![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, চ্যাম্পিয়ন্স অব দি আর্থ অর্জনের জন্য আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। বঙ্গবন্ধু মানবতার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তাঁর ভাবনায় ছিল বেঁচে থাকা মানে শুধু নিজে বেঁচে থাকা নয়, সকলকে নিয়ে বেঁচে থাকা। আপনার চেতনায় যে সে ভাবনা বহমান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আপনাকে এ অসামান্য পুরস্কার প্রদান করে তা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিল। এ অর্জন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের অর্জন, আমরা সকলে আজ গর্বিত। আমাদের মাথা উঁচু করে দেবার জন্য আপনি ধন্যবাদার্হ।
সকলকে নিয়ে বেঁচে থাকা বলতে বঙ্গবন্ধু বুঝতেন মানুষসহ জীবজগতের সকলকে নিয়ে ভালো থাকা। তাইতো যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে সকলে যখন নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত বঙ্গবন্ধু তখন ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য আদেশ জারি করলেন এবং ১৯৭৪ সালে এটিকে আইনে রূপ দিলেন। স্বাধীনতার তিন বছর পার না হতেই বঙ্গবন্ধু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য আইন প্রণয়ন করলেন অথচ ভারতের জনগণ এ আইন পেয়েছে স্বাধীনতার প্রায় ২৫ বছর পর। বঙ্গবন্ধুর মহাপ্রয়াণের ২১ বছর পর রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে আপনি প্রথমেই সকল বন্যপ্রাণী ধরা ও মারা বন্ধে জরুরি নির্দেশ জারি করলেন এবং সেটি আজও বলবত্ আছে।
বঙ্গবন্ধু শিখিয়েছেন মুক্তির পথচলা কখনও শেষ হয় না। এটি এক পর্বত থেকে অন্য পর্বতে আরোহণের মতো। আমাদের সকলকে আপ্লুত করে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে রবিবার, জুলাই ৩, ২০১১ সালে একটি গেজেট প্রকাশিত হলো। সংবিধানে ১৮ক অনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত হলো- “১৮ক। পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন। — রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যত্ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন”।
সংবিধানে এ ধরনের একটি অনুচ্ছেদের সন্নিবেশ ঘটিয়ে আপনি মানুষের বেঁচে থাকার নিরন্তর প্রচেষ্টাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। এটি একটি অত্যন্ত সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ছিল। কারণ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও সামাজিক অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে পরিবেশ সংরক্ষণ অতি জরুরি একটি বিষয়। কারণ প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সামাজিক পরিবেশ একে অপরকে প্রভাবিত করে। এর পরের বছরই অর্থাত্ ২০১২ সালে ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রাণী আইনটি ঢেলে সাজিয়ে জাতিকে নতুন বন্যপ্রাণী আইন উপহার দিলেন। কঠোর হলেন চোরা শিকারীদের বিরুদ্ধে। জাতীয় পশু বাঘ শিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছরের কারাবাস ও ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে এ আইনে।
বাঘ না বাঁচলে সুন্দরবন টিকে থাকবে না। কারণ বাঘ সুন্দরবনের প্রাকৃতিক প্রহরী। সুন্দরবনে বর্তমানে দেশের বর্তমান বনাঞ্চলের প্রায় অর্ধেক বন রয়েছে। সুন্দরবন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য এক প্রাকৃতিক ঢাল, সিডর ও আইলার সময় সে এদেরকে আগলে রেখেছিল। এছাড়া কয়েক লক্ষ মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভর করে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর।
বাঘ সংরক্ষণে আমাদের উন্নয়ন সহযোগী ইউ.এস.এ.আই.ডি বন বিভাগ ও ওয়াইল্ডটিমকে ২০১৪ সাল থেকে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এটি আপনার সত্ নেতৃত্বের প্রতি উন্নয়ন সহযোগিদের আস্থার বহিঃপ্রকাশ। গত কয়েক বছরে সরকার দেশে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে শুধু সংরক্ষিত এলাকাই দ্বিগুণ করেনি দেশের কুঞ্জবন, পবিত্র বৃক্ষ ও স্মৃতিবিজড়িত বৃক্ষ সংরক্ষণেও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে বিধান রেখেছে। এই সরকারই প্রথম বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করেছে এবং এর সুফল আমরা পেতে শুরু করেছি। সামাজিক বনায়নে আমরা সফল হয়েছি। বাংলাদেশ বছর দুয়েক আগে ‘কমিউনিটি বেজড অ্যাডাপটেশন টু ক্লাইমেট চেঞ্জ থ্রু কোস্টাল অ্যাফরেস্টেশন’ প্রকল্প সফল করে বিশ্বের ৩৭টি দেশের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ‘রানার আপ’ পুরস্কার অর্জন করেছে।
