![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদের ইমামসহ দুই বাংলাদেশি প্রকাশ্যে আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন গত শনিবার। মার্কিন মুলুকে বাংলাদেশি ইমাম হত্যার নজির এটাই প্রথম। হামলার কারণ স্পষ্ট না হলেও মুসলিম-বিদ্বেষ ঘটনার পেছনে কাজ করেছে। হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট এলাকার আলাউদ্দিন আকুনজি নিউইয়র্ক শহরের কুইন্সের ওজোন পার্ক এলাকার আল ফোরকান জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। তারাউদ্দিন মিয়া ছিলেন সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাসিন্দা। মসজিদ থেকে জোহরের নামাজ শেষে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে একজন হাফপ্যান্ট পরা অশ্বেতাঙ্গ দুর্বৃত্ত দুজনকে খুব কাছ থেকে আচমকা গুলি করে পালিয়ে যায়। সিসি টিভির ফুটেজে তার ছবি উঠলেও পুলিশ আততায়ীকে শনাক্ত করতে পারেনি এখন পর্যন্ত। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ থেকে তৈরি চেহারার স্কেচ প্রকাশ করেছে। সন্দেহভাজন একজনকে পুলিশ আটক করেছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট বাংলাদেশি ইমাম হত্যার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করে আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করে। কুইন্সের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে গিয়ে সমবেদনা জানান এবং বাংলাদেশিসহ স্থানীয়দের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দিলেও এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে এবং প্রশমিত হতে সময় লাগবে। প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড নিঃসন্দেহে কুইন্সের মুসলিম সম্প্রদায় ও বিশেষ করে বাঙালিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। তাদের মধ্যে নিরাপত্তার নতুন শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ইসলাম ধর্মে উদ্বুদ্ধ করতে ইমাম সাহেবের পারদর্শিতা ছিল এবং তাঁর সাহচর্যে কয়েকজন ভিন্নধর্মী ইসলাম গ্রহণ করেছেন বলে জনশ্রুতি আছে। ব্যক্তিগতভাবে অমায়িক আচরণের কারণে ব্যক্তিগত শত্রুতার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা। হত্যাকাণ্ডের পেছনে ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকে জন্ম নেওয়া ঘৃণাকে দায়ী করেছেন এলাকাবাসী। যদিও যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ এখনো হাতে না আসায় মার্কিনি পুলিশ বাংলাদেশি ইমাম হত্যাকে হেট-ক্রাইম লেবেল লাগাতে সম্মত না হলেও পারিপার্শ্বিক অবস্থাদৃষ্টে এটাকে হেট-ক্রাইম বা ঘৃণা সংবলিত অপরাধ বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ইসলামের নামে ভিন্নধর্মীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়িয়ে উগ্রবাদী মতাদর্শের বিস্তার করার আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের মতাদর্শিক কৌশল ভিন্ন ধর্মের উগ্রবাদীদের উসকে দিচ্ছে বলে অনেকেই মনে করেন। ২০০১ সালের ৯ সেপ্টেম্বরে টুইন টাওয়ার হামলায় তিন হাজার মানুষের মৃত্যু ও ছয় হাজার আহত মানুষের করুণ আর্তি মুসলিম বিদ্বেষকে হঠাত্ তুঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল। ফলশ্রুতিতে মুসলিম সম্প্রদায় নতুন নতুন হামলা ও হয়রানির শিকার হতে শুরু করে।
