নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রপ্তানিতে সুখবর

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

অর্থনীতি যেকোনো দেশের মূল চালিকাশক্তি। অর্থনীতির ওপর ভর করেই দেশ এগিয়ে যায়; মানুষের জীবনমান উন্নত হয়। আর বর্তমান মুক্তবাজার অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে শক্ত উপস্থিতি থাকতে হয়। বহির্বাণিজ্যের ভিত যত শক্ত হয়, বিশ্বপরিমণ্ডলে প্রভাবও তত বেশি থাকে। প্রাকৃতিক সম্পদ, সস্তা শ্রমসহ নানা উপকরণে সমৃদ্ধ বলে বাংলাদেশকে অনেকেই অর্থনীতির উদীয়মান বাঘ বলে থাকে। কিন্তু আমরা সেই সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছি না নানা প্রতিবন্ধকতায়, যার অন্যতম হচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। তবে আশার কথা হচ্ছে, বছরের প্রথম তিন মাসের রাজনৈতিক সহিংসতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে দেশ মোটামুটি একটা স্থিতিশীল পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং স্বাভাবিকভাবেই অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
গতকাল কালের কণ্ঠে 'রপ্তানি আয়ে চমক' শীর্ষক এক খবরে বলা হয়, অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে হোঁচট খাওয়ার পরও ঘুরে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় মাসে চমক দেখিয়েছে রপ্তানি খাত। আয় বেড়েছে ২৮ শতাংশ। বৃদ্ধির এই হার লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৮ শতাংশেরও বেশি এবং এক মাসে এত বেশি হারে রপ্তানি বৃদ্ধির রেকর্ড নিকট অতীতে নেই।
পোশাক খাতের রপ্তানি বৃদ্ধির সঙ্গে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার রয়েছে ওতপ্রোত সম্পর্ক। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বহু বিদেশি ক্রেতা তাদের কার্যাদেশ প্রত্যাহার করে নেন। এ কারণেই গত জুলাইয়ে এ খাতে রপ্তানির হার ছিল উদ্বেগজনকভাবে কম। আগস্টে যে রপ্তানি আয় হয়েছে, তার বেশির ভাগই এসেছিল এপ্রিল মাসে। আশা করা যায়, আগামী মাসগুলোতে তা আরো বাড়তে পারে।
রপ্তানি আয় আশার চেয়েও বেশি হওয়ার খবরটি এমন এক সময় এসেছে, যখন চীন, কানাডাসহ বিশ্বের বড় অর্থনীতির কোনো কোনো দেশেও প্রবৃদ্ধির হার নিম্নমুখী। আমাদের অগ্রগতির এই ধারা যাতে ব্যাহত না হয়, বরং একে যাতে আরো বেগবান করা যায়, সে চেষ্টাই এখন আমাদের করতে হবে। সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি- এমন বুলি আওড়ালেও বাস্তবে দেখা গেছে, ক্ষমতার প্রয়োজনে কিংবা দলীয় স্বার্থে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করতে আমরা দ্বিধা করি না। দেশের স্বার্থেই এ প্রবণতা পরিত্যাগ করতে হবে। কোনো অজুহাতেই দেশের অর্থনীতির চাকা থামিয়ে দেওয়া যাবে না। একইভাবে অবহেলা করা যাবে না সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে।
কালের কণ্ঠের খবরেই বলা হয়েছে, মূলত পোশাক খাতের আয় বাড়ার ফলেই গড় রপ্তানি আগস্টে বাড়ে। সে তুলনায় ছোটবড় অনেক পণ্যের রপ্তানি আয় গত দুই মাসে কমে যায়। এর মধ্যে চিংড়ির রপ্তানি আয় ৪০.৬৫, হিমায়িত খাদ্য ৪০ এবং মৎস্য ও চিংড়ি খাতের অন্যান্য পণ্যে ৬৪.২৯ শতাংশ আয় হ্রাস পায়। হ্রাসের তালিকায় আরো খাত আছে। এত খাতের রপ্তানি আয় হ্রাস কেন হলো, তা খতিয়ে দেখে সে অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.