![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ১০ নভেম্বর দেশের শ্রেষ্ঠ সক্রিয় ও বিপুল গৌরবময় জীবনের অধিকারী সুসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ ড. আনিসুজ্জামানকে তার মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হলো। আর ১৫ নভেম্বর হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হককে। এমন আরো অনেক লেখক বুদ্ধিজীবীকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।
অনেককেই তারা হত্যা করেছে_ যারা বহুলাংশে সমমনা এবং দেশপ্রেমিক। জানি না, সঠিকভাবে তবুও অনুমান করি, যারা ওই ক্ষুদে বার্তাটি আনিস ভাইকে পাঠিয়েছে তারা সবাই অথবা তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে তার ছাত্র ছিল এককালে। সবাই সবার মোবাইল নাম্বার জানে না_ তবে আনিস ভাইয়ের নাম্বার বহু লোকেরই জানা তার বিপুল জনপ্রিয়তার জন্য। বর্তমানকালে বাংলাদেশের 'বিবেক' বলে কেউ থাকলে তাও ড. আনিসুজ্জামান। তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হলো।
যেদিন তাকে হুমকি দেয়ায় হয় ওইদিন রাতেই দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর কল্যাণে খবরটি জেনে বড্ড বেশি অসহায় বোধ করেছি। আজও সে বোধ বিদ্যমান। নিজে অনেকটা অসুস্থ মাসখানেক ধরে। খুব একটা কোথাও যাই না_ শরীর তেমন একটা সহযোগিতা করছে না। কিন্তু মনে হচ্ছিল ঢাকা যাই আনিস ভাইকে একটু দেখে আসি। ওকে সাহস দেয়ার দরকার_ তা আমি বহুকাল আগে থেকেই জানি। তবু বাল্যকালের সেই বন্ধুত্ব আজও যে অটুট সেটা আবারো মনে করিয়ে দিতে এবং তার সানি্নধ্য আশু সময়ের জন্য হলেও পাওয়ার আশায়। তা হলো না। প্রকৃতির ঋতুবদলের এই লগ্নে শরীরটা এবার বেশি ভোগাচ্ছে যেন। টেলিফোনেও এখন পর্যন্ত কথা বলিনি তার সঙ্গে। কি বলব তাও ভেবে পাইনি। এই দেশের স্বাধীনতার জন্য সমগ্র বাঙালি জাতি যে সীমিতসংখ্যক বিশিষ্টজনদের কাছে চিরঋণী অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান তাদেরই একজন। সমগ্র জাতির কাছে তিনি গর্ব ও সীমাহীন অহংকার।
আনিস ভাইয়ের সঙ্গে কবে প্রথম পরিচয় হয়েছিল আজ আর তা ঠিকঠাক মনে নেই। তবে সম্ভবত ১৯৪৯ সালে-'৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগ গঠনের পর। যুবলীগের প্রথম আমলে আমি ওই সংগঠনে ছিলাম না। তবে রাজশাহী এবং অতঃপর ঢাকা গিয়েছিলাম সমচিন্তার, অগ্রসর-প্রগতিবাদী চিন্তায় বিশ্বাসী ছাত্র যুব নেতাদের সন্ধানে। যুবলীগের অফিস সম্পাদক তিনি তখন_ সেখানে তার সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রপাত। পরে একবার (তখনো তিনি ছাত্র এবং আমিও পুরান ঢাকায় একটি দোতলা হলুদ ধরনের দালানে) তার বাসায় দেখা করেছিলাম বলে মনে পড়ে। দীর্ঘকাল পর নব্বইয়ের দশকে এসে গণফোরাম করাকালে বেশকিছু সম্মেলন ও সেমিনারে তার সঙ্গে দেখা হয়েছে এবং সর্বশেষ হয়েছিল প্রায় দু'বছর আগে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আমার দ্বিতীয় প্রবন্ধ পুস্তকের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে। আনিস ভাইই বইটির ভূমিকা লিখেছিলেন এবং তিনি ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিও ছিলেন।
