![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবারও প্রমাণ হলো বাংলাদেশ সঠিক পথেই এগোচ্ছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.১১ শতাংশ। এটি বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও আইএমএফ যে প্রাক্কলন করেছিল তার চেয়েও বেশি। এমনকি বিবিএসের আগের প্রাক্কলন থেকেও বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এক বছরের কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জিডিপির এই হিসাব চূড়ান্ত করেছে। বিবিএস এর আগে ৯ মাসের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানিয়েছিল, এবার প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭.০৫ শতাংশ। তবে ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে নিম্ন মধ্যম থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার জন্য প্রবৃদ্ধির এই হার আরো বাড়াতে হবে।
গত দশকে দুনিয়াব্যাপী যে অর্থনৈতিক মন্দার সূচনা হয়েছিল তার রেশ এখনো কাটেনি। উন্নত অনেক দেশেরই জিডিপির প্রবৃদ্ধি ২-৩ শতাংশের বেশি নয়। কোনো কোনো দেশের প্রবৃদ্ধি ছিল নেতিবাচক। এ অবস্থায়ও বিগত বছরগুলোয় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বরাবরই ৬-এর ওপরে থেকেছে। এমনকি দেশে ভয়াবহ রাজনৈতিক সংঘাতের বছরগুলোয়ও প্রবৃদ্ধির এই ধারা বহাল থেকেছে। এর আগে বাংলাদেশ একবারই ২০০৬-০৭ অর্থবছরে সাতের ওপরে (৭.০৬ শতাংশ) প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল। সেটি ছিল চারদলীয় জোট সরকারের শেষ সময়ে শুরু হওয়া ও দুই বছরমেয়াদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সমাপ্ত অর্থবছর। তাই গত অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির হার একটি নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে, যা আমাদের অনেক আশান্বিত করে। বাংলাদেশে এরই মধ্যে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হচ্ছে। আর সেসবের মিলিত প্রভাবে দেশের শিল্পায়ন গতি পাচ্ছে। গত অর্থবছরে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই আসার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। গত অর্থবছরে এফডিআই এসেছে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি। আশা করা যায়, চলতি ও পরের অর্থবছরগুলোয় তা আরো বাড়বে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির হার এখনো কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছতে পারেনি, যা জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। এর একটি বড় কারণ, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোয় দুর্নীতির বাড়াবাড়ি। তা ছাড়া অবকাঠামোগত ঘাটতি এখনো অনেক বেশি। আছে পুঁজির অপ্রতুলতা, ব্যাংকঋণে সুদের উচ্চ হারসহ আরো অনেক বাধা। প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা রক্ষা ও কাঙ্ক্ষিত গতিতে এগিয়ে চলার জন্য বিনিয়োগের প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার ক্ষেত্রে সরকারকে অনেক বেশি মনোযোগী হতে হবে।
স্বাধীনতার অন্যতম লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। স্বাধীনতার চার দশক পরে এসে সেই পালে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। এই ধারা অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। হাজার বছরের শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাস মুছে বাঙালি জাতিকে সমৃদ্ধির সোনালি জগতে নিয়ে যেতে প্রয়োজন দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার। আমাদের বিশ্বাস, সেই অঙ্গীকার নিয়েই বর্তমান সরকার দেশ এগিয়ে নেবে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
অতীব গুরুত্ববহ পোষ্ট। কিন্তু এসডিজি ও ভিশন ২০২১ সফল করতে ব্লু ইকোনোমির বিকল্প নেই। আমাদের সমুদ্রে যেতে হবে। তবেই দুই অংকের প্রবৃদ্ধি সম্ভব!