২০১১ সালে সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদের (২) দফার পর নতুন (৩) দফা সংযোগ করেছেন—“(৩) জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র নিশ্চিত করিবেন”। এর সুফল সমাজের সর্বস্তরের মহিলারা পেতে শুরু করেছে। ২০১২ সালে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের টেকনাফ এলাকার খুরশিদা বেগম ও তার ২৮ সদস্যের মহিলা দল বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ‘ওয়ানগারি মাথাই পুরস্কার’ অর্জন করেছেন। এ পুরস্কারটি আফ্রিকার প্রথম মহিলা নোবেল বিজয়ী কেনিয়ার ওয়ানগারি মাথাই এর স্মরণে দেয়া হয় যিনি টেকসই উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।
জাতিসংঘ এর সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস) পূরণে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আপনার ‘দৃশ্যকল্প ২০২১’ (ভিসন ২০২১) এর মাধ্যমে অনেকগুলো কার্যক্রম হাতে নিয়ে সফলতা অর্জন করেছে। এর মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য, প্রাথমিক শিক্ষা, নারী পুরুষের সমান অধিকার ও নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যুর হার, মায়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকি, বিভিন্ন রোগ নিরাময়, টেকসই পরিবেশ সংরক্ষণের নিশ্চয়তা ও উন্নয়ন সহযোগীদের আস্থা অর্জন। আমাদের বিশ্বাস এ সকল অর্জনের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে আপনি ইতোমধ্যেই নোবেল বিজয়ীর মর্যাদা অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ নাকি বিশ্বজলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর স্বাদ পেয়ে আসছে। সেসাথে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, খরা মোকাবিলা করতে হয়। এতকিছুর পরও আজকের বাংলাদেশে কেউ বলতে পারবে না যে, মানুষ অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের অভাব বোধ করছে। দেশে যদি শুধু স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করে আমার বিশ্বাস আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা খুব শীঘ্রই ছুঁয়ে দেখতে পারব।
২০০৯ সালে সরকার ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকসন প্ল্যান করেছেন এবং এর পরপরই ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড’ সৃষ্টি করেছে। ২০১০ সালে ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট আইন পাস করেছে। এ সবকিছুই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভুক্তভোগী মানুষের ভেতর আশার সঞ্চার করেছে, আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। এ তহবিলের অর্থ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ ২০২১ এর আগেই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, ইনশাআল্লাহ।
দেশের মানুষের সক্ষমতা বাড়ানোর সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যি প্রশংসনীয়। দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষ জনশক্তি এখন শতকরা ৯৬ ভাগ। অথচ স্বাধীনতা পরবর্তী দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থা আমাদের চাইতেও খারাপ ছিল। আমরা যেন আমাদের অর্জনের কথাগুলোও গুছিয়ে বলতে পারি এ সক্ষমতাও বাড়ানো দরকার। কিছু কিছু অর্জনের কথা বিশ্ববাসী জেনেছে বলেই আমরা ২০১২ সালে ক্লাইমেট প্রাইজ পেয়েছি এবং ‘ইউ এন ডি পি ইকুয়েটর প্রাইজ’ পেয়েছি।
যেহেতু আমি প্রাণীবিদ্যার ছাত্র এবং বন্যপ্রাণীরা আমার গবেষণার বিষয় তাই বারবার ওখানেই ফিরে আসতে চাই—এজন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আমার অনেক বিদেশি বন্ধু অবাক হন যে আমাদের এত ছোট দেশে, এত মানুষের ভীড়ে এখনও বাঘ কীভাবে টিকে আছে। তাদেরকে বলি বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র, ঢাকাসহ, এক সময় বাঘ ছিল। যদিও এখন সুন্দরবনই এদের শেষ আশ্রয়স্থল; তারা শুনে অবাক হন। সুন্দরবনে বাঘ টিকে আছে বঙ্গবন্ধুর ১৯৭৩ সালে নেয়া সঠিক সিদ্ধান্তের ফসল হিসেবে। বাঘ সংরক্ষণে বর্তমান সরকার যে যুগান্তকারী সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে তার ভেতর ‘বাংলাদেশ টাইগার এ্যাকশন প্ল্যান ২০০৯-২০১৭’ অন্যতম। দলিলটিতে বাঘের হুমকি ও তা মোকাবিলার বিশদ বিবরণ রয়েছে। সেসাথে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অবদানের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন’ চালু করেছে। আমি নিজেও ওয়াইল্ডটিমের পক্ষে এই সরকারের প্রধানের নিকট থেকে এটি গ্রহণ করেছি ২০১১ সালে। আপনার সরকার ২০১০ সালে বাঘ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী দ্বারা আহত বা নিহত হলে ভুক্তভোগীদের নগদ অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা করলো। বন বিভাগের সহায়তায় ওয়াইল্ডটিম সুন্দরবনের চারপাশের ৩৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে ২৯টি দলে বিভক্ত হয়ে ‘ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম’ ও ‘ফরেস্ট টাইগার রেসপন্স টিম’ গঠন করলো। গত ২০০ বছরে কোন বাঘ বন থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে এসে আবার বনে ফিরে যেতে পারেনি। ২০১০ ও ২০১২ সালে এ সকল স্বেচ্ছাসেবকের সহযোগিতায় বন বিভাগ ও ওয়াইল্ডটিম সর্বপ্রথম গ্রামে ঢুকে পড়া বাঘ অচেতন করে তাদেরকে রক্ষা করেছে। এর ফলে স্থানীয় মানুষের সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি আস্থা বেড়েছে।
এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোতে বাঘের সংখ্যা বাড়ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাঘ সংরক্ষণে পৃথিবীকে নেতৃত্ব দেবেন—এ আশা তো করতেই পারি। সুযোগ পেলে আমরা আপনাকে অতি নিকট থেকে জীবনের সবটুকু দিয়ে সহযোগিতা করতে চাই। একটু ভাবুন বাঘ না থাকলে আমাদের সুন্দরবন কী থাকবে? বাঘ না থাকলে আমরা কি নতুন কোন পশুকে জাতীয় পশুর মর্যাদা দিতে পারবো? আমরা কি আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের লোগো বদলে ফেলব? বেঙ্গল রেজিমেন্টের যোদ্ধারা বাঘের লোগো দেখে সাহসী হয়েছিলেন এবং স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে সবটাই করেছেন। তাঁদেরকে কী উত্তর দেব? বঙ্গবন্ধু—বাংলাদেশ—বাংলার বাঘ—এগুলো আমাদের মর্যাদার জায়গা। তাই বাঘ সংরক্ষণে আপনাকেই নেতৃত্ব দিতে হবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
বর্তমান সরকার সমুদ্র বিজয়ের পর নীল অর্থনীতির (ব্লু ইকোনমি) ঘোষণা দিয়েছে। আমাদের বঙ্গোপসাগর এখন সমুদ্রের বহু কোটি বর্গকিলোমিটারের সাথে যুক্ত হয়েছে। জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ে সম্প্রতি ‘এসকাপের’ সভায় বলা হয়েছে অন্যান্য দেশ বাংলাদেশের ‘ব্লু ইকোনমির’ রূপকল্প সম্পর্কে জ্ঞাত হতে পারে কারণ বাংলাদেশ সঠিক পথে এগুচ্ছে।
জীবনে অর্জন যেমন থাকে ব্যর্থতাও পাশাপাশি থেকেই যায়। আজকের পৃথিবীতে অনেকেই দারিদ্র্য, ক্ষুধা, সামাজিক অস্থিরতা থেকে মুক্তি পায়নি। আমরাও হয়ত ১০০ ভাগ পাবো না; কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নিরন্তর চেষ্টা আমাদের প্রতিদিন আশাবাদী করে। বঙ্গবন্ধু যে মুক্তির সংগ্রামের ঘোষণা দিয়ে গেছেন সেটি সেদিনই শেষ হবে যেদিন আমাদের সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশকে সুস্থ রাখতে পারব।
প্রতিটি পুরস্কার, প্রতিটি অর্জনই আপনাকে আরও বেশি দায়িত্বশীল করেছে, আমাদেরকেও আপনার কাছ থেকে প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে দিয়েছে। অল্প লেখায় আপনার অর্জনের কথা শেষ করা যাবে না। শুধু এতটুকুই বলব এ অর্জনের ফসল আমাদের ঘরে তুলতেই হবে এবং আগামী প্রজন্মের জন্য তা সংরক্ষণ করে যেতে হবে। এজন্য দেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মাননীয় উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রথম দিন থেকে সে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। আমরা ছাত্র নেতৃত্বেও সুবাতাসের আভাস পাচ্ছি। দেশের যুবশক্তিকে যদি সঠিক নেতৃত্ব দেয়া যায় তাহলে সকলকে আর দুর্ভাবনা করতে হবে না যে, বাংলাদেশ আপনি কার কাছে রেখে যাবেন।
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে আপনি যোগ্যদের পক্ষে সবসময়ই অবস্থান নিয়েছেন। এজন্যই সমগ্র বাংলাদেশ আপনার পক্ষে থেকেছে, সারা বিশ্ব আপনাকে সম্মান জানাচ্ছে। আপনি আজ বিশ্ব নেতা। আপনি বাংলাদেশের পতাকার মর্যাদা বাড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর, মুক্তিযোদ্ধাদের, শহীদদের প্রতি সশ্রদ্ধ সম্মান জানিয়েছেন। আমি আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি—মহান আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। ঈদ মোবারক।
n লেখক :ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান, অমর একুশে হলের প্রাধ্যক্ষ এবং ওয়াইল্ডটিমের প্রধান নির্বাহী
ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম
©somewhere in net ltd.