![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মিথ্যাচারিতা ও পাকিস্তানবাদিতা প্রায় সমার্থক! ওয়ালি খান, আসগর আলী খান ও তারিক আলী প্রমুখ পাকিস্তানি লেখকরা যথাযথভাবেই পাকিস্তানের মিথ্যাচারী ভাবমূর্তি তাদের গবেষণা কর্মের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। এসব লেখকের গবেষণা কর্ম বেশ পরিচিত। এরা ছাড়াও সে দেশের আরো অনেকে সঠিকভাবেই পাকিস্তানের মিথ্যাচারী অভ্যাস তুলে ধরছেন। কিন্তু তাতে পাকিস্তানের অভ্যাস খুব একটা পরিবর্তন হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। একাত্তরে ত্রিশ লাখেরও বেশি বাঙালিকে হত্যা, প্রায় আড়াই লাখ বাঙালি মা-বোনের সম্ভ্রম হানি প্রভৃতি 'সত্য' পাকিস্তান আজও অফিসিয়ালি স্বীকার করেনি। বাংলাদেশের প্রাপ্য সম্পদ ফেরত দেয়ারও কোনো লক্ষণ পাকিস্তানি সরকারের পক্ষ থেকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সরাসরি জড়িত পাকিস্তানি সৈন্যদের বিচারের বিষয়টি তো সুদূর পরাহত। একাত্তরের অপরাধের জন্য বাঙালিদের কাছে অফিসিয়ালি ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারটিও নিশ্চিত নয়। বাংলাদেশে আটকেপড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নেয়ার প্রশ্নটিও অনিশ্চিত। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশের লোকদের বিচার ও শাস্তির পর পরই পাকিস্তান সরকার সে সম্পর্কে বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে! ১৯৭১-এর পরের এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ১৯৪৭ সালের পরে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পদ ভাগাভাগির প্রশ্ন তুলনা করলে দেখা যায় মহাত্মা গান্ধীর কারণে সে সময় ভারত, অবিভক্ত থাকা কালের প্রাপ্য সম্পদ পাকিস্তানকে ফেরত দিয়েছিল!
পাকিস্তানের জিন্নাহ্ ইউনিভার্সিটি অব উইমেনের প্রফেসর শাহিদা কাজী বলছেন, 'ইতিহাস এমন একটি বিষয় যেটিকে পাকিস্তানের কেউই আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেননি। ফলে বিষয়টি এমনভাবে বিকৃত হয়েছে যে অনেক মিথ্যা কথা আমাদের সামগ্রিক চেতনার অংশ হয়ে গিয়েছে।' মিথ্যাচারিতার কারণেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে মদদদাতা হিসেবে ইতোমধ্যেই পাকিস্তান কুখ্যাতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরের পাকিস্তানপ্রেমীরাও এসব মিথ্যা তথ্য নিজেরাও বিশ্বাস করেন এবং অন্যদেরও বিশ্বাস করার জন্য প্রয়োজনে খুন করতেও পিছপা হন না। পাকিস্তানের সাহসী লেখকরা যেভাবে দেশটির মিথ্যাচারিতার প্রতিবেদন একেবারে শিরোনাম দিয়ে প্রকাশ করেন বাংলাদেশের সংবাদপত্রের অনেকেই পাকিস্তান সম্পর্কে এভাবে 'মিথ্যা' শব্দটি প্রয়োগ করে শিরোনাম করতে চাইবেন না, এটি বোঝা যায়!
