নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধুর ডাক

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০৭

অগি্নঝরা মার্চের আরেকটি উত্তাল দিন ছিল ৬ মার্চ। বঙ্গবন্ধুর ডাকে এদিনও হরতাল হওয়ায় গভীর উৎকণ্ঠায় পড়ে পাকিস্তান সরকার। প্রচ- বিক্ষোভ হয় ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে। বন্দি যুবকদের সঙ্গে কারারক্ষীদের সংঘর্ষে ৭ জন নিহতসহ অন্তত ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হন। যদিও কারা অভ্যন্তরে সংগঠিত এ সংঘর্ষের সুযোগে মোট ৩৪১ বন্দি বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়। যাদের সবাই অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন।
তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে এদিন সবার অপেক্ষাই ছিল মহান নেতার নির্দেশনাকে কেন্দ্র করে। অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একদিন পর কী আদেশ দেবেন_ সেটাতেই চোখ ছিল মুক্তিপ্রিয় সাড়ে সাত কোটি বাঙালির।
একাত্তরে পহেলা মার্চ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলার মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার অর্জনের কর্মসূচি ৭ মার্চ ঘোষণা করা হবে। এজন্যই যেন গোটা জাতির তর সইছিল না। তবে ৬ মার্চ পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এক বেতার ভাষণে ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন। তিনি বলেন, যাই ঘটুক না কেন যতদিন পর্যন্ত পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আমার হুকুমে রয়েছে এবং আমি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধান রয়েছি ততদিন পর্যন্ত আমি পূর্ণাঙ্গ ও নিরঙ্কুশভাবে পাকিস্তানের সংহতির নিশ্চয়তা বিধান করব। এ সময় তিনি ১০ মার্চ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।
প্রেসিডেন্টের বেতার ভাষণের অব্যবহিত পরেই বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক শাখার ওয়ার্কিং কমিটির

এক যুক্ত জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রেসিডেন্টের বেতার ভাষণের আলোকে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে ইশতেহারে বঙ্গবন্ধু বলেন, শহীদদের রক্ত মাড়িয়ে তিনি ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না।
একদিকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে লাগাতার হরতাল ও অসহযোগ অন্যদিকে পাক প্রেসিডেন্টের হঠকারী ভাষণের পর দাবি আদায়ের আন্দোলন যেন নতুন মাত্রা পায়। ঘর থেকে রাজপথে নেমে আসে বিক্ষুব্ধ হাজার হাজার স্বাধীনতাকামী বাঙালি। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বেশ কয়েকটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বেলা আড়াইটা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক এবং সরকারি-বেসরকারি অফিস কর্মচারীদের বেতন দেয়ার জন্য খোলা থাকে। কুখ্যাত পাকিস্তানি বর্বর অসভ্য, অশিক্ষিত শাসক ও শাসনের বিরুদ্ধে কারফিউ ভঙ্গ করে সভা, মিছিল এবং মিছিলে গুলিতে হত্যা_ সব মিলিয়ে এক বিস্ফোরন্মেুাখ উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় দেশজুড়ে।
এদিকে ৬ মার্চ লাহোরে কাউন্সিল মুসলিম লীগ নেতা এয়ার মার্শাল নূর খান এক সাক্ষাৎকারে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ-শাসনের বৈধ অধিকার রয়েছে। ক্ষমতা হস্তান্তরের সব বাধা অবিলম্বে দূর করতে হবে। প্রেসিডেন্টের বেতার ভাষণে পরিস্থিতি অবনতির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর দোষারোপ করায় নূর খান দুঃখ প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে পেশোয়ারে পাকিস্থান মুসলিম লীগ প্রধান খান আবদুল কাইয়ুম খান ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বানের সিদ্ধান্তকে অভিনন্দিত করে বিবৃতিতে বলেন, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পিডিপি প্রধান নবাবজাদা নসরুল্লাহ খান ও কাউন্সিল মুসলিম লীগ প্রধান মিয়া মমতাজ দৌলতানা ইয়াহিয়া খানের ঘোষণাকে স্বাগত জানান।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫

বিজন রয় বলেছেন: আমরা জানি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.