নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিশেহারা বিএনপি, জামাত সব ধ্বংস করে দিল

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৪৭

অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে ফায়দা লুটতে গিয়ে বিরোধী দল বিএনপি নিজেই এখন দিশেহারা। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত গণধিকৃত জামায়াত-শিবিরকে পাঁচ বছর ধরে আন্দোলনের নামে নাশকতায় মদদ দিয়ে বিএনপি-ই যেন এখন জামায়াতের বি টিম। কর্মসূচীতে মিলছে না জনগণের সাড়া, তবু কা-জ্ঞনহীনের মতো হরতাল-অবরোধ দিয়েই যাচ্ছে। নেই কোন সাংগঠনিক শক্তি, আটকের ভয়ে নেতারা চলছেন পীঠ বাঁচিয়ে। খোদ চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া নির্দেশ দিয়েও তাদের মাঠে নামাতে পারছেন না। আর বিএনপির আশীর্বাদে দেশজুড়ে একাত্তরের চেহারা নিয়ে বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে জামায়াত-শিবির। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে খালেদা জিয়ার টেলিফোন পেয়ে দেশজুড়ে নাশকতায় নেমে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী চালিয়ে যাচ্ছে তা-ব। তাদের টার্গেট এখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। বিএনপি-জামায়াতের বাধা উপেক্ষা করে ভোট দেয়ার কারণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর চলছে বর্বরোচিত হামলা। অনেক স্থানে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার পর মন্দিরে আশ্রয় নিয়েও রক্ষা পাচ্ছে না সংখ্যালঘুরা। ঘটনায় আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। রাজনৈতিক কৌশলে একের পর এক ব্যর্থতা, অন্যদিকে জামায়াতের নাশকতার দায়ে জনরোষে বিএনপি নেতাকর্মীরা হয়ে পড়ছেন দিশেহারা।

নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বিএনপির। মাঠের আন্দোলনে হাল ছেড়ে দিয়েছে দলটির সাধারণ কর্মীরা। নির্বাচনের আগে ঢাকা অভিমুখে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ সফল না হওয়ায়, আর টানা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচী অকার্যকর হয়ে পড়ায় নেতাকর্মীরাও হতাশ হয়ে পড়েছেন। সর্বশেষ বুধবার পর্যন্ত হরতাল-অবরোধ কর্মসূচীতে কোথাও বিএনপির কাউকে দেখা যায়নি। বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, তাঁরা শেষ আশা হিসেবে এখনও বিদেশী কূটনীতিকদের দিকে চেয়ে আছেন। দলটির আশা, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল দেশের কূটনীতিকদের বদৌলতে দ্রুত সংলাপ ও নির্বাচনের ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, ভোট প্রতিহত করার মতো কোন পরিস্থিতি তাঁরা তৈরি করতে পারেননি। এ কারণে দলটির মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা আন্দোলনে হাল ছেড়ে দিয়েছেন। শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ মাঠপর্যায়ের নেতারা বলছেন, মাঠের আন্দোলন জোরদার না হলে কেবল কূটনীতিকদের ওপর ভরসা করে আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করা যায় না। বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় অতীতে আওয়ামী লীগও অনেক ক্ষেত্রে বিদেশী কূটনীতিকদের ওপর নির্ভর করেছে। তবে তারা একই সঙ্গে মাঠে শক্তি প্রদর্শন করে তৎকালীন সরকারকে চাপে রাখতে পেরেছিল। কিন্তু বিএনপি সেভাবে মাঠের আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে চাপে ফেলতে পারেনি। বরং বিএনপি অনেকটা গিলে খেয়ে ফেলেছে জামায়াত-শিবির। মাঠে কেউ নেই তবু বিএনপির কর্মসূচী বলতেই এখন হরতাল আর অবরোধ। সংবাদ সম্মেলন কিংবা তালেবান জঙ্গীদের মতো অজ্ঞাত স্থান থেকে হরতাল ডেকেই শেষ। আগের দিন সন্ধ্যায় গাড়ি ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ করে আতঙ্ক ছড়ানো হয়। কিন্তু হরতালে নেতাকর্মীরা কেউ আর মাঠে থাকেন না। দিনের পর দিন হরতাল-অবরোধ দেয়া হচ্ছে, যাতে বিএনপির কোন লাভ না হলেও ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। ভিডিও বার্তা দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের চাঙ্গা ও রাজনৈতিক কর্মসূচী দিয়ে রাজপথ গরম করার চেষ্টায়ও ফল মিলছে না বিরোধী জোটের। দেশে প্রথম এই ভিডিও বার্তার প্রচলন শুরু করে জামায়াত-শিবির। নিজেদের মিছিল পিকেটিংয়ের সচিত্র প্রতিবেদনও পাঠানো হয় মিডিয়াগুলোতে। বর্তমানে রাজনৈতিক কোণঠাসা অবস্থায় থাকা বিএনপিও একই পদ্ধতি হাতে নিয়েছে। সর্বশেষ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন লন্ডন থেকে একটি ভিডিও বার্তায় দলের নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার ডাক দেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওইদিনই দলের বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ঘোষণা দেন।

