নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকার বিনিয়োগ চান

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

সরকার বিনিয়োগে অন্তরায়গুলো অপসারণের পদক্ষেপ নেওয়ায় উদ্যোক্তারা আগ্রহী হয়েছেন বাংলাদেশকে নিয়ে। তাঁরা মনে করছেন, এ দেশ এখন বিনিয়োগবান্ধব। উদ্যোক্তাদের মনে এই ধারণা বদ্ধমূল করার জন্য সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানাভাবেই চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। এবার তার সাফল্য দেখতে শুরু করেছেন উদ্যোক্তারা।
এমনটি হলে অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশের আবির্ভাব ঘটবে এ ব্যাপারে দ্বিধা নেই। কিছুকাল আগেও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিতেন। আর এখন তাঁরাই বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে জোর লবিং শুরু করেছেন।
এতদিন উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে পিছিয়ে যেতেন। দেশে কাক্সিক্ষত বিনিয়োগ হতো না। সেই উদ্যোক্তারাই এখন বাংলাদেশে এসে দেখছেন নতুন এক দেশকে। ফলে তাঁদের মধ্যে উদ্যম ফিরে এসেছে। মুনাফার মুখ দেখবেন বলে আশা করছেন। যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ছাড়া অন্ধকারে ডুবে থাকত। কল-কারখানা পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পেত না। অবকাঠামোর অবস্থাও ছিল নাজুক। এছাড়াও সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। আমলাদের অসহযোগিতায় অনেক বিনিয়োগকারী দেশ ছেড়ে চলে যেতেন। একটি কাজের জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষায় থাকতে হতো উদ্যোক্তাদের। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা বাংলাদেশে এসে দেখছেন সবকিছুর যেন আমূল পরিবর্তন। এতে বিস্মিত এবং অবাক উদ্যোক্তারা। তাঁরা দেখছেন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আশাতীত উন্নতি হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা যেমনটি চান, সরকার তারচেয়েও বেশি এগিয়ে এসেছে।
বিনিয়োগের জন্য সরকারের যে কর্মপরিকল্পনার দরকার পড়ে, এই নিরেট বাস্তবতা বিগত সরকারগুলো সেভাবে অনুধাবন করেনি। বর্তমান সরকার সেটি উপলব্ধি করে। আর এ কারণেই বিনিয়োগ বাড়াতে অনেক ধরনের কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং তার প্রচার কাজ চালানো হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেও যথেষ্ট সক্রিয়। সরকারের প্রচেষ্টায় দেশ বিনিয়োগবান্ধব হওয়ায় বিশ্বের বড় বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশ অভিমুখী।
বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা করে একশ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ সময়োপযোগী এবং দেশের উন্নতিকে কাক্সিক্ষত জায়গায় নিয়ে যেতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।
দেশের প্রতিটি মানুষ যে কোনো অসম্ভব কাজকে বাস্তবায়ন করতে আরও বেশি আত্মপ্রত্যয়ী ও অঙ্গীকারবদ্ধ হবে এমন আকাক্সক্ষা আমাদের। নীতিনির্ধারক, উদ্যোক্তা, বিশেষজ্ঞ, সর্বোপরি সাধারণ কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও সক্ষমতা অর্জনের মধ্য দিয়েই এটি সম্ভব। এটি উদ্যোক্তারা অনুধাবন করলে দেশের মঙ্গল বয়ে আনবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারপার্সন হিসেবে ইতোমধ্যেই বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছেন যে, আমি আপনাদের, বিশেষ করে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিশ্চিত করতে চাই যেÑ আমরা আপনাদের বাস্তবভিত্তিক বিনিয়োগ প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। বাংলাদেশে আপনার বিনিয়োগের সুরক্ষা ও বৃদ্ধি সুনিশ্চিত।
উদ্যোক্তাদের কথা চিন্তা করে সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এতে করে বিনিয়োগ কার্যক্রম সহজীকরণ হবে। বাংলাদেশে রয়েছে বিপুলসংখ্যক যুব কর্মশক্তি, বিশাল বাজার, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং সুদৃঢ় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। কার্যকর বাজার অর্থনীতির যথাযথ ব্যবহারের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এবং পদ্ধতিগত সরলীকরণ করা হয়েছে। ফলে বিনিয়োগ বাড়ছে। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রয়েছে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে বিনিয়োগও বাড়বে। বিনিয়োগ বাড়লে দেশে বেকারত্ব কমবে। প্রবৃদ্ধি বাড়বে।
বিশ্বের বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে ইতোমধ্যেই। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, বন্দর ও অবকাঠামো খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগে আগ্রহী ভারতের রিলায়েন্স এবং আম্বানি গ্রুপ। বিনিয়োগে উদ্যোক্তাদের মধ্যে যে উৎসাহ তৈরি হয়েছে, এটাকে শতভাগ কাজে লাগাতে হবে।
দেশকে যথাযথভাবে বিনিয়োগবান্ধব করতে যত বাধাই থাক না কেন, সরকারকে তার দ্রুত সমাধান করতে হবে। একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এই পরিকল্পনা যাতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়ে ভেস্তে না যায়, সরকারপ্রধানকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির জন্য ৩০টি এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে। এই কাজ দ্রুত এগিয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেসব এলাকা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য উপযুক্ত, সেসব অঞ্চল যেন বাদ না পড়ে। কিছু লোকের বিশেষ কারসাজিতে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা যেন না গ্রহণ করা হয়। এ ব্যাপারে সরকারপ্রধানকে বিশেষ নজর রাখতে হবে বলে আমরা মনে করি।
আমরা বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ দেওয়ার ইচ্ছে রাখেন। তবে দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোসহ কাক্সিক্ষত জায়গায় নিয়ে যেতে সব বাধা দূর করতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.