![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের বর্তমান রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থান ও ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিএনপির অস্তিত্ব ও সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে পণ্ডিতজনের মনে জাগ্রত হওয়া এসব প্রশ্ন থেকেই আবার একেকজন বদ্যি-ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞ বিএনপিকে একেক রকমের দাওয়াই দিয়ে যাচ্ছেন। অসুস্থ রোগীর পাশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ভূমিকায় নানা প্রান্তের মানুষ ভিড় জমিয়েছে। প্রথমে সরকারি দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সারির নেতা ও মন্ত্রীরা বিএনপির বর্তমান রোগ সারানোর ওষুধ-পথ্য দিলেও এখন দেখা যাচ্ছে সুশীল সমাজ তথা নাগরিক সমাজের মধ্য থেকেও দলটির জন্য আসা শুরু হয়েছে নানারূপ পরামর্শ। এসব পরামর্শের প্রথমেই থাকে আগামীতে বিএনপি যেন পূর্বের মতো রাজনৈতিক ভুল আর না করে বসে। সে সঙ্গে অনেকে আবার বিএনপিকে এরূপ পরামর্শও বিতরণ করছেন যেন দলটি আশির দশকের অচল রাজনৈতিক মতবাদ ও স্লোগান পরিহার করে সময়োপযোগী আদর্শ ও স্লোগান নিয়ে সাধারণের সম্মুখে হাজির হয়। বাঙালি ও বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস স্বীকারসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান করে। পাশাপাশি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের প্রশ্নেও স্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে তরুণ সমাজের সামনে পরিকল্পিত রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়ে বিএনপি হাজির হবে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে দাওয়াই-ই বেশি দিচ্ছেন। কিন্তু এসব দাওয়াই দলটির হজম হবে কিনা তা কেউ ভাবছেন বলে মনে হয় না। এই শ্রেণিভুক্ত উপদেশদাতাদের বিশ্বাস একদা মুসলিম লীগের আদর্শে বিএনপি বেষ্টিত এবং আচ্ছন্ন থাকলেও দলটির প্রায় ৯০% নেতাকর্মী নাকি বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে- মান্যও করে। কিন্তু বিগত কয়েক বছরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিএনপিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ৯০% নেতাকর্মী আছেন- এমন বক্তব্যে আমাদের প্রত্যয় হয় না। বিশেষ করে এ বছরের ৫জানুয়ারি থেকে বিএনপি নেত্রীর ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ’-এর যে ঘোষণায় এ দেশের শতাধিক নিরীহ মানুষকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে, হাজার হাজার যানবাহন ভস্মীভূত হয়েছে তাতে ইতিবাচক রাজনীতি নিয়ে নিকট ভবিষ্যতে বিএনপি মাঠে দাঁড়াতে পারবে এমন ধারণায় আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
সম্প্রতি জয়পুরহাট জেলা বিএনপির এক নেতার জেলগেট থেকে পুনর্বার গ্রেপ্তার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এক বিবৃতিতে বেগম খালেদা জিয়া সরকারের নেতিবাচক সমালোচনা করার ফাঁকে সরকারকে সহযোগিতারও (!) আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা জানি, ৫ জানুয়ারি বিএনপি নেত্রীর ডাকা ‘অনির্দিষ্টকালের অবরোধ’ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি, কেবল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামে তথাকথিত অবরোধ ‘শিথিল’ করা হয়েছিল মাত্র! সুতরাং ‘এই সরকারের পতন না ঘটিয়ে ঘরে ফিরবো না’- বলে যে অবরোধ ডাকা হয়েছিল আমরা এখনো তার মধ্যেই আছি! অনির্দিষ্টকালের সেই অবরোধ কর্মসূচির ফলে এ দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে, বিনষ্ট হয়েছে শতাধিক মানুষের অমূল্য জীবন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে বেঁচে থাকা পঙ্গু মানুষের ট্রাজিক বেদনার ভারে ভয়ঙ্কর সেই কর্মসূচির কী হাস্যকর পরিণতি! ভাবলেই ছি ছি করতে ইচ্ছে করে। আবার দেখি, বিএনপিকে এ দেশের মানুষ- আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মী ও মন্ত্রী থেকে শুরু করে সুশীল সমাজের নাগরিক সবাই এত ভালোবাসেন যে, তারা সবাই এখন নানা রকমের দাওয়াই-পথ্য দিয়ে রুগ্ণ, পীড়িত ও ক্ষয়িষ্ণু বিএনপিকে সারিয়ে তোলার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন- ‘ব্রাভো’! জামায়াতী ও জঙ্গিবাদী জড়া ও জড়ত্ব ত্যাগ করে বিএনপি সুস্থ হোক- বিএনপি সুস্থ হলে জাতিও কিছুটা স্বস্তি পাবে বলে আপাতত আমরা বিশ্বাস করে থাকি।