আনিস ভাই বরাবর ঢাকায় থাকেন_ আমি বরাবর পাবনায়। এটাই সম্ভবত মূল কারণ তার সঙ্গে ঘন ঘন দেখা-সাক্ষাৎ না হওয়ার। কিন্তু তার সানি্নধ্য কোনো না কোনোভাবে অনুভব করি প্রায় প্রতিদিনই। কখনো বা কোনো বই পড়তে গিয়ে, কখনো বা সংবাদপত্রগুলোতে নানা সেমিনার-সমাবেশে-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদিতে তার প্রদত্ত ভাষণ পড়তে নিয়ে আবার কখনো বা টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে। তাই অন্তত বাংলাদেশের মানুষের কাছে আনিস ভাই দুষ্প্রাপ্য কেউ নন। ভালো কোনো আয়োজনে ভালো লোকরা তাকে ডাকলে এবং তার কোনো পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি একই সময়ে না থাকলে তিনি যেতে রাজি হননি বা যাননি এমন অভিযোগ কদাপি কারো মুখেই তার বিরুদ্ধে শুনিনি।
এই নিবন্ধটি ড. আনিসুজ্জামানের কর্মময় জীবন কাহিনী লেখার উদ্দেশ্যে লিখতে বসিনি আদৌ। নেহায়েত তার প্রাণনাশের হুমকির খবরে উৎকণ্ঠিত দূরে অবস্থানকারী একজন বাল্যবন্ধুর প্রতিক্রিয়া এবং আংশিক স্মৃতিচারণমূলক বিষয়ের তাৎক্ষণিক উল্লেখ মাত্র। তবুও লিখব_ এ সিদ্ধান্ত নিয়ে বসতে বিলম্ব ঘটে গেলো অনেক।
কেন তাকে হত্যার হুমকি? আনিস ভাই কি আদৌ কোনো অপরাধ করেছেন? কারো সঙ্গে তার কি সামান্যতমও শত্রুতা, বৈরি, বিবাদ-বিসম্বাদ আছে? না। এমন অভিযোগ কেউই ড. আনিসুজ্জামান সম্পর্কে করতে পারবেন না, করেনও না। ১২ নভেম্বরের 'সংবাদ' এ দেখলাম, আনিস ভাই নিজেই বলেছেন যেসব বস্নগারদের অহেতুক, অন্যায় ও বর্বরোচিতভাবে খুন করা হয়েছে তাদের পক্ষ নেয়ার ফলেই এ হুমকি। ক্ষুদে বার্তাটিতেই নাকি তার উল্লেখ আছে। কিন্তু যে কয়েকটি কারণে তাকে এই হত্যার হুমকি আসলে দেয়া হয়েছে তা বিবেচনায় নিলে এ কারণকে কিছুটা গৌণ বলেই আমার কাছে মনে হয়।
এ কথা বলছি এ কারণে যে বস্নগার বলে যারা অভিহিত তাদেরই বা প্রধানত কেন হত্যা করা হলো একের পর এক? সেটা হলো তারা সবাই অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশকে মনেপ্রাণে সমর্থন করেন। সাম্প্রদায়িকতার তার ঘোরতর বিরোধী। তারা সবাই ধর্মের নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করা বা ধর্মের নামে ব্যবসা করার ঘোরতর বিরোধী। তারা সবার জন্য গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক অধিকার, মতপ্রকাশের অবাধ অধিকার প্রভৃতিতে অবিচল আস্থা পোষণ করেন বা করতেন মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত এবং তারা ধর্মের নামে বিভ্রান্ত সৃষ্টকারী ও ব্যবসায়ে লিপ্তদের বিরুদ্ধে, ধর্মের নামে সংগঠন করার বিরুদ্ধে লেখালেখি করতেন। আর যারা হত্যাকারী ও হুমকিদাতা তারা ঘোরতর সাম্প্রদায়িক, বাংলাদেশবিরোধী এবং ধর্মের নামে ফতোয়াবাজি করতে অভ্যস্ত। তারা বাংলাদেশের সংবিধান ও তার আইন-কানুনও মানে না, গণতন্ত্রেও অবিশ্বাসী, পরমতসহিষ্ণুতা বিন্দুমাত্রও নেই, আধুনিক শিক্ষা, দীক্ষা, রাষ্ট্রব্যবস্থা, সমাজ ও অর্থনীতি_ কোনো কিছুর প্রতিই তারা শ্রদ্ধাশীল নয়। তাই তারা আইনকে নিজ হাতে তুলে নিয়ে ব্যাপক হত্যাকা-ে লিপ্ত হয়েছে।
ড. আনিসুজ্জামান বাল্যকাল থেকেই ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী_ সাম্প্রদায়িকতায় তিনি ঘোরতর বিরোধী। তিনি বাংলাদেশের বাহাত্তরের সংবিধানের বাংলা অনুলিপি তৈরি করেন এবং তা তৎকালীন সংসদে অনুমোদিত হয় সর্বসম্মতিক্রমে। তিনি বাহাত্তরের মূল সংবিধানের প্রশ্নে দৃঢ়ভাবে অবিচল। তিনি আইনের শাসনের একনিষ্ঠ সমর্থক এবং আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, মৌলিক মানবাধিকার সংরক্ষণের প্রশ্নে আপসহীন। সে কারণেই তিনি মুক্তমনা বস্নগারদের হত্যা কা-েরও সমালোচক। তাই এটিই তাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের মূল কারণ বলে আমার মনে হয়।
