নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক পরিবেশ শান্ত হচ্ছে

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৪

রাজনীতির নামে এক বছরের বেশি সময় ধরে আমরা অনেক সহিংস কর্মকাণ্ড দেখেছি, যাকে কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক রাজনীতি বলা চলে না। এই সহিংসতায় জনজীবন রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। মানুষ কায়মনোবাক্যে সহিংসতার সমাপ্তি আশা করছিল। মানুষ যেন তাদের সেই আশারই একটি বাস্তব প্রতিফলন দেখতে পেয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গত সোমবার বিএনপির জনসমাবেশের মধ্যে। এক মাসেরও বেশি সময় পর অনুষ্ঠিত বিএনপির এ সমাবেশ ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। সমাবেশে নেতা-কর্মীদের যোগ দিতে আসা ও ফিরে যাওয়া এবং সমাবেশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনা- কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। একই দিনে প্রধানমন্ত্রীও সাতক্ষীরার একটি জনসমাবেশে বক্তব্য দিয়েছেন। দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তাঁর দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা ঘোষণা করেছেন। দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে এখন এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।

দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল, যারা গত প্রায় দুই যুগ ধরে পালাক্রমে দেশ চালিয়ে আসছে, তাদের রাজনৈতিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ওপর দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য যে অনেক বেশি নির্ভরশীল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই দেশের মানুষ নিরন্তর তাদের দিকেই তাকিয়ে থাকে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, দুই দলের যুদ্ধংদেহি মনোভাব মানুষকে প্রায়ই হতাশ করে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও অব্যবহিত পরে অনেক দুঃখজনক ঘটনা ঘটলেও অতিসম্প্রতি কিংবা বলা যায় গত সপ্তাহখানেকের মধ্যে আমরা রাজনীতিতে একটি নতুন মোড় লক্ষ করছি, আশাবাদী হওয়ার মতো পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক চাপের কারণে হোক বা অন্য কোনো কারণেই হোক, দেশে সাম্প্রতিক অশান্তির অন্যতম কারণ জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব রক্ষা করে চলছে বিএনপি। গত সোমবারের সমাবেশেও জামায়াত-শিবিরের সরব উপস্থিতি দেখা যায়নি, যা আগের অনেক সমাবেশেই দৃষ্টিকটুভাবে দেখা গেছে। অন্যদিকে বিএনপির যেসব নেতা কারাগারে ছিলেন তাঁরা একে একে ছাড়া পেতে শুরু করেছেন। বিএনপির মিছিল-সমাবেশ ঠেকাতে পুলিশের তেমন তৎপরতা চোখে পড়েনি। পাশাপাশি দুই দলের দুই প্রধান নেত্রী এবং পরবর্তী নেতাদের কিছু কিছু বক্তব্য আমাদের হতাশও করেছে। দুই নেত্রী সেদিনও পরস্পরের প্রতি যে ধরনের দোষারোপ করেছেন কিংবা ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন, তা মানুষের কাঙ্ক্ষিত নয়। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও বিএনপি চেয়ারপারসন হেফাজতের মতিঝিলের সমাবেশ, সাতক্ষীরা ও গাইবান্ধায় যৌথ বাহিনীর অভিযান সম্পর্কে প্রতিবেশী দেশের প্রতি ইঙ্গিত করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা কোনোভাবেই দায়িত্বশীল বক্তব্য হিসেবে মেনে নেওয়া যায় না।

আমরা আশা করি, বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরোত্তর শক্তিশালী হবে। আর সে কারণে রাজনৈতিক দলগুলোকে কথায় ও কাজে আরো বেশি সহনশীল ও গণতান্ত্রিক হতে হবে। তাদের আরো বেশি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪

এন ইউ এমিল বলেছেন: ভালই বলেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.