![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিদ্যুতের ব্যাপারে আরও একটি সুখবর পাওয়া গেছে। এবার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো। অর্থাৎ ভারতের বিদ্যুত এখন বাংলাদেশে। অবশ্য এটাই ভারত থেকে প্রথমবারের মতো বিদ্যুত আমদানি নয়। ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর ভারত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুত আমদানি শুরু হয়। বাংলাদেশের ভেড়ামারা এবং ভারতের বহরমপুরে সাবস্টেশন স্থাপন করা হয় সে সময়। সেবার ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে যোগ হওয়ার মধ্য দিয়ে ভারত থেকে আমদানি শুরু হয়। এটি পর্যায়ক্রমে ৫০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়। সেবারও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুত সঞ্চালন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। বুধবারও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ত্রিপুরা থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এজন্য কুমিল্লা থেকে ত্রিপুরা অংশে মোট ৫৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করেছে উভয় দেশ। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ২৮ কিলোমিটার এবং ভারত অংশে ২৬ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন এই গ্রিড লাইনটি ত্রিপুরার সুরজমনি নগর থেকে বাংলাদেশের কুমিল্লাকে সংযুক্ত করেছে। জানা গেছে, এতে প্রতিইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে ভারতের টাকায় ৫ রুপী। তবে বিদ্যুত না নিলে আমাদের কোন টাকা দিতে হবে না।
বিদ্যুত হচ্ছে দেশের অন্যতম চাহিদাগুলোর একটি। আমাদের দেশের বড় সমস্যাগুলোর অন্যতম একটি হচ্ছে বিদ্যুত। বহু সমস্যায় জর্জরিত ছিল এই বিদ্যুত খাতটি। নানা সময়ে দুর্নীতির কালো মেঘ ঢেকে রেখেছিল এই সেক্টরটিকে। বর্তমান সরকার প্রথম ধাপে ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে। সরকারের জন্য সে সময় বিদ্যুত একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছিল। সরকার এ ক্ষেত্রে অনেকটা সফল হয়েছে। কারণ ক্ষমতা গ্রহণের সময় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি বিদ্যুত উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩২৬৮ মেগাওয়াট। প্রতিদিনই বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে, বাড়ছে গ্রাহক সংখ্যা। তাই চাহিদার তুলনায় উৎপাদনের একটা ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুত উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট। এ জন্য আমদানিসহ অঞ্চলভিত্তিক কয়েকটি নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করতে হয়েছে সরকারকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আসায় এই ঘাটতি অনেকটাই কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিদ্যুত ছাড়া কোন দেশের সমৃদ্ধি অর্জন অসম্ভব। কৃষি, শিল্প থেকে শুরু করে আমাদের দৈনন্দিন সবকিছুই বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। যেহেতু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম তাই উন্নয়নের স্বার্থে বিদ্যুতের উৎপাদন ও বিতরণ বাড়াতে হবে। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশই নয়, আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। ইতোমধ্যে ছিটমহল, করিডর, তিস্তাসহ বিভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা, সীমান্ত বিরোধসহ দেশটির সঙ্গে আমাদের নানা সমস্যা অনেক ক্ষেত্রে সুষ্ঠুভাবে সমাধানের পথে এগুচ্ছে। এই বিদ্যুত আমদানির মধ্য দিয়ে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধানের পথ আরও প্রশস্ত হবে বলে সবার বিশ্বাস।
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫
তাসাইয়ু বলেছেন: ভারতের চেয়ে সস্তায় ইরান থেকে সেন্ট্রিফিউজ আমদানী করে বিদ্যুতের সমস্যা মেটাতে পারে বাংলাদেশ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪
মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: ত্রিপুরা রাজ্যে নতুন করে যেসব/যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে তার সকল সাজ-সরন্জাম আমাদের দেশের বুকের উপর দিয়ে বয়ে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন আমাদের মহামান্য প্রধানমন্ত্রী গনতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা,তানাহলে আমরা এই বিদ্যুৎ আমদানি করে আমরা আমাদের চাহিদা পূরন করতে পারতাম না।