নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্ভীক নেতৃত্বই উন্নয়নের সোপান

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫৬

২৬ জুলাই (২০১৪) যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে (চলতি বছর) তিনি জাপান ও চীন সফর নিয়ে একইভাবে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এভাবে খোলামেলা কথা বলার প্রচলন করে শেখ হাসিনা জনগণের কাছে তার সদিচ্ছার প্রকাশ ঘটিয়েছেন নির্ভীক চিত্তে। রাষ্ট্র পরিচালনা আর বৈদেশিক নীতির কোনো বিষয়ই গোপন করার প্রচেষ্টা নেই তার। বরং বর্তমান সরকারের অর্জনগুলো জনগণকে জানানোর আন্তরিক ইচ্ছার প্রকাশ রয়েছে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরের মধ্যে। ঈদের পরে বিএনপির আন্দোলনের হুমকি এবং সংলাপের তাগিদ দেয়া নিয়ে তিনি স্পষ্টতই বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সাংবিধানিকভাবেই হবে। এখানে অস্পষ্টতার কিছু নেই। যারা অগণতান্ত্রিক কোনো কিছু খুঁজছে, তাদের কাছে এটা অস্পষ্ট লাগছে। বিএনপির আন্দোলন মাঠেই প্রতিরোধ করার প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন মানে জ্বালাও-পোড়াও ও মানুষ হত্যা করা। নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি করতে বিএনপি ঈদের পর আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, তাদের সঙ্গে মাঠে দেখা হবে। মাঠে আওয়ামী লীগসহ সবাই রয়েছে, দেশের সাধারণ মানুষও আছে। তাই মাঠের দেখা মাঠেই হবে। আন্দোলনের নামে দেশের মানুষের এতটুকু ক্ষতি করার চেষ্টা হলে তা বরদাশত করা হবে না, কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনেই ৫ জানুয়ারি (২০১৪) জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনায় সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অন্যদিকে বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, আন্দোলনের নামে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে, দেশের সম্পদ ধ্বংস করেছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারা যে রাজনৈতিক ভুল করেছে, তার খেসারত তাদেরই দিতে হবে। জামায়াত নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ায় বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। এটা তাদের ভুল সিদ্ধান্ত। উপরন্তু আওয়ামী লীগ যদি দেশ চালাতে ব্যর্থ হতো, তাহলে সংলাপ বা নির্বাচনের প্রশ্ন আসত। দেশের জনগণ এখন শান্তি ও স্বস্তিতে আছে, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। দেশ আজ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক বিশ্বে সুনাম অর্জন করছে। আর এসবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নির্ভীক নেতৃত্বের কারণে।

গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা নিজের সুখ-শান্তি ও জীবনের মায়া ছেড়ে মানুষের মায়ায় আবদ্ধ হয়েছেন। '৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ৩ নভেম্বরে জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকা- বাংলাদেশকে অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত করেছিল। পরিবার-পরিজন হারিয়ে তার পরও শেখ হাসিনা এ দেশের সাধারণ মানুষের জন্য '৮১ সালে দেশে ফিরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। শুরু হয় তার নেতৃত্বের যুগ। স্বৈরশাসক ও জল্লাদের দেশ পুনরায় সোনার বাংলা হয়ে ওঠার প্রত্যাশায় মুখরিত হয়ে ওঠে। '৯৬-এ যেমন, তেমনি ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে তিনি জনগণের কল্যাণে সমস্ত মেধা ও শ্রম নিয়োজিত করেছেন। অর্থাৎ শেখ হাসিনা তার সরকারের নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ ও ভিশন-২০৪১ অর্জনের লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে একটি বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ উন্নত ডিজিটাল দেশ গড়ে তোলা। অন্যদিকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও '৭৫-এর ঘাতকরা ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের উন্নয়ন প্রচেষ্টা ব্যাহত করতে নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য, মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা। হরতাল ও নাশকতামূলক কর্মকা-ের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করা, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা, বিগত জোট সরকারের পাঁচ বছরের লুটপাটের প্রক্রিয়া বজায় রাখা, হাওয়া ভবনের কর্ণধার তারেক জিয়াকে দেশে এনে রাজনীতি করতে দেয়া।

