![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি-জামায়াত সম্পর্ক প্রায় ৩৮ বছরের। সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান যখন বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন তখন থেকেই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এ দলটির অনেকটা আত্মীয়তার মতো সম্পর্ক বিরাজমান। সত্যি করে বলতে গেলে জিয়াউর রহমান ১৯৭৬/১৯৭৭ সালের দিকে নিজের ক্ষমতা সুসংহত করার জন্য স্বাধীন বাংলাদেশে ঘাপটি মেরে থাকা রাজনীতি করার সুযোগহীন জামায়াত নেতাদের পরামর্শে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল Ñ বিএনপি গঠন করেন। জিয়াউর রহমান জামায়াত নেতাদের পরামর্শের পুরস্কারস্বরূপ তাদেরকে এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে এদেশে রাজনীতি করার সুযোগ না পাওয়া জামায়াতে ইসলামী জিয়াউর রহমানের কৃপায় রাজনীতি করার সুযোগ পেয়ে নিজেদের দলকেই শুধু সংগঠিত করেনি; রাজনীতিতে আনকোরা বিএনপিকেও সংগঠিত করতে সাহায্য করেছে। এর প্রমাণ পাওয়া যায়, জামায়াতের নেতা রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানকে বিএনপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী করার মধ্য দিয়ে। এছাড়া রাজাকার আবদুল আলীমের মতো বহু নেতাও জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পায়। সে হিসেবে এটা ঐতিহাসিক সত্য যে, বাংলাদেশে বিএনপি নামের রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠার পেছনে যেমন জামায়াতে ইসলামীর হাত আছে, তেমনি এদেশের মাটিতে জামায়াতের রাজনীতি করার পেছনেও বিএনপির বড় ধরনের অবদান আছে, যা কোনো দলই কোনো সময়ে অস্বীকার করেনি। নব্বই পরবর্তী সময়ে মাঝে মাঝে জামায়াত অন্য দলকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে (যেমন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু) বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। আবার বিএনপিও মাঝেমধ্যে জামায়াতকে তাদের জোট থেকে বের করার হুমকি দিয়েছে (যেমন সাম্প্রতিক সময়ে)। কিন্তু এসবই যে রাজনৈতিক কারণে তা সচেতন রাজনৈতিক মহলের কাছে স্পষ্ট।
আসলে জামায়াত-বিএনপি সম্পর্ক কখনোই নির্বাচনকেন্দ্রিক নয়। এ সম্পর্ক ঐতিহাসিক, এ সম্পর্ক আত্মীক। যারা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তাদের একটি অংশের এ নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা নেই। তারা বিএনপি করেন রাজাকার আলবদররা বিএনপির সঙ্গে জড়িত আছে জেনেও। তবে বিএনপিতে যারা দীর্ঘদিন থেকে আছেন, অন্য অর্থে যারা মুক্তিযুদ্ধপন্থি তাদের অনেকেই এই দুইটি দলকে একই জোটভুক্ত হিসেবে মেনে নিতে পারেন না। তারপরও তারা বিএনপি করেন; আগে করতেন জিয়াউর রহমানকে খুশি রাখার জন্য, আর এখন করেন খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের বিরাগভাজন না হওয়ার জন্য।
বিএনপির বাইরে রাজনীতি সচেতন মানুষ বিএনপি ও জামায়াতের সম্পর্ক নিয়ে প্রায়ই হতাশা প্রকাশ করে থাকেন। কেউ কেউ বিএনপি’র শুভানুধ্যায়ী হয়ে বৃহৎ এ দলকে জামায়াতের সম্পর্ক ত্যাগ করতেও উপদেশ দেওয়ার চেষ্টা করেন। তারা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের নিবিড় সম্পর্ককে বড় ধরনের বাধা হিসেবে দেখেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও কোনো কোনো দল জামায়াত-বিএনপির জোটবদ্ধতার কারণে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৯ দলের সঙ্গে জোট বাঁধতে চাচ্ছে না।
