![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষাক্ষেত্রে বার বার সাফল্যগাথা উচ্চারিত হওয়ার কারণেই হয়তো নাশকরা শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা কয়েকটি অপকৌশল প্রয়োগ করবে। ছাত্রছাত্রীদের উত্তেজিত করার অনেক লাইন পাকা করেছে। ভর্তি নিয়ে তেলেসমাতির ঘটনায় যথেষ্ট বদনাম হয়েছে। ভর্তির জন্য কোনো বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি সরকার আবিষ্কার করতে পারেনি। যে কারণে বার বার হয়রানির শিকার হচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা সঙ্গে সরকারও। শিক্ষাকে উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করাই ছিল মূল অস্ত্র। সে অস্ত্র সরকার হাতে পায়নি। সম্ভবত অল্প সময়ে পাবেও না। পে-স্কেল নিয়ে গ-গোল শুরু হয়েছে তাতে মনে হয় সম্ভাবনা আরো বহুদূর পিছিয়ে যাবে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে কোনো রকম নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাসহ বেসরকারি কলেজ-স্কুলের শিক্ষকরা পে-স্কেল নিয়ে মারাত্মকভাবে অসন্তুষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের খেপানোর চেষ্টাচরিত্র করা হচ্ছে বহুদিন ধরেই। কিন্তু বোধাবোধসম্পন্ন শিক্ষকরা ষড়যন্ত্রের জালে ধরা দিচ্ছে না। বিএনপি-জামায়াত ভাবছে পঁচাত্তরের আগে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বড় অংশের সমর্থন পাওয়া গিয়েছিল এখন আবার তেমনটা পাবে। কিন্তু পুরাতন মুসলিম লীগ ঘরানার শিক্ষকরা অবসরে গেছে। দু-চারজন যারা আছে, তাদের আবার শিক্ষক সমাজে কোনো প্রভাব নেই। জামায়াত বিএনপির মিথ্যাচারে খুব একটা কাজ হচ্ছে না। তারা এখন বেশিসংখ্যক দলীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে চাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ভুল করলে তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে পারে।
বিএনপি-জামায়াতের এখনকার উদ্দেশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সরকারের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ অবস্থানে নেয়া। তারা প্রচার করতে শুরু করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই প্রতিবাদী রাজনীতির জন্ম হয়। অতীতের উদাহরণ দেয় তারা। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হচ্ছে না। কেননা, শিক্ষকসমাজ জানে, বাংলাদেশ এখন আর কলোনি নেই পাকিস্তানের। এখন বাংলাদেশ স্বাধীন। কিন্তু তাই বলে বিএনপি-জামায়াত চুপ করে বসে নেই। তারা পে-স্কেল নিয়ে শিক্ষকসমাজের অবমাননাকে কাজে লাগাতে চায়।
বর্তমান যে পে-স্কেল তৈরি করেছে, কয়েকজন আমলা মার্কা লোক তারা কখনই বিশেষজ্ঞ নয়। তারা আবার ষড়যন্ত্রীদের কনিষ্ঠ। এদের গুরুরা আবার আওয়ামী সরকারকে পছন্দ করে না। যারা নিজে অভিলাষী ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অনেক অভিযোগ আছে। যদি সন্দেহ করা যায় যে, পে-স্কেলের মাধ্যমে শিক্ষকসমাজকে বেইজ্জতি করিয়ে তাদের শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর জন্যই ষড়যন্ত্রীরা একাজ করেছে, তবে কি খুব একটা ভুল বলা হবে?