২০০৯-১৩ আমলে শেখ হাসিনার সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর যুগান্তকারী কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২০০৯ সালেই ঘোষিত হয়েছে নতুন পে-স্কেল (নতুন পে কমিশনও গঠিত হয়েছে)। বন্যপ্রাণী রক্ষা আইন ও পর্যটন নীতিমালা প্রণীত হওয়ার পাশাপাশি গঠন করা হয়েছে 'জাতীয় মানবাধিকার কমিশন'। আদালতে মানহানির মামলায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রহিত করা হয়েছে। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন সংসদে অনুমোদিত হয়েছে। সরকারপ্রধান সন্ত্রাস ও দুর্নীতি দমনে নিয়েছেন আন্তরিক উদ্যোগ। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির তালিকা ২০০ দেশের মধ্যে ১৩৬তম অবস্থান অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ। বিশ্বসভায় ক্রমেই বাড়ছে দেশের ভাবমূর্তি। গণতন্ত্রের মানসকন্যা জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলা ভাষায় ভাষণ দিয়ে আমাদের ঐতিহ্যের প্রতি অনুরক্ত হতে শিখেয়েছেন। ভারত, চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইরান প্রভৃতি দেশ সফরের পর আঞ্চলিক ও পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতা পেয়ে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচারের যে কার্যক্রম শুরু করেছিলেন তার রায় কার্যকর করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন শেখ হাসিনা। বিডিআর কর্তৃক সেনা কর্মকর্তাদের নির্মম হত্যায় জড়িতদের বিচারকার্য শেষ হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে একাত্তরের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের, চলছে তাদের বিরুদ্ধে বিচার ও রায় কার্যকরের প্রক্রিয়া। পবিত্র সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চার নীতি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়কের পরিবর্তে নির্দলীয় সরকারের রূপরেখাও প্রণীত হয়েছে। সবই শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রমের ফসল। এ জন্যই বিশ্বনেতারা এ দেশ সফরে এসে প্রশংসা করে গেছেন বর্তমান সরকারের নেতৃত্বের।

১৯৯৬ থেকে ২০০০ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলের বিপুল খ্যাতি অর্জনের ধারাবাহিকতা বর্তমান সময়েও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে সে আমলের আগেই শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত ছিলেন। বিএনপি-জামায়াত জোট আমলেও তার কৃতিত্বপূর্ণ অর্জন ব্যাপক হয়ে উঠেছিল। পদ্মা সেতুর অর্থায়নে বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনাসহ জাপান-চীন সফর এবং যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সেমিনার ও অধিবেশনে যোগদান, বিদেশি মিডিয়ায় সরাসরি ও নির্ভীক কথা বলা নেত্রীর উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য আন্তর্জাতিক 'সাউথ-সাউথ' পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। 'গ্লোবাল উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেনস হেলথ' ক্যাটাগরিতে শেখ হাসিনা এ পুরস্কার পেয়েছেন। শিশুমৃত্যু হার হ্রাসের জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) পুরস্কার পায়। তাও জননেত্রীর সাফল্যের স্মারক। নেত্রীর অসামান্য নেতৃত্ব ও মহাজোট সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার আপামর জনতারও। গত আমলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে উন্নয়নমূলক কর্মকা- পরিচালিত হয়েছে, আন্তর্জাতিক পুরস্কারগুলো তারই স্বীকৃতি। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে নেত্রী 'ডিজিটাল বাংলাদেশ'-এর ব্যানারে একযোগে সবাইকে নিয়ে কাজ করছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে তার মন্ত্রিপরিষদ। প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটালাইজড করার কাজ পুরোদমে চলছে। ৪ হাজার ৫০০ ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতকে ডিজিটালাইজড করতে ১১ হাজার কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকের প্রায় সব কটিকে ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। সেখান থেকে গ্রামীণ রোগীরা উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছে।

