নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউপি নির্বাচন এবং গণতন্ত্র

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২১

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচার এখন তুঙ্গে। প্রার্থীরা ভোটারের দুয়ারে দুয়ারে হাজির হচ্ছেন। উদ্বেগের বিষয় হলো, একদিকে নির্বাচনী প্রচার যেমন চলছে অন্যদিকে চলছে সংঘর্ষ-সংঘাত। এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না নির্বাচন কমিশন। পুলিশ ও মাঠ প্রশাসনও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা আমলে নিচ্ছে না। এতে করে ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নির্বাচনী এলাকার পরিবেশ। নির্বাচনী পরিবেশ শান্ত এবং স্বাভাবিক রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে কঠোর হাতে সংঘর্ষ-সংঘাত বন্ধ করতে হবে।
দেশব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে শুরু হয়ে কয়েক দফায় শেষ হবে জুন মাসে। এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে মাঠ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হবে সন্ত্রাসী এবং দুর্বৃত্তদের ব্যাপারে কঠোর হওয়া। নির্বাচনী পরিবেশ যদি প্রতিকূলে চলে যায় তাহলে ভোটাররা ভোট দেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন। ভোটাররা চান শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে। কিন্তু ভোটাভুটির আগে পরিস্থিতি দিন দিন যেদিকে যাচ্ছে তা শান্তিপ্রিয় মানুষকে ভাবনায় ফেলে দিয়েছে।
প্রথমবারের মতো এবারই দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ কারণে নির্বাচন বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ প্রতিটি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। দলগুলো দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী দিয়েছে। এ অবস্থায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের রয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থী। বিশেষ করে প্রধান দলগুলোর সমর্থিত ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ-সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে। সংঘর্ষ-সংঘাত এখন যে পর্যায়ে রয়েছে তা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন ভোটাররা। এই আশঙ্কা লাঘবে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে আরও সক্রিয় ও কঠোর হওয়া জরুরি। উত্তপ্ত পরিবেশ বিদ্যমান থাকলে নানা প্রশ্ন উঠবে। সুষ্ঠু ও অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন আদৌ হবে কি-না এ প্রশ্ন সামনে এসে দাঁড়াবে। এ কারণেই নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে।
অনেক নির্বাচনী এলাকায় দল সমর্থিত প্রার্থী এবং দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। অনেক প্রার্থীর বাড়িঘর পর্যন্ত আক্রান্ত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে শিথিল ভূমিকা রাখছেন। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন উদ্বিগ্ন হলেও তাদের কথামতো কাজ করছে না আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। এটা আরও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল ভূমিকার ওপর অনেকাংশে নির্ভর করছে সুষ্ঠু ও বিতর্কহীন নির্বাচন। তবে এখনও সময় আছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার, যার কোনো বিকল্প নেই।
নির্বাচনী পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠলে যারা দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ার ঘোর বিরোধী, তারা কথা বলার সুযোগ পেয়ে যাবেন। দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের ঘোষণার পর থেকেই তারা বিরূপ প্রচারে লিপ্ত আছেন। ফলে দায়িত্বশীলরা যদি তাদের আরও বিরূপ প্রচারের সুযোগ করে দেন, সেটা অনুচিত হবে।
ইতোপূর্বে আর কখনোই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় সমর্থন নিয়ে হয়নি। এবারই সেটা হতে যাচ্ছে। এ কারণে ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবেন দায়িত্বশীলরা, এটা স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া যায়। কিন্তু যে ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীনই হোন না কেন তারা, তাদের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন উপহার দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা আশা করি দায়িত্বশীলরা এ বিষয়ে সচেতন আছেন। নির্বাচন নিয়ে যাতে কোনো প্রশ্ন না ওঠে সেই চেষ্টাই তারা করে যাচ্ছেন। আর এজন্যই এই নির্বাচন হোক সব নির্বাচনের জন্য মাইলফলক। জাতিকে পথ দেখাক আগামী দিনে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.