নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শক্তি হারাচ্ছে বিএনপি

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫

দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পকেট কমিটি ও পুনর্গঠনসহ দলের গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তহীনতায় বিএনপিতে সাংগঠনিক স্থবিরতা ও নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। ফলে হতাশ নেতাকর্মীরা যেমন হচ্ছেন নিষ্ক্রিয়, তেমনি দল সাংগঠনিকভাবে শক্তি হারাচ্ছে। দলের নেতাকর্মীরা এমনটিই মনে করছেন।

অব্যাহতভাবে এই অবস্থা চলতে থাকলে ঘোষিত পরবর্তী আন্দোলন আবারও ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা করছে দলের নেতাকর্মীরা।



কারণ হিসেবে দলের নেতাকর্মীরা বলেন, মূল দল থেকে শুরু করে প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠন করার নিয়ম— যা দলের গঠনতন্ত্রেও উল্লেখ আছে। কিন্তু কমিটি গঠনে তাা মানা হচ্ছে। এর ফলে নেতা নির্বাচনে কর্মীদের ভূমিকা থাকছে না।



বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, আসলে দলের গঠনতন্ত্র মেনে কমিটি না করায় দলে সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে, বঞ্চিত হচ্ছে যোগ্যরা। এই দিকটা দলের হাইকমান্ড বিবেচনায় আনছে না। তিনি আরও বলেন, দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই বিষয়গুলো নেতারা উত্থাপন করেন না হাইকমান্ডের বিরাগভাজন হওয়ার আতঙ্কে।



দলীয় সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর দলের কাউন্সিলের মাধ্যমে তিন বছরের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। প্রায় তিন বছর আগেই মেয়াদ পার করে এই কমিটি। ওই কমিটির মহাসচিব দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব দেয়া হয় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। তবে এখন পর্যন্ত তাকেও ওই পদে স্থায়ী করা হয়নি।



ফখরুলের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত না দেয়ায় তিনিও দলের কর্মকাণ্ডে মনোনিবেশ করতে পারছেন না। আবার দলের একটি বড় অংশ চান, তাকে সরিয়ে অন্য কোনো যোগ্য নেতাকে এ পদে বসানো হোক। তাদের অভিযোগ, তিনি এ পদের যোগ্য নন।



পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার পর দলের হাইকমাণ্ড ঢাকা মহানগর বিএনপিসহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি ভেঙে দিয়ে আন্দোলন উপযোগী নতুন কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। কিন্তু এ পর্যন্ত শুধুমাত্র শ্রমিক দলের পকেট কমিটি এবং সম্প্রতি ঢাকা মহানগর বিএনপির বিরোধপূর্ণ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা ছাড়া আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি দলের হাইকমান্ড। এর ফলে ছাত্রদল যুবদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতাকে সাংগঠনিক গতি বাড়াতে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না।



দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে কেউ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আবার কেউ পালিয়ে ছিলেন। পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে জামিন নিয়ে কারামুক্ত হয়ে ও পালিয়ে থাকা নেতারা প্রকাশ্যে আসেন। এসব নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময়ে দলীয় চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে গেলে নেতাকর্মীদের সরাসরি ব্যর্থ হিসাবে ঘোষণা দিয়ে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটিতে পরিবর্তনের কথা জানিয়ে দেন। সেই থেকে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষনেতা থেকে কর্মী পর্যন্ত সবাই নিষ্ক্রিয় এবং হতাশ।



চলতি বছরের শুরুর দিকে শ্রমিকদলের কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া সিদ্ধান্ত দেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ভোটে নেতা নির্বাচিত করতে হবে। কিন্তু শ্রমিকদলের ওই কমিটি গঠনে খালেদা জিয়ার এই সিদ্ধান্ত মানা হয়নি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দলের সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান আনোয়ার হোসেনকে সভাপতি এবং নুরুল ইসলাম নাসিকে শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেন। ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত এই কমিটিকে তেমন কোনো কাজ করতে দেখা যায়নি। এমনকি চলমান গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনেও নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি।



সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সূত্রে জানা যায়, শীঘ্রই বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণা আসতে পারে। শোনা যাচ্ছে আংশিক কমিটিও প্রায় চূড়ান্ত। কিন্তু এক্ষেত্রেও নেতাকর্মীদের মতামত না নিয়ে পকেট কমিটিই দেয়া হচ্ছে। তবে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে বর্তমান কমিটির নেতারা আরও ছয় মাস এই কমিটি বহাল রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে।