এনবিসি নিউজ-এর ২০ ডিসেম্বর তারিখে প্রকাশিত রিপোর্টে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ব্রায়ান লেভিনকে উদ্ধৃত করে বলা হয় ২০১৫ সালে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা সংবলিত অপরাধের মাত্রা আগের বছরের থেকে তিনগুণ বেড়েছে। গত ১৩ নভেম্বর তারিখ প্যারিসে জঙ্গি হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের ওপর ৩৮টি হামলা হয়েছিল এবং ২ ডিসেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নারডিনো শহরে হামলায় ১৪ জন নিহত ও ২২ জন আহত হলে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ১৮টি হামলা নথিভুক্ত হয়। লেভিন আরো বলেন, আইএস এর গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো পশ্চিমা বিশ্বকে মুসলিম বিশ্বাসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ও বসবাসের জন্য বৈরী চিত্রিত করা যারা খিলাফতকে প্রত্যাখ্যান করে।
ভনিতা গুপ্ত মার্কিন জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের নাগরিক অধিকার বিভাগের প্রধান হোয়াইট হাউসে দেওয়া তার ভাষণে স্বীকার করেন প্যারিস ও সানবার্নারডিনো হামলার পর মুসলিম আমেরিকানদের বিরুদ্ধে হামলা ৯/১১ ঘটনা পরবর্তী কালের মত দেখা যাচ্ছে। তিনি ধর্মীয় সহিষ্ণুতার বিপক্ষে মুসলিম বিদ্বেষী রাজনৈতিক বক্তব্যকে এর জন্য দায়ী করেন।
মার্কিন সংবাদ কর্মী কেইটলিন ম্যাকনিলের প্রবন্ধ থেকে সানবার্নারডিনো হামলার পর ৪ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০টি মুসলিম বিদ্বেষী অপরাধের বর্ণনা পাওয়া যায়। মসজিদের কাচ ভেঙে ফেলা, মাথা কেটে নেওয়ার হুমকি, স্প্রে রঙ দিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ কথা লেখা, দোকানে ভাঙচুর, হামলা, আগুন দেয়া, হিজাবধারী মহিলাদের হয়রানি, লাথি মারা, আচমকা চড়-ঘুসি মারা, গাড়িতে পাথর ছুড়ে মারা, পার্কে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর গরম কফি ছুড়ে মারা, উড়োচিঠি বা ই-মেইল, গালাগালি দেওয়া, মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট, মসজিদ ফেরত মহিলাদের গাড়িতে গুলি করা ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের অপরাধ এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এমনকি মার্কিন মুসলিম কংগ্রেসম্যান এন্ড্রে কারসন (ডি-ইন) হত্যার হুমকিও পেয়েছিলেন।
ইউরোপের অবস্থাও খুব ইতিবাচক নয়। মুসলিম বিদ্বেষী হেট-ক্রাইম পর্যবেক্ষণ গ্রুপ “টেল মামা” -র বার্ষিক জরিপ অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে ২০১৫ সালে হেট-ক্রাইম এর মাত্রা বেড়েছে শতকরা ৩২৬ ভাগ। ব্রেক্সিট ভোটের পর মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়নের মাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। সিরিয়ায় আইএসের পৈশাচিকতা এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পশ্চিমা জনগোষ্ঠীর ওপর জঙ্গি হামলা নিঃসন্দেহে মুসলিম বিদ্বেষের প্রধান কারণ হিসেবেই কাজ করছে। মুসলিম নারীরা বিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন মাত্রাতিরিক্তভাবে।
বর্ণবাদী বিদ্বেষের শিকার হলেও বাংলাদেশিরা ধর্মীয় বিদ্বেষের মুখোমুখি খুব একটা হয়নি। ধর্ম সম্পর্কে উদার ও নমনীয় মনোভাব বিদেশে বাঙালি মুসলিমদের গ্রহণযোগ্যতা ধরে রেখেছিল। ১লা জুলাই তারিখে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর জঙ্গি হামলায় হত্যার ক্ষেত্রে অমুসলিমদের বেছে নেওয়ার বার্তা সত্য না হলেও সুপরিকল্পিতভাবে ছড়িয়ে দেওয়ায় বাংলাদেশিদের ওপর বিদ্বেষের ঝুঁকি বেড়েছে বলে মনে হয়। যদিও গুলশান হামলায় দেশি-বিদেশি ও মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে হত্যা করা