![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জঙ্গি নামে উগ্র আতঙ্কবাদীরা আজ সারাবিশ্বের জন্যই হুমকি। শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো দেশে দেশে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে। দেশে দেশে নিরীহ মানুষকে হত্যার নীল নকশা করছে। শান্তিপ্রিয় জনপদকে করে তুলছে অস্থির। দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিকতাকে নষ্ট করে নৈরাজ্য স্থাপন করছে, যা মানববসতিতে সুস্থ এবং স্বাভাবিক পরিবেশের অন্তরায়। নানা নামে নানা দেশে এই জঙ্গিরা তাদের কর্মকাণ্ড বিস্তার করছে। বিভিন্ন দেশের সরকার এবং সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে তারা অস্থিতিশীলতার বীজ বপন করছে। বাংলাদেশও এই নীল নকশা কিংবা চক্রান্ত থেকে মুক্ত নয়। ইতোপূর্বে আমাদের দেশেও বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তাদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগও ছিল। এমনকি প্রগতির পক্ষের দলগুলোর কোন কোন কর্তা পর্যায়ের ব্যক্তির বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিল জঙ্গি অর্থায়নের। বর্তমান সরকার সেসব অভিযোগ আমলে নিয়েই জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের সফলতাও প্রত্যক্ষ করে সাধারণ মানুষ। সারাদেশে জঙ্গিবাদের আস্তানা নির্মূলে সরকারের দৃঢ়তার আস্থা হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী সফল অভিযান পরিচালনা করে। অনেক জঙ্গি ধরা পড়ে। আইনের আওতায় আনা হয় তাদের। সেই অভিযান বন্ধ না হলেও সম্প্রতি আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর জালে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জঙ্গি নেতাকর্মীদের আটক হওয়ার খবর প্রতিনিয়তই সংবাদমাধ্যমে আসছে। একই সঙ্গে আসছে জঙ্গিদের আতঙ্ক ছড়ানো নীল নকশার খবরও। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জঙ্গিবাদের ভয়াবহ বিস্তারের ফলে শঙ্কামুক্ত নয় বাংলাদেশও। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর অস্তিত্ব স্বীকার করার কথা বলা হলেও সরকারের তরফ থেকে তা বরাবরই অস্বীকার করা হয়েছে। যদিও সম্প্রতিক সময়ে দেশে দুজন বিদেশি নাগরিকসহ যে কয়েকটি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে এবং সেসব ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের পক্ষ থেকে দায় স্বীকার করে বিবৃতি প্রকাশের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী হুমকিদাতাদের একজনকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করেছে। আমরা মনে করি, এর পেছনে আরো বড় চক্র জড়িয়ে আছে কিনা তার সঠিক অনুসন্ধানসহ জঙ্গি সংগঠনের নামে বিভিন্ন সময়ে দেশের মুক্তমনা ব্যক্তিদের হুমকিদাতাদের শনাক্ত করে কঠোর আইনি প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। আর দেশের অভ্যন্তরে সংঘটিত নাশকতামূলক ঘটনার পর পরই আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের নামে যেসব বিবৃতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় সেসব বিবৃতির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রেখেই আমরা মনে করি, আমাদের দেশে বিদ্যমান জঙ্গিদের আন্তর্জাতিক লেবাস লাগিয়ে দেয়া কোনো বড় ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তা যেমন খতিয়ে দেখা প্রয়োজন সে সঙ্গে প্রয়োজন জঙ্গিবাদ দমনে বর্তমান সরকারের যে দৃঢ় অবস্থান তা আরো মজবুত করা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের ভাবমূর্তি যেন কোনোভাবেই বিনষ্ট না হয়, আমাদের যেন কোনো একটি তকমা লাগিয়ে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা সফল না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা। আমরা আমাদের গোয়েন্দাদের সাম্প্রতিক তৎপরতার প্রশংসা করি। ‘গোয়েন্দা জালে আটকা পড়ছে শনাক্ত জঙ্গিরা’ শিরোনামে ২৬ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে দৈনিক মানবকণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এরই স্পষ্ট চিত্র ফুটে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রত্যেকটি সংস্থার দায়িত্বশীলদের আরো সতর্ক দৃষ্টি রেখেই জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এগিয়ে যেতে হবে।
২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৮
প্রতিবিম্ব প্রতিচ্ছায়া বলেছেন: মুক্তমনা জিনিসটা কী?
৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২
দধীচি বলেছেন: মন্ত্রক চামচার পোলায় ব্লগে চামচামি কইরা হেব্বি কামাইতেছে
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৮
অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: এখন আইএস আছে নাকি নেই সেই বিতর্কের সময় নাই। চুল যেমন শরীরের একেক অংশে একেক নামে প্রকাশ পায় ঠিক তেমনি মধ্যপ্রাচ্যে যেমন জঙ্গি সংঘটন আইএস ঠিক তেমনি আমাদের এখানে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, জেএমবিসহ অনেক জঙ্গিরা আছে। হয়তো আইএসের সেই সিরিয়ার যোদ্ধারা নেই কিন্তু জঙ্গি ঠিকই আছে। তাই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য গ্রেফতার করা উচিত।