স্মরণকালের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যক শিক্ষক শেখ হাসিনার সরকারকে সমর্থন করেছে কেবল শেখ হাসিনাকে সমর্থন করার জন্যই। তারা আওয়ামী লীগকে চোখ বুজে সমর্থন করে না। কিন্তু একটা আশা তাদের আছে। তারা ভাবছে, আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তরা দূর হয়ে যাবে এবং পরিচ্ছন্ন নেতৃত্ব পাওয়া যাবে। তারা কেবল শেখ হাসিনাসহ দু-একজনকে দুর্নীতিবাজ মনে করে না। যে কারণে অন্ধ সমর্থন আওয়ামী সরকার পাবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা পাচ্ছে। কারণ কী? এটি রাজনীতির ইতিহাসে একটি অভিনব ঘটনা। এমন ঘটনা সাধারণত ঘটে না। শেখ হাসিনা যে শিক্ষকসমাজের সমর্থন পেয়েছেন, সেটি তার অর্জন, আবার শিক্ষক সমাজ যে তাকে সমর্থন দিয়েছেন, সেটাও তাদের অর্জন। এটা কিভাবে সম্ভব?
বাংলাদেশে এক অনন্য উদাহরণযোগ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনাকে ছাড়িয়ে গেছে সামাজিক বিবেচনা। রাজনৈতিক বিষয়াদি সামাজিক বিবেচনায় বিচারকৃত হচ্ছে। মূলত মৌলবাদী আগ্রাসনের কারণে। বাংলাদেশের অতীত ইতিহাসে দেখা গেছে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেই বিবেচনা পরিবর্তিত হয়। কিন্তু পটপরিবর্তনেই বিবেচনা পরিবর্তিত হচ্ছে না। যেমন কায়েদে আযম পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর পরই মুসলমানের পাকিস্তান তত্ত্ব বাদ দিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন, আমরা সবাই পাকিস্তানি। পাকিস্তান আমলে ধর্ম নিয়ে বিশেষ বাড়াবাড়ি করা হয়নি। কিন্তু এখন অবস্থা পরিবর্তিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে যেমন, ক্ষমতাচ্যুত হলেও তেমন ধর্মীয় জোশ বেড়ে যায়। ধর্মান্ধতা গ্রাস করে রাষ্ট্রকে, সমাজকে, মৌলবাদীরা দ্বিধাহীন চিত্তে নরহত্যায় লিপ্ত হয় ধর্মের ভ্রান্ত ব্যাখ্যার কারণে। এত বেশি বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা এর আগে দেখা যায়নি। যে কারণে দেশের শিক্ষিত আলোকিত মানুষ নিছক রাজনৈতিক কারণে বিরোধিতার জন্য বিরোধিতার বিষয়টি ত্যাগ করছে। যারা এক সময় রাজনৈতিক কারণে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করেছে তারা নিছক রাজনৈতিক সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিতে আওয়ামী লীগকে, বিশেষ করে শেখ হাসিনাকে বিচার করতে চায় না। তারা ভালো মতো বুঝে গেছে, বাংলার সমাজ থেকে ধর্মান্ধতার মূল শিকড় নির্মূল করা না গেলে ভবিষ্যতে দেশটির এবং জাতিরও অস্তিত্ব থাকবে না। এ ধরনের পরিস্থিতিতেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কিংবা মাতাদর্শকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে দুই ধরনের অর্জন শক্তি হিসেবে বলবৎ হয়। রাজনীতি বিজ্ঞানের ইতিহাসে এমন ধরনের ঘটনা বিরল। হয়তো একদিন রাজনীতি বিজ্ঞানীরা উদাহরণ হিসেবে এমন ধরনের ঘটনার উল্লেখ করবে শেখ হাসিনার নাম নিয়ে।
শেখ হাসিনার আরো একটি বড় অর্জন কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রাণ সঞ্চার করা। কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্ব ভাগাভাগির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। কমিউনিটি ক্লিনিককে সামাজিক করতে পারলেই সামগ্রিক সামাজিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। এখন উন্নয়ন চোখে দেখা যাবে না। কিন্তু বছর বিশেক পরেই সামাজিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন দেখে সেদিনের মানুষ আজকের সিদ্ধান্তের গুরুত্ব বুঝতে পারবে।