কিন্তু কোন ভিডিও বার্তায় দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করা যাচ্ছে না। তা ছাড়া কর্মসূচী পালনে নেতারা মাঠে না থাকায় অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছেন নিচের সারির নেতারাও। আর কর্মীরা পড়েছেন বিপাকে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের সকল অপচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর এখন আবারও কর্মসূচী ঘোষণা করা হচ্ছে। তবে এসব কর্মসূচীতে সহিংসতা ছাড়া আর কিছুই না হওয়ায় মাঠপর্যায়ের সমর্থকরা হতাশ। সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটায় এসব কর্মসূচী থোড়াই কেয়ার করছেন তারা। হরতালের মধ্যে এখন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজট লেগে যাচ্ছে। সাধারণ যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক। হরতাল ভেঙ্গে কাজে নেমে পড়েছে মানুষ। কারণে-অকারণে একই কর্মসূচী দিয়ে হরতাল অবরোধকে যেন ভোঁতা কর্মসূচীতে পরিণত করেছে বিএনপি। তার পরেও চলছে সেই একই কর্মসূচী। বিএনপির অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, পরীক্ষার মাঝে হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচী বন্ধ তো দূরের কথা, খালেদা জিয়া পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্নœ অভিভাবকদের সাক্ষাতই দিচ্ছেন না। তাই ‘এ’ এবং ‘ও’ লেভেলের পরীক্ষাকে রাজনৈতিক কর্মসূচীর বাইরে রাখার অনুরোধ জানাতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কাছে গেলেও বাসভবনের সামনে থেকেই হতাশা নিয়ে ফিরলেন উদ্বিগ্নœ অভিভাবকরা। ফলে গেল বছরের মতো আবারও হরতাল-অবারোধের কবলে পড়ল ‘ও’ লেভেল ‘এ’ লেভেলের বাংলাদেশের হাজার হাজার পরীক্ষার্থী। কর্মসূচীর কারণে ইতোমধ্যেই স্থগিত হয়েছে দুটি পরীক্ষা। পরের পরীক্ষার অবিষ্যতও নিশ্চিত। সঙ্কটের এখানেই শেষ নয়, পরীক্ষার রাতে হলেও কর্মসূচী টানা ২৪ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে চললে ওই পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে নাÑ এমন খবরে পুরো সেশন হারানোর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের ইংলিশ মিডিয়ামের ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার মতো বিষয় নিয়েও বিএনপি চেয়ারপার্সনের একগুঁয়েমি আচরণে হতাশ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। অভিভাবকদের সাক্ষাত না দেয়ার ঘটনার খবরে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বলছেন, মুখে দেশ ও জনগণের কথা বলে এ ধরনের আচরণ মানায় না।

বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার এ মুহূর্তে বড় সমস্যা হলো, নিজ দলের কোন কোন নেতাকে তিনি বিশ্বাস করবেন বা করবেন না, সেটা ঠিক করাটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। মাসের পর মাস ধরে তিনি যেভাবে রাজপথে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামার চেষ্টা করেছেন, দলের নেতাকর্মীদের সেভাবে নামাতে পারেননি। বুধবার রাতে দলটির এক নেতা হতাশা প্রকাশ করে বলছিলেন, ম্যাডামের আস্থাহীনতা এমন পর্যায়ে যে, স্থায়ী কমিটির সভার শুরুতে খালেদা নেতাদের মুঠোফোন জব্দ করে রাখেন। ম্যাডামের ভয় নেতারা সভার তথ্য পাচার করেন। সর্বশেষ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমানের বক্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেত নেতা। আটক নেতাদের নিয়ে দলের অবস্থানে হতাশ সাধারণ কর্মীরা। বড় বড় নেতারা আটক হলেও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি মাহবুবুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, গ্রেফতারের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন বা যাঁরা করেছেন তাঁরাই এসব বিষয়ে জানেন। সংবাদ সম্মেলন ডাকলেও দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেও কোন কথা বলেননি স্থায়ী কমিটির এ সদস্য। জানা গেছে, হরতাল-অবরোধে জনরোধ যে অবস্থাতেই থাক না কেন, লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। কা-জ্ঞানহীন এ কর্মসূচীতে জনরোষ বাড়ছেই। ‘ও’ লেভেলের পরীক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর অভিভাবক রুকসানা আমীন পত্রিকা অফিসে টেলিফোন করে বলছিলেন, হরতাল ও অবরোধ দিয়ে বিরোধী দলের কী লাভ হচ্ছে, বুঝতে পারছি না। এতে শুধু সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ মারা যাচ্ছে, পুড়ে যাচ্ছে; পুড়ে যাচ্ছে ছোট ছোট বিদ্যালয়, পুড়ে যাচ্ছে ছোট ছোট বাচ্চার স্বপ্নগুলো, আর বন্ধ হয়ে আছে শত শত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শত শত দিন ধরে। ফলে সাধারণ মানুষ বিরোধী দলের ওপর চরম বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে। এমনকি অন্যেরা গাড়ি পোড়ালেও বদনাম হচ্ছে বিরোধী দলের। তার মতে, এ অবস্থায় বিরোধী দল যদি হরতাল-অবরোধ বন্ধ করে অন্য কোন বুদ্ধি বা পন্থা বা সমঝোতায় না যায়, তাহলে তারা মানুষের আস্থা হারাবে। তিনি বলেন, আজ (বুধবার) থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষা। কিন্তু বিরোধী দলের একগুঁয়েমির দরুন এ ২০ হাজার পরীক্ষার্থী হারাচ্ছে তাদের একটি মূল্যবান শিক্ষা বছর। অভিভাবকরা বিরোধী দলের নেতার বাসায় ধরনা দিয়েও বিফল হয়ে ফিরে এসেছেন। তিনি দেখা দেননি। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, তাঁদের এ আন্দোলন শুধু সরকারের বিরুদ্ধে নয়, শিক্ষার বিরুদ্ধেও। আমরা শিক্ষা ও শিক্ষার্থীকে জিম্মি করা আন্দোলন থেকে মুক্তি চাই।

