![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলা ভাষায় এমন কিছু শব্দ, উপমা বা প্রবাদ-প্রবচন আছে, যা অন্য কোনো ভাষায় খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এমন একটি শব্দ 'পরশ্রীকাতরতা'। বঙ্গবন্ধু তাঁর 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী'তে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। পরের শ্রী দেখে কাতর। আছে 'পরনিন্দা, পরচর্চা'। একসঙ্গে দুই বাঙালি বসলে আরেকজনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিন্দামন্দ করেন বা বলেন। বাংলা ভাষায় একটি প্রবাদ আছে, 'নাই কাজ তো খই ভাজ'। অর্থাৎ হাতে কোনো কাজ না থাকলে খই ভাজা। খই ভাজা খারাপ কিছু নয়। গরুর দুধ দিয়ে খই খেতে বেশ সুস্বাদু। এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে তা তেমন পরিচিত জিনিস নয়। তারা বার্গার আর চিপস খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে। অনেকে মনে করবে, এটি গ্রামের চাষাভূষার খাবার। ইদানীং বাংলাদেশে তেমন কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নেই। সরকারের অনেক ভালো কর্মকাণ্ড আছে, তবে প্রধান সরকারি দল তথা আওয়ামী লীগের চোখে পড়ার মতো তেমন একটা নেই। শোকের মাস আগস্টটা কোনোমতে তারা পার করল। দলের ও অঙ্গসংগঠনের বেশ কিছু অপরিণামদর্শী কাজকর্ম দলকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এমন একটি বিশাল দলের কেন জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদের দলে ফুল দিয়ে বরণ করতে হবে, তা অনেকের কাছে বোধগম্য নয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জামায়াত, আলবদর আর আলশামসের দুর্বৃত্তরা মওলানা ভাসানীর পতাকাতলে সমবেত হয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সূচনা করেছিল। বর্তমানে তারা খোদ আওয়ামী লীগে প্রবেশ করে কী সর্বনাশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে আল্লাহ মালুম! কয়েক দিন ধরে পঁচাত্তরে জাসদের ভূমিকা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিছুদিন পর তা-ও হয়তো থেমে যাবে। জাসদ নিয়ে কিছু বলার আগে একাত্তরপরবর্তীকালে মওলানা ভাসানীর ন্যাপ আর তাঁর দলের মুখপত্র 'হক কথা' নিয়ে আলোচনা করলে বর্তমান প্রজন্ম উপকৃত হতো। এটি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই একটি সদ্য স্বাধীন দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বিভক্ত করতে জাসদের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যাঁরা সে সময় জাসদে গিয়েছিলেন তাঁরা ছিলেন রোমান্টিক বিপ্লবী। তাঁদের হঠকারী রাজনীতি অনেক মেধাবী যুবককে বিভ্রান্ত করেছে। জাসদ প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম সিরাজুল আলম খানের হাত ধরে বাংলাদেশের প্রগতিশীল রাজনীতির পচন শুরু। তবে ভালোর দিকটা হচ্ছে পরবর্তীকালে জাসদ তাদের ভুল স্বীকার করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির ছাতার নিচে সমবেত হয়ে স্বৈরাচারবিরোধী ও চারদলীয় জোটের অপশাসনবিরোধী আন্দোলনে শরিক হয়েছে এবং মহাজোট সরকারের অংশীদার হয়েছে। জাসদবিষয়ক এই বিতর্ককে পুঁজি করে বেগম জিয়ার বিএনপি একটু নড়েচড়ে বসেছে এবং বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় থেকে শুরু করে বিএনপির দুই আনা দামের মহিলা নেত্রী পর্যন্ত অনেকের বিবৃতি দেওয়ার সুযোগ করে নিয়েছেন। এই নেত্রী বলতে বাকি রেখেছেন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পেছনে তাঁর কন্যার হাত রয়েছে। জামায়াত-বিএনপিপন্থী দু-একজন ব্লগার লিখেছে, 'বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড থেকে জিয়া আউট, জাসদ ইন!' বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড থেকে জিয়াকে কিভাবে দায়মুক্তি দেওয়া যায়, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে। অবশ্য এই চেষ্টা বিএনপি সব সময় করে আসছে। মুশকিলটা হচ্ছে, ইতিহাসের দলিলপত্র কোনোটাই জিয়ার পক্ষে নেই। বাংলাদেশের সব সমস্যার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। জাসদ বিষয়ে অনভিপ্রেত বিতর্ক থামাতেও তাঁকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী তিনি এই বিতর্ক নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে