নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গিরোধে নাগরিক সচেতনা প্রয়োজন

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জঙ্গিবাদের উত্থান বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর মনোভাবের সঙ্গে প্রয়োজন নাগরিক সচেতনতা।’ এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘অনেকে দেশেই এখন জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তবে বাংলাদেশের অবস্থা একটু ভিন্ন। কারণ আমাদের দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। তাই নাগরিক সমাজ যদি একটু সচেতন হয়, তবে এ দেশে জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাস মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। অতীতেও আমরা দেখেছি, জঙ্গিরা সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে অঘটন ঘটাতে চেয়েছে। কিন্তু যেই তাদের নেতিবাচকতা বা সন্ত্রাসী পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেছে তখন মানুষ তাদের আশ্রয়-প্রশয় না দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে।’ শুক্রবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির সমসাময়িক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনাভিত্তিক টক শো ‘সম্পাদকীয়’তে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার ও সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।
আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তত্পর আছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে তারা যথেষ্ট আন্তরিক। অনেক জঙ্গি ধরাও পড়ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। তার পরও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কমছে না। এ অবস্থায় সরকার বা দেশের সাধারণ মানুষের কী ধরনের সচেতন হওয়া প্রয়োজন?’
জবাবে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, ‘শর্ষের মধ্যেই যদি ভূত থাকে, তবে তো শর্ষে দিয়ে ভূত তাড়ানো যাবে না। প্রায়ই পত্রপত্রিকায় জঙ্গিদের জামিনে মুক্তি পাওয়া নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে জঙ্গিরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসছে। এর জন্য আসলে কারা দায়ী সেটাও সরকারকে তথা সরকারি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বের করতে হবে। কারণ জামিনে বের হয়ে জঙ্গিরা অন্য নামে নিজেদের আড়াল করে বলে তাদের খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। তারা আবারও ধরা পড়লে দেখা যাবে অন্য কোনো নামে ধরা পড়ছে। ফলে তাদের আগের অপরাধগুলো সহজে যোগ করা যাচ্ছে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘দুর্বল তদন্ত, বিচারের দীর্ঘসূত্রতা ও আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে গত কয়েক বছরে অনেক জঙ্গি জামিন পেয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা উপায়ে অনুসন্ধান করেও তাদের অবস্থান চিহ্নিত করতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জঙ্গি তত্পরতার অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে মুক্ত এসব সন্ত্রাসী কোথায় আছে সে ব্যাপারে পুলিশ ও গোয়েন্দারা তত্পর থাকলেও কূলকিনারা হচ্ছে না। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সচেতন হতে হবে। কৌশল পাল্টাতে হবে।’
আলোচনার এ পর্যায়ে অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে জঙ্গিরা বেরিয়ে যাচ্ছে বলে অনেকেই বলে থাকেন। কিন্তু একজন সন্ত্রাসী যদি তথ্য গোপন করে বা আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পার পেয়ে যায় সেখানে আদালতের কী করার আছে? আদালত তো দেখবেন প্রমাণ ও কাগজপত্র। তবে হ্যাঁ, এসব কাগজপত্র চেক করার কথা যাদের, তারা তত্পর হলে সমস্যা কমে আসবে।’ তিনি বলেন, ‘২০০৪ সাল থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক হাজারেরও বেশি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যা ব। তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, গ্রেনেড, বিস্ফোরক ও বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া গোয়েন্দা ও থানার পুলিশ বিভিন্ন সময়ে সারা দেশে অভিযান চালিয়ে জঙ্গি তত্পরতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরো এক হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকেও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পুলিশের তালিকায় আরো অনেকে আছে যারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা ধরাও পড়বে হয়তো। কিন্তু যাতে আর কোনো জঙ্গি দেশে তৈরি হতে না পারে সে জন্য সব মানুষকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.