![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজপথের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে তার দলের কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা ছিল না বা এখনো নেই। তার এ বক্তব্য কতটা বস্তুনিষ্ঠ সেটাই এ প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয়। আমরা যদি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি, বেগম খালেদা জিয়ার স্বামী জেনারেল জিয়া যিনি বিএনপি নামক দল সৃষ্টি করেছেন, সে সময় থেকে বিচার-বিশ্লেষণ করি, তথা ঘটনাপ্রবাহের ওপর আলোকপাত করি তাহলে স্পষ্টত প্রমাণিত হবে জেনারেল জিয়াই এ দেশের হত্যার রাজনীতি ও সন্ত্রাসের জন্মদাতা। এখন এটা বুঝতে বাকি নেই, ১৯৭৫ সালে যে প্রতিবিপ্লবের কারণে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নিহত হতে হলো, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা হলো, তার প্রকৃত নায়ক ছিলেন জেনারেল জিয়া। যদিও তার দলের অনুসারীরা বলেন, সে সময়ে রাজনৈতিক শূন্যতার কারণেই জিয়াকে ক্ষমতা গ্রহণ করতে হয়েছিল। তবে তিনিই যে পর্দার অন্তরাল থেকে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি করেছিলেন এবং নিজেকে ক্ষমতাসীন করার জন্যই ওই হত্যাকা- সংঘটিত করিয়েছিলেন, তা আজ দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। বলা যেতে পারে, খন্দকার মোশতাক আহমদ তো আওয়ামী লীগ নেতা এবং হত্যার পর (৮২ দিন) সংসদ ও সরকার অব্যাহত রেখেছিলেন। তাই জিয়া ওই হত্যার দায়ভার নিতে যাবেন কেন। আসলে এটাই ছিল সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের এ-দেশীয় এজেন্টদের চক্রান্ত। বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্যই ওটা করা হয়েছিল। মোশতাকের নামে অভ্যুত্থান হয়েছিল ঠিকই এবং মোশতাকের সরকার (৮২ দিন) ক্ষমতায় ছিল এ কথাও ঠিক। এটা করে জিয়া হত্যার দায়দায়িত্ব থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। মোশতাক ও সংসদ কর্তৃক বঙ্গবন্ধু হত্যার অনুমোদন দেয়ায় ব্যর্থ হওয়ার পরই তথাকথিত সিপাহি বিপ্লব ঘটে। ওই তথাকথিত সিপাহি বিপ্লবের মাধ্যমে জেনারেল জিয়া ক্ষমতাসীন হন। মূলত সব ক্ষমতা যখন তার হাতে তখন একজন বিচারপতিকে ঠুঁটো জগন্নাথ হিসেবে ক্ষমতায় বসিয়ে তিনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং পরবর্তীতে অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে নিজেকে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা দিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এক দশকের রাজনীতি বিচার-বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট বোঝা যাবে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রকৃত বেনিফিশিয়ারি হলেন জিয়া এবং খুনিদের সঙ্গে প্রারম্ভিক যোগাযোগ ছিল বলেই তিনি তাদের কাছে দায়বদ্ধ ছিলেন এবং সে দায়বদ্ধতা থেকে খুনিদের বিদেশে যেতে, বিদেশের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে ও রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসনের সব প্রক্রিয়া শেষ করেন। জিয়ার সারে ৬ বছর শাসনামলে যে পদক্ষেপগুলো তিনি গ্রহণ করেছিলেন তার প্রতিটি ছিল বঙ্গবন্ধু যা কিছু করেছিলেন তা পাল্টে দেয়ার। ধরুন সংবিধানের কথা, সংবিধানের চারটি মূলনীতি_, জয় বাংলা সস্নোগান, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, শোষণমুক্ত বাংলাদেশের অঙ্গীকার সবকিছুই জিয়া পাল্টে দেন। এর পরও কি দেশের কোনো নাগরিকের পক্ষে বুঝতে অসুবিধা হয়_ কে, কী কারণে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। হত্যার পর নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্যই তিনি সেনাবাহিনী ও সিভিলিয়ান অগণিত লোককে হত্যা করেন এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে এটা করা হয়েছিল।
যে গণবাহিনী তাকে ক্ষমতায় বসাল, তার প্রধানকে তিনি হত্যা করেন। শুধু তাই নয়, নিজের ক্ষমতাকে সুসংহত ও দীর্ঘস্থায়ী করতে তিনি স্বাধীনতার শত্রু জামায়াত-শিবিরকে শুধু রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে অংশীদারিত্ব দেননি, রাজনীতি করার অধিকার ও নাগরিকত্ব দিয়েছেন, তাদের জঙ্গিবাদী তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার সব সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেন। তার আমলে জামায়াত-শিবির সুসংহত হয়েছে। জিয়ার কারণে আওয়ামী লীগ ও জাসদের অনেক নেতার মৃত্যু হয়েছে, অনেককে আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য।
