নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে ১ হাজার ৪৬৬ ডলার হবে বলে প্রাক্কলন করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। সেই সঙ্গে এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রথমবারের মতো ৭.০৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আশা করছে।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসের (জুলাই-মার্চ) তথ্য বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো মাথাপিছু আয় ও প্রবৃদ্ধির এই হিসাব করেছে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই হিসাব তুলে ধরা হয়।
পরে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর চূড়ান্ত হিসাবে গত অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। আর গত অর্থবছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৩১৬ ডলার।
চলতি অর্থবছরে জিডিপির আকার ১৭ লাখ ২৯ হাজার কেটি টাকায় দাঁড়াচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'অনেক দিন ধরে দেশে ও দেশের বাইরে বলাবলি করছিল আমাদের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ঘরে ঘোরাঘুরি করছে। এবার তাদের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে।'
পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাক্কলন ঠিক থাকলে এক বছরেই মাথাপিছু আয় বাড়ছে দেড়শ ডলার। আর প্রবৃদ্ধি দাঁড়াচ্ছে ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে।
অর্থবছরের শুরুতে বাজেট ঘোষণার সময় ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশার কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। তবে নয় মাসে অর্থনীতির গতি প্রকৃতি দেখে এডিবি ও বিশ্বব্যাংক বলেছে, এবার বাংলাদেশ ৬ দশমিক ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পেতে পারে।
মুস্তফা কামাল বলেন, চলতি অর্থবছরের এ জিডিপি প্রবৃদ্ধি এক কথায় অসাধারণ। আগে বিশ্বব্যাংক ও ইউএনডিপি আমাদের অর্থনীতির প্রশংসা করত। এখন ইউরোপও বলছে বিনিয়োগের পরবর্তী ঠিকানা বাংলাদেশ।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব উদ্ধৃত করে মন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছর দেশে মোট জিডিপির ২৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ বিনিয়োগ হয়েছে। গত অর্থবছর এই হার ছিল ২৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন হয়েছে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ, শিল্প খাতে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ এবং সেবা খাতে ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ।
এ ছাড়া মৎস্য খাতে ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ, খনিজসম্পদে ১২ দশমিক ০৬ শতাংশ, শিল্প উৎপাদনে ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ, বিদ্যুৎ,গ্যাস ও পানি সরবরাহ খাতে ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ, নির্মাণ শিল্পে ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ, হোটেল রেস্তোরাঁ খাতে ৭ শতাংশ এবং পরিবহন খাতে ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে বিবিএস প্রাক্কলন করেছে।
সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অর্জন বর্তমান সরকারের একার নয়। এ অর্জন ১৬ কোটি মানুষের। দেশের কৃষক, ব্যবসায়ী, ছাত্র, শিক্ষক, এনজিও, মিডিয়া, ব্যবসায়ীসহ সব নারী-পুরুষের অবদানে এ অর্জন।
সংশোধনে এডিপি
কমেছে ৭ শতাংশ
এদিকে চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সাত শতাংশ কাটছাঁট করে ৯৩ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার শেরেবাংলানগরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এই সংশোধনীর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
বাজেটে চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য এক লাখ ৯৯৭ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করেছিল সরকার।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, চলতি অর্থবছরের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নসহ মোট ৯০ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকায় সংশোধনের প্রস্তাব করা হয় এনইসি সভায়।
কিন্তু সভায় উপস্থিত প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থার প্রতিনিধিদের চাহিদার ভিত্তিতে বরাদ্দ হিসাব করে ৯৩ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি চূড়ান্ত করা হয়।
এর মধ্যে মূল এডিপির আকার ৯১ হাজার কো?টি টাকা। আর স্বায়ত্তশা?সিত সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ধরা হয়েছে ২ হাজার ৮৯৪ কো?টি টাকা।
মন্ত্রী বলেন, এডিপির মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেয়া হবে ৬১ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। প্রকল্প সহায়তা থেকে আসবে ২৯ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। বাকি ২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকার জোগান দেয়া হবে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/করপোরেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে।
চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে ২৭৭টি প্রকল্প চলতি অর্থবছরে সমাপ্ত ঘোষণা করা হবে বলে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান।
সরকার প্রতিবারই শতভাগ এডিপি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে এলেও বাস্তবায়নের ধীরগতির কারণে প্রতিবছরই অর্থবছরের শেষভাগে এসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে কাঁচি চালাতে হয়। গত অর্থবছর এডিপির আকার কমেছিল ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ।
চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ পর্যন্ত সময়ে এডিপির মাত্র ৪১ শতাংশ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.