নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিতর্কিত বয়ান ও মিথ্যাচারিতা

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩

একুশে ডিসেম্বর (২০১৫) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পুনরায় মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের কষ্টার্জিত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে নিজেই নিজের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছেন। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বেগম জিয়া। যুদ্ধে ৩০ লাখ লোক প্রাণ দিলেও তিনি বলেছেন, আজকে বলা হয় মুক্তিযুদ্ধে এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। আসলে কত লোক শহীদ হয়েছে এটা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, নানা বই-কিতাবে নানাকথা লেখা হয়েছে। আর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে দেশে মুক্তিযুদ্ধ হতো না, আপনারা কেউ মুক্তিযোদ্ধা হতে পারতেন না। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন এসব কথা বলে নিজেকে পাকিস্তানের নেত্রী হিসেবেই তুলে ধরেছেন।
মূলত মুক্তিযুদ্ধ চলার সময় গণহত্যা ও নারী নির্যাতনের ব্যাপকতা নিয়ে সর্বপ্রথম বিদেশি গণমাধ্যমই প্রকৃত তথ্য তুলে ধরে। সেই সময় পাকিস্তানিদের বীভৎস চেহারাও প্রকাশ পেতে থাকে বিশ্বদরবারে। পরবর্তীকালে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বধ্যভূমি আবিষ্কৃত হওয়ায় হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনাগুলো আরও বেশি উন্মোচিত হয়েছে। ২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলে একাত্তরে সংঘটিত নৃশংস ঘটনার তথ্যপ্রমাণ আমাদের সামনে আসে। শুরু হয় পাকিস্তানি এবং এদেশীয় যুদ্ধাপরাধী সমর্থিত দলগুলোর অপতৎপরতা। উল্লেখ্য, যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর বিভিন্ন লেখায় মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বাংলাদেশে অবস্থানরত ব্রিটিশ নাগরিক ডেভিড বার্গম্যান, যিনি ব্লগ লিখে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে প্রচার চালান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অবমাননার দায়ে শাস্তি পেয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ নারী ধর্ষিত হওয়ার তথ্যের ‘কোনো ভিত্তি নেই’ বলে বার্গম্যান তার লেখায় দাবি করেছিলেন। তারও আগে শর্মিলা বসু ‘ডেড রেকনিং’ (২০১১) গ্রন্থে এবং ‘লুজিং দ্য ভিকটিমস : প্রবলেমস অব ইউজিং উইম্যান অ্যাজ উইপনস ইন রিকাউন্টিং দ্য বাংলাদেশ ওয়্যার’ (২০০৭) প্রবন্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে দুই লাখ নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যানকে বাতিল করে কয়েক হাজার হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। এমনকি বাঙালি কর্তৃক নারী ধর্ষণের অভিযোগও তুলে ধরেছেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিকৃতির এই ধৃষ্টতা আসলে জামায়াত-বিএনপির অপপ্রচারের অংশ। এ জন্য ২১ তারিখে খালেদা জিয়া আরও বলেছেন, একাত্তরে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা নয়, ক্ষমতা চেয়েছিল। তার মতে, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।’ এর আগে ঠিক তার বড় ছেলে তারেক রহমান এই দাবি তুলে সমালোচিত হয়েছিলেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট করে সমালোচিত বিএনপি প্রধান বহু আলোচিত যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে ওইদিন নিজের আগের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন, ‘যারা প্রকৃত রাজাকার, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সত্যিকারভাবে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেছে, অত্যাচার করেছে, হত্যা করেছে, তাদের শাস্তি হতে হবে, বিচার হতে হবে। সেই বিচার আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও স্বচ্ছ হতে হবে।’ অথচ তিনি মুক্তিযুদ্ধের উপ-অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল একে খন্দকার মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নিয়ে বই লেখার পর সরকার নানা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করছে বলে দাবি করেছেন। নানা বিভ্রান্তিকর কথা দিয়ে মানুষকে কাছে টানার চেষ্টা করছেন খালেদা জিয়া। কিন্তু যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী এবং পাকিস্তানের সমর্থক হওয়ায় তার দলের জনপ্রিয়তা এখন শূন্যের কোঠায়।