এরপর ধরা যাক এরশাদের কথা। তিনি প্রায় ৯ বছর দেশ শাসন করেন। তার শাসনামলে কোনো নতুনত্ব ছিল না। জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তারই ধারাবাহিকতা তিনি রক্ষা করেন। শুধু আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত ময়েজ উদ্দিন আহমেদকে হত্যা প্রমাণ করে যে তিনি হত্যার রাজনীতি অব্যাহত রেখেছিলেন ও সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করেছেন। রাষ্ট্রের জন্য ধর্ম নির্ধারণ করে দিয়ে জেনারেল এরশাদ সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেন।
তারপর আসা যাক বেগম জিয়া ও বিএনপি প্রসঙ্গে। যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে তিনি তিন জোটের রূপরেখার সঙ্গে চরমভাবে বিশ্বাঘাতকতা করে স্বৈরশাসকের মতো এককভাবে দেশ পরিচালনা করেন। যে তিন জোটের গণআন্দোলনের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতায় বসলেন, ক্ষমতায় গিয়ে বেগম খালেদা জিয়া তিন জোটের রূপরেখার সঙ্গে চরমভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করেন এবং স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করেন; যা ছিল জাতির সঙ্গে চরম প্রতারণার শামিল।
'৯১ সালের নির্বাচনের কথা সবারই মনে আছে। সেখানেও প্রশাসনিক অভ্যুত্থান ঘটানো হয়েছিল। তা না হলে ওই নির্বাচনে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে, এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল। আকস্মিকভাবে বিএনপি বিজয়ী হয়। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের প্রশ্রয় দিলেন। '৯১ থেকে '৯৬ ও ২০০১-২০০৬ এ ১০ বছর বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় এ দেশের ব্যাপকভাবে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদী তৎপরতার প্রসার ঘটেছে তা ঘটনার বিশ্লেষণে ধরা পড়ে। বেগম জিয়া যখনই নির্বাচন করেছেন, তখনই স্বাধীনতার শত্রু জামায়াত-শিবিরের সফঙ্গ নির্বাচনী জোট করে তাদের সংসদের যাওয়ার ব্যবস্থা করেন ও মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছেন। তাদের গাড়িতে পতাকা দিয়েছেন, জঙ্গি তৎপরতা চালানোর জন্য অস্ত্র ও অর্থ সর্বাত্মকভাবে সরবরাহ করেন। জামায়াত প্রতি মাসে যে পরিমাণ টাকা বিভিন্ন উৎস থেকে রাজনৈতিক খরচ হিসেবে ব্যয় করে প্রফেসর ড. আবুল বারকাতের মতে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। একটা সাধারণ নির্বাচনে যদি কোনো বড় দল বিএনপি বা আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করে তার মোট নির্বাচনী ব্যয় ৭০-১০০ কোটি টাকার বেশি হবে বলে মনে হয় না। অথচ জামায়াত এরূপ একটি নির্বাচনে ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে সক্ষম। অবৈধ অস্ত্র ক্রয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাতারাতি মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ, গোপনে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ প্রদান, অন্তত দুই ডজন বেনামি জঙ্গিবাদী সংগঠনের ভরণ-পোষণ, বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে প্রশাসনের একাংশের সমর্থন নেয়া, প্রয়োজনবোধে নিম্ন আদালতগুলোয় অর্থের বিনিময়ে প্রভাব বিস্তার, সুনির্দিষ্টভাবে আওয়ামী লীগের বুদ্ধিজিবী, পেশাজীবী ও রাজনীতিবিদ এবং নেতাকর্মীদের হত্যা, বিপুল অর্থ ব্যয় করে ধর্ষণ, হত্যা ও নিপীড়ন সব অপরাধ সংঘটিত এবং সুনির্দিষ্ট ক্রিমিনাল বাহিনীর ভরণ-পোষণ, বিপুল অর্থ ব্যয় করে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি হত্যা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে ধর্মের দোহাই দিয়ে অধিকাংশ মসজিদের ইমামদের গোপনে অর্থ দিয়ে খুতবা পাঠকালে কৌশলে তাদের রাজনীতির ব্যাখ্যা পক্ষে নেয়া, মেধাবী ছাত্রদের (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের) অর্থের বিনিময়ে বিপথগামী করা, বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে মেধাবী ছাত্রদের মগজ ধোলাই করা, সমাজকল্যাণমূলক সংস্থাগুলোকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে জঙ্গি মতবাদ প্রচার করা, জনগণকে বিভ্রান্ত করার যত অপকৌশল আছে তার সবকিছুই অবলম্বন। আর এসব ক্রিয়াকর্মে নিরবচ্ছিন্নভাবে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছেন। বেগম খালেদা জিয়া ভালো করে জানতেন যে, প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী তৎপরতায় দুর্বল ও নীতিগতভাবে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না। তাই জামায়াত-শিবির চক্র সঙ্গে রেখে যদি রাজনৈতিক আন্দোলনের দোহাই দিয়ে সন্ত্রাসী কাজ করা যায়, আওয়ামী লীগ তা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে না। তাই প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে, জামায়াতের সমর্থনে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে সন্ত্রাস করতে দেখা যায়। গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের ঠিক আগে ও পরে যেভাবে ভয়াবহ জঙ্গিবাদী তৎপরতা চালানো হয়েছে, ওটাই হলো বিএনপি ও জামায়াতের সর্বশেষ সন্ত্রাসী কার্যক্রম।