তা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্য অনেকেই না বুঝলেও তিনি ঠিকই বুঝেছেন এই ধরনের বিতর্ক ১৪ দলীয় জোটকে দুর্বল করবে এবং যারা বর্তমান সরকারকে দুর্বল করতে চায় তাদের হাত শক্তিশালী করবে। জাসদ-বিতর্ক শুরু হওয়ার আগে নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে হাইকোর্টের একটি পর্যবেক্ষণ নিয়ে কিছু বিশ্লেষক খই ভাজার চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি আমার পাড়ার স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবী তরকারি বিক্রেতা মিন্নত আলী পর্যন্ত বাদ যায়নি। তার দোকানে ১০ টাকার ধনেপাতা আনতে গেলে মিন্নত আলী প্রশ্ন করে, 'স্যার, হাইকোর্ট নাকি আগামী নির্বাচন কেমন সরকারের অধীনে হবে তার একটা ফর্মুলা বাতলে দিয়েছে?' তাকে বলি, এ বিষয়ে আমার তেমন কিছু জানা নেই। কয়েক দিন বেশ কয়েকটা পত্রিকায় দেশের বেশ কিছু প্রথিতযশা বিশ্লেষক হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ নিয়ে লিখে পণ্ডশ্রম করলেন। পণ্ডশ্রম এই কারণেই যে যেহেতু দেশের সর্বোচ্চ আদালত ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় পরিষ্কার বলে দিয়েছেন নির্বাচনকালীন সরকার নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দ্বারা গঠিত একটি সরকারের অধীনেই হবে, সেহেতু বিষয়টা নিয়ে এই মুহূর্তে বিতর্ক করার কোনো অবকাশ নেই। তবু এই বিশ্লেষকদের চেষ্টা যেকোনোভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ফেরত যাওয়া যায় কি না। এতে তাঁদের কারো কারো পক্ষে তেমন একটা সরকারের উপদেষ্টা হওয়া যাবে। কারো কারো ভাগ্যে বিদেশি দূতাবাসে রাষ্ট্রদূতের চাকরিও জুটে যেতে পারে। একজন বিদগ্ধ বিশ্লেষক লিখলেন, 'হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা হবে দুই নেত্রীর জন্য এক্সিট রুট।' যখন এই পর্যবেক্ষণ আওয়ামী লীগ নাকচ করে দিয়ে বলল, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ীই হবে, তাতেও এই পণ্ডিত বিশ্লেষকরা নিরুৎসাহ হলেন না। আমার এক কবি-সাংবাদিক বন্ধু লিখলেন, 'তাহলে আওয়ামী লীগই বলুক সামনের নির্বাচন কিভাবে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়।' একটি দেশের নির্বাচন কিভাবে হবে তা কোনো দল ঠিক করে না। তা উল্লেখ থাকে সংবিধানে। নির্বাচনে কোনো একটি দল অংশগ্রহণ করবে কি না তা একান্তভাবে দলীয় সিদ্ধান্ত। এখানে জোরজবরদস্তির কিছু নেই। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপিকে অংশগ্রহণ করাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের ছাড় দেওয়ার অফার দিয়েছিলেন। সেই যাত্রায় বিএনপিকে নির্বাচনে আনা যায়নি। কারণ বিএনপি আর তার মিত্ররা মনে করেছিল, তারা এমন এক গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হবে, যাতে 'বাপ-বাপ' করে আওয়ামী লীগ তাদের ফর্মুলা অনুযায়ী নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। বিএনপি এটি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের পক্ষে কোনো সুস্থ রাজনৈতিক আন্দোলন করা সম্ভব নয়। পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যা আর জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন করা এক জিনিস নয়। বস্তুতপক্ষে বেগম জিয়া আর তাঁর দল একবারই আন্দোলন করেছিল এবং তা এরশাদবিরোধী আন্দোলন। তবে সেই আন্দোলন তত দিন সফল হয়নি যত দিন আওয়ামী লীগ তাতে সম্পৃক্ত হয়নি। হাইকোর্টের যে পর্যবেক্ষণ নিয়ে একটা বিতর্ক সৃষ্টির ব্যর্থ চেষ্টা করা হচ্ছিল, তা ছিল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দুটি পৃথক রিটের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া। রিট দুটি করেন জনৈক শাহরিয়ার মজিদ ও খন্দকার আবদুস সালাম। সুপ্রিম কোর্ট বিভাগের হাইকোর্ট ডিভিশন রিটটি খারিজ করে দেন। তবে এক পর্যবেক্ষণে বলেন, নির্বাচনকালে প্রধানমন্ত্রীসহ যেকোনো মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত নাকচ করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া উচিত। এখানে রিটের তর্কিত বিষয় ছিল, ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টা, অন্য কিছু নয় এবং মহামান্য আদালত রিটটি খারিজ করে দিয়েছেন। পরেরটা পর্যবেক্ষণ, রায়ের কোনো অংশ নয় এবং তা মানতে কেউ বাধ্যও নয়। পর্যবেক্ষণ আরো আছে। বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচনে বিজয়ী দল প্রথম চার বছর দেশ শাসন করবে। এরপর দেশ শাসন করবে প্রধান বিরোধী দল। এর সঙ্গে লেজও আছে। বলা হয়েছে, প্রধান বিরোধী দলকে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রাপ্ত ভোটের অন্তত অর্ধেক ভোট পেতে হবে। তবে তা যদি বিরোধী দল না পায়, তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলেরই পাঁচ বছরের দেশ শাসনের ম্যান্ডেট মেনে নিতে হবে। এমন কিছু পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ আরো আছে, যা চিন্তা করতে গেলে আমার মতো আইন বিষয়ে নাবালকের মাথা ঘুরে যাওয়ার মতো। তবে যেহেতু এটি আদালতের পর্যবেক্ষণ বিষয়ে আলোচনা সেহেতু পুরো বিষয়টা বিশ্লেষণ করলে অনেকের মনে হবে, এটি রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো জটিল ও ঘোলাটে করার একটি ভালো রেসিপি। তবে আশার কথা হচ্ছে, শুধু রাজনীতিবিদ আর 'সুশীল বাবু'রা নন, দেশে সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু হোক, তা প্রত্যাশা করেন দেশের উচ্চ আদালতও। এই রিট মামলায় মহামান্য আদালত দেশের বেশ কজন খ্যাতিমান আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে রেখেছিলেন। তাঁদের মধ্যে আবার সুজনের বদিউল আলম মজুমদারও ছিলেন। কোন যোগ্যতায় তিনি এই খ্যাতিমানদের দলে অন্তর্ভুক্ত হলেন তা জানা থাকলে আমাদের মতো নাদানরা খুশি হতেন। আমাদের অনেক পণ্ডিত বিশ্লেষক কোনটা রায় আর কোনটা পর্যবেক্ষণ, তা হয় বোঝেন না অথবা বুঝেও সাধারণ জনগণকে তা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্ত করেন। ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার তর্কিত বিষয় ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না তা ফয়সালা করার। দেশের সর্বোচ্চ আদালত পরিষ্কারভাবে রায়ে বলেছেন, যেহেতু একটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় এক মিনিটের জন্য দেশ পরিচালনার ভার কোনো অনির্বাচিত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছে যাওয়া উচিত নয় সেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হলো। সংসদ চাইলে আগামী দুটি সাধারণ নির্বাচন এমন একটি সরকারের অধীনে হতে পারে- তা ছিল স্রেফ পর্যবেক্ষণ। আর তা নিয়ে বিরোধী দল তো বটেই, নষ্ট সুশীলরা রাতের ঘুম হারাম করে ফেললেন। বেগম জিয়া আর তাঁর দল তো দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধই ঘোষণা করে দিল। মূল ঘটনা হচ্ছে, বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে দেশে যে একটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে, তা অনেকেরই পছন্দ নয়। তারা খোলামেলাভাবেই তা বিনষ্ট করতে বেশ অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছে। এতে যেমন আছে দেশের কিছু মিডিয়া আর নষ্ট হয়ে যাওয়া সুশীল ব্যক্তি, তেমনি আছে কিছু বিদেশি শক্তিও। সবাই মোটামুটি বুঝে গেছে বিএনপির সূর্য এখন অনেকটা স্তিমিত। তাদের পক্ষে পুনরায় রাজনীতিতে ফিরে আসা কঠিন হবে। এরই মধ্যে বেগম জিয়া শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন একসঙ্গে টেকসই গণতন্ত্রের জন্য কাজ করতে। তবে সে গণতন্ত্র কি পেট্রলবোমার সঙ্গে আসবে, নাকি অন্য কিছু, তা তিনি খুলে বলেননি। বর্তমান সরকারের সামনে রাস্তার বিরোধী দল থেকে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। এই মুহূর্তে তাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দল ও অঙ্গসংগঠন থেকে সব আগাছা উপড়ে ফেলে বর্তমান অবস্থানকে মজবুত করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। পুবের একটি দেশ বাংলাদেশ থেকে পাঠানো তাদের নিয়মিত রাজনৈতিক প্রতিবেদনে বলেছে, বর্তমান সরকার বেশ ভালো অবস্থায় আছে। অবস্থান ধরে রাখতে পারলে তারা আরো দুই টার্ম ক্ষমতায় থাকতে পারবে। তবে তারা শঙ্কা প্রকাশ করে লিখেছে, সরকার যদি সতর্ক না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে দেশে বেশ কিছু খুনখারাবি হতে পারে। আশা করি, শুধু শুধু খই না ভেজে সবাই সামনের দিকে তাকিয়ে দেখবে আর সরকার থেকে দলকে পৃথক করে তাকে আরো কিভাবে কার্যকর করা যায় সে কর্মসূচি গ্রহণ করবে। আব্দুল মান্নান, দৈনিক কালেরকণ্ঠ ৩১ আগস্ট ২০১৫
©somewhere in net ltd.