জাতীয় সংসদের বাইরে থাকা বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া এবং তার দলের অন্যান্য মুখপাত্রদের শিক্ষা ও চিন্তায় নৈতিকতা বোধের যে চরম অভাব রয়েছে তার প্রমাণ আগেই পাওয়া গেছে। এর আগে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বর্তমান সরকার সম্পর্কে অবাধ মিথ্যাচারিতা করেছেন তারা। মিথ্যা কথা বলা যে প্রত্যেক ধর্মগ্রন্থে পাপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সেই নৈতিক শিক্ষা তারা ভুলে গেছেন। ২০১৪ সালের ১৬ মে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোটের বিপুল বিজয়ে নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিনন্দন জানানোর আগেই খালেদা জিয়া তাকে অভিনন্দন জানান। বিজেপির নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর ব্যাপক উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে। বিএনপির নেতারা মনে করছেন সোনিয়া গান্ধির কংগ্রেস যেভাবে বিভিন্ন ইস্যুতে আওয়ামী লীগকে ঢালাওভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিল বিজেপি সেভাবে সমর্থন দেবে না। বিএনপির একটা বাড়তি পাওনা হচ্ছে, বিজেপির নেতাদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক অনেক ভালো। কিন্তু মোদিকে কেন্দ্র করে বিএনপির মধ্যে স্বস্তির ভাব লক্ষ করা গেলেও তা ছিল মিথ্যাচারিতায় পূর্ণ। হতে পারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগে তারা অভিনন্দন জানিয়েছেন, তা থেকে বিএনপির কী করে মনে হলো ৫ জানুয়ারির (২০১৪) নির্বাচনে ভারতের কংগ্রেস যেভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে সেটি বিজেপি করবে না। এই বিশ্বাস থেকে বিএনপি কেন বলা শুরু করল মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার ফোনালাপ হয়েছে। পরবর্তীকালে ২৬ মে মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তাকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ইত্যাদি মিথ্যাচার।
অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আসম হান্নান শাহ বলেছিলেন, ‘গত ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনে কংগ্রেস যেভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে বিজেপি এমনটা করবে না। কারণ বিজেপি গণতান্ত্রিক ধারায় নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। তাই তারা বাংলাদেশেও যেন সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় সেটাই চাইবে। এ কারণে বিএনপি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে।’ তারা আরও মনে করেছেন আওয়ামী লীগ বিজেপির কাছ থেকে গণতান্ত্রিক নিয়মের বাইরে ঢালাও কোনো সমর্থন আদায় করতে পারবে না। বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেছিলেন, ‘ভারত বিশ্বের বৃহৎ গণতান্ত্রিক দল। সেখানে গণতন্ত্রের বিজয় হলে বিএনপি উচ্ছ্বসিত হতেই পারে। কারণ বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমাদের মতে, তথাকথিত ‘গণতান্ত্রিক দল বিএনপি’ মিথ্যাচারে পটুতা দেখিয়েছে ভারতের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। গুম, খুনের অবান্তর তথ্য দিয়ে। উল্লেখ্য, ২৬ মের অনুষ্ঠানে সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রধানমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদি এবং সেই অনুষ্ঠানে আমাদের মাননীয় স্পিকার উপস্থিত ছিলেন এবং বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সম্পর্কেও ইতিবাচক মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন মোদির পার্ষদরা। এমনকি ৬ মে (২০১৫) ভারতের রাজ্যসভা এবং ৮ মে লোকসভায় সীমান্ত চুক্তি পাস হওয়ায় শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বের অনিবার্যতা প্রতিপন্ন হয়েছে। যদিও খালেদা জিয়া সেই কৃতিত্ব মোদি সরকারকে দিয়েছেন। কিন্তু সবাই জানেন শেখ হাসিনা সরকারের অবিরাম চেষ্টার ফল হলো ছিটমহল সমস্যার সমাধান।