জেনারেল উইল নিয়ে হাজার হাজার কথা আছে। সাধারণ মানুষের প্রকৃত প্রয়োজন ও বাঞ্ছার সংশ্লেষণ। প্রকৃত প্রয়োজন বোঝে কজন? কোনো এক ব্যক্তির মনোজাগতিক কল্যাণ জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশও হতে পারে জেনারেল উইল। আবার সাধারণ মানুষের সমবেত ঐকতানও হতে পারে। কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা ও সচেতনতা প্রত্যন্তের মানুষকে সুস্থ রাখবে এবং সামাজিক স্বাস্থ্যের যে উন্নয়ন হবে তাতে সামাজিক বিজ্ঞান মনস্কতা উচ্চমাত্রা প্রাপ্ত হবে এ কারণে যে স্বাস্থ্যগত কুসংস্কারের হাত থেকে সাধারণ এবং অশিক্ষিতরা বেঁচে যাবে। স্বাস্থ্যগত কুসংস্কারও এক প্রকার ধর্মান্ধতা। ধর্মান্ধতার অনেকগুলো সামাজিক শর্ত আছে। আজকে যেমনভাবে ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা হচ্ছে, ত্রিশ/চলি্লশ বছর আগে সেভাবে করা হয়নি। তখনই সচেতন হওয়া গেলে আজকে এত দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করবে, স্বাস্থ্যসেবা তো দেবেই। তিনি যে ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন সেটিই হবে কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রাণভোমরা। সরকার বদল হলেও যেন কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক স্বাস্থ্য সচেতনতার মোটিভেশনাল কার্যক্রম বন্ধ না হয় সেদিকটাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। রেসপনসিবিলিটি শেয়ারিং সিস্টেম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিককে গ্রামের মানুষের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। বলা হয়ে থাকে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের বিকাশ না হলে গণতন্ত্র প্রাণ পায় না। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশ কয়েকটি আছে ব্যবহারিক জীবন ও নিত্যজীবনের প্রতিষ্ঠান। তথাকথিত রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানই গণতন্ত্রের প্রাণশক্তি নয়। ব্যবহারিক জীবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিসেবিত হয় কিনা? তার ওপরেই গণতান্ত্রিক মানসিকতার বিকাশ নির্ভর করে।
বলা হয় কোনো দেশের মানুষ সুখী কিনা তা পরীক্ষা করতে হয় তাদের দেশের কৃষক-শ্রমিকের মুখ দেখে। কোনো দেশের স্বাস্থ্য ভালো কিনা তা বুঝতে হয় সে দেশের শিশুদের দেখে আর কোনো দেশের মূল্যবোধ সমুন্নত কিনা তা বুঝতে হয় সে দেশের ছাত্ররা শিক্ষককে সম্মান করে কিনা তা দেখে। কমিউনিটি ক্লিনিক আশা করা যায় আগামী বছর দশেকের মধ্যেই শিশু স্বাস্থ্যের বিপুল উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম হবে। ওইসব স্বাস্থ্যবান শিশুর মুখের দিকে চেয়ে মায়েরা-বাপেরা যদি আওয়ামী ভক্ত হয়ে যায় এই ভয়ে অনেকেই কমিউনিটি ক্লিনিকের বিরোধিতা করবে। আওয়ামী লীগ গেড়ে বসছে এই ভেবে নাশকরা কমিউনিটি ক্লিনিকের পেছনে থাকবেই। এসব নাশকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিরোধ আন্দোলনের ব্যাপারে এক ধরনের নিঃস্পৃৃহতা কাজ করে অনেকের মধ্যে। রাজনৈতিক মতাদর্শগত মতপার্থক্যের কারণে দোদুল্যমানতা বিরাজকরণে এমনটি হতে