে বুঝাতে চাইছেন ?

৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬

রানার ব্লগ বলেছেন: "জামায়াতের এক নেতা পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইল জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।" আমরা সাধারন জনগন ওনার পশ্চাতদেশ জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দিলাম।

৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: এই সরকারের অধীনে স্বাধীন হয়েও পরাধীনের মত বসবাস নিজের প্রানপ্রিয় মাতৃভূমিতে।তাই এই সরকার থেকে বাঁচতে হলে বিএনপি-র ডাকে সাড়া দিতেই হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.