নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দি আর্থ’ পুরস্কার গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৮

জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউনেপ) সর্বোচ্চ পরিবেশবিষয়ক সম্মান ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দি আর্থ’ পুরস্কার গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইউনেপ নির্বাহী পরিচালক আচিম স্টেইনার প্রধানমন্ত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কাজ করার প্রয়োজনীয়তা শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন। বাংলাদেশ হচ্ছে প্রথম দেশ যারা জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হোটেল সিপ্রিয়ানি লো স্পেসিয়ালিতায় এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে চারজন অনুপ্রেরণাদায়ক পরিবেশবিষয়ক নেতার হাতে পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি, ইউনিলিভার সিইও, ব্রাজিলের কসমেটিকস প্রতিষ্ঠান ‘নেতুরা’ এবং সাউথ আফ্রিকার ব্ল্যাক মাম্বা শিকারবিরোধী ইউনিট এই পুরস্কার বিজয়ী ব্যক্তি ও সংস্থা।
পুরস্কার গ্রহণ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব যখন সকলের জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যতের কথা বলে তখন আমরা পৃথিবীর সুরক্ষা ও লালনের লক্ষ্যে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, এই পুরস্কার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের জনগণের চেতনা ও সহিষ্ণুতার একটি স্বীকৃতি। আমি আমার জনগণের পক্ষে এই পুরস্কার গ্রহণ করছি। তাদের সমর্থন ছাড়া এটা পুরোপুরি অসম্ভব ছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশ কখনো বিদেশি তহবিলের অপেক্ষা করেনি। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলো পর্যাপ্ত অর্থ দেওয়ার বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার বজায় রাখেনি। তার সরকার নিজস্ব বাজেট থেকে ঝুঁকি মোকাবিলার লক্ষ্যে ব্যবস্থা রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সময়োচিত দায়িত্ব হিসেবে পরিবেশ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় বিশ্বাসী। বাংলা ব-দ্বীপে শত শত বছরে বাঙালির বিশ্বাস, চর্চা ও সংস্কৃতি থেকে তা উঠে এসেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে প্রতিকূল প্রভাব স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, তার সরকার ২০০৯ সাল থেকে বিদ্যমান হুমকি মোকাবিলার লক্ষ্যে নিজস্ব সম্পদ আহরণ ও জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে চলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উদ্ভাবনী জনগণ ও স্থানীয় সমাধান জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য এনেছে। ৪০ লাখ বাড়িতে সোলার সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম ‘সোলার জাতি’ হয়ে উঠেছে। জলবায়ু চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধির হারকে ছাড়িয়ে গেছে। ফলে ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। এটি উন্নয়নের আরেকটি অভূতপূর্ব নজির।

পরিবেশের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব রাখার জন্য সরকার, সুশীলসমাজ ও বেসরকারি খাতে নেতাদের ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দি আর্থ’ পুরস্কার প্রদান করা হয়। ৭ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই পুরস্কার নীতি, বিজ্ঞান, ব্যবসা ও সুশীলসমাজ ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন দেশের নেতা থেকে তৃণমূলের আন্দোলনকর্মীদের মধ্যে ৭২ জনকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে প্রথম সারির নেতৃত্বে অবদান রাখার জন্য পলিসি লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই পুরস্কার দেওয়া হলো। চলতি বছরের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউনেপ) শুভেচ্ছাদূত অভিনেতা আয়ান সোমারহালডার, মডেল গিসেল বুন্ডশেন ও অভিনেত্রী নিকি রিড। অনুষ্ঠানে নতুন গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ সমর্থন করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩২

রায়হান১২৮৪ বলেছেন: দেশের জন্য সম্মানজনক এবং ইতিবাচক।

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭

হামিদ আহসান বলেছেন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ......

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩১

সবুজ সাথী বলেছেন: এইটা কি রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়ে সুন্দ্রবন ধ্বংস করার পুরস্কার? :-B

৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

হাবিব ইমরান বলেছেন: এর চেয়ে হাস্যকর আর কি হতে পারে ?
বসবাসের অযোগ্য ঢাকা শহর এবং নারায়ণগঞ্জ সবচেয়ে দূষিত হওয়ার গৌরব অর্জনের ফলে এ পুরস্কার ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.