নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোল্লার ফাঁসির ঋণ শোধ করবে এবার বিএনপি

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৯

বিএনপির ঘাড়ে চেপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির আড়ালে যুদ্ধাপরাধীদের মুুক্তির আশায় এবার রবিবারের কথিত ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ নামের কর্মসূচীকে টার্গেট করেছে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সংগঠন জামায়াত-শিবির। বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া কর্মসূচীকে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন বলে ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রার ঘোষণা দিলেও জামায়াত একে ‘নিজেদের নেতাদের মুক্তির চূড়ান্ত আন্দোলন’ ধরে ফাঁয়াদা লোটার ছক কসছে। বিএনপি কর্মসূচী বাস্তবায়নে সমর্থ না হলেও ১৮ দলের ব্যানারেই কাদের মোল্লার ফাঁসির প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করে দেশজুড়ে শিবির ক্যাডারদের প্রস্তুত হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সারাদেশে ই-মেইলে ও এসএসএস, শিবিরের বাঁশের কেল্লাসহ নিজস্ব সব ওয়েবসাইট ও ওয়েবপেইজের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে নির্দেশ। প্রতিশোধ ও নিজেদের শক্তির প্রমাণ দিতে নেয়া হয়েছে নাশকতার পরিকল্পনা। শিবিরের ভাষায় প্রতিশোধ ও সব যুদ্ধাপরাধীর মুক্তির আশায় চরম অস্তিরতা তৈরিতে হেফাজতের নেতৃত্বে থাকা ১৮ দলের উগ্রবাদীকে কাজে লাগাতে চায় জামায়াত। হেফাজত তার ব্যানারে সক্রিয় না হলেও জামায়াত সংগঠনিটির নেতাকর্মীদের মাঠে নামাতে একাধিক বৈঠক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সাতক্ষীরা, বগুড়া প্রভৃতি স্থান থেকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ছাত্রশিবিরের প্রশিক্ষিত কর্মীদের ঢাকায় আনছে।

জানা গেছে, মহাজোট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বাধা দিতে পারে এই শঙ্কায় কিছুটা কৌশলেই পরিকল্পনা করেছে জামায়াত-শিবির। এখন জামায়াত-শিবিরই বিএনপির ভরসা। জোটের বাকিরা নামে থাকলেও কাজে নেই। নাম সর্বস্ব এসব দলের অধিকাংশেরই সারাদেশ তো দূরের কথা, অফিস নেই খোদ রাজধানীতেই। আবার অনেক দলেরই অফিস চলছে সাবলেট নেয়া জরাজীর্ণ ঘরে। এ ছাড়া ১৮ দলীয় জোটভুক্ত অধিকাংশ দলেরই নিবন্ধন নেই নির্বাচন কমিশনে। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১৮ দলীয় জোট গঠিত হওয়ার পর থেকে শুধু জামায়াত, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), ইসলামী ঐক্যজোট ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) প্রতিনিধি দিতে পেরেছে। এমনকি রাজনৈতিক কর্মসূচী ও সফরের খরচের অংশীদার হতেও ব্যর্থ এসব নাম সর্বস্ব রাজনৈতিক দল। বিএনপি ও জোটের শরিক জামায়াতের ঘাড়েই পুরো জোটকে ভর করতে হচ্ছে। জোটের এসব দল কর্মীহীন নেতাদের বড় বড় বক্তব্যে অনেক সময় জোট নেতাদের বিব্রত হতেও দেখা গেছে। তাদের কথা বলার সুযোগ দিতে গিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাদেরও বিভিন্ন কর্মসূচীতে সাইডলাইনে বসে থাকতে দেখা যায়। এ নিয়ে কয়েক দফা ক্রমশই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বক্তৃতাবঞ্চিত বিএনপি নেতারা। গত বছরের ১২ মার্চ নয়াপল্টনে জোটের মহাসমাবেশে খালেদার উপস্থিতিতে ভুল করে খালেদা জিয়াকে ‘মুখ্যমন্ত্রী’ অভিহিত করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান শফিউল আলম প্রধান। তাঁর এ বক্তব্যে জোট নেতারা বিব্রত হয়েছেন। শফিউল আলম প্রধান বক্তব্য রাখতে গিয়ে এক পর্যায়ে জোরালো কণ্ঠে বলেন, এ স্বাধীনতার মাসে তিলকওয়ালি মুখ্যমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে আমরা আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় দেখতে চাই না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে গত আড়াই বছর ধরে বিভিন্ন ধাপে হরতাল-অবরোধের মতো কঠিন আন্দোলনের ডাক দেয়া সত্ত্বেও মাঠে-ময়দানে বিএনপি ও জামায়াত ছাড়া বাকি দলগুলোর কাউকে মিছিল বা কোন ধরনের সভাসমাবেশে দেখা যায়নি। তফিসল ঘোষণার আগে থেকে শুরু হওয়া অবরোধে রাজধানীসহ সারাদেশে সহিংস আন্দোলন করে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। এসব সহিংসতার ঘটনার খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, যে কয়টি জেলায় সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে এর সবতে জামায়াতের আধিপত্য রয়েছে। রেললাইন উপড়ে ফেলা ছাড়াও যে সব সহিংসতা হয়েছে তাতে নেতৃত্ব দিয়েছে জামায়াত-শিবির। নিজেদের দলের দুর্বল অবস্থা ধরে নিয়েই এবার রবিবারের কর্মসূচী সফল হতে বিরোধীদলীয় নেত্রীর ভরসাস্থল বিতর্কিত শরিক জামায়াত-শিবির ও হেফাজতের নেতৃত্বে থাকা ১৮ দলের উগ্রবাদী দলগুলোই।

‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ নামের এ কর্মসূচী যে কোন মূল্যে সফল করতে বিরোধীদলীয় নেত্রীর নির্দেশে বিএনপির কেন্দ্রে প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। কিন্তু কর্মসূচী আদৌ সফল হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে খোদ বিএনপির ভেতরেই। নেতারা পলাতক আর কর্মীরা মাঠে নামতে ভয় পাচ্ছেন। ফলে বিএনপির পক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে কিছুই করা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন দলীয় নেত্রীও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বলছেন একই কথা। কিন্তু বসে নেই আদালতে ক্রিমিনাল সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত জামায়াত-শিবির। জানা গেছে, রবিবারের কর্মসূচী নিয়ে বিএনপি দুর্বল অবস্থানে থাকলেও রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে জোটের শরিক দল জামায়াত-শিবির। সরকারের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রতিক্রিয়া দেখাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে দলের নেতা-কর্মীদের। জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এ খবর জানা গেছে। তবে ঢাকায় বিএনপি শক্তভাবে না নামলে জামায়াতও কৌশলী হবে। বিএনপি পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিলে মাঠে নেমে গ্রেফতার হতে চায় না জামায়াত কর্মীরা। জামায়তের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের একজন সদস্য বললেন, আমরা আশা করি বিএনপি ভালভাবেই নামবে। যদি তা না হয় আমাদের কর্মীরা বিএনপির অবস্থান দেখেই কর্মসূচীতে অংশ নেবে। তবে যে কোন মূলে ঢাকায় আসবেন আমাদের নেতাকর্মীরা। সূত্রগুলো বলছে, মঙ্গলবার বিকেলে থেকেই জামায়াত-শিবির ও তাদের নেতাকর্মীরা নিজেদের মতো করে ঢাকায় আসা শুরু করেছে। জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো আরও বলছে, নির্বাচন ইস্যুতে সমস্যা সমাধানের পথেও তারা যাচ্ছে না। নির্বাচন ইস্যু হলেও জামায়াতের মূল টার্গেট যে কোন মূল্যে তাদের নেতাদের মুক্তির প্রেক্ষাপট তৈরি করা। লক্ষ্য পূরণে তাই স্বাভাবিক রাজনৈতিক অবস্থাকে সুখকর মনে করছে না জামায়াত নেতারা। এসব বিষয় বিএনপিকেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হওয়ায় বিএনপি কোনভাবেই জামায়াতের অবস্থানের বাইরে যেতে পারবে না বলে মনে করছেন জামায়াত নেতারা। জামায়াত নেতারা বৃহস্পতিবারও বিবৃতি দিয়ে বলেছে, তারা কর্মসূচী সফল করবেই। যদি সরকার গণতান্ত্রিক সমাবেশে বাধা দেয়ার দুঃসাহস দেখায় তাহলে উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে। রাজপথ দখলে রেখে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার জামায়াত-শিবিরের জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি হয়েছে, আমির মতিউর রহমান নিজামীর রায় দেয়া হবে যে কেন সময়। এসব ঘটনার প্রতিশোধ এবং একই সঙ্গে নিজেদের শক্তির প্রমাণ দিতে এখন কৌশলে আগাচ্ছে দলটি। প্রতিশোধের জন্য তাই রবিবার ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশের দিনটিকেই কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নিয়ে সারাদেশ থেকে কর্মীদের ঢাকায় আসার নির্দেশনাও পাঠানো হয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বাধা দিতে পারে এই শঙ্কায় কিছুটা কৌশলেই পরিকল্পনা করেছে দলটি। দলটির নেতারা বলছেন, নিজেদের নিরাপদ রাখতে তারাও মাঠে প্রস্তুত থাকবে। সরকারের পতন ঘটিয়েই আমাদের আন্দোলন সমাপ্ত হবে। রবিবার মাঠে ইসলামী ছাত্রশিবিরকেই সক্রিয়ভাবে মাঠে দেখতে চায় জামায়াত। এ জন্য সারাদেশ থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক নেতাকর্মীকে ঢাকায় আসার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পুলিশ যেন পথে বাধা না দিতে পারে এ জন্য নিজেদের মতো করে ঢাকায় ফেরা মানুষদের সঙ্গেই ঢাকা ফিরবে নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে ঢাকায় এসে হোটেলে না থেকে রাজধানীতে থাকা নেতা-কর্মীদের আশ্রয়ে থাকার পরিকল্পনা শিবিরের। দেশের বিভিন্ন জেলার শিবিরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় প্রতিটি জেলা থেকেই কর্মীদের ঢাকায় আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কর্মীদের সংখ্যা অনুপাতে প্রতি জেলা থেকে ৫শ’ থেকে ১ হাজার কর্মীকে ঢাকায় আনার নির্দেশ আছে। সবাই একসঙ্গে ঢাকায় না এসে ভিন্ন ভিন্ন পথে আসাসহ বিভিন্ন কৌশলও নেয়া হচ্ছে। শিবির নেতারা বলছেন, কোন বাধায় সরকার সফল হবে না। সভাসমাবেশ বন্ধ করে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না সরকার। শিবির নেতারা হুমকি দিয়ে বলেছেন, বুকের তাজা রক্ত ঢেলে হলেও আমাদের আন্দোলন সফল করব। দলের বন্দী নেতাকর্মীদের মুক্ত করেই ক্ষান্ত হব। শিবিরের সূত্র আরও জানিয়েছে, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো, খুলনা, সাতক্ষীরা অঞ্চলে স্ট্রাইকিং ফোর্স আছে তাদের পর্যায়ক্রমে ঢাকা পাঠানোরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসব বাহিনীকে সব সময় সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে এই মুহূর্তকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় মনে করছে জামায়াত-শিবির। ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ আবদুল জব্বার বলেন, চলমান আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীর ওপরে অত্যাচারের ষ্টীমরোলার চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হত্যা, গুম, নির্যাতন চালিয়ে ছাত্রজনতার মুক্তি আন্দোলন দমানো যাবে না। আন্দোলনের দাবদাহে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: আমার এক বন্ধুকে "তুই ব্যটা একনম্বর Politisian ...."বলতেই সে খুব খেপে গেল।
কারনটা কারো জানা থাকলে দয়া করে বলবেন কি ?

Click This Link

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১২

ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল জয় বলেছেন: খালেদা ইতিহাসের পাতায় কিভাবে মূল্যায়িত হবে তা-কি একবারও ভাবেন না !!!

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

সালটু বলেছেন: আপনি আপনার দেশের ( ভারতের) জন্য। একটু কারেক্ট করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.