![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরকারের সার্বিক সহযোগিতা, পরিকল্পনা এবং দেশের সর্বস্তরের মানুষের উদ্যোগ ও কর্মপ্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আমূল পরিবর্তনের দিকে অগ্রসরমান। তার দৃশ্যরূপ ধরা পড়ে সমগ্র দেশের অবকাঠামোগত রূপান্তরের মধ্যে। এর বিকশিত রূপটি পরিস্ফুটিত হতে সময়ের প্রয়োজন আশা করা যায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে। পরিবর্তনের বেগ যেসব ক্ষেত্রে মোটাদাগে নজর কাড়ে সেগুলো হলো অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ, শিক্ষার মানোন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন প্রভৃতি। এসব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের অর্জন ঈর্ষণীয়। জলবায়ুর পরিবর্তন ও পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশ তো পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর জন্যও অনুকরণীয়। দেশের উন্নয়নে সর্বদা নতুন পদক্ষেপ ও উদ্যোগ গৃহীত হচ্ছে। উদ্ভাবন হচ্ছে নতুন কৌশল ও কর্মপন্থা। ২০০৯ সালে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর, সুযোগ্য নেতৃত্বের ফলে দুর্নীতির মহোৎসব ও দারিদ্র্য বা মঙ্গাপীড়িতের হতদশা কাটিয়ে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। দেশের রাজনীতির ইতিহাস, ক্ষমতার পালাবদল আর রাষ্ট্রনায়কদের খামখেয়ালিপনা, দুঃশাসনের ইতিবৃত্ত পর্যালোচনার পর দ্বিধাহীনভাবেই বর্তমান সময়কে, বঙ্গবন্ধুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ সময় বলে আখ্যায়িত করা যায়। এর শতভাগ অবদান বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ওয়ান-ইলেভেনের সময়, দেশের রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে, কারাগারে বসে বঙ্গবন্ধুকন্যা রূপরেখা তৈরি করেছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সমৃদ্ধির সোপানে যখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তখন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এ সফলতাকে ম্লান করে দিতে উদ্যত। বিশেষ কিছু ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণার কারণে উন্নত বিশ্বের কয়েকটি দেশ প্রতিশ্রুত উন্নয়ন সহযোগিতা থেকে পিছিয়ে গেছে। দেশেও অস্থিরতা তৈরির নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিশেষ একটি মহল, যারা সব সময়ই দেশের অমঙ্গল কামনা করেন। তবে জনসাধারণের সুবিবেচনার কাছে তাদের ফন্দি-ফিকির বরাবরই ব্যর্থ হয়েছে দেশের অনিষ্টকারীরা কখনো সফল হতে পারবে না। উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের যোগ্যতা ও নেতৃত্বদানের স্বভাবসুলভ সূক্ষ্মবোধ এবং দূরদর্শিতার কাছে সব ষড়যন্ত্র ম্লান হয়ে গেছে।
শেখ হাসিনার উদ্ভাবনী ক্ষমতার আরেকটি প্রকাশ বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নতুন উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে নেওয়া আট কর্মসূচিকে ব্র্যান্ডিং করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে এবার বিনিয়োগ বিকাশ কর্মসূচি যুক্ত করা হয়েছে। বাকি কর্মসূচিগুলো হচ্ছে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, যা আগামী বছরে পল্লি সঞ্চয় ব্যাংক নামে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এরপর রয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিট কিনিক ও শিশু বিকাশ এবং সামষ্টিক নিরাপত্তা কর্মসূচি। এতে নতুন সংযোজিত হয়েছে বিনিয়োগ বিকাশ কর্মসূচি। এই কর্মসূচির বাইরে পরিবেশ সুরক্ষা নামে আরও একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ ব্র্যান্ডিংয়ের আরেকটি অনুষঙ্গ ‘বিনিয়োগ বিকাশ’ কর্মসূচি। সমৃদ্ধ দেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তি উদ্যোগে যে দশটি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তার অন্যতম এটি। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের ফলে দেশে বিনিয়োগের খরা কাটবে। ‘বিনিয়োগ বিকাশ’ বহির্বিশ্বে এমনভাবে ব্র্যান্ডিং করা হবে যাতে বিদেশিরা এ দেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসেন। এ ছাড়া দেশি উদ্যোক্তাদেরও আস্থা ফিরিয়ে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হবে। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ইতোমধ্যে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিনিয়োগের প্রধান বাধাগুলো কি তা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব বাধা দূর করে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো হবে। এ লক্ষ্যে জাতীয় শিল্পনীতিও বিনিয়োগবান্ধব করা হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত জাতীয় শিল্পনীতির খসড়ায় বলা হয়েছে কোনো বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে ১০ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বা প্রায় আট কোটি টাকা বিনিয়োগ করলে অথবা কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ প্রায় ১৬ কোটি টাকা স্থানান্তর করলে তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সরকারের এই উদ্যোগকে বিদেশিরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
এ ছাড়া ভারত, চিন, জাপান ও কোরিয়ার বিনিয়োগ বাড়াতে ওই দেশগুলোর জন্য পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল সংরক্ষণ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন। এ ছাড়া দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নে ৩০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। শুধু তাই নয়, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে আগামী পনেরো বছরে সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। এর ফলে দেশের রফতানি আয় বৃদ্ধি পাবে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে প্রায় ১ কোটি মানুষের।
প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত ইচ্ছায় এসব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, যা ‘শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ’ নামে পরিচিত। এসব কর্মসূচি গ্রহণের ফলে রূপকল্প-২১ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা (এসডিজি) আগামী পনেরো বছরের মধ্যে পূরণ করতে হলেও এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। বিনিয়োগ আকর্ষণে আগামী নতুন বাজেটেও বিশেষ কর্মকৌশল গ্রহণ করা হবে। বিদ্যমান বিনিয়োগের সক্ষমতা বাড়িয়ে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নে অংশীদার হতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অর্থলগ্নির আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, অর্ধদশক আগের চেয়ে বাংলাদেশ এখন এক ভিন্নরকম দেশ। বাংলাদেশের মানুষ এখন আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী। তারা যে কোনো অসম্ভব কাজকে বাস্তবায়ন করতে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী ও অঙ্গীকারবদ্ধ। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে আকর্ষণীয় স্থান উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ। আসুন, এখানে বিনিয়োগ করুন। আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আপনাদের সক্রিয় অংশীদার হওয়ার এখনই যথার্থ সময়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারপারসন হিসেবে আমি আপনাদের, বিশেষ করে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিশ্চিত করতে চাই যে, আমরা আপনাদের বাস্তবভিত্তিক বিনিয়োগ প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। বাংলাদেশে আপনার বিনিয়োগের সুরক্ষা ও বৃদ্ধি সুনিশ্চিত।’
আমাদের রয়েছে বিপুলসংখ্যক যুব কর্মশক্তি। বিশাল বাজার, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং সুদৃঢ় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। কার্যকর বাজার অর্থনীতির যথাযথ ব্যবহারের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পদ্ধতিগত সরলীকরণ করা হয়েছে। ব্যক্তি খাতের নীতিনির্ধারণবিষয়ক সমস্যাগুলো তথ্যনিষ্ঠ ও গবেষণার মাধ্যমে চিহ্নিত করা ও তার সমাধানের জন্য ‘প্রাইভেট সেক্টর ডেভেলপমেন্ট পলিসি কো-অর্ডিনেশন কমিটি’ (পিএসডিপিসিসি) নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সরকারি এবং ব্যবসায়ী চেম্বার ও বাণিজ্য সংস্থাগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। শিল্প অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো নির্মাণ এবং এ খাতে বৈচিত্র্য আনা, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর পরিধি ও কর্মকা- বিস্তারের মাধ্যমেও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা হচ্ছে। সব ধরনের বেসরকারি বিনিয়োগে রাজস্ব এবং রাজস্ববহির্ভূত আকর্ষণীয় প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের প্রবেশ এবং বহির্গমন সহজ করা হয়েছে এবং তারা তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ ও মুনাফা সহজেই দেশে নিয়ে যেতে পারেন।