আওয়ামী লীগে আশঙ্কা :
সঠিক পথে থাকা কষ্টের। প্রয়োজন হয় অনেক ধৈর্য। কিন্তু ক্ষমতা থাকলে কিংবা ক্ষমতায় থাকলে সাধারণত মানুষের কষ্ট করার ধৈর্য থাকে না। তাই ‘শর্টকাট’ পন্থা অবলম্বনই অনেকের আরাধ্য হয়ে ওঠে। অধৈর্যে অন্যায্য ও অনৈতিক নানা কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে থাকে ক্ষমতাবানদের কেউ কেউ। ফলে সৃষ্টি হয় সংঘাত ও সংঘর্ষের। দলের চেয়ে ব্যক্তি হয়ে ওঠে প্রধান বিবেচ্য। ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব, কর্তৃত্ব ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার কোন্দল চলে দলের ভেতরে ও বাইরে। বড় দল হলে তার কোন্দলও হয় বড়- এর মাত্রাভেদও হয় বড় বড়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের ভেতর এক অদৃশ্য উত্তেজনা আছে। তাই ছোটখাটো নানা বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় নানা প্রকার মতভেদ ও মতবিরোধ। এসব মতভেদ, মতবিরোধ কিংবা কোন্দল ও হানাহানির পরিপ্রেক্ষিতে দলটির সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বিগত ২৬ আগস্ট জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত ‘জাতীয় শোক দিবসের সভায়’ মহানগর নাট্যমঞ্চে দেয়া ভাষণে আওয়ামী লীগের সব স্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর বারবার অনাকাক্সিক্ষত আঘাতের আশঙ্কাও ব্যক্ত হয়েছে। উপরোক্ত পরিপ্রেক্ষিতে সৈয়দ আশরাফের এই নির্দেশনামূলক বক্তব্যকে দলের বিভিন্ন সারির নেতাকর্মীদের অবশ্যই গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন বলে আমাদের মনে হয়। অন্তর্কোন্দলে জড়িয়ে পড়া নেতাকর্মীরা শেষ পর্যন্ত দলের সর্বনাশই ডেকে আনে- ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্তের অভাব নেই। পৃথিবীর তাবৎ রাজনৈতিক ইতিহাসের বিশ্লেষণে এরূপ সত্যের বিকল্পও কিছু দৃষ্ট হয় না। সুতরাং সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যকে আমরা সময়োচিত বলে গ্রহণ করি- মেনে নিই। আর সময়োচিত এই বক্তব্যের মৌল নির্দেশনাটি দলের তৃণমূল পর্যায় থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের সব নেতাকর্মীর কাছে ইতিবাচকভাবে পৌঁছাবে- সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমরা তাই প্রত্যাশা করি। কারণ এ দেশের সাধারণ মানুষর উপলব্ধিও সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যের মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে- প্রতিধ্বনিত হয়েছে।
এ দেশের সাধারণ মানুষও নিত্য প্রত্যক্ষ করছে- উপলব্ধি করছে যে, স্বাধীনতাবিরোধী এবং বিশেষত আওয়ামী বিদ্বেষী চক্র মুহুর্মুহু নানা ফন্দিফিকিরে ব্যস্ত। সুযোগ পেলে যে কোনো সময়েই এই চক্রটি জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর যে কোনো ধরনের আঘাত হানবে। আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদী অপতৎপরতার সাহায্য নিয়ে আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকারকেও যে কোনোরূপ বিপদে ফেলতে চক্রটির তৎপরতা আছে বলেই মানুষের বিশ্বাস। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুনরায় এই ভূগোল-বাংলায় যখন প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে তখন থেকেই তার ওপর আঘাত আসা শুরু হয়েছে বিভিন্নভাবে। তৎকালীন সরকারি মদদে ২১ আগস্টের জনসভাকে সেই নরঘাতকরা মৃত্যুপুরী বানিয়ে তুলতে চেয়েছিল। চেয়েছিল জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও নিশ্চিহ্ন করে দিতে। ঘাতকরা সেদিন পুরোপুরি সফল হয়নি- আংশিক সাফল্য অর্জন করে অন্ধকারে লুকিয়ে পড়েছে পুনরায় আঘাত করার জন্য। বিশ্বের বুক থেকে জঙ্গিবাদী তৎপরতা নিশ্চিহ্ন করার যে প্রত্যয় জননেত্রী ঘোষণা করেছেন সে জন্য তিনিই পরিণত হয়েছেন এ দেশীয় স্বাধীনতা বিরোধীসহ জঙ্গিবাদী বিদেশি শত্রুদের ‘টার্গেট’ হিসেবে। পাশাপাশি দারিদ্র্য দূরীকরণসহ এ দেশের মানুষকে উন্নত জীবনদানের লক্ষ্যে জননেত্রী যে সংগ্রাম-সাধনা করে চলেছেন- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে যে অপরিমেয় পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তার জন্যও তিনি চিরদিনের চিহ্নিত শত্রুদের ‘একমাত্র টার্গেটে’ পরিণত হয়েছেন। সুতরাং আওয়ামী লীগের সব স্তরের নেতাকর্মীদের এ কথা আমলে নিতে হবে এবং সে মতো দলীয় স্বার্থে কাজ করতে হবে। ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য দলের ভেতর কোন্দল ও হানাহানির পথ পরিহার করতে হবে। কোন্দল বা হানাহানি সৃষ্টিকারী এসব নেতাকর্মীদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, কোনো কারণে আওয়ামী লীগ বিচ্যুত হলে, কোনো কারণে জননেত্রীর জীবন বিপন্ন হলে যে কোনো মানের নেতাকর্মীদের এককথায় ‘খবর’ আছে বলা ছাড়া উপায় নেই। এসব আশঙ্কাজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটুক তা আমরা চাই না। কিন্তু সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের কোনো বিকল্প নেই। এ সতর্কতার পূর্বশর্ত ঐক্যবদ্ধ থাকা। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যথার্থই বলেছেন- ‘ঐক্যবদ্ধ না থাকলে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যেতে পারে। ক্ষমতায় আছি বলেই কিন্তু আমরা নিরাপদ নই।’ এসব কথা বলার পর তিনি বিরোধী শিবিরের নানারূপ ষড়যন্ত্রের প্রতিও ইঙ্গিত প্রদান করেছেন। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের অঙ্গ সংগঠনের কর্মীদের মধ্যে নানা ধরনের অসন্তোষে সৃষ্ট সংঘাত ও হানাহানির জের ধরে গণমাধ্যমে অসংখ্য ঋণাত্মক খবর প্রকাশিত হয়েছে। এসব খবরের ঋণাত্মক প্রভাবে জনমনেও শঙ্কা-আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাপ্রবাহে সব দোষ বা দায় শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ তথা সরকারের কাঁধের ওপরই বর্তায়- বর্তিয়েছে। ফলে ক্ষুণœ হয়েছে সরকারের ভাবমূর্তি। শুধু তাই নয়- আওয়ামী বিদ্বেষী শিবির এসব ঘটনার গুরুত্ব দিতে গিয়ে ‘তিল’কে ‘তাল’-এ পরিণত করে গণমাধ্যমকে উত্তপ্ত করে তোলা হয়েছে মাঝেমধ্যে। তবু সামগ্রিক বিবেচনায় সৈয়দ আশরাফের ২৬ তারিখের আশঙ্কিত বক্তব্যকে নেতাকর্মীদের আমলে নেয়া প্রয়োজন। তাদের ভাবতে হবে জননেত্রী শেখ হাসিনা শত্রুর টার্গেট, আওয়ামী লীগ শত্রুর টার্গেট এবং স্বাধীনতার সপক্ষের লাখো কোটি আম-জনতাও শত্রুর টার্গেট- এই ভেবে দলীয় সব স্তরের নেতাকর্মীদের সম্বিত ফেরানোর এখনই সময়- জাগ্রত হওয়ার এখনই সময়।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেয়া এ দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক তৎপরতা নিয়ে বিভাজিত মনোভাব পোষণ করলেও সরকারের গৃহীত অনেক কর্মকাণ্ড নিয়ে তাদের মনে কোনো প্রশ্নের চিহ্নমাত্র নেই। বরং বলা চলে, সরকারের উন্নয়ন স্ট্র্যাটেজিকে জনগণ সর্বদা সমর্থনই দিয়ে যাচ্ছে। কারণ এ দেশের জনগণ দেখেছে বর্তমান সরকারই জনগণকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও অর্জন সম্ভব হয়েছে ব্যাপক সাফল্য। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ দরিদ্র থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে- এই সাফল্যের পশ্চাতে জনগণের মতো সরকারের স্ট্র্যাটেজিক কৃতিত্বও কম নয়। দলীয় অনৈক্য কিংবা কোন্দল সরকারের পরবর্তী উন্নয়ন পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নে যেন কোনো বাধা হয়ে না দাঁড়ায় এবং ‘অনাকাক্সিক্ষত আশঙ্কা’ যেন হঠাৎ নেত্রী বা দলের ওপর থাবা বসাতে না পারে সেজন্য সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যকে আওয়ামী লীগের সব স্তরের নেতাকর্মীর ‘অবশ্য করণীয়’ রূপে গ্রহণ করা উচিত। কারণ উন্নয়নের মহাসড়কে মুখথুবড়ে পড়ে থাকা দেশবাসীর কাম্য নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩১
জেকলেট বলেছেন: ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা গেলো!!!!