সাম্প্র্রতিক সময়ে জামায়াত-বিএনপির সম্পর্ক নিয়ে খোদ বিএনপির নেতাকর্মীদের মোহভঙ্গ ঘটেছে। জামায়াতের কারণেই যে বিএনপি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি এটা বিএনপির অনেক নেতাকর্মীদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে। এছাড়া দেশ এবং বিদেশের অনেক সংস্থা, রাষ্ট্র ও সরকার দুই দলের সম্পর্কের বেশ কিছু সর্বগ্রাসী নজির দেখতে পেয়েছে। বিশেষত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে, জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র কর্মীরা দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে যে নৃশংসতা চালিয়েছে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা, ভাঙচুর, ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে ঘটনা ঘটেছে; তার দায়ভার বিএনপির কাঁধেও এসে পড়েছে। এর ফলে দেশের ভেতরে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করার উপদেশ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে সহিংসতা, জঙ্গি মনোভাব ও নাশকতার সঙ্গে যুক্ত জামায়াত নামের দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। এতদিন আওয়ামী লীগসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করতে বিএনপিকে চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু জামায়াতকে সহিংস ও জঙ্গিবাদী দল বলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মানতে চায়নি, অধিকন্তু সরকার পতনের লক্ষ্যে জামায়াত-শিবিরকে ব্যবহার করার কৌশলই বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে। খালেদা জিয়াসহ বেশিরভাগ বিএনপি নেতাকে জামায়াত একটি নিবন্ধিত দল, বৈধ দল এমন ঠুনকো যুক্তি দাঁড় করাতে দেখা গেছে। কিন্তু ইউরোপীয় পার্লামেন্ট জামায়াতকে নিয়ে তির্যক মন্তব্য করার পর দলটির সংশ্রব ত্যাগের উপদেশ দেওয়ায় বিএনপি বেশ বেকায়দায় পড়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিদেশি কিছু মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছেন যে, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক নির্বাচনি আঁতাত, স্থায়ী কোনো বিষয় নয়। এটি বেগম খালেদা জিয়ার প্রকাশ্য বক্তব্য যেখানে জামায়াত ও বিএনপির সম্পর্ক ভোট বা নির্বাচনি বলে দাবি করা হয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত ১৮ দলীয় জনসভায় জামায়াতের নেতারা মঞ্চে বসেননি, জামায়াত-শিবির উপস্থিত হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে, দেখানো হয়েছে। তবে বাস্তব সত্য হচ্ছে, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ব্যানারবিহীনভাবে ওই জনসভায় উপস্থিত ছিল বলে মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বিএনপি ওই জনসভায় জামায়াত-শিবিরকে না দেখানোর কৌশল থেকেই এমন কাজ করেছে বলে সব মহল থেকেই বলা হয়েছে। এমন দৃশ্য দেখানোর মাধ্যমে বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে আগের মধুর সম্পর্ক নেই এমন ধারণা বিদেশিদের দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কোনো কোনো দেশের রাষ্ট্রদূতগণ সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাতে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হওয়ার খবর হিসেবে বিষয়টিকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন বলে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কোনো কোনো পত্র-পত্রিকাতেও নানা সংবাদ এবং প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে যে, সহিংসতাসহ নানা বিষয়ে জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এমন একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা কতখানি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, পরিকল্পিত, রাজনৈতিক কূটচালের অংশ হিসেবে তা সবাই বুঝতে পারছেন বলে মনে হচ্ছে। জামায়াত-বিএনপির এমন লুকোচুরির খেলা উভয় দলের আন্তঃসম্পর্কের গভীরতাকেই নির্দেশ করছে বলে মনে করা স্বাভাবিক।