বিএনপির মিথ্যাচার সম্পর্কে ২০১৪ সালের ২৮ মে প্রকাশিত এক কলামে বিখ্যাত লেখক আবদুল গাফ্্ফার চৌধুরী লিখেছেন, ‘দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নতজানু কুর্নিশ জানিয়ে তার কৃপা দৃষ্টিলাভের জন্য বাংলাদেশের বিএনপির করুণ প্রচেষ্টা রীতিমতো মানুষের মনে হাস্যরসের সৃষ্টি করছে। বিএনপি নেতানেত্রীরা আহাদে আটখানা হয়ে এমন ভাব দেখাতে শুরু করেছিলেন যেন মোদির এই জয় তাদেরই জয়। মোদি এখন সিংহাসনে বসেই বাংলাদেশে হাসিনা সরকারকে উৎখাত করে একেবারে বিএনপির হাতে ধরে ঢাকার মসনদে বসিয়ে দেবে। এই আশায় কথায় কথায় ভারতবিদ্বেষ প্রচার যে বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক মূলধন, সেই বিএনপি হঠাৎ ভারতপ্রেমে গদগদ হয়ে উঠেছে।’ আকস্মিক ভারতপ্রেমে উচ্ছ্বসিত বিএনপির নেতাকর্মীরা মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের সূত্রে শেখ হাসিনাবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে সচেষ্ট হয়েছেন। শুরুতেই প্রচারণা চালানো হলো, মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সম্ভবত দলের এই প্রচারণায় বিশ্বাস করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু দিল্লির আমন্ত্রণ আর আসেনি। তারপর প্রচার করা হয়েছিল, তারেক রহমান লন্ডন থেকে দিল্লিতে মোদিকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছে। মোদি তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তাকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই খবরটিও বানানো, মিথ্যা খবর। এভাবে ভারতের বিজেপি সরকারের কাছে গলবস্ত্র হয়ে তাদের সমর্থনে বিএনপি বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তন করতে চায় যা দলটির লজ্জাকর নৈতিক অধঃপতনেরই প্রমাণ। তবে বিশিষ্টজনরা বলছেন, ‘বিএনপির এই নতুন গজিয়ে ওঠা ভারত তথা মোদিপ্রেম বেশিদিন টিকবে তা মনে হয় না।’ ক্ষমতায় বসার সূচনাতেই মোদি বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা, টিপাইমুখ বাঁধ, স্থলসীমান্ত সমস্যা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কারণ তারা ঠিক জানেন, বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে ভারতে ‘জেহাদিষ্টদের’ সন্ত্রাস বাড়বে এবং পূর্বাঞ্চলেও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহিংস তৎপরতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। এ জন্য মোদি সরকারকে সহায়তা জোগাচ্ছে একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার।
খালেদা জিয়া সত্য নয়, মিথ্যার বেসাতি করছেন। ধর্মীয় শিক্ষায় গীবতকে গর্হিত কাজ বলে মনে করা হয়। যদিও তিনি ও তার সহযোগী জোট জামায়াত ইসলাম মুখে কোরআনের কথা বলেন এবং কোরআনের শাসন কায়েমের জন্য লড়াইকে স্বীকৃতি দেন কিন্তু রাজনৈতিক চাতুরিপনায় তিনি নিজেকে সিদ্ধ করে তুলতে চান মিথ্যা কথা বলে। বিএনপি-জামায়াত মিথ্যাচার করে স্ববিরোধী চরিত্রের প্রকাশ ঘটায়।
আসলে খালেদা জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ঔদ্ধত্যপূর্ণ, দেশবিরোধী এবং যড়যন্ত্রে টইটুম্বর। তবে এসব বক্তব্য নতুন কিছু নয়। এর আগে তার ছেলে তারেক জিয়া লন্ডনে বসে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বক্তব্য দিয়েছে। লক্ষণীয় বিষয় হলো, দেশ যখন শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির দিকে ধাবিত, ঠিক তখনই বিএনপির পক্ষ থেকে এসব অশোভন, বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। তারা অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে আমাদের আবেগ, চেতনা এবং অনুপ্রেরণার মুক্তিযুদ্ধকে। তারা আঘাত হানছে আমাদের জাতিসত্তায়। মুছে ফেলতে চাইছে ৩০ লাখ শহীদের রক্তে কেনা স্বাধীনতা। তাদের এসব বক্তব্যে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, তারা ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ জন্য পাগলের প্রলাপে ব্যস্ত। বিকৃত করছে ইতিহাস। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির জনককে হত্যার পর পাকিস্তানি ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাসী নানা মহল থেকে এসব কথা বলা হতো। বর্তমানে খালেদা জিয়ার প্রতিটি কথা যথাযথ যুক্তি এবং তথ্যালোকে খ-ায়ন সম্ভব। বিএনপির অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। তাই তারা এসব মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে আলোচনায় আসতে চাইছে। কিন্তু অতীতের মতো তাদের সে প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হবে। দেশের মানুষ আজ সচেতন। তারা উন্নয়নে বিশ্বাসী। এসব বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

