![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও বিচারব্যবস্থার সক্রিয়তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত শিশু রাজন ও রাকিব হত্যা মামলার রায়। অপরাধী কৃতকর্মের ফল পাবে, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ পাবে কাঙ্ক্ষিত বিচার- এটাই ন্যায়বিচারের মর্মকথা। অপরাধী উপযুক্ত শাস্তি পেলে অন্য অপরাধীরা সাবধান হয় ও অপরাধকর্ম থেকে দূরে থাকে। ন্যায়বিচারের নজির সাধারণ মানুষকেও আইনের শাসনের ব্যাপারে সচেতন করে তোলে। প্রচলিত বিচার কাঠামোর ওপর আস্থাশীল হলেই মানুষ বিচারপ্রার্থী হয়। এভাবেই একটি সমাজে আইনের শাসন মজবুত ভিত্তি পায়।
শিশু হত্যাকাণ্ড, খুনখারাবি, গুম, অপহরণসহ বড় ধরনের অপরাধ সমাজে নানা কারণেই বাড়ছে। নিষ্ঠুরতার যেসব নজির আমরা মাঝেমধ্যে দেখি, তা কল্পনারও অতীত। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত, ক্ষুব্ধ। রাজন ও রাকিব হত্যাকাণ্ডের পর তাদের সেই ক্ষোভেরই প্রকাশ আমরা দেখেছি। এই সামাজিক সচেতনতা প্রত্যাশিত।
সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা সমাজে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। হাজার হাজার কন্যাশিশু গৃহকর্মী হিসেবে শ্রম দিতে গিয়ে শিকার হচ্ছে নির্যাতনের। আইনি কাঠামো থাকলেও নির্যাতিত শিশুরা কম ক্ষেত্রেই সুরক্ষা পাচ্ছে। এ পরিস্থিতির পরিবর্তন চাইলে অপরাধীকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তবে সমস্যা হচ্ছে, বেশির ভাগ অপরাধের ক্ষেত্রেই মামলা হচ্ছে না। মামলা হলেও প্রভাবশালীদের চাপ, মামলাজটসহ নানা কারণে বিচারে দীর্ঘসূত্রতা দেখা যায়। কাঙ্ক্ষিত সময়ে রায় হয় না। এই সুযোগে অপরাধীরা জামিনে বেরিয়ে ফের অপরাধে জড়াচ্ছে।
রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, পুলিশ প্রশাসনের ওপর রাজনৈতিক নেতাদের অযাচিত প্রভাবসহ বিভিন্ন কারণে বিচারপ্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। দেশে শিক্ষার হার বাড়লেও সে অনুপাতে বাড়েনি জনসচেতনতা। অবশ্য রাজন, রাকিবসহ সাম্প্রতিক সময়ের কয়েকটি শিশু হত্যাকাণ্ডে মানুষকে আমরা প্রতিবাদমুখর হতে দেখেছি। শুধু হত্যাকাণ্ড নয়, সব ধরনের অন্যায়, অবিচার, অনাচারের বিরুদ্ধেই সামাজিক সংহতি প্রয়োজন। পুলিশের কোনো কোনো সদস্যের অসততা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে মানুষ একতাবদ্ধ ও সচেতন থাকলে পুলিশও যে তার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করতে বাধ্য হয় তার বড় উদাহরণ রাজন হত্যাকাণ্ড।
রাজন ও রাকিব হত্যা মামলায় অপরাধীদের সর্বোচ্চ দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, রায়ও দ্রুত কার্যকর করা হবে। মামলা দুটিতে দ্রুত বিচারপ্রাপ্তি বিচারব্যবস্থার ওপর নিঃসন্দেহে মানুষের আস্থা বাড়াবে। তবে আরো যেসব শিশুহত্যা মামলা বিচারাধীন, সেগুলোর বিচারও যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে হবে। নারী, শিশুসহ সমাজের সব মানুষের নিরাপত্তা বিধানের দায় রাষ্ট্রের। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্র দায়িত্বটি পালন করবে। মামলাজট কমিয়ে আনা ও কম সময়ে রায় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিজিটাইজেশনসহ বিভিন্ন কৌশল নেওয়া হচ্ছে। উদ্যোগগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি। কারণ সামাজিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, মানুষের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা- সব কিছুর স্বার্থেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
নতুন বলেছেন: ভন্ডামী এখনো পুরাপরি ঠিক হয়নাই। অবশ্য একটু একটু করে ঠিক হইতেছে।
একই দিনে সাংসদ মুক্তি পাইছে শিশুর পায়ে গুলিকরার পরেও.... ফুলের মালা দিয়ে বরন করে নিয়ে গেছে তাকে জেল গেট থেকে...