দেশের জনগণের সঙ্গেই নয়, বিদেশিদের সঙ্গেও এটি প্রতারণার উদ্দেশ্য থেকে করা হচ্ছে বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে। বিএনপি বা জামায়াত যদি মনে করে যে তাদের এমন লুকোচুরি ভাব দেখানোর রাজনীতি কেউ ধরতে পারবে না, তাহলে সেটি মস্ত বড় ভুল বলাই শ্রেয়। সে ক্ষেত্রে বিএনপির প্রতি তার নেতাকর্মীদের আস্থা বৃদ্ধির চাইতে অবিশ্বাস এবং ঘৃণাই বেড়ে যেতে পারে বলে সচেতন মহল মনে করে।
প্রশ্ন হচ্ছে কেন জামায়াত ও বিএনপি এমন করছে? এর উত্তর খুব জটিল নয়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, দেশে-বিদেশে জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের সমালোচনার পর বিএনপির পক্ষে বিদেশিদের সমর্থন পাওয়ার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সেটি ঢাকতেই উভয় দলের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে জামায়াত ও বিএনপির দূরত্ব নিয়ে কথাবার্তা বলা হচ্ছে। সংবাদ প্রকাশ কিংবা জনসভার মঞ্চে আসন গ্রহণ না করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে এবং জোটের সমাবেশে জামায়াত-শিবির কর্মীরা আগের মতো ব্যানার নিয়ে সম্মুখে বসার চেষ্টা না করার ভান করছে। এসবই দুই দলের সমঝোতার ভিত্তিতেই হয়েছেÑএমন বিশ্বাস করতে কারো কষ্ট হওয়ার কারণ নেই। জামায়াত বিএনপির মতো বন্ধু হারাবে, বন্ধুকে বিপদে বা সমালোচনায় ফেলবে সে রকম দলই নয়। জামায়াত জানে বিএনপি কেমন দল। বিএনপির বেশির ভাগ পেশাজীবী সংগঠন এখন চলছে জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পেশাজীবীদের নেতৃত্বে বা অংশগ্রহণে। বিএনপির অভ্যন্তরে জামায়াতের প্রভাব কতটা তা তাদের জানা আছে। বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে অগ্রসর হলে জামায়াতের লাভ কত বেশি তা দলটি জানে। ২০০১-২০০৬ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় বিএনপির সঙ্গে জামায়াত থাকার সুবাদে যে ভিত্তি তারা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে তা অন্য কোনোভাবে করা সম্ভব ছিল না। এখন বাংলাদেশে বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে সবচাইতে লাভবান হয় জামায়াত, তাদের শক্তি বৃদ্ধির সুযোগগুলো পুরোপুরি তারা কাজে লাগাতে পারে, যা তারা ২০০১-২০০৬ সালে করতে পেরেছিল। সুতরাং জামায়াত এখন নিজেদের অবস্থান টিকিয়ে রাখার জন্য বিএনপিকে বিপদে না ফেলে বরং রক্ষা করার কৌশল নিয়েছে। এটি উভয় দলের বোঝাপড়ার মাধ্যমেই হয়েছে। সম্মুখে এই দুই দলের মধ্যে যদি কোনো দূরত্ব কেউ আবিষ্কার করেন সেটিও হবে উভয়ের সম্মতিতেই।
