![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জঙ্গি তত্পরতায় মদদ দেওয়াসহ পাকিস্তান যে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, সে কথা নানা মহল থেকে অনেক দিন ধরেই উচ্চারিত হচ্ছে। এরই মধ্যে তার কিছু প্রমাণও সরকারের হাতে এসেছে। জঙ্গি তত্পরতার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি নাগরিক আটক হয়েছে। ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশনের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তুলে ধরেছে গোয়েন্দারা। গত বছর দুজন কর্মকর্তাকে পাকিস্তান ফিরিয়েও নিয়েছে। সর্বশেষজনকে ফিরিয়ে নেওয়ার পরপরই কোনো কারণ বা অভিযোগ ছাড়াই পাকিস্তানে থাকা বাংলাদেশের কূটনীতিক মৌসুমী রহমানকে ফিরিয়ে আনতে বলে পাকিস্তান। বাংলাদেশ তাঁকে সেখান থেকে অন্যত্র বদলি করে। সর্বশেষ গত সোমবার সকালে গুলশানের কূটনৈতিক পাড়ায় সন্দেহজনক ঘোরাফেরার অভিযোগে পুলিশ একজনকে আটক করে। পরে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাঁকে এক পাকিস্তানি কূটনীতিকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। জানা গেছে, পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মী আবরার খান সাধারণ নম্বর প্লেট লাগানো একটি মোটরসাইকেলে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, যা তিনি করতে পারেন না। অন্যদিকে সোমবার বিকেল থেকে পাকিস্তানে থাকা বাংলাদেশ মিশনে কর্মরত জাহাঙ্গীর হোসেনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ধারণা করা হয়, পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে বাসা থেকে তাঁকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। জানা যায়, আবরার খানকে ছেড়ে দেওয়ার পর রাত ১টার দিকে তাঁকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে আটক করা হলে কিংবা কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে তার বিপরীতে কোনো কারণ ছাড়াই কাউকে তুলে নেওয়া বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা কূটনৈতিক শিষ্টাচার তো নয়ই, নৈতিকতার বিচারেও গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু তা-ই নয়, এ ঘটনায় পাকিস্তান হাইকমিশন রাতে যে বিবৃতি দিয়েছে, তাও অত্যন্ত আপত্তিকর। তাতে পুলিশের বিরুদ্ধে তো বটেই, গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধেও কুৎসা রটানো হয়েছে। বলা হয়েছে, গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যবহার করে আবরারকে হয়রানি করা হয়েছে। আর পুলিশের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে, আবরারকে তারা চোখ বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে গেছে। তাঁর কাছে পাঁচ কোটি টাকা ঘুষ দাবি করা হয়েছে এবং তাঁকে ‘ক্রসফায়ারে’ দেওয়ার এবং লেকের পানিতে ডুবিয়ে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বা ডিএমপির পক্ষ থেকে এসব অভিযোগকে সর্বৈব মিথ্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাকিস্তান হাইকমিশনারকে তলবও করা হয়।
সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ডের ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমেই তিক্ত পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অতীতেও দুই দেশের সম্পর্কে এমন তিক্ত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে তা কেটেও গেছে। দুই দেশের কিছু অভিন্ন এবং কিছু অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে। তাই আলোচনার ভিত্তিতে সম্পর্কের এই দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ওঠা প্রয়োজন। একই সঙ্গে আমরা আশা করি, পাকিস্তানে থাকা বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মী জাহাঙ্গীর হোসেনকে অন্যায়ভাবে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪
অগ্নি কল্লোল বলেছেন: লেখার জন্য ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ
ফাকিস্থান মুর্দাবাদ।
জয় বাংলা।