জানা গেছে, যুবদলের নতুন কমিটির সম্ভাব্য নেতৃত্বের আলোচনায় শীর্ষে রয়েছে বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন ও কামরুজ্জামান রতনের নাম। এরপরই সংগঠনের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নাম রয়েছে। তবে যুবদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব স্বপদে বহাল থাকতে এবং জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুস সালাম আজাদ বড় পদের জন্য লবিং করে যাচ্ছেন।



জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কমিটিও ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনের একটি সূত্র। দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন নেতা ছাত্রদলের একটি রূপরেখা খালেদা জিয়ার হাতে দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন এখন পর্যন্ত কোন প্রক্রিয়ায় কাদের নিয়ে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হবে তা সম্পষ্ট করেননি।



জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠনে সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের মতামতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে পারেন খালেদা জিয়া। তার পরেও নতুন কমিটি হলে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু সভাপতি হতে চান। বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবুকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক করা হতে পারে।



জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সম্ভাব্য সভাপতি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদুর নাম শোনা যাচ্ছে। অপরদিকে ওয়ান-ইলেভেনে খালেদা জিয়ার পক্ষে শক্ত অবস্থান নেয়া দলের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাজাহানকে সভাপতি করা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তার সাংগঠনিক কার্মকাণ্ডে দলের হাইকমাণ্ড বেশ সন্তষ্ট বলে জানা গেছে। এছাড়া সাবেক ছাত্রনেতা সানাউল হক নিরুকে দলের কোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষপদে বসানো হতে পারে। তার পক্ষে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য খালেদা জিয়ার কাছে সুপারিশও করেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। নিরু ও রতন যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে দলের কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রয়েছেন, তাই তাদের দু’জনকে একই সংগঠনে না রেখে ভিন্ন ভিন্ন সংগঠনে দায়িত্ব দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন দলের একটি অংশ।



তবে দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ মহল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, বর্তমান সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ একাধিক ব্যক্তির নাম তালিকা করে লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে পাঠিয়েছেন বলে ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।



নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা জানান, আন্দোলন-যোগ্য ও সাহসীদেরকেই অঙ্গ সংগঠনের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে। আন্দোলন সফল করতে দলের নবগঠিত ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস দলীয় চেয়ারপারসনের কাছে বেশ কয়েকজন নেতাকে অঙ্গ সংগঠনগুলোর জন্য সুপারিশ করবেন। সে তালিকা অনুযায়ি আব্বাসের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন নেতা গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন।



জানা গেছে, তৃনমূলের মতামতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কমিটি গঠনে খালেদা জিয়া নির্দেশ দিলেও তাও মানা হয়নি জেলা কমিটি গঠনে। ১০ এপ্রিল থেকে ওই মাসে ঢাকায় ডেকে পঞ্চগড়, সৈয়দপুর, নওগাঁ, নেত্রকোনা, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, সিলেট, সুনামগঞ্চ এবং ময়মনসিংহ উত্তর জেলা, চুয়াডাঙ্গাসহ ১৩টি জেলা কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দল পুনর্গঠন কমিটি।



এসব জেলার নতুন কমিটিকে ৪৫ দিনের সময় বেধে দিয়ে খালেদা জিয়া স্পষ্ট করে বলেছেন, যারাই বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে কমিটি গঠনে ব্যর্থ হবেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো জেলাই কাউন্সিল করতে পারে নি। চুয়াডাঙ্গা জেলার আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আহ্বায়ক কমিটি জাল করার অভিযোগ করে জেলার নেতারা দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের কাছে পত্র দিয়েছেন।



অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে ৮ জুন দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে দায়িত্ব দিয়ে সাত দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবেদন কেন্দ্রে জামা দেননি। চুয়াডাঙ্গার মতো প্রতিটি জেলায় থানাসহ ইউনিট কমিটি গঠনের নানা অনিয়মের অভিযোগ এখন কেন্দ্রে। - See more at: Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২১

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: ও তাই নাকি? তা বলবেন কি বিএনপি কবে শক্তিশালী ছিল? যুগে যুগে বিএনপিকে তো ধ্বজভঙ্গ দল হিসেবেই দেখে আসছি। কেউ কোলে করে ক্ষমতায় না বসালে কিছু করার শক্তি এর নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.