এখন আসা যাক ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার প্রসঙ্গে। ঠিক ১৯৭৫ সালে জিয়া যেমন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করিয়ে স্বাধীনতার সপক্ষের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করে স্বাধীনতার শত্রুদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিরোধী ধারা প্রতিষ্ঠিত করে দুই নাম্বার পাকিস্তানের মতো দেশ শাসন করতে চেয়েছেলেন, একইভাবে ২০০৪ সালে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য বেগম জিয়া আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনা ও তার দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে হত্যার পরিকল্পনা ও নীলনকশা বাস্তবায়নের বোধ হয় বেগম খালেদা জিয়া পেছন থেকে মূল দায়িত্ব পালন করেন। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার প্রতিটি ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে সেদিনের সরকারপ্রধান বেগম জিয়ার নির্দেশক্রমে ওই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। পুত্র তারেক রহমান বাংলাদেশে ওই সময়ে সবচেয়ে বড় শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব। তারই অনুচর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও একটা সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় ওই হত্যাকা- সংঘটিত করেছিল। যদিও বিষয়টি বিচারাধীন, আদালতের সাক্ষ্য গ্রহণ থেকে যা কিছু জানা গেছে তাতে বেগম জিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে মনে হয়। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রায় ৩০০ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত। পর্যবেক্ষণ করছিলেন মন্ত্রী ও উচ্চ পর্যায়ের গোয়েন্দারা। কয়েক মিনিট ধরে অপারেশন চলল, খুনিরা নিরাপদে পলায়ন করল এবং একটা লোক ধরা পড়ল না, পরিকল্পিতভাবে আলামত ধ্বংস করা হলো অন্তত বিএনপির দুজন কেন্দ্রীয় নেতার শুধু সংশ্লিষ্টতা ছিল না, গ্রেনেড সংগ্রহ করে দিয়েছিলেন। তাদের নাম আজ সবারই জানা। মুফতি হান্নানের আদালতে দেয়া বিবরণে অনেক কিছু জানা গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এমন একটা চরম বিধ্বংসী ঘটনা ঘটে গেল, যাতে জাতীয় নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী জীবন দিলেন, প্রায় ৪০০ কর্মী ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হলেন, এখনো সে যন্ত্রণাভোগ থেকে মুক্তি পাননি, কী করে সেদিনের সরকারপ্রধান, যার পুত্র সরাসরি এ ঘটনা ঘটানোর ব্যাপারে অভিযুক্ত হয়েছেন, যে সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মূল ঘটক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সে সরকারপ্রধান কী করে এ নির্মম, নৃশংস হত্যাকা-ের দায় এড়িয়ে যেতে পারেন। ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে না দিয়ে এবং শেখ হাসিনা ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন এরূপ নিষ্ঠুর উপহাস করে পরবর্তীতে ঘটনাপ্রবাহ ভিন্নধারায় প্রবাহিত করার জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে বেগম জিয়ার সরকার প্রমাণ করেছেন তার অনুমোদনক্রমেই ওই হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছিল।
তা ছাড়া বেগম জিয়া বার বার প্রকাশ্যেই বলেছেন, ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। পুনরাবৃত্তি ১৯ বার ঘটানো হয়েছে। বেগম জিয়া কতবার কিভাবে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন তা কে জানে। বেগম জিয়া এখন বলেন, তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করছেন। জিয়া, খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া সেই ১৯৭৫ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যা কিছু করছেন, তার কোথাও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রমাণ মেলে না। তিনি ক্ষমতায় যেতে চান তবে নির্বাচনের মাধ্যমে নয়। কিভাবে তিনি ক্ষমতায় যেতে চান তা তিনি বার বার প্রমাণ করেছেন। গণতন্ত্র চান, কিন্তু বিরোধীদলীয় নেতা হওয়ার মনমানসিকতা তার নেই। শেখ হাসিনা তার একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। তার ধারণা, শেখ হাসিনাকে অপসারণ করতে পারলে তার সিংহাসন চিরস্থায়ী হবে। সে জন্যই ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি করার জন্য বার বার বলা হচ্ছে এবং সে প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত আছে।
ডা. এসএ মালেক: বিশিষ্ট রাজনীতিক ও কলাম লেখক
©somewhere in net ltd.