![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গত ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতির উদ্দেশে নির্বাচনি ইশতেহার-২০১৪ ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের ঘোষিত নির্বাচনি ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার গঠনে সুযোগ দানের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন,‘আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য ২০৫০ সালের মধ্যে দেশকে বিশ্বের প্রথম সারির দেশে নিয়ে আসা। এই লক্ষ্যেই কয়েক ধাপে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সব কাজের চূড়ান্ত লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি শান্তিপূর্ণ ও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তোলা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ সব ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, মূল লক্ষ্য গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখা। সেই সঙ্গে প্রয়োজনমতো নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার অব্যাহত থাকবে ও ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের ঘোষিত ইশতেহারে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় যমুনা ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ শুরু, ফোর-জি চালু, দুর্নীতি দমন কমিশনের সক্ষমতা বাড়িয়ে এর কার্যকারিতা বাড়ানো, সংসদ সদস্যদের জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার অব্যাহত রাখা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখারও প্রতিশ্র“তি দেন।
মহাজোট সরকারের ৫ বছরের সাফল্যও তুলে ধরা হয়েছে ঘোষিত এ নির্বাচনি ইশতেহারে। বিরোধী দলের অসহযোগিতা ও সংঘাতের রাজনীতি নিয়ে একটি পরিচ্ছদ রাখা হয়েছে ৪৮ পৃষ্ঠার ঘোষিত এ নির্বাচনি ইশতেহারে।
আগামী পাঁচ বছরে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্র“তিও দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে গিয়ে আন্দোলনের নামে হত্যা, সন্ত্রাস, পবিত্র কোরআন শরিফে অগ্নিসংযোগ, শিল্প-কারখানায় অগ্নিসংযোগ, রেলওয়ের ফিশপ্লেট উপড়ে ফেলা, সড়ক কাটাসহ রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পদের ধ্বংস, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, উপাসনালয় ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও বৃক্ষ নিধনের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচার করার অঙ্গীকার করেছেন শেখ হাসিনা। নির্বাচনি প্রতিশ্রুতিতে বলা হয়, সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হবে। এছাড়া সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প-কারখানাসহ অর্থনীতির পুনর্বাসন, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা এবং নাশকতায় ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনা পুনর্নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় যমুনা সেতু ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের কারিগরি ও অন্যান্য প্রস্তুতি দ্রুত সম্পন্ন করে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এ দুটি সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করা ছাড়াও সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করা হবে।
২০২১ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতের প্রতিশ্র“তি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পরিকল্পিত ৩০ লাখ সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার সহজলভ্য ও ব্যাপক করা হবে। এছাড়া রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার প্রতিশ্র“তি দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
তিনি বলেন, এক হাজার তিনশ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে এবং এজন্য প্রয়োজনীয় কয়লা আমদানি করা হবে। ২০৩০ সালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের হিস্যা হবে প্রায় ৫০ শতাংশ। দ্বিতীয় মেয়াদে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা, অতি দরিদ্র ও দুস্থদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ, কাজের বিনিময়ে খাদ্য ও টেস্ট রিলিফ ছাড়াও একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ন, গৃহায়ন, আদর্শ গ্রাম, গুচ্ছ গ্রাম, ঘরে ফেরা এবং মাথাপিছু আয় ১০৪৪ থেকে ১৫০০ ডলারে উন্নীত করাসহ প্রভৃতি জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা। এছাড়া বয়স্ক ভাতা, দুস্থ মহিলা ভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তাদের ভাতা অব্যাহত থাকবে বলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার ২০১৪-এ বলা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় এবং জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনগণের ক্ষমতায়ন ও অধিকতর অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। ‘বর্তমান কেন্দ্রীভূত প্রশাসনিক কাঠামোর গণতান্ত্রিক পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদের কাছে অধিকতর ক্ষমতা ও দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইনশৃঙ্খলা, অবকাঠামো উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি স্তর বিন্যাসের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের হাতে ন্যস্ত করা হবে।’
২০১৮ সালের মধ্যে সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পেনশন ব্যবস্থা প্রচলনের উদ্যোগ শুরু হবে এবং ২০২১ সালে সবার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি জাতীয় পেনশন ব্যবস্থা চূড়ান্ত করা হবে। আগামী পাঁচ বছরে দেশের সব জমির রেকর্ড ডিজিটালাইজড করার কাজ শেষ করা হবে। খাস জমি, জলাশয় এবং নদী ও সমুদ্রে জেগে ওঠা জমি অগ্রাধিকারভিত্তিতে ভূমিহীন ও বাস্তুভিটাহীন হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের পৃথক বেতন স্কেল ও স্থায়ী বেতন কমিশন গঠন করা হবে।
উচ্চশিক্ষার প্রসার এবং ভর্তি সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় একটি করে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক ও পরিচালন ব্যবস্থাকে অধিকতর গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করার পাশাপাশি শিক্ষকদের দলাদলির কারণে শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশগুলো পুনর্মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।
উল্লেখ্য, নবম সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০০৮ সালে ১২ ডিসেম্বর ‘দিনবদলের সনদ’ শিরোনামে দলের নির্বাচনি ইশতেহার তুলে ধরেন শেখ হাসিনা, যা তখন সারাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলে। ওই নির্বাচনি ইশতেহারের ফলে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ভোটে বিপুল বিজয় পেয়ে আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে। সরকার গঠনের পর চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় ভোট চান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৩
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: ২০৪১ সালে শেখ হাসিনার বয়স হবে ৯৪ বছর; সেই বছর আওয়ামী লীগ ৪/৫টা সীট পাবে ভোটে।
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭
জহির উদদীন বলেছেন: মজার বিষয় যে যাই বলুক না কেন এই মন্ত্রক আওয়ামী দালাল একটিও পাল্টা মন্তব্য বা যুক্তি খন্ডন করবে না....পোষ্ট মেরেই উধাও হয়ে যায়.....
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০১
হাসিব০৭ বলেছেন: হা হা হা এখন ২০৪১ সাল পর্যন্ত থাকার চেষ্টা
একটা পদ্মা সেতু দিতে পারল না আবার দ্বিতীয় পদ্মা সেতু দিবে