বিএনপির আশীর্বাদে দেশজুড়ে একাত্তরের চেহারা নিয়ে বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে জামায়াত-শিবির। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে খালেদা জিয়ার টেলিফোন পেয়ে দেশজুড়ে নাশকতায় নেমেছিল স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী। এখনও চলছে তা-ব। তাদের টার্গেট এখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। বিএনপি-জামায়াতের বাধা উপেক্ষা করে ভোট দেয়ার কারণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর চলছে বর্বরোচিত হামলা। অনেক স্থানে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার পর মন্দিরে আশ্রয় নিয়েও রক্ষা পাচ্ছে না সংখ্যালঘুরা। ঘটনায় আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের দিন বেশ কয়েকটি জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার পর ওই এলাকাগুলোয় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের দিন যশোরের অভয়নগর ও দিনাজপুর সদর এলাকায় হিন্দুদের কয়েকটি গ্রামে বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সাতক্ষীরাতেও হামলা হয়েছে। জামায়াত-শিবিরকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। বিএনপির ছায়া পেয়ে এখন আদালতে ক্রিমিনাল সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত জামায়াত-শিবিরের ঔদ্ধত্য ও নাশকতামূলক কর্মকা- বাধাহীন হয়ে পড়ছে। একদিকে দেশজুড়ে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত উগ্রবাদী এ গোষ্ঠীর হত্যাকা-, অগ্নিসংযোগসহ লাগামহীন ভয়াবহ তা-ব, অন্যদিকে নাশকতা মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা সরকারের ব্যর্থতায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে ঘাতক যুদ্ধাপরাধীধের মুুক্তির নামেই প্রকাশ্যে মাসের পর মাস একাত্তরের ভয়াবহ চেহারা নিয়ে হত্যা, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, নাশকতা চালালেও সরকার কেন কঠোর এ্যাকশনে যাচ্ছে না? অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ও গণমাধ্যম স্বাধীনতা বিরোধী এ গোষ্ঠীর নাশকতার আগাম খবর দিলেও তা মোকাবেলার প্রশাসন কেন নীরব? কেন প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে নাশকতা চালালেও ওদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে না সরকার? এখানেই শেষ নয়, জামায়াত-শিবিরের কর্মসূচীসহ দলীয় কর্মকা- সারাদেশে পরিচালিত এখন ই-মেইলে ও এসএমএসে চললেও তা নজরদারিতেই আনতে পারছে না প্রশাসন।