ড. আনিসুজ্জামান ও তার পরিবারের সদস্যরা দ্রুতই আতঙ্ক কাটিয়ে উঠেছেন তবে উদ্বেগমুক্ত হতে পারেননি। তিনি ওই রাতেই গুলশান থানায় জিডি করেন এবং পরপরই ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা তার বাড়িতে গিয়ে উপযুক্ত তদন্ত করে হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দেন। তারা ও তার পরিবারের নিরাপত্তা বিধানে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করেন এবং তার বাইরে চলাফেরাও নিরাপদ করার প্রতিশ্রুতি দেন। পরদিনই আনিস ভাই সকালে একটি এবং বিকালে আর একটি সেমিনারেও অংশ নেন।
আনিস ভাইরা আতঙ্ক মুক্ত হওয়ায় আমিও আনন্দিত কিন্তু একই সঙ্গে বলি, তার মতো আমিও এবং আমরা অনেকেই, যারা মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেই, যারা বাল্যকাল থেকে দেশটাকে ভালোবেসেছি_ যারা জীবনের শুরু থেকেই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি_ একটি ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ও আধুনিক রাষ্ট্র গঠন করতে আপসহীনভাবে রাজপথে নেমেছি_ কারান্তরালে বহু বছর কাটিয়েছি_ মুক্তচিন্তা এবং চিন্তার মুক্তিতে বিশ্বাসী হয়ে আজীবন তার সাধনায় লিপ্ত রয়েছি তারা তো কেউ দমে যাওয়ার পাত্র নই। আমরা যতটা সম্ভব রাজপথ কাঁপাব জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে সব দেশি-বিদেশি শোষক, প্রতারক, বিভেদ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলব_ সব সন্ত্রাসী, উগ্রপন্থী ও জঙ্গিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামও গড়ে তুলব এবং এ লক্ষ্যে বিশেষ করে বাংলার যুব সমাজকে পুনরায় ঐক্যবদ্ধ করে দেশ বাঁচানোর লড়াইয়ে শামিল হতে আহ্বান জানাব। প্রয়োজনে আমাদের দেশের যুব সমাজ অতীতের মতই আর একটি মুক্তিযুদ্ধে নিয়োজিত হবে যে মুক্তিযুদ্ধ মূলত পরিচালিত হবে সব স্বাধীনতাবিরোধী, সাম্প্রদায়িক, উগ্র ধর্মান্ধ, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী বাংলাদেশে অবস্থানরত শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে_ এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দানকারী সব দেশি-বিদেশি শক্তির বিরুদ্ধেও।
আমরা আমাদের দেশের উগ্র ধর্মান্ধ শক্তির বিকাশের সাম্প্রতিক ইতিহাসের দিকে যদি একবার লক্ষ্য করি তবে নিশ্চয়ই আমরা দেখব স্বৈরাচার পতনের পর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনগুলোকে কেন্দ্র করে ঠিক নির্বাচনের আগে ও পরে ওই অপশক্তিগুলো (জামায়াত ইসলামী প্রধান অপশক্তি হলেও তারাই একমাত্র নয়) ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ ব্যাপকভাবে চালাতে থাকে। আজতক এ জাতীয় ঘটনা বেশ কয়েক হাজার সংগঠিত হলেও এ যাবৎ কোনো সরকারই একটি ঘটনারও বিচার করেনি। ফলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা স্রেফ আত্মরক্ষার নিমিত্তে অনবরত দেশত্যাগ করতে করতে আজ বাংলাদেশে তাদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮-৯ শতাংশ। অথচ দেশ বিভাগ করলে এই সংখ্যা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ছিল শতকরা ৩০ জনেরও বেশি। তখনকার পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে ১৯৫৪ সালে নির্বাচিত সংখ্যালঘু সদস্যের সংখ্যাও ছিল ৭০ জনের বেশি। আর আজও এই ধর্মনিরপেক্ষ দেশে? খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসীদের তো কথাই নেই। মাইক্রোস্কোপ দিয়েও তাদের দেখতে পাওয়া যাবে না।
