নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আতঙ্ক বাড়লেও জঙ্গি হামলার আশঙ্কা কমছে

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৩২

গুলশানে নিরীহ মানুষের ওপর জঙ্গি হামলার ফলে ১৭ জন বিদেশি নাগরিক ও তিনজন স্বদেশিকে নির্মমভাবে হত্যার তথাকথিত জিহাদের নামে নারকীয় ঘটনা দেশে-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পবিত্র ঈদের দিন শোলাকিয়ার ঈদের জামাতে হামলা করার মানসে পুলিশের ওপর বর্বরভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার ঘটনা শঙ্কার ব্যারোমিটারকে তুঙ্গে নিয়ে গেছে। নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের আত্মোত্সর্গ বিরল উদাহরণ হয়ে রইল।
ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব জনতা সঙ্কুুচিত না হয়ে প্রচণ্ড নিন্দা ও প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠলে জঙ্গিবাদের মদদদাতা ও সমর্থকরা উল্টো প্রচারণা চালিয়ে আতঙ্ককে মনের গভীরে ঢুকিয়ে প্রভাবকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠে। চালিয়ে যেতে থাকে বিরতিহীন সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রণ দিয়ে তৈরি করা মন ভোলানো জঙ্গি হামলার ন্যায্যতা জাহিরের টনিক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন স্থানে হামলার হুমকি ছড়িয়ে দিয়ে জনজীবনের স্বাভাবিকতায় ফেরত আসাকে বিলম্বিত করে জঙ্গি হামলার উদ্দেশ্যকে সফল দেখাতে চাইছে। গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলা করে প্রথমবারের মতো জঙ্গিরা ফেরত যেতে পারেনি এবং হামলার উদ্দেশ্য সফলতার মুখ দেখেনি। ইসলামী জিহাদের নামে হামলাকে ইসলামিক স্টেট ব্র্যান্ড লাগিয়েও বাংলাদেশের স্থিতিশীল ভাবমূর্তিকে কিছুটা আঘাত করলেও চুরমার করতে পারেনি। জঙ্গিবাদীদের অপউদ্দেশ্যকে সহজেই ধরে ফেলেছে বিদেশি রাষ্ট্রগুলো এবং জঙ্গিনিধনী যুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রত্যয় জানিয়েছে সময়ক্ষেপণ না করে।
গুলশান ও শোলাকিয়ার হামলার প্রকৃতি, লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন ও হামলার কৌশল দেখে প্রতীয়মান হয় যে কুশীলবরা সংগঠনের সুশিক্ষিত, সুপ্রশিক্ষিত ও সুসজ্জিত জঙ্গিদেরকে ছুড়ে দিয়েছে শেষ উদ্দেশ্য পূরণের শেষ অস্ত্র হিসেবে। এদের তৈরি করতে দীর্ঘকাল ধরে কসরত এবং মদদদাতাদের ব্যয় করতে হয়েছে অনেক অর্থ। এবারের হামলায় জঙ্গিবাদী চক্রের পেছনে থাকা শক্তিগুলো সামনে এগিয়ে এসে হামলাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত করে থেমে না থেকে নিজেরাই মাঠে নেমেছিল হামলা নিয়ন্ত্রণ ও সম্পাদনে। এটাও বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার নতুন নজির।
জঙ্গিবাদ রাজনীতির সস্তা হাতিয়ার। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও স্বার্থ চরিতার্থ করতেই নিরীহ মানুষ হত্যা করে। হত্যাকে জায়েজ করতে ধর্মকে ব্যবহার করে। জিহাদের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষের মনকে প্রভাবিত করে হিংস্র বানায়। ইসলাম ধর্মের শান্তি ও মানবিক চরিত্র হনন করে অমানবিক ও হিংস্র চরিত্র ফুটিয়ে তোলে।
প্রতিটি হামলার সঙ্গে সমন্বিত পরিকল্পনা থাকে। হামলার ক্ষেত্র তৈরিতে বড় ধরনের প্রচার ও প্রচারণা চালানো হয়। হামলা চলাকালে ও হামলা পরবর্তী সময়ে মিডিয়া ক্যাম্পেইন আগেভাগেই প্রস্তুত করা হয়। ব্যবহার করা হয় পৃষ্ঠপোষক ও সমর্থনদানকারী রাজনৈতিক দলের নেতাদের ও সমমনা নাগরিক সমাজের কর্ণধারদের। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য মাথায় রেখে হামলার লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন, হামলার সময়ও কৌশল নির্ধারণ করা হয়। হামলা নিয়ে বিভিন্নভাবে মিথ্যা গল্প রচনা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়। অপেশাদারদের উর্বর মস্তিষ্কপ্রসূত উদ্ভট ধারণা শুনে মনে হয় অভিযানের নেতৃত্বে তারা অনেক ভালো করতেন। তবে মানুষের তীব্র প্রতিক্রিয়ার তোড়ে পৃষ্ঠপোষকরা দাঁড়াতে পারেনি। তবে এখনও অনেকেই মাঠে আছেন জঙ্গিবাদের মাথার ওপর ছাতা ধরছেন বিভিন্ন যুক্তি ও কারণের অচল ও সনাতনী তত্ত্বের ওপর ভর করে। বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক ও সহিষ্ণুতার মাটিতে জঙ্গিবাদের চারা কৃত্রিমভাবে রোপণের আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে। সমাজের