নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরও একটি অনন্য অর্জন

০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) গত শনিবার জাতিসংঘের সদর দফতরে ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’ প্রদান করিয়াছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। আইটিইউ জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এসডিজি) অর্জনের জন্য আইসিটি ব্যবহার জোরদারে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়। ইহার পূর্বে, গত জুনে আইটিইউ জেনেভায় বাংলাদেশে ই-সেবায় অনন্য অবদান রাখিবার জন্য এবং জনগণের দোরগোড়ায় প্রযুক্তি সেবা পৌঁছাইয়া দেওয়ার অবদানে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পকে ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিওএসআইএস) ক্যাটাগরিতে প্রদান করা হয় ডব্লিওএসআইএস+১০ পুরস্কার।
প্রস্তর-লৌহ-তাম্রযুগ পার করিয়া এখন এই জগত্ আসীন হইয়াছে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে। এই যুগকে ধারণ করিতে হইলে, তাল মিলাইয়া শীর্ষে আরোহণ করিতে হইলে তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করিতে হইবে যথাযথ পরিকল্পনায়। বাংলাদেশ এই সত্য উপলব্ধি করিতে পারিয়াছে অনতিবিলম্বেই। বলা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসীন হইবার পর তাঁহার হাত ধরিয়াই তথ্যপ্রযুক্তির যথার্থ প্রয়োগ ও ব্যবহার লইয়া মহাপরিকল্পনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। অনেক পথ বাকি থাকিলেও যতটুকু অর্জন ইতোমধ্যে আসিয়াছে তাহার ছাপ এখনই দৃশ্যমান। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কথাটির ধার ও ভার অত্যন্ত গভীর হইলেও তাহা লইয়া আমজনতা অনেক ক্ষেত্রেই অজ্ঞতাবশত বিভ্রান্তিতে ভোগেন। প্রকৃতার্থে, সত্যিকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করা সম্ভব হইলে তাহা এক জাদুকরি ব্যবস্থাপনা গড়িয়া তুলিবে। ব্যবসা-বাণিজ্য-শিক্ষা হইতে শুরু করিয়া শান্তিপ্রতিষ্ঠা তথা অপরাধদমনেও ডিজিটাল প্রযুক্তি আলাদীনের চেরাগের দৈত্যের মতো কাজ করিতে পারে অতুলনীয় মুন্সিয়ানায়। আমরা নিশ্চয়ই আরও নিপুণভাবে ই-গভর্নেন্স, ই-কমার্স, ই-এডুকেশন, ই-মেডিসিন, ই-অ্যাগ্রিকালচারে অগ্রসর হইতে পারিব। তাহা ছাড়া, ডিজিটালপ্রযুক্তি বা আইসিটিনির্ভর প্রশাসনব্যবস্থা ও কর্মক্ষেত্র স্বচ্ছতাসমেত আনয়নে আমূল পরিবর্তন ঘটাইবে কর্মনিপুণতায়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তথ্যের স্বচ্ছতা বিধানের মাধ্যমে দুর্নীতি ও অদক্ষতা নির্ণয় করাও সম্ভব হয় অতিসহজে।
সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অর্জন করিয়াছেন জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউনেপ) সর্বোচ্চ পরিবেশ বিষয়ক সম্মান ‘চ্যামিপয়ন্স অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার। প্রায় পঁয়ত্রিশ বত্সরের রাজনৈতিক জীবনে শেখ হাসিনা তিন দফায় প্রায় এক যুগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত হইয়াছেন। দেখা যাইতেছে, দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক সুরক্ষা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই মত্স্য উত্পাদন এবং আইসিটি সুবিধা সমপ্রসারণে বাংলাদেশ একটি ইতিবাচক ধারায় রহিয়াছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। দেশের নির্বাহী প্রধান হিসাবে তিনি তাঁহার দূরদর্শী, শান্তিপ্রিয়তা ও দরিদ্রবান্ধব কর্মতত্পরতার মাধ্যমে ইতোমধ্যেই অর্জন করিয়াছেন ২০টির অধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার। অর্জন করিয়াছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হইতে অন্যূন ১৫টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি। সর্বশেষ যুক্ত হইয়াছে তাহার গৌরবের মুকুটে এসব বর্ণিল পালক।
এই সকল পুরস্কার ও সম্মান নিশ্চয়ই তাঁহার দায়িত্বকে আরও প্রসারিত করিবে। স্বভাবতই আশা করা যায় যে, ইহারও যথার্থ প্রতিচ্ছাপ দৃশ্যমান হইবে অদূর ভবিষ্যতে। ইহা সপষ্ট যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সাহস, পরিশ্রম, ধৈর্য, একাগ্রতা, অবিচলতা আর নিষ্ঠা তাঁহার চলার পথের পাথেয় হইয়া উঠিয়াছে—যাহার স্বতঃস্ফূর্ত-স্বীকৃতি উঠিয়া আসিয়াছে এইসব বিভিন্ন পুরস্কারেও। অভিবাদন—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ( ইত্তেফাক)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.