হলেও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক অভিযুক্ত হাসনাত করিমের পরিবারের দেওয়া হত্যার ক্ষেত্রে মুসলিম বিবেচনার ভাষ্যমত বিশ্বে অনেক প্রচার লাভ করে। বাংলাদেশিদের জন্য এই অসত্য ধারণা নতুন ঝুঁকি তৈরি করেছে বলে অনুমিত। ধর্মীয় বিদ্বেষ ও ঘৃণা থেকে উত্থিত ঝুঁকির কারণে বাংলাদেশি হত্যার মত অপরাধ আগে দেখা যায়নি বলে দুই বাংলাদেশির খুন হওয়ার ঘটনাটি খোদ আমেরিকার জন্যই শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশে নব্বই দশক থেকে জঙ্গি সংগঠনের জন্ম হয়। প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক দল উদীচীর ওপর হরকাত উল জিহাদ আল ইসলামী আল বাংলাদেশ বোমা হামলা করে জঙ্গি হামলার সূচনা করে। ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের সোচ্চার প্রতিবাদের পর থেকে ব্লগার রাজিব হত্যার মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদের একটি নতুন ধারার জন্ম হয়। ব্লগার অভিজিত রায়ের হত্যা মার্কিন মুলুকে যথেষ্ট আলোড়ন তোলে। ইতালিয়ান নাগরিক তাভেল্লা সিজার ও জাপানি নাগরিক হোসিও কুনির হত্যা বিদেশিদের জন্য অশনিসংকেত ছিল। পরবর্তীতে ভিন্ন মতাবলম্বী ও ভিন্নধর্মীদের ওপর ক্রমাগত হামলা ইসলামের নামে সহিংসতার উপস্থিতিকে তুলে ধরে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে বাংলাদেশের জন্য। মার্কিন নাগরিক ও মার্কিন সাহায্য সংস্থার কর্মী জুলহাস মান্নানের হত্যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আরো বেশি প্রচার পেলে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দেয়। বাংলাদেশে ইসলামের নমনীয় অবয়বের পরিবর্তন সূচনা করে। ক্রমান্বয়ে ভিন্নধর্মী পুরোহিত ও সেবায়েত হত্যা, খ্রিষ্টান যাজক হত্যা, মন্দিরে হামলা, মূর্তি ভাঙচুর, ভিক্ষুদের ওপর হামলা বাংলাদেশিদের সম্পর্কে বিদেশে বিরূপ ধারণা তৈরি করতে থাকে এবং গুলশান হামলায় বিদেশি হত্যা বাংলাদেশিদের ওপর বিরূপ ধারণাকে পোক্ত করে এবং পশ্চিমা বিশ্বে বাংলাদেশি মুসলিম বিদ্বেষ গতি লাভ করে।
বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিবাদী ইসলামের অনুসারী প্রবাসীদের পশ্চিমা রাষ্ট্রসমূহে আশ্রয় গ্রহণ, বসবাস এবং সেখানে উগ্রবাদ বিস্তারে সক্রিয় অংশগ্রহণ বাংলাদেশিদের সম্পর্কে ধারণা পরিবর্তনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে এবং সহিংস ইসলাম ও রাজনৈতিক ইসলামের অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের পরিচিতি বাড়িয়েছে। এখন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের সম্প্রীতি ও সহিষ্ণু সমাজের পুরনো ভাবমূর্তিকে নতুন করে তুলে ধরার। ধর্মীয় উগ্রবাদকে দমন করতে পশ্চিমা দেশগুলোকে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে হবে। নিরাপদ স্বর্গ ভেবে পশ্চিমা দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া উগ্রবাদীদের মুক্ত বিচরণ বন্ধ করতে সেখানকার জনগণ ও সরকারকে দৃঢ় ভূমিকা নিতে হবে। জঙ্গিবাদী প্রকল্পের রূপকারদের মুক্ত বিচরণ বিশ্বকে অনিরাপদ করে তুলেছে এবং জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সব দেশের নিরীহ মানুষের জীবনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এখন সময় এসেছে জঙ্গি হামলার নৃশংসতা থেকে সৃষ্ট ধর্মীয় বিদ্বেষ ও ঘৃণার সংস্কৃতি রুখতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার। রাষ্ট্র, রাজনৈতিক দল ও মিডিয়াকে আরো দায়িত্বশীল অবদান রাখতে হবে। মুসলিম ধর্মাবলম্বিদের আরো সচেতন ভাবে যত্নবান হতে হবে মানবিক ও শান্তির তাগিদের