বাংলাদেশ সামাজিক ও অর্থনৈতিক অঙ্গনে অন্তর্ভুক্তি ও সমসুবিধা নিশ্চিত করার এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। খাদ্য উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। জনগণের গড় আয়ু বেড়ে ৭০ দশমিক ৭ বছর হয়েছে এবং এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে মা ও শিশুর যতেœ বাংলাদেশ সর্বোচ্চ স্থান অর্জন করেছে। দারিদ্র্যসীমা হ্রাস পেয়ে ২২ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে আমাদের অফুরন্ত সামুদ্রিক সম্পদ যথাযথভাবে ব্যবহারের জন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার এবং ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমানার বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়েছে। ব্লু ইকোনমি আমাদের এখন নতুন সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। বর্তমান সরকারের শাসনামলে একশটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১৪ হাজার ৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত করা এবং গ্যাসের দৈনিক উৎপাদন ১৬শ’ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে ২ হাজার ৭২৮ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে গ্যাসের ঘাটতি মেটানোর জন্য এলএনজি আমদানির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং এ জন্য এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। গত ৬ বছরে আমাদের বাজেটের আকার ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। তা আজ পৌনে আটগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন জিডিপির ভিত্তিতে বিশ্বের ৪৫তম এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে ৩৩তম স্থান অধিকার করেছে। আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সরকারের জোর প্রচেষ্টার ফলে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা, আফ্রিকার সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের দিকগুলো আরও গভীর ও বিস্তৃৃত হয়েছে। ব্যবসায়ী ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কের নতুন মাত্রা উন্মোচিত হয়েছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতার এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া অদূর ভবিষ্যতে নিশ্চিতভাবে প্রবৃদ্ধির একটি বৃহৎ কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগের ফলে আমাদের ব্যক্তি খাতে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের দক্ষতা বেড়েছে। উদ্যোক্তাদের মনোবল এবং দক্ষতা বেড়েছে। আমাদের বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে যে সাহসী উদ্যোগ শেখ হাসিনার সরকার নিয়েছে, তা আমাদের সক্ষমতারই পরিচয় বহন করে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ অব্যাহত রেখেছে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা দূর করে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।
বিনিয়োগ বাড়াতে শেখ হাসিনার বিশেষ এ উদ্যোগ যে ফলপ্রসূ, তা একটি উদাহরণ দিলেই পরিষ্কার হয়ে উঠবে। সাড়ে ৭০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চিনকে অনুরোধ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। ঢাকার সে অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে চিন। বর্তমানে চিনা বাজারে ৪ হাজার ৭০০ বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার রয়েছে। তামাক ও তামাকজাতদ্রব্য, গার্মেন্ট ও লেদারসহ নতুন আরও ১৭টি পণ্যের এ সুবিধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। চিনে বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশি স্টলের মাধ্যমে পণ্যের প্রচার ও প্রসারে সুযোগও চেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য চিনা ভিসা সহজ করার দাবিও তোলা হয়। আনন্দের খবর হলো, চিন এ বিষয়ে ইতিবাচক মত দিয়েছে। সফলতার এই সূচকগুলো বিবেচনায় রেখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে নিরঙ্কুশ করা ষোলো কোটি মানুষের দায়িত্ব বলে মনে করি। সেই সঙ্গে দলীয় এবং সরকারের দায়িত্বশীল মহলেরও উচিত হবে প্রধানমন্ত্রীকে নির্ঝঞ্ঝাট সহযোগিতা দান করা।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০২
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: সরকার প্রধানকে অবশ্যই সহযোগিতা করা উচিৎ কিন্তু তিনি যখন মানুষের মতের বিরুদ্ধে একক সিদ্ধান্ত নেন তখন সেটা অবশ্যই খারাপের দিকে আলোকপাত করে।