ইসলাম ভীরুতার মনস্তাত্ত্বিকতাকে পুঁজি করে উগ্র ও সহিংস জিহাদি মতাদর্শকে বিস্তার করা হচ্ছে রাজনৈতিক ও আর্থিক মদদ দিয়ে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য ইসলামী দলগুলো শুধু পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য লড়াই করেনি। গণহত্যা, ধর্ষণ, পৈশাচিকতা ও বর্বরতার আদর্শিক স্তম্ভ হিসেবে ইসলামকে বেছে নিয়েছিল। ভ্রান্তভাবে ইসলামকে উপস্থাপিত করে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ন্যায্যতা খুঁজেছিল। আজকের জঙ্গিবাদের মধ্যে সেই একই ধারার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে এবং মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠার অবলম্বন হিসেবে জঙ্গিবাদকে ব্যবহার করছে। জঙ্গিবাদের মূল উদ্দেশ্য ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠা না হয়ে সরকার উত্খাতের দিকেই ধাবিত। নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়ে রাজনৈতিকভাবে সঙ্কোচনে থাকা রাজনৈতিক দল ও যুদ্ধাপরাধী দলগুলো সরকার উত্খাতের উদ্দেশ্যেই কলকাঠি নাড়ছে। উদ্দেশ্যের এককেন্দ্রিকতা থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের মৌলিক উত্স কোথায় লুকিয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে পাকিস্তান এখনও নিজেদের মনে করে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসাতে তত্পর। জিহাদের নামে পরিচালিত জঙ্গিবাদ মূলত ক্ষমতায় আরোহণের সহিংস উপায় হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংযোগ প্রকৃতপক্ষে একটি বানানো অজুহাতমাত্র। যদিও ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে আদর্শিক আঁতাত দৃশ্যমান করার প্রচেষ্টা বিদ্যমান।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইংরেজি মাধ্যমে পড়া বিত্তশালী পরিবারের ছেলেরা কী করে জিহাদি হল তা নিয়ে অনুসন্ধানে নামলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসছে। কারা কোমলমতি ছেলেদের তথাকথিত জিহাদের রাস্তার পথ দেখাল তা খুঁজে বের করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ভীতবিহ্বল অভিভাবকদের স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে শিক্ষাঙ্গন কলুষিত করা দানব বানানোর কারিগরদের চেহারা উন্মোচন করা আবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। মগজ ধোলাইয়ের সুপরিকল্পিত ও সুচারুভাবে পরিচালিত স্কিম সমাজ থেকে সম্পূর্ণভাবে উত্পাটন না হওয়া পর্যন্ত পিতামাতা আশ্বস্ত হতে পারছেন না। দূর হচ্ছে না অজানা আশঙ্কা। জিহাদি সংগ্রহের পথ খুলে রেখে জঙ্গিবাদের বিস্তার রোধ ঠেকানো যায় না।
নব্বইয়ের দশক থেকে জঙ্গি সংগঠনের অভ্যুদয় ঘটলেও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরুর পর থেকে সরকার পরিবর্তনের তাগিদ বাড়তে থাকে। গণজাগরণ মঞ্চের আবির্ভাবের সময় থেকে ব্লগার রাজীব হায়দারকে হত্যা করে জঙ্গিবাদ নতুন রূপ ধারণ করে। চলতে থাকে হত্যার ধারাবাহিকতা, ক্রমেই হামলার ব্যাপ্তি বাড়তে থাকে এবং ঘন ঘন পরিবর্তিত হতে থাকে কৌশল। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের কাঙ্ক্ষিত ফলের অপ্রাপ্তি থেকে ক্রমান্বয়ে হিংস্র হয়ে উঠতে থাকে হামলার চরিত্র।
গুলশান ও শোলাকিয়ার হামলায় বিদেশি হত্যার পাশবিক চরিত্র ও হামলাকারীদের অচিন্তনীয় বৈশিষ্ট্য দেশ ও বিদেশের মানুষদের দারুণভাবে আতঙ্কগ্রস্ত করেছে নিঃসন্দেহে। নতুন হামলার হুমকির গুজব ছড়িয়ে মানুষকে হামলাতঙ্কে আক্রান্ত করেছে। নিরাপত্তাহীনতা থেকে জন্ম নেওয়া শঙ্কা ঝড়ের গতিতে মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে বাধা দিচ্ছে। জঙ্গি সংগঠন, জঙ্গি নেতৃত্ব ও জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকদের উত্পাটন জরুরি হলেও নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে অবিন্যস্ত তথ্য জঙ্গি নিধনের জন্য যথেষ্ট ছিল না বলেই অনুমিত। হামলার পরে আটককৃত সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও আগেকার তথ্যের সমন্বয়ে জঙ্গি, জঙ্গি মদদ ও পরিকল্পনার কুশীলব সম্পর্কে গোয়েন্দারা অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে। সুবিন্যস্ত তথ্য ইতোমধ্যে জঙ্গি আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে সমর্থ হয়েছে। অনেক জঙ্গিকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। ফলে জঙ্গিরা দৌড়ের মধ্যে পড়েছে। দেশের মানুষের সচেতনতা অনেক তীব্র হয়েছে, পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি বেসামরিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তার মান তীব্র করেছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের সম্পর্কে অধিক খোঁজখবর ও সন্দেহভাজনদের ওপর বাড়তি নজরদারি নিঃসন্দেহে নতুন হামলার ঝুঁকিকে ক্রমেই কমিয়ে আনছে দ্রুতভাবে।