প্রতি। আন্ত:ধর্মীয় সম্প্রীতি ও পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ বাড়বে যদি ইসলামি ইবাদত পালনের দৃশ্য ভিন্নধর্মীদের দেখার জন্য খুলে দেওয়া হয়। সহিংসতার মতাদর্শ ইসলামের অঙ্গীভূত নয় এই বাস্তব সত্যকে প্রকাশ ও প্রচার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। জঙ্গিবাদী মতাদর্শের অনুসারী তথাকথিত ওলামাদের বাণী, বিবৃতি ও আচরণ সারা বিশ্বের শান্তিকামী মুসলিমদের জীবন সংকটে ফেলেছে এবং বিশ্বে এক ধরনের ইসলাম ভীতি তৈরি হয়েছে। বেশভুষায় ইসলামি আকিদার দৃশ্যমান চিহ্ন ধর্ম-বিদ্বেষীদের হামলা করতে প্ররোচিত করে বলে মনে হয়। মাথার পাগড়ি দেখে মুসলিম ভেবে শিখরাও হামলার শিকার হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। ইসলাম ধর্মের শান্তির চরিত্রকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা জরুরি হয়ে পড়েছে। ইসলাম ধর্মের ভেতরে সহিংসতার শেকড় গেঁথে আছে জঙ্গিবাদী হামলার মাধ্যমে দেওয়া এই বার্তাকে পরিবর্তন করার জন্য কাজ করতে হবে। শান্তির বাহক হিসেবে ইসলামকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে আন্ত:ধর্মীয় যোগাযোগকে ব্যাপক করতে হবে।
বাংলাদেশি ইমাম হত্যার ঘটনাকে হাল্কাভাবে নেবার কোনো অবকাশ নেই। পেছনে লুকিয়ে থাকা সার্বজনীন ঝুঁকিকে চিহ্নিত করে সঠিক সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষেধক ও প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে অনেক বড় ক্ষতের সৃষ্টি হবে। জাতিগত, ধর্মীয় ও বর্ণভিত্তিক বিদ্বেষের উপস্থিতি কমবেশি সর্বকালে অনুভব করা গেলেও বর্তমানে জঙ্গি হামলার শিকার হওয়া মানুষের মধ্যে অসত্য প্রচারণার কারণে ঘৃণার সুপ্ত বীজ অঙ্কুরিত হয়ে বেড়ে চলেছে। সস্তা জনপ্রিয়তা পাবার জন্য আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্পের মত উঠতি নেতারা ঘোলা জলে মাছ শিকারের আশায় মুসলিমদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ক্যাম্পেইন চালিয়ে বিদ্বেষকে ইচ্ছাকৃতভাবে চাঙ্গা করছে। অপরদিকে জঙ্গিবাদীরা ভিন্ন মতাদর্শীদের অবিশ্বাসী ও কাফের আখ্যায়িত করে ঘৃণা ছড়িয়ে হত্যাকে জায়েজ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উভয় সংস্কৃতি ঘৃণাকে পুঁজি করে বেড়ে উঠছে এবং সহিংসতার আগুনে ঘি ঢালছে। বিদ্বেষ ও ঘৃণার সংস্কৃতির বিষবৃক্ষকে বাড়তে দিলে পৃথিবীতে হিংসাকে জায়গা করে দিয়ে শান্তি বিদায় নিবে। বাংলাদেশের আমজনতার মধ্যে যেমন ইঙ্গ মার্কিনিদের প্রতি বিদ্বেষ নেই তেমনি আমেরিকান জনগণের মধ্যে মুসলিম বিদ্বেষ তেমন প্রখর নয়। জঙ্গিবাদী মতাদর্শকে নির্মূল করাটা সভ্যতা, মানবিকতা, সম্প্রীতি ও সামাজিক সহিষ্ণু সমাজের জন্য অত্যাবশ্যকীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংকীর্ণ স্বার্থ রক্ষার জন্য অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণার সংস্কৃতিকে ব্যবহার করা থেকে সবাইকে সরে এসে জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির জন্য লড়তে হবে সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিতভাবে এবং একসঙ্গে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
"সংকীর্ণ স্বার্থ রক্ষার জন্য অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণার সংস্কৃতিকে ব্যবহার করা থেকে সবাইকে সরে এসে জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির জন্য লড়তে হবে সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিতভাবে এবং একসঙ্গে। "
-কোথায়, কয়টা বাজে লড়বো?