![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের উদার প্রকৃতি সহজাতভাবেই এ দেশের মানুষকে উদার মনোভাবাপন্ন হতে উদ্বুদ্ধ করেছে। ধর্মীয়, সামাজিক বা রাজনৈতিক চেতনায় এ দেশে চরমপন্থা কখনো জনমনে ঠাঁই করে নিতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষ সেই দূর অতীতে ছিল সহজিয়া ধর্মীয় চেতনার অনুসারী। পরবর্তীতে এ দেশের মানুষের হূদয়রাজ্যে ঠাঁই পেয়েছে ভগবান বুদ্ধের অহিংসা ও জীবপ্রেমের শিক্ষা। এদেশে ইসলাম প্রচার হয়েছে সুফিবাদী সাধক পীর আউলিয়াদের মাধ্যমে। মানুষের প্রতি ভালোবাসাকে যারা ধর্মপ্রচারের উপজীব্য হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে জনগোষ্ঠীর সব অংশের শ্রদ্ধাও অর্জন করেছিলেন তারা। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গিবাদ বিস্তারে বাইরের নানা অপশক্তি অপচেষ্টা চালালেও হিংসা ও হানাহানির এই প্রত্যাখ্যাত মতবাদকে এদেশের মানুষ কখনো ভালো চোখে দেখেনি। বিশ্বরাজনীতির আধিপত্যবাদী শক্তিগুলো মুখে গণতন্ত্র এবং জঙ্গিবাদসহ সব ধরনের উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কথা বললেও মূলত তাদের পৃষ্ঠপোষকতা ও অর্থায়নে দুনিয়ার দেশে দেশে জঙ্গিবাদের বিকাশ ঘটেছে। ওসমানি খেলাফতে আঘাত হানার জন্য ব্রিটিশ মদদে আরব ভূখণ্ডে ওহাবিবাদের চর্চা শুরু হয়। আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীকে হটাতে কারা আল-কায়েদা ও তালেবান জন্ম দিয়েছিল সে বিষয়টি ওপেন সিক্রেট। একই অপশক্তি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে যে এ দেশে আইএসের অস্তিত্ব খুঁজছে সে সত্যটিও আজ স্পষ্ট। জঙ্গিবাদ শুধু ধর্মীয় চেতনারই পরিপন্থী নয়, তা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনারও পরিপন্থী। সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান এবং ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার এ চেতনাকে সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল এ দেশের মানুষ। অন্য ধর্মের মানুষকে কতল, তাদের উপাসনাগারে হামলা চালানোকে যারা ধর্ম মনে করে তারা যেমন শান্তির ধর্ম ইসলামের কেউ নয়, তেমনি এ দেশ ও মাটিরও কেউ নয়। যারা নিজেদের মগজকে বিদেশি প্রভুদের কাছে বন্ধক রেখে এ দেশের মাটি ও মানুষের সর্বনাশ করতে চাচ্ছে তাদের রুখতে একাত্তরের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ লড়াইয়ের কৌশল নির্ধারণ করতে হবে বাংলাদেশের বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে। আধিপত্যবাদী কোনো শক্তিকে সুবিধা দেওয়া নয়, নিজেদের সুরক্ষাই হবে জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইয়ের লক্ষ্য।
২| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০
বিজন রয় বলেছেন: চলুক লড়াই।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩
আজিজুর বলেছেন: যারা সারা জিবন পাপাচারে করেছে.এবং হটাৎ তার মৃত্যু ভয় আসল তখন সে তার সারা জিবনের পাপাচার থেকে মুক্তি পেতে সে আড়াআড়ি ভাবে মুক্ত হতে গিয়ে এই জংগিবাদে যুক্ত হয়।পেরিসে হামলায় যারা অংশ নিয়েছে তারা সকলেই মদ অ নারীর প্রতি প্রচন্ড আকৃষ্ট ছিল।