উল্টো পবিত্র ধর্মের অবমাননাকর কথা লিখেছেন-ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে ‘আমার ব্লগ’ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে অনেক আগেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে জামায়াত-শিবির বিরোধী এ জনপ্রিয় ব্লগ বন্ধের সঙ্গে আটক করা হয় ব্লগারদের। অথচ রহস্যজনকভাবে দেশজুড়ে নাশকতার কেন্দ্র ‘বাঁশের কেল্লা’সহ জামায়াত-শিবিরের সব ব্লগ আর ব্লগাররা আছে বহাল তবিয়তে। প্রতিমুহূর্তে পবিত্র ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধ, জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতে জেগে ওঠা তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনের মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে কোন বাধা ছাড়াই। মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছে সাধারণ মুসল্লিদের। যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত বিভিন্ন ধর্ম, মত ও শ্রেণী-পেশার লাখো কর্মী-সমর্থককে ‘নাস্তিক’ প্রমাণ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে মিথ্যা তথ্য ও ছবি। জামায়াতের গোপন কর্মকা- নিয়ে সরকার ও প্রশাসন যেন অন্ধকারে হাতরাচ্ছে। জানা গেছে, কেবল এবারই নয় প্রতিটি নির্বাচনের আগে ও পরে জামায়াতসহ উগ্রবাদী গোষ্ঠী একই কায়দায় তা-ব চালায় সংখ্যালঘুসহ প্রগতিশীল জনগোষ্ঠীর ওপর।

তবে বিএনপির আশীর্বাদে এবারের তা-বের পেছনে আছে অন্য কারণও। সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে এখন দেশজুড়ে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে নাশকতা চলছে আন্তর্জাতিক মহলের নজর কাড়তেও। এ ইস্যুতে অস্থিরতা তৈরি করতে পারলে সঙ্কট সমাধানের নামে বিদেশীদের নাগ গলানোর একটা সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা জামায়াতের।

নির্বাচন ও পরবর্তী সময়ে সহিংসতা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করার পরও সবার নাকের ডগায় এক প্রিসাইডিং অফিসারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হলো নির্বাচনকালীন যাতে কোন ধরনের সহিংসতা না হয়, সে জন্য মাঠে পর্যাপ্তসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত আছেন। কিন্তু নির্বাচনের আগের দিন দেখলাম একজন প্রিসাইডিং অফিসারকে দুর্বৃত্তরা সবার নাকের ডগায় পিটিয়ে-কুপিয়ে হত্যা করল। ভোট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কী ভাবে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ করা হলো; তাও দেখলাম। ঝাঁপ দিয়ে শীতের মধ্যেও অতিরিক্ত সময় পানিতে থাকতে দেখলাম। গণমাধ্যমের কল্যাণে দেখেছি, অনেক মানুষ অন্য দেশে পাড়ি দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। অনুনয়-বিনয় করে তাদের রাখা হয়েছে। অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের যে এত আশ্বস্ত করা হলো, তাতে আশানুরূপ কোন কর্মদক্ষতার প্রমাণ নেই। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও সরকার যেন ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে হয়েছে। এ ব্যর্থতা যেন প্রলম্বিত না হয়, এ ব্যর্থতা প্রলম্বিত হওয়া মানে হচ্ছে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, লুটতরাজ প্রলম্বিত হওয়া। ব্যর্থতার অর্থ হতে পারে আমাদের দেশের ওপর বিরাট একটি জনগোষ্ঠীর আস্থা উঠে যাওয়া। প্রলম্বিত হওয়ার আরেকটি অর্থ হতে পারে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে বাংলাদেশ, সে অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে যেতে পারে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:১৪

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: খালেদা বেগম ও উনার ছেলেদের পড়ালেখা ১০ ক্লাশ: এরা পড়ালেখা বুঝে না; বুঝে শুধু টাকা: ২ টাকায় বাংগালীদের থেকে বাড়ী কেনা, ট্যাক্স না দেয়া, পাকিদের থেকে ২ বিলিয়ন পেয়েছে বাংগলাদেশকে ধ্বংস করতে।

বিএনপি পার্টিও বিচারের সন্মুখীন হবে।

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫০

মিতক্ষরা বলেছেন: বর্বরতা মূলত চালাচ্ছে সরকারের ক্যাডাররা এবং পুলিশ বাহিনী। কিন্তু হরতাল অবরোধে ভোগান্তি হচ্ছে সাধারন মানুষের। মানুষ তাদের ভোটের অধিকার ফেরত চায়, তবে এত বেশী মূল্য দিতে রাজী নয়। বিরোধী দল সেইটা উপলব্ধি করতে পারলেই ভাল।

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬

রবিউল ৮১ বলেছেন: বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন বিএনপির উচিত ছিলো স্বাধীণ দূর্নিতি দমন কমিশন গঠন করা,স্বাধীণ পুলিশ বিভাগ গঠন করা আর স্বাধীণ বিচার বিভাগ গঠন করা।তারা করে নাই।করলে আওয়ামি লীগ বি এন পি কে এভাবে দূর্বল করতে পারতো না।সাংগঠনিক শক্তিও নি এন পির নাই।আছে খলি চুরি করার বুদ্ধি।তাদের পতন তো এভাবেই হবে।জনগণ তাদের দুই বার ক্ষমতায় বসিয়ে ছিলো তারা পারে নাই দলকে শক্তিশালী করতে না পারছে দেশ কে কিছু দিতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.