গত বছর (২০১৩) যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদান করে সারা বিশ্বের নেতাদের কাছে প্রশংসিত রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের হোমল্যান্ড সিকিউরিটিবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান পিটার কিং সন্ত্রাস দমনে শেখ হাসিনার পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। আমাদের নেত্রীও সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের কথা বৈঠকে পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর পরে শেখ হাসিনাই জাতিসংঘের প্রতিটি সাধারণ অধিবেশনে (৬৬তম) বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন। তুলে ধরেছেন বিশ্বসভায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চিত্র। জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষক বিশ্বনেতাদের সংলাপে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সরকারপ্রধান হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি। তার উপস্থাপিত শান্তির মডেল এজেন্ডা হিসেবে জাতিসংঘে বিশেষ আলোচনার জন্য গুরুত্ব দিয়ে সেকেন্ড কমিটিতে গৃহীত হয়েছে। বিশ্ববাসী আজ জানতে পেরেছে শান্তি, গণতন্ত্র, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে শেখ হাসিনার অবদানের কথা। কয়েক বছর আগে নিউইয়র্কে 'কাউন্টার টেরোরিজম' শীর্ষক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে তার সরকারের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করেছিলেন তিনি। এ সময় তিনি বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও সাক্ষাৎকার সম্পন্ন করেন। বিভিন্ন মার্কিন মিডিয়ায় তার সাক্ষাৎকার গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করা হয়। উন্নয়নের মডেল হিসেবে বিশ্বসভায় বাংলাদেশকে তুলে ধরা প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম কৃতিত্ব। গত বছরও তিনি অধিবেশনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। 'পিস বিল্ডিং কমিশন' (পিবিসি)-এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে এক সভায় শেখ হাসিনা দৃঢ় উচ্চারণে বলেছেন, টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সব সময়ই জাতিসংঘের সব শান্তি উদ্যোগের পাশে রয়েছে এবং থাকবে। যেখানে দেশের মধ্যে খালেদা জিয়ার দল সরকারের সব শুভ উদ্যোগ বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সেখানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দৃঢ়চেতা শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ-প্রসারী ও প্রজ্ঞাময় বক্তব্য আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। চলতি বছর নভেম্বরে অষ্টাদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিগত সার্ক সম্মেলনে শেখ হাসিনা গণতন্ত্র সনদের প্রস্তাব করেছিলেন। তাঁর প্রস্তাবগুলো ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। ইতোমধ্যে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধের মীমাংসা হয়েছে। বলা যায় বর্তমান সরকারের তৎপরতায় এ দেশ সমুদ্রজয়ে সক্ষম হয়েছে। এ দেশের কূটনৈতিক অর্জনগুলো অসাধারণ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে নিজ দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনায় নেত্রীর বিচক্ষণতার পরিচয় অন্যান্য দেশের কূটনীতিকরাও স্বীকার করেন।

শেখ হাসিনা কেন বিশ্বসভার অনন্য নেত্রী? তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে, রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন; অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আজ তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশের উন্নয়নে শিক্ষানীতি, নারীনীতি, ফতোয়া প্রদানে বিধিবিধান দিয়েছেন। সর্বোপরি '৭৫-এর পর যারা সংবিধানকে কলুষিত করেছিলেন তাদের চপেটাঘাত দিয়েছেন '৭২ সালের সংবিধানে ফিরে গিয়ে। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন অন্যান্য নৃ-গোষ্ঠীর সঙ্গে তার সম্প্রীতি রক্ষার দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি নিজের দেশে প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায়কে নিজ নিজ ধর্ম পালনে উৎসাহী করেছেন। নিজের ব্যস্ততার মধ্যেও নিয়মিত নামাজ-রোজা ইবাদত-বন্দেগিতে সময় ব্যয় করেন। বাঙালির উৎসবগুলোকে তিনি সর্বজনীন সম্মিলনে পরিণত করেছেন। ঈদ, পূজা, বড়দিন, বৌদ্ধপূর্ণিমা এখন সবার উৎসব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার জন্য তার আন্তরিক প্রচেষ্টা অভিনন্দনযোগ্য। অর্থাৎ শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে সরকার পরিচালনা করছেন। এ জন্যই নতুন প্রজন্ম তার হাতকে শক্তিশালী করতে মহাজোটকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছে। অপপ্রচার ও প্ররোচনায় কেউ বিভ্রান্ত করতে পারে বলে ইতোমধ্যে তিনি সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন। জেলহত্যার বিচার, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আইভী রহমানসহ আরো অনেকের মৃত্যুর বিচার, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টারসহ সব হত্যাকা-ের বিচার প্রক্রিয়া চলছে। অর্থনৈতিক উন্নতি গতিশীল রাখার চেষ্টা অব্যাহত আছে। রিজার্ভ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমেছে।

একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্বসভায় আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ভিশন ২০৪১ ঘোষণা বাস্তবায়নে তরুণ সমাজকে যথার্থ শিক্ষা গ্রহণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভালো পরিবেশ বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার সব কর্মকা-ই মানুষের মঙ্গলের জন্য নিবেদিত। তার নির্ভীক নেতৃত্ব ক্রম অগ্রসরমান বাংলাদেশের জন্য জরুরি। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে এ দেশ বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.