পারে। এক ধরনের মানুষ আছে, যারা নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের বলে প্রচার করে কিন্তু আওয়ামী সরকারকে কিংবা শেখ হাসিনাকে সমর্থন দেয় না। তাদের ধারণা তারা দেশের পক্ষে আছে। এদের বুঝতে হবে যে, আওয়ামী সরকারকে বিরোধিতা করার কারণে শেখ হাসিনাকে বিরোধিতা করা আর দেশের পক্ষে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের পক্ষে থাকার সামাজিক সমীকরণ মেলে না। শেখ হাসিনা বর্তমানে মানুষের স্বার্থে কাজ করছেন। তার অবস্থান কৃষক-শ্রমিকের পক্ষে। যতদিন তিনি সাধারণ মানুষের স্বার্থের পক্ষে থাকবেন ততদিন তো তাকে সমর্থন করাই যায়। এখন বাংলাদেশের প্রধান সামাজিক এবং রাজনৈতিক শত্রু মৌলবাদ। বাংলাদেশের সমাজ থেকেই মৌলবাদীদের জন্ম হচ্ছে। যে কোনো দরিদ্র এবং অশিক্ষিতকেই আন্তর্জাতিক মৌলবাদীচক্র কিনে নিতে পারে। এর বিপরীতে সাধারণ মানুষের উচিত হবে গণঐক্য গড়ে তোলা। গ্রাম-গঞ্জে, মহল্লায় মহল্লায় প্রতিরোধী কমিটি তৈরি করে মৌলবাদী তৎপরতাকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করার উদ্যোগ নিতে হবে। স্থানীয়রাই মৌলবাদীদের প্রকাশ্য কিংবা গোপন আখড়া ভালোভাবেই শনাক্ত করতে পারে। সরকারের উচিত হবে মোটিভেশনের মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষকেই প্রতিরোধ কমিটিতে সম্পৃক্ত করা। যে কোনো নিত্য ব্যবহারিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তিদের সম্পৃত্ত করলে তারাই উদ্যোগী হয়ে তাদের বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়স্বজনকে সঙ্গে নিয়ে একযোগে কাজ করবে। মৌলবাদকে সামাজিকভাবে অপসারণের জন্য অবশ্যই বিজ্ঞানমনস্কতার চর্চা করতে হবে। শুধু কেতাবি অর্থে চর্চা করলে খুব একটা ফায়দা হয় না। নিত্যজীবনে ব্যবহারিক চর্চা করতে হয়। তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিনিধিগুলো সে ব্যাপারে ভালো কাজ করতে পারে। প্রয়োজন পরিকল্পনা এবং অনুশীলন। গণসম্পৃক্ত হলেই কোনো না কোনোভাবে মোটিভেশনের কাজ করে।
মোটিভেশনের কর্মসূচির অনুশীলন করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকার দল ছেড়ে রাষ্ট্র চালনায় ব্যস্ত। দল না থাকলে তাদের পক্ষে ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে না। সাধারণ মানুষের গ্রহণযোগ্যতা না থাকলে দলও থাকবে না। বিএনপির অবস্থা দেখে কি সেটা বোঝা যায় না? বিএনপি যে শুকিয়ে মরে যাচ্ছে তার প্রধান কারণ তারা গণসমর্থন হারিয়েছে। এমন নয় যে, তারা আওয়ামী লীগের হাতে মার খেয়ে দিশাহারা হয়ে গেছে। তারা যদি গণসমর্থন ফিরে পায় তবে আবার সোজা হয়ে বুক চিতিয়ে দাঁড়াবে। তাদের অভিজ্ঞতাকে আমলে নিয়ে আওয়ামী লীগেরও উচিত হবে গণসমর্থন ধারাবাহিকভাবে বাড়ানো। এখন যে পর্যায়, তাতে কেবল কথায় কাজ হবে না। সব কাজে-কর্মে গণসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব হবে মোটিভেশনের কাজ করা। কেবল খাবে আর ঘুমাবে এবং মাঝেমধ্যে চালবাজি করবে তাতে আর কোনো কাজ হবে না। আশা করি আওয়ামী নেতৃত্ব বর্তমানে যে অবারিত সুযোগ পাওয়া গেছে, তাকে ঠিকভাবে কাজে লাগাবে এবং গণসেবার পথ কুসুমাস্তীর্ণ করবে।
ড. ইশা মোহাম্মদ: প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক। শিক্ষক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
©somewhere in net ltd.