নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৩



সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও তাদের নিরাপত্তার দাবিতে কর্মসূচি দিয়ে গত ২৩ নভেম্বর রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় মিছিল বের করে নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর করেছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। একই সঙ্গে মোহাম্মদপুরে জামায়াতের মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে মানবকণ্ঠসহ একাধিক সহযোগী দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্য রীতিমতো আতঙ্কে রূপ নিয়েছে। ২২ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিঘেরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৮ দলের সভায় ঢাকা মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি তার বক্তব্যে ৫৫ হাজার বর্গমাইল এলাকা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেবার মাধ্যমে যে বড় ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে তার প্রমাণ মিলছে। মাত্র কয়েক দিন আগে একটি ভাড়া করা বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ ককটেল উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমরা মনে করি, দেশের সম্পদ ভাঙচুর করে যারা তাদের কায়েমি স্বার্থ লুটতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতাও জরুরি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক থাকলে এদের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি বানচাল করে দেয়া সম্ভব। ২৩ নভেম্বর দলটি যে কর্মসূচি দিয়েছিল সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও তাদের নিরাপত্তার দাবিতে যে কর্মসূচি সেই কর্মসুচির মাঝেই মিছিল থেকে নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর কোন সুস্থ রাজনীতির ইঙ্গিত বহন করে না। মূলত এ ধরনের কর্মসূচি নিয়ে তারা জনসম্পৃক্ত হতে চাইছে বড় ধরনের হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে। আমরা মনে করি, এ ধরনের ফ্যাসিস্ট কর্মসূচি জোরদার করার আগেই তাদের ঘাঁটিগুলো শনাক্ত করে এদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়া দেশ ও জনগণের স্বার্থেই জরুরি।



জামায়াতের সন্ত্রাসে দেশবাসী যখন অতিষ্ঠ, রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে যখন তারা সন্ত্রাস চালাচ্ছে, গাড়ি ভাঙচুর করছে; ঠিক তখনই বিদেশি এক পোশাক ক্রেতা কতিপয় দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন। স্পেনের একটি প্রতিনিধি দল নিট পোশাক আমদানি করতে গুলশান থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যাওয়ার পথে একদল দুর্বৃত্ত গাড়িটির গতিরোধ করে সেটি ভাঙচুর করে ও প্রতিনিধি দলের একজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় তারা ভীত হয়ে গুলশান হোটেলে ফিরে যান এবং তারা বড় ধরনের পোশাক ক্রেতা হলেও পোশাক না কিনেই ফিরে যাবেন দেশে। আশুলিয়ার তাজরিন ও রানা প্লাজার পোশাক শিল্পে ধসের পর বিদেশিরা এ দেশ থেকে পোশাক আমদানিতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। সরকার এবং পোশাক শিল্প মালিকদের নানামুখী উদ্যোগের পর বিভিন্ন দেশ থেকে নিট পোশাক কিনতে আসতে শুরু করেছেন ক্রেতারা। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা অব্যাহত থাকলে পোশাক শিল্পে ধস নামবে বলে আমরা মনে করি। এ ক্ষেত্রে রফতানিমুখী পোশাক খাতের ক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে আমাদের পোশাক শিল্পের সংকট বাড়বে বৈ কমবে না। তাই বিদেশি ক্রেতাদের নিরাপত্তা জোরদার করা দেশের স্বার্থেই জরুরি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.