রাজা রুমী নামের একজন পাকিস্তানি সাংবাদিক পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে ২০১১ সালের ১৪ এপ্রিলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন। এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, 'পাকিস্তানের পাঠ্যপুস্তকগুলো মিথ্যাবাদিতা, ঘৃণা এবং সংকীর্ণতা ও গোঁড়ামি শিক্ষা দেয়। তারা সব অমুসলিমদের বিশেষত হিন্দুদের শয়তান এবং মূলত শত্রু হিসেবে চিত্রিত করেছে, সামরিক একনায়কতন্ত্রকে গৌরবান্বিত করেছে এবং বাঙালি ভাই ও বোনদের সঙ্গে মহা বেইমানি করেছে, যারা পাকিস্তানি আন্দোলন প্রতিষ্ঠাতা ও মালিক ছিলেন। সময় এসেছে এসব ভুলগুলোকে শোধরানোর।'
পাকিস্তানের আর একটি খ্যাতনামা সংবাদপত্র 'ডন'। এই সংবাদপত্রে ২০১৪ সালের ১৫ আগস্ট একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে যে ঘটনাগুলোর স্মৃতি উপমহাদেশের মানুষের মনে দগ্ দগ্ করছে সে ধরনের তিনটি ঘটনার কথা বলা হয়েছে। এ তিনটি ঘটনা হচ্ছে_ ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৪৭ সালের ভারত ও পাকিস্তান নামের দুটি আলাদা রাষ্ট্রের অভ্যুদয় সম্পর্কে সে দেশের পাঠ্যপুস্তকে যা শেখানো হয়ে থাকে তার উল্লেখ করা হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের টেক্সটবুক বোর্ড কর্তৃক ২০০২ সালে প্রকাশিত পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ সম্পর্কে বলা হচ্ছে_ পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের কয়েকটি এলাকা দখল করে নিয়েছিল, এবং যখন ভারত পরাজয়ের একেবারে কিনারায় পেঁৗছে গিয়েছিল তখন তারা যুদ্ধ-বিরতি ভিক্ষা চাইতে জাতিসংঘে দৌড়ে গিয়েছিল। মহানুভবতার সঙ্গে তখন বিজিত এলাকাগুলো পাকিস্তান ভারতকে ফেরত দেয়। সেকেন্ডারি শ্রেণির জন্য ১৯৯৩ সালে পাঞ্জাব টেক্সটবুক বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত বইতে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয় সম্পর্কে বলা হচ্ছে, 'পূর্ব পাকিস্তানে বৃহৎ সংখ্যক হিন্দুর বসবাস ছিল। তারা কখনই সত্যিকার অর্থে পাকিস্তান মেনে নিতে পারেনি। তাদের বড় একটি অংশ স্কুল এবং কলেজের শিক্ষক ছিল। তারা অব্যাহতভাবে ছাত্রদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করছিল। তরুণ প্রজন্মকে পাকিস্তানের আদর্শ ব্যাখ্যা করার কোনো গুরুত্বই দেয়া হয়নি।' অফিসিয়ালি স্বীকার করে নিলেও, মনের দিক থেকে, মূলত স্বাধীন বাংলাদেশকে পাকিস্তান এখনো তার 'ধর্মীয় উপনিবেশ' হিসেবেই এবং পাকিস্তানের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবেই দেখে থাকে। বলা বাহুল্য 'পাকিস্তানকে' প্রভু হিসেবে এবং এর পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বা 'ধর্মীয় উপনিবেশ' হিসেবে গণ্য করার মতো প্রচুর লোক খোদ বাংলাদেশেও আছে। পাকিস্তানের পাঠ্যপুস্তকে যা পড়ানো হয় এসব কথা বাংলাদেশের পাকিস্তানপন্থীরা হামেশাই বলে থাকে।
পাকিস্তানের পাখতুনখাওয়া প্রদেশের চরসাড্ডার বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ জানুয়ারি সন্ত্রাসী আক্রমণ এবং প্রায় ৩০ জনের নিহত হওয়ার ঘটনা বিশ্ববাসীর নজরে এসেছে। সন্ত্রাসী আক্রমণে মানুষ হত্যা করা পাকিস্তানের জন্য একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কিন্তু বাচা খানের (৬ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯০- ২০ জানুয়ারি, ১৯৮৮) নামটি উপমহাদেশই নয় সমগ্র বিশ্বে অহিংস নীতির সাধক হিসেবে সুপরিচিত। তাকে বলা হতো 'সীমান্ত গান্ধী'। সত্যের সাধক ছিলেন খান আব্দুল গাফ্ফার