এই যে উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে গ্রেপ্তার ও বিচার না করার ফলে তারা যে প্রশ্রয় সব সরকারের কাছেই পেতে থাকল তাতেই তাদের সাহস ক্রমান্বয়ে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। তারই পরিণতিতে তারা 'বস্নগার'দেরকে হত্যা করতে শুরু করে। প্রচার করে দেয় এরা নাস্তিক। সরকার ও তার প্রশাসন হয়ে পড়ে নীরব, নিথর। কোনো গ্রেপ্তার নেই, কোনো শাস্তি নেই। বরং সরকারের পক্ষ থেকে দফায় দফায় থামানো হচ্ছে ধর্ম সম্পর্কে লেখালেখিতে সংযমী না হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ওই লেখকদের বিরুদ্ধে। খুনিদের সম্পর্কে নীরব থাকল সরকার ও প্রশাসন। সাহস বাড়ল খুনিদের, জঙ্গিদের, সন্ত্রাসীদের।
আজ তারা হুমকি দিতে শুরু করেছে দেশের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের। যারা এতগুলো বস্নগারকে নির্বিবাদে হত্যা করে দু'তিন বছর ধরে দিব্যি নির্বিবাদে থাকতে পারছে। একাত্তরের খুনিরা ১৪ ডিসেম্বর 'শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস' হিসেবে ঘোষণা করতে বাধ্য করেছিল। আজও বহুগুণ বেশি শক্তি নিয়ে কি ওই একই অপশক্তি ভিন্ন ভিন্ন নামে বছরের প্রতিটি দিনকেই ১৪ ডিসেম্বরে পরিণত করতে চলেছে। সরকারকেই এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। কোথায় ফাঁকফোকর তা খুঁজে বের করে সব জঙ্গি-উগ্রপন্থী সন্ত্রাসীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে, বিচারের আয়োজন কতে হবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে।
একই সঙ্গে সব ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর পরিচালিত এ যাবৎকালের হামলা-নির্যাতনের যথোপযুক্ত বিচারের ব্যবস্থা করতে সব শৈথিল্য, নিষ্পৃহা, অবহেলাও নির্লিপ্ততাকে পরিহার করতে হবে_ সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে অবিলম্বে মামলাগুলো প্রয়োজনে রাষ্ট্রের তরফ থেকে দায়ের আসামিদের গ্রেপ্তার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তাদের দ্রুত বিচার ও শাস্তি দানের ব্যবস্থা করতে হবে।
অপরপক্ষে জঙ্গি উত্থানের অনুকূল আইনি পরিবেশ সৃষ্টিকারী সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী থেকে 'বিসমিল্লাহ' 'জামায়াতে ইসলামী'সহ ধর্মীয় আচ্ছাদনে রাজনৈতিক দল গঠন ও পরিচালনা নিষিদ্ধ করতে হবে, 'ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মীয় হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানও প্রত্যাহার করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে সংবিধানের দ্রুত আরো একটি সংশোধনী এনে তা পাস করতে হবে।'
এই পদক্ষেপগুলো নিলে সাম্প্রদায়িক শক্তি থমকে যাবে, শঙ্কিত হবে উগ্রবাদী জঙ্গিরাও এবং দেশবাসীর নিরাপত্তা দেশের শান্তি নিশ্চিত হবে।
রণেশ মৈত্র: রাজনীতিক, সাংবাদিক ও কলাম লেখক
©somewhere in net ltd.