হাসান নাঈম বলেছেন: "বিএনপির অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। তাই তারা এসব মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে আলোচনায় আসতে চাইছে। কিন্তু অতীতের মতো তাদের সে প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হবে। " তাই না কি? তাহলেতো আপনাদের খুশিতে উল্লসিত হওয়ার কথা। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রফতার করে, খুন, গুম চালিয়ে আপনারাতো বিএনপিকে শেষই করে দিতে চাইছেন। সেই কাজটাই যখন খালেদা নিজে করছে তখন আপনাদের এত কস্ট কেন?? খুশিতে নাচুন, মিস্টি বিতরণ করুন।

আর বিএনপি যখন অস্তিত্বহীন হয়েই যাচ্ছে, দেশে যখন দল বলতে কেবল আপনাদেরটাই আছে - তখন ক্ষমতা থেকে একটু সরে দাড়িয়ে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। সমস্যা কি - জনগনতো আর বিএনপিকে ভোটই দেবে না - তাই না?

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

ধ্রুব নয়ন চৌধুরী বলেছেন: নিরপেক্ষ ভোট হলে ধানের শীষ - ই ভোট পাবে। কিন্তু তা কোন ভাবেই হতে দিবে না। পাকি বেগমরা এমন ভাবে জাল পেতেছে জনতা তা সহজে বুঝবে না। আর ক্ষমতাসীন দল তো গাদ্দাফির পথ অনুসরণ করছে যা আগামীর জন্য মারাত্মক ভয়াবহ। দুটোই সমান সমান। একজন জয় বাংলা বলে গুলি চালায় আর একজন আল্লাহ আকবর বলে রক্ত ঝরায়। ওরা শান্তি নয়, ওরা রক্তহোলী খেলা চায়। ওদের আরও রক্ত প্রয়োজন। বাঙালি আজ বাপে খেদানো মায়ে তাড়ানোর মধ্য দিন কাটাচ্ছে। মিথ্যাচার নতুন কোন বিষয় নয়। ওদের দারা সব সম্ভব। ঘরের মা- বোনদের ওরা রাস্তায় নামাতে পারে ক্ষমতার জন্য।

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৯

জহির উদদীন বলেছেন: দালালি পোষ্ট......

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

হায়দার সুমন বলেছেন: বিএনপি অস্তিত্ব বিহীন হলে এতো ভয় কেন?

বাই দ্য ওয়ে,
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ইন্দো-পাক যুদ্ধ বলার জন্য ভারতীয় দুতাবাস কখন ঘেরাও হবে? নাকি সরকারি বাজেট নাই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.