খান ওরফে বাচা খান। যখন বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী আক্রমণ হয়েছিল তখন সেখানে বাচা খানের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের আয়োজন চলছিল। এই নামটি আমাদের দেশে বাদশা খান হিসেবেও বলা হয়ে থাকে। মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে বাদশা খানের ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। বাদশা খান বা বাচা খান ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে 'খোদাই খিদমতগার' আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তার এই আন্দোলন সে সময়ের পাখতুনখাওয়ার মানুষকে অহিংস পথে স্বাধীনতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। সর্বজনশ্রদ্ধেয় এই নেতার নামানুসারেই ২০১২ সালে পাখতুনখাওয়ার তৎকালীন প্রাদেশিক সরকার কর্তৃক এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বাচা খানের দ্বিতীয় পুত্র আব্দুল ওয়ালি খান (১১ জানুয়ারি, ১৯১৭-২৬ জানুয়ারি, ২০০৬) পাকিস্তানের একজন নামকরা রাজনীতিক ছিলেন।
ওয়ালি খান লিখিত শিরোনামের বইটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯৮৬ সালে। এটি এখন ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে বিনামূল্যে। এই বইটি লিখতে লেখক বেশ কয়েক বছর ব্যয় করেছেন। বইটির তথ্যের উৎস হচ্ছে ব্রিটিশ সরকারের ডিক্লাসিফাইড দলিলপত্রাদি। এসব দলিলপত্র বিশ্লেষণ করে ওয়ালি খান দেখিয়েছেন যে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকের 'ভাগ করো এবং শাসন করো' নীতির ইচ্ছাকৃত সৃষ্টি হচ্ছে 'পাকিস্তান'। ব্রিটিশদের এই 'ভাগ করো এবং শাসন করো' নীতি বাস্তবায়নে অন্যান্য কয়েকজন ধর্মীয় নেতাসহ মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ সহায়তা করেছেন। যেমন পাকিস্তান চঅকওঝঞঅঘ শব্দটি আবিষ্কার করেছেন চৌধুরী রহমত আলী। কিন্তু পাকিস্তানে বরাবরই বলা হয়ে থাকে এবং জেনারেল জিয়াউল হকের শাসনামল থেকে জোর দিয়ে বলা হচ্ছে পাকিস্তানের স্বপ্নদ্রষ্টা হচ্ছেন মহাকবি ইকবাল। অথচ পাকিস্তান সৃষ্টির অনেক আগেই ১৯৩৮ সালের ২১ এপ্রিল কবি ইকবাল মৃত্যুবরণ করেছিলেন এবং তিনি উপমহাদেশের বিভক্তির একজন ঘোর বিরোধী ছিলেন। যদিও ইকবাল বাঙালি কবি রবীন্দ্রনাথের প্রতিভার প্রতি ঈর্ষান্বিত ছিলেন! যাহোক, চঅকওঝঞঅঘ শব্দটি যেসব শব্দাবলির আদ্যাক্ষর নিয়ে গড়ে উঠেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ নেই। কিন্তু বাংলাদেশকেও কৃত্রিমভাবে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এদিক থেকেও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল প্রকৃত পক্ষে পাকিস্তান প্রবক্তাদের মিথ্যা যুক্তির বিরুদ্ধে একটি প্রবল এবং অপ্রতিরোধ্য ইতিবাচক যুক্তির অনিবার্য লড়াই। ত্রিশ লক্ষাধিক বাঙালির আত্মাহুতির বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যে যুক্তির তথা বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জিত হয়েছে। এ তো গেল বাংলাদেশের কথা। খোদ বর্তমান পাকিস্তানেই এই কৃত্রিম রাষ্ট্রটির স্বপ্নদ্রষ্টা বা চঅকওঝঞঅঘ শব্দটির মূল আবিষ্কর্তা নিয়ে সে দেশের সরকারের মিথ্যাচার চলছে।