বিএনপির এমন অবস্থান নেওয়ার বিষয়টি অনেকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। কিন্তু রাজনীতিকে যারা রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন এবং প্রায়োগিকবাদের গভীর বিশ্লেষণ থেকে বোঝেন তাদের স্পষ্ট দেখতে পাওয়ার কথা যে, বিএনপি ক্রমেই মধ্যডানপন্থার অবস্থান থেকে সর্বডানের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। তবে নেতাকর্মীদের কারণে জামায়াতের মতো উগ্রবাদী, জঙ্গিবাদী দল হওয়ার সুযোগ দলটির নেই। তবে সাম্প্রদায়িকতা, ভারতবিরোধিতা, আওয়ামী বিরোধিতা, সুবিধাবাদ ও আদর্শহীনতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে দীর্ঘদিন রাজনীতি করতে করতে বিএনপি এখন সব কিছুতেই খেই হারিয়ে ফেলেছে। ক্ষমতায় যাওয়ার আকাক্সক্ষা থেকে দলটি উগ্র জঙ্গিবাদী ভাবাদর্শের যে কোনো দলের ওপর ভরসা করতে দ্বিধা করছে না। বিএনপি মনে করছে ক্ষমতা থেকে আওয়ামী লীগকে সরাতে জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী ও বিএনপিকে ব্যবহার করে গড়া ধনসম্পদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিএনপির আস্থার জায়গাটিতে কেন জামায়াত এতো গুরুত্বপূর্ণ তা সহজেই অনুমেয়। অন্যদিকে জামায়াতের কাছে বিএনপির গুরুত্ব এখন অপরিসীম। বিএনপির পাশে থাকার সুবাদে বিদেশে জামায়াত মডারেট ইসলামপন্থি দল হওয়ার সমর্থন পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। বড় একটি দলকে আপদে-বিপদে পাশে পাওয়া যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের শুরু থেকে বিএনপি যেভাবে জামায়াতকে প্রশ্রয় দিয়ে আসছে, কখনও কখনও প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে আসছে তা দল দুটির জন্মের ইতিহাসের প্রশ্নেই।
বিএনপি জামায়াতকে ১৯ দলের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছে, দিচ্ছে। এত বড় সমর্থন পাওয়ার পিছনে রয়েছে বিএনপির অকুণ্ঠ সমর্থন। বিএনপিও যদি আওয়ামী লীগের মতো যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হতো তাহলে অনেক আগেই জামায়াতের রাজনীতি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বিএনপি এ প্রশ্নে নিজের নাক কেটে জামায়াতের ঘাড় রক্ষা করে চলছে। সে কারণে জামায়াত কৃতজ্ঞ; এটিই স্বাভাবিক। আদর্শিকভাবে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে নৈকট্য থাকার কারণেই এমনটি ঘটেছে। অন্য আদর্শের বা মতাদর্শের দলের সঙ্গে এমনটি ঘটার কোনো সম্ভাবনা নেই। তেমনটি কখনও ঘটে না। সুতরাং জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে যে সম্পর্ক তার পিছনে অনেকটাই মতাদর্শিক নৈকট্য (ধর্মীয় ইজম) কাজ করছে। আদর্শই উভয়কে কাছে টেনে ধরে রেখেছে। এ আদর্শ সংকীর্ণ ভোট বা নির্বাচনি আঁতাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এই আদর্শ দল দুটির জন্মরহস্যের মধ্যে লুকিয়ে আছে। এই রহস্য ব্যবহার করে বিএনপি যেমন বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থেকেছে; তেমনি জামায়াতও থেকেছে ক্ষমতার কাছাকাছি। সুতরাং খালেদা জিয়া বা বিএনপি-জামায়াতের যে যা-ই বলুক জামায়াত-বিএনপির সম্পর্কের মর্মভেদ করা খুব সহজ নয়। এ সম্পর্ক ঐতিহাসিক বন্ধন দ্বারা প্রোথিত।
২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৩
সীমাহীন ভালবাসা বলেছেন: হিহিহি ভাই আপনাকে কেন প্রধানমন্ত্রীরর উপদেষ্টা বানায় না,, আপনি রাজনীতি খুব ভালো বোঝেন তবে সমস্যা এটাই আওয়ামীলীগ কি করেছে, কতটুকু করেছে তার গুন টা চোখে পড়েছে কিন্তুু দোষ টা পড়েনি, তা ছারা এমনও হতে পারে আসলে আওয়ামীলীগে সবাই ফেরেস্তা দের মত তবে আপনি ইতিহাসের মধ্যে অনেক কিছু যোগ বিয়োগ করতে পারবেন,আপনকে সরকারি ভাবে সুযোগ দেওয়া হোক
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৪
বিষক্ষয় বলেছেন: জিয়ার হাতেতো বর্তমান আওয়ামি লীগেরও শুরু-----শেখ মুজিবতো আওয়ামি লীগ বিলুপ্ত করে বাকশাল গঠন করে মারা যান