নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপজেলা নির্বাচনে রাজনৈতিক বিজয় আওয়ামীলীগের

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:১৯

প্রথম দফার মতো বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশের ৪০ জেলার ৯৭টি উপজেলায় অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবে প্রথম দফা ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পর ২৭ ফেব্রুয়ারি ৫২ জেলার ১১৪ উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হয়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই মাসের মাথায় অনুষ্ঠিত এ স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে ঘিরে জেলা শহরগুলোতে ও গ্রাম-গঞ্জে মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। কাগজে-কলমে নির্দলীয় এ নির্বাচন কার্যত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কাছে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের নির্বাচনে পরিণত হয়। গত ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন বর্জন করায় উপজেলা নির্বাচনকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা সংসদ নির্বাচনের মতোই গ্রহণ করে। একইভাবে বিএনপির ভোটাররাও উপজেলা নির্বাচনকে সংসদ নির্বাচনের মতো মূল্যায়ন করে দলে দলে ভোট দিতে যায় ভোটকেন্দ্রে। এর ফলও পায় বিএনপি। প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপেও দলটি এগিয়ে থাকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ে।

উপজেলা নির্বাচনের ফলাফলে দুই পর্ব শেষে নিশ্চিতভাবেই বলা চলে বিএনপির তুলনায় পিছিয়ে আছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফলাফলে পিছিয়ে থাকলেও উপজেলা নির্বাচনে রাজনৈতিক বিজয় হয়েছে আওয়ামী লীগেরই। কারণ ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে নির্বাচনের মাঠে প্রভাব বিস্তার করতে পারতো। এ ক্ষেত্রে অবশ্য আওয়ামী লীগ হাই কমান্ডের কৃপাও লাগত ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের জন্য। কিন্তু প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বের উপজেলা নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের অনুকম্পা পায়নি। এর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের জয়লাভের জন্য প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করেনি। শাসক দল আওয়ামী লীগ চেয়েছে উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। দুই দফা উপজেলা নির্বাচনের পর বলা যায়, স্থানীয় সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনটিকে সর্বাধিক সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য আওয়ামী লীগ তাদের সমর্থিত প্রার্থীদের বিন্দুমাত্র সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেনি। নির্বাচন কমিশন যেভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে চেয়েছে সরকারের তরফ থেকে সে ধরনের লজিস্টিক সাপোর্টই দেওয়া হয়েছে ইসিকে। ফলে উপজেলা নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে এবং দুই পর্ব শেষে বিএনপির কাছে পরাজয়ই ঘটেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। আবার অন্য অর্থে বলা চলে, উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি’র রাজনৈতিক পরাজয় ঘটেছে এবং আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বিজয় অর্জিত হয়েছে। বিএনপি বর্তমান সরকারকে ‘অবৈধ’ বলে আবার অবৈধ সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকারকে বৈধতা দিয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সরকারকে অবৈধ বলে মাত্র ৪৪ দিনের মাথায় সেই সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অংশ নেওয়া এক রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বেরই প্রমাণ। সে অর্থে বলা চলে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি তাদের জেদ বজায় রাখতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বললেও অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে তাদেরকে নির্বাচনে অংশ নিতেই হয়েছে। আর এটাই হলো উপজেলা নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। পাশাপাশি ফলাফলে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকার প্রমাণ করেছে দলীয় সরকারের অধীনেও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব।

২৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ১১৪ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হয়। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে তা বিরতি ছাড়াই বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। এরপরই শুরু হয় ভোট গণনা। রাত ৮টার পর থেকে বিভিন্ন উপজেলার ফলাফল আসতে শুরু করে। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন উপলক্ষ্যে কমিশনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফায়ও ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। সকাল থেকেই ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বেড়ে যায়। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বেশিরভাগ উপজেলায় ভোট শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফায় অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ইসি। ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য নেওয়া হয় কঠোর ব্যবস্থা। ভোটগ্রহণ নির্বিঘœ করতে প্রতি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪ জন করে সদস্য মোতায়েন করা হয়। ২ দিন আগ থেকেই নির্বাচনি এলাকায় সেনাবাহিনীর এক প্লাটুন সদস্য, বিজিবি, র‌্যাব নির্বাচনি এলাকায় নিয়মিত টহল প্রদান করে। এছাড়া নির্বাচনি অপরাধ বিচারের জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেওয়া হয় ৪৬৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১১৫ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। দ্বিতীয় দফায় ১১৪টি উপজেলার নির্বাচনি এলাকায় মোট ১ কোটি ৯৫ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৮ লাখ ৫ হাজার ১৫০ জন, নারী ভোটার ৯৭ লাখ ৮৭ হাজার ৭১৮ জন। ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয় ৮ হাজার ৩২টি। ভোটকক্ষ ৫১ হাজার ১২৯টি। এ ছাড়া ১ লাখ ৮ হাজার ৮৭৪ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রতি ভোট কেন্দ্রের জন্য ১ জন করে প্রিসাইডিং অফিসার এবং প্রতি বুথের জন্য ১ জন করে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচন কমিশন উপজেলা নির্বাচনের জন্য ৫ দফায় তফসিল ঘোষণা করে। ২৭ ফেব্রুয়ারি ১১৪টির নির্বাচনসহ দু’দফায় মোট ২১০টি উপজেলার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৫ মার্চ তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ করা হবে।

ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা ছিল ১১৪ উপজেলায়। নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) এবং ইসির সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপজেলা নির্বাচনি পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে গঠন করেছেন মনিটরিং সেল। কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল থেকে নির্বাচন মনিটরিং করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, ইসি কর্মকর্তা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে ১১৪ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীরা ৫২টিতে, আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা ৪৬টিতে, জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থীরা ৮টিতে, জাতীয় পার্টি-সমর্থিত প্রার্থী ১টিতে এবং পার্বত্য এলাকায় জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও ইউপিডিএফের প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৭টি উপজেলায় জয়লাভ করেছেন। নোয়াখালী সদর উপজেলার ১১৭টি কেন্দ্রের সব ভোটসহ সারাদেশের ১৫১টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বের উপজেলা নির্বাচনেও কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ছিল ব্যালট পেপারে সিল মারা, ককটেল ফাটিয়ে ব্যালট বাক্স ও নির্বাচনি সরঞ্জাম ছিনতাই, জাল ভোট ও কেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষের ঘটনা। ভোট গ্রহণের সময় ঢাকার কেরানীগঞ্জ এবং জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে হৃদরোগে মারা যান দুই পোলিং অফিসার। তবে নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এ জাতীয় ছোট-খাট ঘটনা নির্বাচনেরই অনুষঙ্গ। বিচ্ছিন্ন এসব ঘটনার বাইরে বাকি ভোটের চিত্র ছিল অন্য রকম। রাস্তায় ছিল সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের টহল। কেন্দ্রের ভেতরে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। বাইরে কিছুটা দূরে গল্পে মেতে ছিলেন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। চলেছে চা পান, কোথাও আবার বিক্রি হয়েছে বাহারি সব খাবার। আর প্রার্থীরা এক কেন্দ্র থেকে আরেক কেন্দ্রে ছুটে বেড়িয়েছেন শেষ মুহূর্তের ভোট প্রার্থনার জন্য। ভোট দেওয়া বেশিরভাগ ভোটারই বলেছেন, ‘সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। এবার ভোট দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’ অনেক ভোটার বলেছেন, ‘এবার সব দল মিলে নির্বাচন করছে। তাই ভোট দিতে আসলাম। সব সময় যদি সব দল মিলে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করে তাহলে দেশে কোনো মারামারি, খুনখারাপি থাকে না।

নির্বাচন কমিশন বলেছে, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আওয়ামী লীগও প্রায় একই দাবি করে বিএনপির সব অভিযোগ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপি প্রেস ব্রিফিং করে নানা ধরনের অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ করে। বেসরকারি নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ব্রতী বলেছে, উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে তারা প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়।

প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফায়ও নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, সরকার-সমর্থকদের হামলার অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ শেষে প্রথম দফার মতো অভিন্ন অভিযোগ এনে বলেছেন, অটোমেটিক সংসদের স্বয়ংক্রিয় প্রধানমন্ত্রী অদ্ভুত নির্বাচন করছেন।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শেষে রিজভীর ‘অদ্ভুত নির্বাচন’ তত্ত্ব নিয়ে অনেকে হাসাহাসি করেছেন। কারণ রিজভীর ভাষায় প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত অদ্ভুত নির্বাচনেই বিএনপি আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি ৬টি উপজেলায় জিতেছে।

সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেরই ধারাবাহিকতা, তা প্রমাণিত হয়েছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে যে কী পরিণতি হতো, তা আজ প্রমাণিত হয়েছে। নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন যে কতটা যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য, তা উপজেলা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হলো।

ফলাফল ঘোষণার পর রিজভীর এ উক্তি নিয়েও অনেকে ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য করেন। তাদের মতে, দলীয় সরকারের অধীনেই যে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব তা-ই প্রমাণ করে ১১৪টি উপজেলার মধ্যে বিএনপির ৫২টিতে জয়লাভের মধ্য দিয়ে। অনেকেই মন্তব্য করেন, উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্বের ফলাফলে বিএনপির মধ্যে প্রবল উপলব্ধি আসে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করাটা ছিল তাদের একটি ভুল সিদ্ধান্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব শেষে তাদের উপলব্ধিতে আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়াটা ছিল তাদের মস্ত ভুল সিদ্ধান্ত।

অপরদিকে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। বিএনপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপির একটি মিথ্যার স্পিনিং মিল (জাল বোনার কারখানা) আছে। এইচ টি ইমাম আরো বলেন, ‘দেশের প্রতিটি অঞ্চল থেকে আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তাতে আমরা দাবি করতে পারি, সব জায়গায় অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয়, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই প্রশ্নমুক্ত নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করা। আমরা এ ক্ষেত্রে সফল হয়েছি।’ তিনি বলেন, নির্বাচনে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য দেশের সব স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীও টহল দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর উপজেলা পরিষদ গঠন করেন। ১৯৮৫ সালে দেশের ৪৬০টি উপজেলা পরিষদে প্রথমবারের মতো নির্বাচন হয়। দ্বিতীয়বার নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালে। এরপর দীর্ঘ ১৯ বছর এ নির্বাচন হয়নি। ২০০৯ সালে তৃতীয়বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়। চতুর্থবারের উপজেলা নির্বাচন শুরু হয়েছে ১৯ ফেব্রুয়ারি-২০১৪ থেকে। ২৭ ফেব্র“য়ারি ১১৪ উপজেলায় দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ১৫ মার্চ তৃতীয় দফায় ৮৩ উপজেলায় এবং ২৩ মার্চ চতুর্থ দফায় ৯২ উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে। আর পঞ্চম দফায় ৩৫ জেলার ৭৪ উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে ৩১ মার্চ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.