সুশিক্ষিত ও সুপ্রশিক্ষিত জঙ্গির সংখ্যা অপ্রতুল ছিল। তাদের অতি উত্তম ক্যাডারগুলো হামলা করতে গিয়ে নিহত হওয়ায় জঙ্গিদের হামলার ক্ষমতা অনেক কমে গেছে। জনগণের প্রবল বিরোধিতার মুখে জঙ্গিরা সাধারণ মানুষকে আস্থায় নিতে পারছে না, এমনকি কট্টর সমর্থকরা সার্বিক চাপকে উপেক্ষা করে জঙ্গিত্বে নতুন করে জড়ানোর পরিবর্তে নিজেকে বাঁচাতেই বেশি ব্যস্ত। হামলা করতে গিয়ে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে পড়ে জীবন হারানোর ফলে তাদের সাহস ও মনোবল দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগে হামলা করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়ে জঙ্গিরা দুঃসাহসী হয়ে উঠেছিল। আক্রমণ করে পালিয়ে যাওয়ার সুখময় অভিজ্ঞতা এবার ভেঙে খান খান হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলো সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে এবং জঙ্গিদের নির্বিঘ্ন চলাচলে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। দেশীয় মদদদাতা ও প্রশ্রয়দাতারা অনেকেই শনাক্ত হয়েছে। ফলে শনাক্তহীনরা ভীত হয়ে নিজেদের রক্ষার উপায় খুঁজতে ব্যতিব্যস্ত।
জঙ্গি সমর্থক ও ছত্রছায়া দেওয়া রাজনৈতিক গোষ্ঠীরা এখন মাঠে সক্রিয় হয়েছে প্রচার-প্রচারণায়। জঙ্গিবিরোধী কর্মসূচি মানুষের কাছে অগ্রহণযোগ্য করে তোলা এবং অযৌক্তিক বিষয়ের অবতারণা করে জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমকে ব্যর্থ করতে প্রয়াসী হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে জঙ্গিদের সুরক্ষা দিতে তাদের অনেক কৌশল অবলম্বন করতে দেখা যাচ্ছে। জঙ্গি মদদদাতারা ব্যর্থ হয়ে এখন নিজেরা সাধু সাজার জন্য জাতীয় ঐক্যের নামে সুরক্ষা খুঁজছে। বিদেশনির্ভর জঙ্গিভিত্তিক রাজনীতিকে বিদেশিরাও ঠাঁই দেয়নি। ফলে জঙ্গিবিরোধী মঞ্চে উঠে নতুন করে ভোল পাল্টানোর অপপ্রয়াস লক্ষণীয়।
ইসলামের অপব্যাখ্যা করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ইচ্ছামতো বয়ান দেওয়ার স্বাধীনতা হারাতে বসেছে দেশের ইসলামজীবীরা। কেন্দ্রীয়ভাবে তৈরি করা খুতবার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অবস্থান নিতে শুরু করেছে। জঙ্গিবাদকে প্রশমিত করতে অনেক মুসলিম দেশেই এ ব্যবস্থা চালু আছে। বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ানোকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণনা করে আইন করলে ইসলাম ভীতিকে ব্যবহার করে বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ানোর সংস্কৃতি বন্ধ করা আরও সহজ হবে। আমাদের বিচারব্যবস্থার নমনীয়তাকে কাজে লাগিয়ে আটক হওয়া জঙ্গিরা অবলীলায় জামিন নিয়ে বের হয়ে আবার জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত হয়, এমনকি পুনরায় নিরীহ মানুষ হত্যা শুরু করে। যদিও জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিচারকদের কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পৃষ্ঠপোষকদের সুবিন্যস্ত নেটওয়ার্ক ও আর্থিক শক্তির মুখে কতটুকু সার্থক হবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাবে। জঙ্গিদের জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল ও তদন্ত সংস্থা প্রতিষ্ঠা করলে তাদের বিচার ত্বরান্বিত হতো এবং নিরীহ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা কমত। নিরাপত্তা মানুষের একটি অনুভূতি, যা পারিপার্শ্বিক অবস্থার দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান ধারণা ও গুজব দ্বারা প্রভাবিত হয়। জীবনের হুমকি থেকে শঙ্কার জন্ম হয় এবং শঙ্কা বিদ্যুত্গতিতে সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের আশঙ্কা দূর করতে হলে দেখাতে হবে জঙ্গি নিধনের সক্ষমতা ও আন্তরিকতায় জড়ানো দৃঢ় রাজনৈতিক প্রত্যয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.