'পাকিস্তান সৃষ্টির মূল কারণ ব্রিটিশ রাজের ষড়যন্ত্র' বিষয়টিকে সত্য হিসেবে পাকিস্তান সরকার কখনই স্বীকার করেনি। পাকিস্তান সরকারের প্রতিষ্ঠিত অনুভূতি হচ্ছে উপমহাদেশের মুসলমানদের জন্য স্বতন্ত্র আবাসভূমি হিসেবে পাকিস্তানের জন্ম অনিবার্য ছিল, যেটি মূলত ভারতীয় মুসলমানদের প্রতি ইংরেজদের বদান্যতা হিসেবে ব্রিটিশ শাসকরা সূক্ষ্মভাবে প্রচার করত। পাকিস্তানের সৃষ্টি সম্পর্কে আর একটি প্রচার হচ্ছে 'পাকিস্তানের বীজ নিহিত রয়েছে মুহাম্মদ বিন কাশিমের আক্রমণ ও বিজয়ের মধ্যে'। পাকিস্তানেরই প্রফেসর শাহিদা কাজী বলছেন, 'মুহাম্মদ বিন কাশেম ছিলেন একজন লুটেরা এবং সন্ত্রাসী।' তবে ওয়ালি খান তার বইতে এসব কোনো কারণকেই পাকিস্তান সৃষ্টির কারণ হিসেবে দেখতে পাননি। তিনি অথোরিটেটিভ তথ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন 'ব্রিটিশ শাসকদের ভাগ করো এবং শাসন করো নীতির' ফসল হচ্ছে 'পাকিস্তান'। এই কারণটিই তিনি তথ্য উপাত্তসহ বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। সঠিক কারণ তুলে না ধরে এর বিপরীতে পাকিস্তান যেসব কারণের কথা বলছে তার সবটুকুই মিথ্যাচার।
পাকিস্তানের একজন ইতিহাসবিদ জাফর হাসান জায়িদী উর্দুতে একটি বই লিখেছেন, যার শিরোনাম হচ্ছে 'পাকিস্তান ক্যায়সে বান্না?' [কিভাবে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিল?]। পাকিস্তানেরই আর এক প-িত রশিদ জাহাঙ্গিরই এই বইটির পর্যালোচনা করেছেন। এখানে বলা হচ্ছে, 'পাকিস্তানের ধারণাটি ইংল্যান্ডে ওয়ার্কিং মুসলিম মিশনের (যা খাজা কামাল উদদীন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল) ড্রইং রুমে উৎপত্তি লাভ করেছিল। এখানের একটি আলোচনায় চৌধুরী রহমত আলী সাহেব এ ধারণাটি নিয়ে আসেন এবং 'নাউ অর নেভার' শিরোনামে একটি প্রচারপত্র লেখেন।'
তার শেষ স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, 'কয়েক দশকব্যাপী অস্থিতিশীলতা বিশ্বের অনেক অংশে চলতে থাকবে-মধ্যপ্রাচ্য, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান, মধ্য আমেরিকার কয়েকটি অংশে, আফ্রিকা এবং এশিয়ায়।' এ সম্পর্কে 'ডন' পত্রিকায় আনোয়ার ইকবাল নামের একজন পাকিস্তানি সাংবাদিক একটি কলাম লিখেছেন। এতে তিনি বলছেন, 'যেহেতু এটি ছিল প্রেসিডেন্ট ওবামার শেষ মেয়াদের শেষ ভাষণ তাই তিনি আমেরিকার সামনে আগামী দশ বছর বা তার বেশি সময়ে যেসব চ্যালেঞ্জ আছে সেগুলো তুলে ধরেছেন।' বোঝাই যাচ্ছে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের হাতেগোনা দু'একটি রাষ্ট্রের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার পাকিস্তান (এবং আফগানিস্তান) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নজরদারিতে থাকবে! ওসামা বিন লাদেনকে মার্কিন বাহিনী কর্তৃক পাকিস্তানে তার 'নিরাপদ বাসস্থানে' এসে হত্যা করা, যখন-তখন ড্রোন হামলা করা এসব পাকিস্তানে চলতেই থাকবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশ এ ধরনের বিদেশি নজরদারিতে নেই। এজন্য স্বাধীনতার বেদীমূলে উৎসর্গীকৃত সব শহীদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানানো প্রতিটি বাঙালির পবিত্র কর্তব্য। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ এজন্য গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সরকারের যথোচিত পদক্ষেপের কারণে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন এবং উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। অন্যপক্ষে, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের সূতিকাগার হিসেবে পাকিস্তান কুখ্যাতি অর্জন করেছে, যার মূলে আছে দেশটির ঐতিহাসিক মিথ্যাচারিতা।
ড. অরুণ কুমার গোস্বামী: চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ও পরিচালক, সাউথ এশিয়ান স্টাডি সার্কেল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়-
©somewhere in net ltd.