নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপি জামাত সম্পর্ক পুরোনো, বহুদিনের

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

জামাতের সঙ্গে বিএনপি সম্পর্ক নিয়ে রাজনৈতিক নানা মহলে নানা আলোচনা থাকলেও এই দল দুটির গাঁটছড়া থাকছেই। আন্দোলনের নামে সংঘাত-সহিংসতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের সঙ্গে জামাতের জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির ওপর জামাত ত্যাগের জন্য দেশী-বিদেশী চাপ রয়েছে। তারপরও এ বন্ধন অটুটই থাকছে। মাঝে কিছুদিন জামাতকে এড়িয়ে চলার কৌশল অবলম্বন করেছিল বিএনপি। এখন সেই লুকোচুরির কৌশল থেকে বেরিয়ে প্রকাশ্যেই তাদের জোটবদ্ধ থাকার কথা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এমনকি উভয় দলের বন্ধন আরো মজবুত হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।



গত ২০ জানুয়ারি রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশে জোটের শরিক দলগুলোর নেতারা থাকলেও মঞ্চে ছিলেন না জামাত নেতারা। গত ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় জামাতের সঙ্গে আপাত দূরত্বকে কৌশল হিসেবে নিয়েছিল বিএনপি। আর এই কৌশল ছিল কেবল রাজধানী ঢাকাতেই। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যারা ভোট দেয়নি তাদের ধন্যবাদ জানাতে খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ঘোষিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ হয়েছে শুধুমাত্র বিএনপির ব্যানারে। ঢাকার বাইরে পালিত হয়েছে ১৮ দলের ব্যানারেই। সেখানে জামাত নেতাকর্মীরা ঠিকই ছিল। অবশ্য সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশেও জামাতের লোকজন ছিল। কেবল মঞ্চে নেতা পর্যায়ের কেউ ছিলেন না।



গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন শুরুর পরও একই কৌশল নিয়েছিল বিএনপি। মানবতাবিরোধী অপরাধে জামাত নেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়ার পর তার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে হাজারো মানুষের আন্দোলন শুরুর পর নয়াপল্টনে এক সমাবেশের কর্মসূচি স্থগিত করে বিএনপি। এরপর বেশ কয়েক দিন জামাত নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কোনো কর্মসূচি পালন করেনি দলটি। হেফাজতে ইসলামের মাঠে নামার পর আবার জামাত নেতাদের সঙ্গে নিয়েই কর্মসূচি পালন শুরু করে দলটি।



জামাতকে দলে রাখা না রাখা নিয়ে বিএনপিতে যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে। তবে বিএনপি নেতারা বিভিন্ন সময়ে বলছেন, জামাতের সঙ্গে জোটের বিষয়টি নিয়ে হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ নেই। এমনকি জামাতের ভোটব্যাংক বিবেচনায় না রাখার কোনো সুযোগ নেই বলেও মনে করেন তারা। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ এবং পশ্চিমা চাপের মুখে এখন জোট ভাঙলে সেটা রাজনৈতিক পরাজয় হবে বলেও আশঙ্কা রয়েছে দলের নেতাদের মধ্যে।



এ বিষয়ে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, বিএনপির সঙ্গে নীতি ও আদর্শগত পার্থক্য রয়েছে জামাত-শিবিরের। তাদের জোট আদর্শগত নয়, নির্বাচন কেন্দ্রিক। সব আলোচনাকে তুড়ি মেরে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব স্পষ্ট করেই বললেন, জামাত ১৮ দলের শরিক হিসেবে আছে, থাকবে।



গত ৪ ফেব্রুয়ারি হোটেল ওয়েস্টিনে বিএনপির চেয়ারপারসন সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবেও তার দলের বক্তব্য স্পষ্ট করেছেন। খালেদা জিয়া বলেছেন, বিএনপি কাদের সঙ্গে জোট করবে। কাদের জোটে রাখবে এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। কারো পরামর্শে বিএনপি চলে না, চলবে না। এ সময় তিনি অবশ্য সরকারি দলের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, এক সময় আওয়ামী লীগও জামাতের সঙ্গে জোট করেছে। এমন খোলামেলা অবস্থানের



পরও আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আলাদাভাবে অংশ নিচ্ছে বিএনপি ও জামাত। তবে কোনো কোনো স্থানে জোটের একক প্রার্থী হিসেবে বিএনপি ও জামাতের নেতাদের সমর্থন দেয়া হয়েছে। আবার কোথাও রয়েছে বিএনপি-জামাত উভয় দলেরই প্রার্থী। এটা বিএনপি ও জামাতের মধ্যের কৌশলগত অবস্থান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামাতের নিবন্ধন না থাকলেও সিইসি জানিয়েছেন, যেহেতু এ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে না তাই যে কেউ এতে অংশ নিতে পারবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩০

রাফা বলেছেন: জামাতের সাথে বিএনপির সখ্যতা জিয়াউর রহমানের সময় থেকে।
অথচ তারা যৌক্তিকতা দেখায় ৯৬ সালের আওয়ামী লীগের যুগপত আন্দোলনের ধুয়া তুলে।
বিএনপি একটি রাজনৈতিক ব্যাশ্যার দলে পরিনত হোয়েছে।দেশ ধ্বংস হোয়ে গেলেও রাজনিতীর পতিতা জামাতের সঙ্গ ত্যাগ করবেনা তারা।কারন মধুর স্বৃতি ভুলে থাকবে কি করে, জামাত যে তাদের শয্যা সঙ্গী।

ধন্যবাদ।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮

বিদ্রোহীসৌরভ বলেছেন:

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০

বিদ্রোহীসৌরভ বলেছেন: তিন দলের বৈঠকে নির্বাচন প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত

দৈনিক ভোরের কাগজ : ৪ ডিসেম্বর, সোমবার, ১৯৯৫

কাগজ প্রতিবেদক : আন্দোলনরত তিন বিরোধী দল ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল রোববার রাতে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সামাদ আজাদের বাসায় অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। নির্বাচন কমিশন গতকাল বিকালে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তাত্ক্ষণিভাবে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের জানান, বিরোধী দল কোনো অবস্থাতেই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না। তিনি বলেন, আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে একতরফাভাবে একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন ঘোষণা করায় দেশকে অনিবার্য সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি নেতৃবৃন্দের ক্ষমতালিপ্সা এবং বিরোধী দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখার ষড়যন্ত্রই কাজ করেছে। মোহাম্মদ নাসিম এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দাবি করেছেন।
গতকাল রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তিন দলের বৈঠকে আওয়ামী লীগের আবদুস সামাদ আজাদ, আবদুল মান্নান, তোফায়েল আহমেদ, জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, কাজী জাফর আহমদ, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জামায়াতে ইসলামীর শেখ আনসার আলী, কামারুজ্জামান ও আলী আহসান মো. মুজাহিদ উপস্থিত ছিলেন। (দৈনিক ভোরের কাগজ : ৪ ডিসেম্বর, সোমবার, ১৯৯৫)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.